বছরের শেষ ম্যাচ!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
গতরাতে লা লীগার ম্যাচে মাঠে নেমেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। এই বছরে এটাই ছিল তাদের শেষ ম্যাচ। কারণ এরপর থেকে চলবে ছুটি। ইউরোপীয়ান রা বড় দিন বেশ জাকজমকভাবে পূরণ করে। সেটার ছুটিতে যাবে সব খেলোয়ার রা। পরবর্তী ম্যাচ আবার জানুয়ারিতে। রিয়াল মাদ্রিদের ম্যাচ ছিল সেভিয়া এর সাথে। ম্যাচটা ছিল রিয়ালের হোম ম্যাচ। রিয়াল মাদ্রিদের ডিফেন্ডার ডিন হুইজেন ইঞ্জুর থেকে এবং ফ্রান গার্সিয়া নিষেধাজ্ঞা থেকে ফিরেছে এটাইই যা একটু স্বস্তি ছিল। এখন এমন সময় ম্যাচ জয়ের কোন বিকল্প নেই। ম্যাচ ড্র করা অথবা হারার মানে হলো লীগ শিরোপা থেকে ক্রমাগত দূরে চলে যাওয়া। রিয়াল মাদ্রিদ মাঠে নামে ৪-১-২-৩ ফর্মেশনে। অন্যদিকে প্রতিপক্ষ সেভিয়া এর ফর্মেশন ছিল ৫-৩-২। একেবারে হাই ডিফেন্সিভ ফর্মেশন।
ইদানিং তুলনামূলক ছোট দলগুলো রিয়ালের সাথে লো ব্লকে খেলছে। তাদের রক্ষণভাগে বেশি খেলোয়ার রাখছে। এতে করে মাদ্রিদের গোল করা কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যদি স্বাভাবিক খেলে এই দলগুলো তাহলে রিয়ালের আক্রমণভাগ আটকানো যাবে না। যাইহোক খেলা শুরু হয় বাংলাদেশ সময় রাত ২ টার সময়। ম্যাচের শুরু থেকেই মোটামুটি গুছিয়ে খেলছিল রিয়াল মাদ্রিদ। একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু সেই কাঙ্ক্ষিত ফিনিশিং এর অভাবে গোলের দেখা পাচ্ছিল না মোটেই। অন্যদিকে সেভিয়া দলটাও কিছু আক্রমণ করছিল। ম্যাচের ৩৮ মিনিটের সময় ডিবক্সের বেশ কিছুটা বাইরে থেকে একটা সেট পিচ পায় রিয়াল মাদ্রিদ। সেটা নিয়ে যায় রদ্রিগো। রদ্রিগো সেটা দারুণ ভাবে ডিবক্সের মধ্যে রাখে। এবং সেই বল থেকে হেড দিয়ে গোল করে জুড বেলিংহাম।
রিয়াল মাদ্রিদ ১-০ তে এগিয়ে যায়। প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয়। দ্বিতীয়াধেও খেলা আগের মতোই চলতে থাকে। উল্লেখ্য এই ম্যাচেও রদ্রিগো ছিল বেশ আগ্রাসী। সে দারুণ খেলছিল। দারুণ সব সুযোগ তৈরি করছিল মাঠের মধ্যে বল নিজের দখলে রাখার জন্য স্কিল প্রদর্শন সবকিছুই করছিল সে। ম্যাচের ৬৮ মিনিটের সময় বেলিংহামকে ফাউল করে সেভিয়ার মারাচাও। আগে একটা হলুদ কার্ড দেখাই সে লাল কার্ড পায়। এবং সেভিয়া পরিণত হয় ১০ জনের দলে। তখন রিয়াল মাদ্রিদের আক্রমণের গতি আরও বেড়ে যায়। ফলাফল ম্যাচের ৮৫ মিনিটের সময় রদ্রিগো দারুণ ভাবে বলটা নিয়ে ডিবক্সে ঢুকে যায়। তাকে ফাউল করে সেভিয়ার খেলোয়ার রা। পেনাল্টি পেয়ে যায় রিয়াল মাদ্রিদ। পেনাল্টি নিতে আসে কিলিয়ান এমবাপ্পে।
পেনাল্টি থেকে দারুণ একটা গোল করে দলকে ২-০ এর লিড এনে দেয় এমবাপ্পে। এর কিছুক্ষণ পর আরেকটা পেনাল্টি পায় রিয়াল মাদ্রিদ। তবে সেটা বাতিল হয়ে যায়। ম্যাচ শেষ হয়। রিয়াল মাদ্রিদ পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়ে। বছরের শেষ ম্যাচটা মোটামুটি ঠিকভাবেই শেষ হয়েছে। পুরো ম্যাচে ৫৩ শতাংশ বল নিজেদের দখলে রাখে রিয়াল মাদ্রিদ। মোট শর্ট করে ১৮ টা যার মধ্যে ১৪ টা ছিল অন টার্গেট। এগুলো থেকেই বোঝা যায় গতরাতে রিয়াল মাদ্রিদ ঠিক কতটা আক্রমণাত্মক ছিল। এই নিয়ে ১৮ ম্যাচে রিয়ালের পয়েন্ট ৪২। অন্যদিকে এক ম্যাচ কম খেলে টেবিল টপার বার্সেলোনার পয়েন্ট ৪৩। আজকে রাতে মাঠে নামবে বার্সেলোনা। আশাকরি বার্সা তাদের শেষ ম্যাচ হেরেই বছরটা শেষ করবে।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।














.png)



Daily task
https://x.com/i/status/2002651458014212423
https://x.com/i/status/2002651671986647466