সিন্ডিকেট!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
বতর্মানে বাংলাদেশে ফুটবল প্রচুর জনপ্রিয়। ফুটবল না বলে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ফুটবল জনপ্রিয় বললে একটু বেশি ভালো হয়। কারণ বাংলাদেশ জাতীয় দলে এখন বেশ কিছু বিশ্বমানের ফুটবলার খেলে। হামজা সামিত সোম, ফাহমিদুল ইসলাম এরা আসার পরে বাংলাদেশ দলের এই ফুটবল জনপ্রিয়তা অনেক গুণ বেড়ে গিয়েছে। সবাই আবার বাংলাদেশের খেলা স্টেডিয়ামে গিয়ে দেখা শুরু করেছে। আগামী ১৮ নভেম্বর এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়শীপ এর বাছাইয়ের ম্যাচ রয়েছে। বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত জাতীয় ফুটবল দল। খেলাটা হবে বাংলাদেশ জাতীয় স্টেডিয়ামে যেটা গুলিস্তানে অবস্থিত। সেই ম্যাচ ঘিরে রয়েছে প্রচুর উন্মাদনা। ম্যাচটা দেখার ইচ্ছা আমার নিজেরও আছে। তবে সমস্যা হচ্ছে টিকিট?
সবমিলিয়ে ২০ হাজার ধারণ ক্ষমতা স্টেডিয়ামের। সাধারণ গ্যালারির ১৮ হাজার টিকিট। এগুলোর দাম ৫০০ টাকা। এবং অন্য ভিআইপি জোন সহ অন্যান্য টিকিটের দাম ১০০০,২০০০,৩০০০ এমনকি ৫০০০ পযর্ন্ত আছে। তো আমার দৌড় ঐ সাধারণ গ্যালারি পযর্ন্ত। টিকিট ছাড়বে ১০ নভেম্বর সোমবার দুপুর ২ টাই। আমার লাগবে দুইটা টিকিট আমি এবং আমার চাচাতো ভাই যাব। যথারীতি টিকিট কাটার জন্য নির্দিষ্ট ওয়েব সাইটে গিয়ে দুপুর দেড়টা থেকে বসে আছি। টিকিট ছাড়লো দুপুর ২ টাই। কিন্তু কী আশ্চর্যের বিষয় মাএ ৫ মিনিটে ১৮ হাজার টিকিট শেষ যেটা ছিল একেবারে কল্পনার বাইরে। আমি ব্যাপার টা বুঝে উঠার আগেই যেন টিকিট শেষ।
টিকিটের ডিমান্ড টা একবার চিন্তা করেন। ১৮ হাজার টিকিট শেষ ৫ মিনিটে। যদিও আমি বহুকষ্টে দুইটা টিকিট কাটতে পেরেছি একেবারে খালিহাতে ফিরতে হয়নি। তবে এরপরে আরেকটা নতুন ব্যাপার আমার নজরে আসলো। অনেকেই অভিযোগ করেছে পুরোপুরি ১৮ হাজার টিকিট ছাড়া হয়নি। অর্থাৎ মাএ ৩০০-৪০০ টিকিট ছাড়া হয়েছে এবং বাকিগুলো আগে থেকে রিজার্ভ করা ছিল। এবং এই ৩০০ -৪০০ টিকিট মূহূর্তেই মধ্যেই শেষ হয়ে যায়। তাহলে বাকি টিকিট গুলো গেল কোথায়?? অনেকেই অভিযোগ করছে এগুলো চলে যাবে টিকিট কালোবাজারি দের কাছে। এবং এরা বাফুফে অর্থাৎ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন এর সঙ্গে জোট বেঁধে এগুলো করে। সাধারণ দর্শকদের টিকিট না দিয়ে তাদের দেয়। এবং তারা বেশি দামে বিক্রি করে। কথাটা একেবারে মিথ্যা না। বাংলাদেশের টিকিটের চাহিদা থাকার জন্য বেশি দামেই অন্যরা টিকিট নিয়ে নেয়।
ব্যাপার টা যদি এমনই হয় তাহলে সত্যি সেটা দুঃখজনক। এইসব সিন্ডিকেটের হাত থেকে ফুটবল কবে রেহায় পাবে সেটা জানা নেই। ফেসবুক বিভিন্ন খেলার পেইজগুলোতে খেয়াল করলাম অনেকেই পোস্ট দিচ্ছে, পোস্টের নিচে কমেন্ট করছে বাংলাদেশ বনাম ভারত ম্যাচের টিকিট আছে। দরকার হলে ইনবক্স করেন কিন্তু দাম বেশি লাগবে। অর্থাৎ ইতিমধ্যে সেগুলো শুরু হয়ে গিয়েছে। অনেক কে বলতে দেখলাম তারা অনেক কষ্ট করেও টিকিট পাই নাই। একপ্রকার প্রহসন হয়েছে তাদের সাথে। এইসব সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে বাংলাদেশের ফুটবল কোনদিনই আর এগিয়ে যাবে না। শুধু টিকিকের ক্ষেত্রে না। বাংলাদেশ দল নির্বাচনের সময়ও সিন্ডিকেটের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।



.png)



Daily task
https://x.com/Emon423/status/1988160661860532591?t=0kEoFxfD2D1YkrwugCTL5Q&s=19