কক্সবাজারে কাটানো বিশেষ মুহূর্তের একটা অংশ।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।
আপনাদের সাথে তো সেদিন শেয়ার করেছিলাম কক্সবাজারে যাওয়ার পর মেলায় যাওয়ার অনুভূতিটা। আসলে মেলায় গিয়ে অনেকগুলো ছবি তুলেছিলাম। সবগুলো ছবি যদিও আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হয়নি, তবে রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো করার সময় সে ছবিগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করব। যাইহোক আজকে বিশেষ একটা পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকের পর্বে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি আমার বাংলা ব্লগের একজন সুপরিচিত ব্লগার @samhunnahar আপুর সাথে দেখা করার মুহূর্ত নিয়ে।
আসলে আমরা কক্সবাজার যাওয়ার আগেই কিন্তু শামসুন্নাহার আপুর সাথে যোগাযোগ করেছিলাম। আপু কক্সবাজার এরিয়ায় কোথায় থাকে, বীচের কাছাকাছি থাকে কিনা। তখন আপু বলল বীচ থেকে খুব বেশি সময় লাগে না আসতে। আর সেজন্যই মূলত আপু প্রথম দিন আমাদের সাথে তার একটা কাজের কারণে দেখা করতে পারেনি। তাই পরদিন সময় করেই বিকেল বেলা চলে এসেছিল। যাইহোক মেলা থেকে বেরিয়ে আমরা প্রথমেই চলে গেলাম বীচের দিকে, সেখানে গিয়ে চা পান করলাম।
সেখানে একটা দোকানে মেশিনের চা খুব ভালো বানিয়ে ছিল। আর সেটা প্রথমবার খাওয়ার পর থেকে বীচে গেলে সেখানে অবশ্যই একটা হলেও চা খাই। চা না খেলে যেন আমার তৃপ্তি মিটে না। সেখান থেকে বীচে গিয়ে কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করলাম।তারপর গেলাম কাকড়া দেখার জন্য। আসলে আপু আসতে কিছুটা সময় লাগবে এজন্যই মূলত আমরা বীচের মধ্যে ঘোরাঘুরি করলাম। আমরা তখন সুগন্ধা পয়েন্টে ছিলাম। সেখান থেকে পরে গিয়েছিলাম লাবনীর দিকে। যাইহোক আমরা অপেক্ষা করছিলাম শামসুননাহার আপু আসার জন্য। সুগন্ধা পয়েন্টেই তিনি এসেছিলেন মেয়েদেরকে নিয়ে। আমরা ভেবেছিলাম আপু হয়তো কাকড়া খাবে সেজন্যই মূলত সেখানে অবস্থান করা।
পরবর্তীতে আপু বলল যে তিনি সামুদ্রিক কাঁকরাগুলো তেমন একটা খান না। সেজন্য আর খাওয়া হলো না সেদিন। যাইহোক আমার ভাই একটা কাজে বাসায় গিয়েছিল তার জন্য অপেক্ষা করছিলাম কিছুক্ষণ। তারপর আবার চলে এলো। আমরা তখন বীচের দিকে হাঁটছিলাম। তারপর হাঁটতে হাঁটতে আমরা লাবনী পয়েন্টের দিকে চলে গেলাম। তখন প্রায় সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছিল। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার কারণেই আমরা বীচে একটা সিট নিয়ে নিলাম। তারপর সবাই মিলে আড্ডায় মেতে উঠলাম। আর এর মাঝে বাদাম কিনে নিয়েছিলাম খাওয়ার জন্য। সবাই মিলে বাদাম খাচ্ছিলাম আর আড্ডা দিচ্ছিলাম। এর মাঝে কিন্তু মশা আমাদের থেকে ভাগ নিচ্ছিলো।
কিছুক্ষণ সময় সেখানে অতিবাহিত করলাম। কারণ আপুর হাজবেন্ড আসার কথা। আপুর হাজবেন্ড আসলে আমরা অন্যদিকে যাব সেজন্যই মূলত অপেক্ষা করছিলাম। এর মাঝে আবার নিভৃতকে সিদ্ধ ডিম খাইয়েছিলাম। কারণ সে অন্য কিছুই তেমন খেতে চায় নি। টুকটাক কিছু বাদাম খেয়েছে আর তাকে অন্যান্য খাবার গুলো মূলত না খাওয়ানোর কারণেই বাইরের জিনিসগুলো কিনা থেকে বিরত ছিলাম। আর এর মাঝে সন্ধ্যা হয়ে গেল। এর পরপরই আপুর হাজবেন্ড চলে এসেছিল। আসলে প্রথম দেখায় অনুভূতিগুলো অনেক বেশি আনন্দের ছিল।
এই মানুষগুলোর সাথে কোন রক্তের সম্পর্ক নেই। দূর-দূরান্তের মানুষ, কখনো চেনা জানা ছিল না। কিন্তু আমার বাংলা ব্লগ এবং @rme দাদার অবদানের কারণে আজ আমরা একে অপরের সাথে পরিচিত হয়েছি। আর সেই পরিপ্রেক্ষিতেই কিন্তু এত দূরের মানুষ হয়েও আমরা একসাথ হতে পেরেছি। আসলে এই মুহূর্ত বলে বোঝানোর মত নয়। অনেক বেশি ভালো লেগেছিল যখন আপুর সাথে কথা বলছিলাম।
আপুর মেয়ে দুটোও কিন্তু বেশ ভালই মিশে ছিল। আদিলা এবং রাঈদা দুজনেই অনেক আন্তরিকতা সহ আমাদের সাথে বেশ সময় পার করেছে। যদিও আদিলার সাথে কয়েকটা ছবি তুলেছিলাম আলাদাভাবে এবং তার সাথে বেশ গল্প জমে উঠেছিল। রাঈদা তো বাবা পাগল মেয়ে বলতে গেলে।বাবা আসার সাথে সাথেই বাবার কাঁধে উঠে নাচানাচি শুরু করে দিয়েছিল। এটা নাকি তার প্রতিদিনকার কাজ।এই কাঁধে করেই মেয়েকে নিয়ে হাটছিল ভাইয়া।
যাইহোক তারপর আবার আমরা অন্য জায়গায় গিয়েছিলাম। সেটা নিয়ে অন্য একদিন আবার আপনাদের মাঝে হাজির হব। আজকের মজা এতোটুকুই। আশা করি ভালো লাগবে আপনাদের কাছে।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপু আমার তো ভীষণ আফসোস হচ্ছে, আপনাদের আড্ডার আয়োজনের কথা শুনে। মনে হচ্ছিল সন্ধ্যার দিকে বিচে আপনাদের সাথে আমিও যদি আড্ডায় মেতে উঠতে পারতাম তাহলে কতই না ভালো লাগতো। তবে আপু আপনি ঠিকই বলেছেন, রক্তের সম্পর্কহীন আমরা সবাই, তবু শুধুমাত্র দাদার অবদানের কারণে আজ আমরা আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ হতে পেরেছি। এজন্য অবশ্য দাদাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। যাইহোক আপু, শামসুন্নাহার আপুর সাথে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন তা জেনে খুব ভালো লাগলো। আরো কতটুকু সময় আপনারা উপভোগ করেছেন তা পরবর্তী পোষ্টের মাধ্যমে জেনে নেব। ধন্যবাদ
ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য দেখে। আসলে কক্সবাজার এতটাই ভালো লাগে যে প্রতিবছরই যেতে ইচ্ছে করে।
আপনারা কক্সবাজারে ভ্রমণ করতে গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো। আর সেখানে কাটানোর বিশেষ কিছু মুহূর্ত আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এই ব্লগের মাধ্যমে। এই ব্লগ করার মধ্য দিয়ে এবং ফটোগুলো দেখার মধ্য দিয়ে কিন্তু অনেক ধারণা পেলাম কক্সবাজার সম্পর্কে এবং আপনাদের ভ্রমণ সম্পর্কে।
কক্সবাজার যাওয়া হয়েছে ২বার,হয়তো আবারো যাওয়া হবে।কারণ সমুদ্র আমার অনেক বেশি ভালো লাগে।