একা চলতে শিখুন!!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
একটা সময় পরে গিয়ে হয়তো মানুষের ধৈর্য্য আর থাকে না। সত্যি বলতে ধৈর্য্য থাকা টাও ঠিক উচিত না। আপনার সাথে একটা অন্যায় বহুদিন ধরে হয়ে আসছে। কিন্তু আপনি কোন একটা কারণে কিছু বলছেন না। শুধুমাত্র সহ্য করে যাচ্ছেন। একটা সময় গিয়ে সব ঠিক হয়ে যাবে এমন ধারণা নিয়ে আপনি ঐ কঠিন মূহূর্ত অতিবাহিত করছেন। কিন্তু একটা সময় গিয়ে দেখলেন আপনার এতো অপেক্ষা এতো ধৈর্য্য পুরোটাই বিফলে চলে গেল। আপনি ভেবেছিলেন সময়ের সাথে সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু হলো তার সম্পূর্ণ বিপরীত। আমার মতি ঐসময় আপনার আর ধৈর্য্য ধারণ করা বা অপেক্ষা করা উচিত না। আপনার উচিত সবকিছু ঐ জায়গা ত্যাগ করা অথবা ঐ মানুষের সঙ্গ ছেড়ে দেওয়া।
পৃথিবীতে কোন কিছুই দীর্ঘস্থায়ী হয় না। বিচ্ছেদের ব্যাথা টাও দীর্ঘস্থায়ী হয় না। একটা সময় গিয়ে সেটা ঠিক হয়ে যায়। তবে যদি আপনার পূর্ব প্রস্তুতি না থাকে আপনার উচিত একটা ধাক্কা সামলানোর মতো প্রস্তুতি রাখা। এতে করে আঘাত টা আপনি কম অনূভব করবেন। মনে হবে এমন কিছু তো আমি আগেই আশঙ্কা করেছিলাম। বাড়িতে এসেছি কয়েকদিন হলো। কাল পরশু আবার চলে যাব। গতকাল বিকেলে সময় কাটানোর জন্য চলে গেলাম আমাদের কুমারখালীর গড়াই নদীর উপর নির্মিত ব্রীজের উপর। আগে অনেক মানুষের ভীড় হলেও সময়ের সাথে এখন সেটা কমে এসেছে। তবুও বেশ কিছু মানুষ ছিল। আমি যখন গিয়েছি তখন বিকেল প্রায় শেষ। সন্ধ্যা প্রায় আগত।
আমি ব্রীজের উপরে একা দাঁড়িয়ে আছি। নদীর স্রোতের গতি এখন অনেক ক্ষীণ। নদীর দিকে তাকিয়ে আছি। সূর্য ডুবে গিয়েছে পশ্চিম আকাশ টা সূর্যের শেষ আলোর আভায় লাল হয়ে গিয়েছে। ঐসময় আমার দুই বন্ধু আসলো ওখানে। অনেকদিন পরে ওদের সাথে দেখা। কথা বলার একপর্যায়ে আমার এক ফ্রেন্ড জিজ্ঞেস করছে এখানে কী একা এসেছিস। ওর কথা শুনে কিছুটা হেসে বললাম আমার সাথে আর কে আসবে। তখন কথার কিছু উওর দিলাম। জীবনে যত দ্রুত একা চলতে শিখে যাওয়া যাবে তত ভালো। আর যাইহোক কারো উপর নির্ভর করে থাকা কখনোই ভালো কিছু বয়ে আনে না আমার জীবনে। একটা সময় আমি একা চলতে পারতাম না। কোথাও যেতে হলে কাউকে প্রয়োজন হতো।
কিন্তু সময়ের সাথে সেই প্রভাব টা এখন অনেক কমে গিয়েছে। এখন আমি মোটামুটি সব জায়গাই একাই যায়। এটা অভ্যাস হয়ে গিয়েছে। আমরা যখন একা থাকি তখন ঠিক আমরা একা থাকি না। আমাদের ভেতরের মানুষ গুলো আমাদের ঘিরে থাকে। কিন্তু আমরা যখন মানুষের মধ্যে থাকি তখন একা থাকি। কারণ জনতার মাঝেই আছ নির্জনতা। কথাটা সুন্দর না। আজকে লেখার মতো কোন কিছু খুজে পাচ্ছিলাম না। এইজন্য নিজের মধ্যের অনূভুতি গুলো কথাগুলো লিখলাম। এখন অনেকটা ফ্রি হয়ে গিয়েছি আমি। আর যাইহোক এখন অন্য কারো অনাকাঙ্খিত কাজ আমার মধ্যে কোন অশান্তি বা ঝড়ের সৃষ্টি করে না। জীবনে সবক্ষেএে একা চলতে শিখুন। জীবনের প্রতিটা পর্যায়ে কেউ আপনার পাশে থাকবে না।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Daily work proof
কথা সত্যি। একা থাকার অভ্যাস করে নিলে আঘাতটা তেমন আর লাগে না।সবচেয়ে বড় সত্যি এটাই সবকিছুর উপর নিজের আত্মসম্মান বোধটাকে কখনও কারো জন্য মেরে ফেলা উচিত নয়।নিজেকে ভালো রাখতে হলে আত্মসম্মান ভীষণ দরকার।তাই একা চলতে শিখে নিলে ভালো ও থাকা যায়। কারো উপর নির্ভর করে চলা ঠিক নয়।