আমি ফিরতে চাই সেই বিকেলে!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
কয়েকদিন আগের কথা। ফেসবুক প্রোফাইল টা ক্রল করছিলাম। এমন সময় একটা স্ট্যাটাস নজরে আসে আমার। ওখানে ছোটদের একটা ক্রিকেট খেলার ভিডিও এর সাথে লেখা এক আলোকবর্ষ হয়ে গেল বিকেলে ক্রিকেট খেলি না। কথাটা একেবারে সত্যি কতদিন হলো বিকেলে ক্রিকেট খেলি না। ভিডিও টা দেখে সেই পুরাতন দিনগুলোর কথা মনে পড়ে গেল আমার। মনে হচ্ছিল ইস আর একবার যদি ঐ বিকেল গুলো ফিরে পেতাম। ঐ স্ট্যাটাসের কমেন্টবক্সে আমার এলাকার দুই বন্ধু শিমুল এবং তোহা কে মেনশন করলাম। আমরা একসঙ্গে খেলতাম। দেখলাম ওরাও বেশ ইমোশনাল হয়ে গিয়েছে। ওরাও কমেন্টের রিপ্লাই করল ওরাও মিস করছে দিনগুলো।
বলছি ২০১০ থেকে ২০১৮ সাল পযর্ন্ত সময়ের কথা। না তারপরও খেলতাম তবে কলেজে উঠার পর আর আগের মতো খেলতাম না। তবে আমাদের সোনালী সময়ে আমি শিমুল তোহা অনেক টা সময় একসঙ্গে ক্রিকেট ফুটবল খেলে কাটিয়েছি। আমাদের সেই ৮ বছর বয়স থেকে আমাদের একটা টিম ছিল। সেই ছোট থেকেই আমরা একটা টিম হয়ে খেলতাম। সপ্তাহের অন্যান্য দিনগুলো তে স্কুল থেকে এসেই ছুটতাম মাঠে। সন্ধ্যা পযর্ন্ত খেলতাম। প্রতি শুক্রবার সকালে এবং বিকেলে আমাদের প্রতিযোগিতা মূলক ম্যাচ থাকত অন্য এলাকার সাথে। সেখানে আমরা বল বাজিতে খেলতাম। অর্থাৎ যে দল জিতবে বল তারা নিয়ে নেবে। সেই বল আবার কেনা হতো সবাই টাকা দিয়ে। তখন বলের দাম ছিল ২০ টাকা।
আমাদের টিমের মধ্যে আমি এবং শিমুল ওপেনার হিসেবে ব্যাটিং করতে নামতাম। এরমধ্যে শিমুল ছিল হার্ড হিটার। ও অনেক মেরে খেলত। এবং আমি ছিলাম মিস্টার ডিপেন্ডেবল। আমি অনেক দেখে শুনে সিঙ্গেল নিয়ে খেলতাম। অধিকাংশ সময় শিমুল আগে আউট হয়ে যেত এবং আমি থেকে যেতাম। তবে শিমুল বেশ ভালো রান করে যেত। তারপর একে একে অন্যরা নামত। তোহা নামত একজনের পরে। আবার বোলিংয়ে ক্ষেএে আমি যেতাম প্রথমে। আমি পেস বোলার ছিলাম। প্রথম দিকে আমি অনেক ভালো বল করতাম। বিশেষ করে আমাদের টিমে আমার মতো সুইং আর কেউ করাতে পারত না। কিন্তু ২০১৮ সালে বোলিং করতে গিয়ে আমি ইঞ্জুরড হয় । তারপর থেকে আর বল পেস বল করতে পারি না বেশ অস্বস্তি হয়।
যদিও তারপর থেকে আমি স্পিন করা শুরু করি। কিন্তু সেটা অধিকাংশ সময় খুব একটা ইফেক্টিভ হতো না। আমাদের টিমের মধ্যে একটা ঝামেলা সবসময় চলত কোন ম্যাচ হারলে আমরা একে অন্যকে দোষ দিতাম। আমাদের এমনও রেকর্ড আছে প্রতিপক্ষ দলকে ১৫ রানে অলআউট করে দিয়ে আমরা ১০ রানে অলআউট হয়ে ম্যাচটা হেরে গিয়েছি। সেই দিনগুলো আমি এখন অনেক অনেক মিস করি। চাইলেও আর দিনগুলো তে আমি বা আমরা ফিরতে পারব না। আমরা সবাই এখন নিজেই একটা বল একটা ব্যাট কিনতে পারি। কিন্তু সবাই মাঠে আর একএিত হতে পারি না। ব্যাপারটা যেমন দুঃখজনক তেমনই আফসোসের হা হা। আমি আবার সেই বিকেল গুলোতে ফিরতে চাই। কিন্তু সেটা তো সম্ভব না।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Daily task
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমরা একটা সময় দশজনে একটা বল কিনতাম।
আর এখন একা একটা বল কিনতে পারলেও সেই দশ জনকে আর একত্র করতে পারি না। এটাই নিয়তি কিছু করার নেই, মেনে নিতে হবে মনের মাঝে পাথর চাপা দিয়ে।
আমি নিজেও ক্রিকেট খেলতাম প্রচুর এবং সবসময়ই ওপেনিং ব্যাটসম্যান ছিলাম। আর টেস্টে আমাকে আউট করতে পারতো না তাই আমার নাম দিয়েছিল মিঃ টেস্টার 😀 যাইহোক তোমার পোস্ট পরে হঠাৎ কোথায় যেন হারিয়ে গেলাম ইমন 😕
শৈশবের স্মৃতি গুলো সবসময়ই মনের ভিতর জেগে উঠে আর তখন মনে হয় সেই মধুর স্মৃতি গুলো যদি আবারও জীবনে ফিরে আসতো তাহলে খুবই ভালো লাগতো।সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
যেই দিনগুলো আমরা হারিয়ে ফেলেছি হয়তো সেই দিনগুলো আর কখনো ফিরে পাবো না। তবে সময়গুলো স্মৃতি হয়ে সারা জীবন থেকে যাবে। ভাইয়া আপনার লেখাগুলো পড়ে নিজের শৈশবের স্মৃতিগুলোর মাঝে হারিয়ে গিয়েছিলাম।