ফিফার সেরা "ভিনিসিয়াস"।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
Fabrizio Romano এর টুইটার একাউন্ট থেকে স্কিনশর্ট নেওয়া।
ওকে বল দিও না। ও আমাদের বিপক্ষে খেলছে। যখন একজন নিজের দলের খেলোয়ার কে উদ্দেশ্য করে এই কথাটা দলের আরেকজন খেলোয়ার বলে তখন কী মনে হতে পারে আপনার। হ্যা করিম বেনজেমা ২০২০ সালে ভিনিসিয়াস কে নিয়ে এই কথাটা বলেছিল দলের অন্যান্য খেলোয়ার দের। যদিও তখন অনেক গুলো কারণ ছিল। যথেষ্ট গতি স্কিল থাকার পরেও একের পর এক ভুল পাস বল হারিয়ে ফেলা সহজ বল ফিনিশ করতে না পারা এগুলো ছিল তার কারণ। রিয়াল মাদ্রিদের অনেক খেলোয়ার সহ ফ্যানরা পযর্ন্ত ভিনিসিয়াসের উপর বিরক্ত হয়ে গিয়েছিল। তারপর একটা বিরতি। কার্লো আনচেলওি রিয়াল মাদ্রিদের কোচ হয়ে এলো। ভিনিসিয়াসের খেলা পাল্টে যেতে থাকল। গতি ড্রিবলিং ফিনিশিং সবকিছুতে সবাইকে ছাড়িয়ে যেতে শুরু করল।
রিয়াল মাদ্রিদে একের পর এক অ্যাসিস্ট করতে থাকল। এবং একবছরের ব্যবধানে সেই করিম বেনজেমা তার দলের অন্য খেলোয়ারদের বলল ভিনিসিয়াস কে বল দাও ও জানে কী করতে হবে। না এতো সহজেই এটা হয়ে যায় নি। এর পেছনে ছেলেটার কঠোর পরিশ্রম রয়েছে। ভিনিসিয়াস ছিল একেবারে পিওর ট্যালেন্ট যার কারণে মাএ ১৮ বছর বয়সে ব্রাজিলের একটা ক্লাব থেকে পেরেজে তাকে ৪৫ মিলিয়ন দিয়ে কিনে নিয়ে আসে। যদিও প্রথম দিকের পথ তার জন্য মোটেও সহজ ছিল না। এই ছেলেটাকে আমার প্রথম থেকেই ভালো লাগত। ভিনিসিয়াসের মধ্যে সবকিছু থাকলেও ওর যেন কোথাও ঘাটতি ছিল। হ্যা সেই ঘাটতি টা ছিল আত্মবিশ্বাস। আর সেটারই পূরণ করে দেয় কার্লো আনচেলওি।
ভিনিসিয়াস যখন উড়ছে। শত চেষ্টা করেও প্রতিপক্ষ তাকে আটকে রাখতে পারছে না। তখন তার বিরুদ্ধে শুরু হয় বর্ণবাদ। অর্থাৎ কালো হওয়ার জন্য অসংখ্য খেলোয়ার, অন্য ক্লাবের দর্শকদের থেকে শুনতে হয় নানা রকম বাজে কথা। গত সিজেনে একটা ম্যাচে ভিনিসিয়াস কে উদ্দেশ্য করে অন্য একটা ক্লাবের দর্শকরা মাঠে বলছিল ভিনিসিয়াস তুমি মরে যাও। ঐদিন ছেলেটা কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছেড়েছিল। তাকে এতো বর্ণবাদ সহ্য করতে হয় শুধুমাত্র তার গায়ের রং কালো দেখে। ২০২৩-২৪ সিজেনে অসাধারণ পারফরম্যান্স। নিজের ক্লাব কে চ্যাম্পিয়ন লীগ, লা লীগা, স্প্যানিস সুপার কাপ জিতিয়েছেন। নিজে হয়েছে চ্যাম্পিয়ন লীগের সেরা খেলোয়ার। সেখানে সবচাইতে বেশি অবদান ছিল তার। উচল এর নকআউট ম্যাচগুলোতে ভিনিসিয়াস ছিল অপ্রতিরোধ্য।
সবাই যখন নিশ্চিত এবারের ব্যালন ডিঅর ভিনিই পাবে। কিন্তু না সবাইকে চমকে দিয়ে ব্যালন ডিঅর পাই ম্যানসিটির স্প্যানিস তারকা রদ্রি। ঐদিন মোটামুটি পুরো ফুটবল বিশ্ব ফ্রান্স ফুটবলের সমালোচনা করেছিল প্রশ্নবিদ্ধ করেছিল তাদের এই পুরষ্কার কে। ভিনি ঐদিন ব্যালন ডিঅর না জিতলেও জিতেছিল কোটি ফুটবল ফ্যানের ভালোবাসা। এবং সে বলেছিল আমি এর দশগুণ ভালো করব। পারলে তোমরা থামিও। হ্যা ভিনি সত্যি তার দলগুণ হয়ে ফিরে এসেছে। গতকাল রাতে ফিফা ২০২৪ সালের সেরা ফুটবলারের নাম ঘোষণা করল। ২০০ টা দেশের ফুটবল দলের ক্যাপ্টেন, কোচ, মিডিয়া এবং ফ্যানেরা ভোট দিয়েছে এখানে। হ্যা এবার ভিনিসিয়াসই জিতেছেন ফিফা দ্যা বেস্ট অর্থাৎ ২০২৪ সালের সেরা ফুটবলারের পুরষ্কার।
আমি ভিনির অনেক বড় একজন ফ্যান। আমরা রিয়াল মাদ্রিদ এবং ব্রাজিল ফ্যান হিসেবে তার থেকে আরও বেশি কিছু আশাকরি। আশাকরি সে আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসবে এবং সবার সমালোচনার জবাব দেবে। ২০২৪ ফিফা দ্যা বেস্ট খেলোয়ার এর পুরষ্কার পাওয়ার জন্য ভিনিসিয়াস কে অভিনন্দন।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
daily task
Super walk task
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.