💡🔌ছোটবেলার ইলেকট্রনিক্স এর উপর আসক্তি 🔦 || ❤️ আমার বাংলা ব্লগ 💯
আজ - শুক্রবার
ছোটবেলা থেকে ইলেকট্রনিকের জিনিসের প্রতি আমার অন্যরকম একটা আসক্তি কাজ করতো, আজকে সেই গল্পটাই আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। চলুন তাহলে শুরু করি...;) এমনিতেই আমাদের বাড়িতে যখন কোন কিছু নষ্ট হত যেমন লাইট, ফ্যান ,টিভি , ফ্রিজ যেটাই হোক না কেন নষ্ট হলেই আমি সেগুলো খুলে ফেলতাম এবং দেখতাম ওর ভিতরে কি রয়েছে। সবচেয়ে বেশি দেখতাম কোন লাইট যদি নষ্ট হতো তাহলে ওর ভিতরে কোন পার্স গুলো ব্যবহার করেছে এবং কিসের জন্য এই লাইটটি জ্বলতেছে? এই বিষয়গুলো নিয়ে সবসময় ভাবতে থাকতাম। তো এভাবেই ঘাটাঘাটি করার জন্যই হয়তোবা আমার ইলেকট্রনিকের প্রতি একটা ঝোঁক সৃষ্টি হয়েছিল এবং এই জিনিসগুলো শেখার অনেক ইচ্ছা ছিল। তাই কোন একটা জিনিস নষ্ট হলেই আমি নিজেই মেরামত করতে শুরু করে দিতাম । হয়তোবা কিছু, কিছু জিনিস মেরামত করতে পারলেও অনেক জিনিসই নষ্ট করে ফেলতাম এবং কতবার যে কারেন্টের শট খেয়েছি এটা তো বলার কথা না ! 🤭।
আমি যদি গণনা নাও করি তাও জীবনে হয়তো বা ৩ - ৪০০বার তো কারেন্টের শট খেয়েছি। অনেকবার তো কোন কিছু মেরামত হয়েছে কি না কারেন্টের ভিতরে দিয়ে চেক করার জন্য নিজের হাত দিয়ে দেখতাম শর্ট করছে কিনা 🤭। যদি শর্ট করত তাহলে বুঝতাম যে না এটা ঠিক হয়নি আর যদি না করতো তাহলে বুঝে যেতাম এবার মনে হয় এটা ঠিক হয়েছে। এক সময় এমন যেতে, যেতে বাটন ফোনের উপরে আমার একটা ঝোক কাজ করত। তো তখন বাটন ফোনের মোটামুটি ভালই দাম ছিল । একটা বাটন ফোনের দাম দুই থেকে তিন হাজার টাকা তাও আবার সেকেন্ড হ্যান্ড আর যদি ভালো ফোন কেনা যেত সেই ক্ষেত্রে তো ১০-১২ হাজার টাকা লেগে যেত শুধুমাত্র বাটন ফোন কিনতেই। আর সে সময় নোকিয়া ব্র্যান্ড অনেক জনপ্রিয় ছিল আমরা ফোন মানে বুঝতাম যে নোকিয়া। তখন হয়তোবা বাংলাদেশে এন্ড্রয়েড ফোন আসেনি যদি কারো স্মার্ট ফোন থাকতো তাহলে সেটা জাভা ফোন ছিল।
জাভা ফোন বলতে বোঝানো হচ্ছে এটা দেখতে এন্ড্রয়েড ফোনের মতোই কিন্তু এটাতে কোন প্রকার এক্সটার্নাল অ্যাপস ডাউনলোড অথবা ইন্সটল করা যেত না। শুধুমাত্র যেই প্যাকেজ অ্যাপগুলো কোম্পানি থেকে দিত ওগুলো ব্যবহার করতে হতো আর ওই ফোনগুলো সাধারণত ২জি নেটওয়ার্ক থাকতো। তখন এখনো ৩ জি আসে নাই। আমি জানতাম যে কোনদিনই আম্মু জাভা ফোন আমাকে ক্রয় করে দিবে না কারণ তখন আমাদের ফিনান্সিয়াল অবস্থা তেমন একটা ভালো ছিল না, তাই আম্মুকে বললাম যে আমার একটা বাটন ফোন লাগবে। তো তারপরে অনেক দেখাশোনার পরে আমার খালার কাছ থেকে একটা বাটন ফোন নিয়ে দিয়েছিল। সেই ফোনটা দিয়ে মোটামুটি দুই তিন বছর কাটিয়ে দিয়েছিলাম। হঠাৎ একদিন ফোনটা পানির ভিতরে পড়ে গিয়ে ফোনটা বন্ধ হয়ে গেছিল তারপরে আমি ওগুলো খুলে রোদে শুকিয়ে মোটামুটি ঠিক করে ফেলেছিলাম । এভাবেই ইলেক্ট্রনিকের প্রতি আমার ভালো লাগাটা কাজ করতো।
আমাদের এলাকার পাশেই একজন ইলেকট্রনিক মেকার ছিল যার নাম হচ্ছে ডালিম। উনি টিভি , ফ্রিজ লাইট, মোবাইল ইত্যাদি এই জিনিসগুলো মেরামত করতেন। তো আমি উনার কাছেও অনেক গল্প করতাম এবং উনার কাজগুলো দেখতে থাকতাম । এভাবেই মোটামুটি অনেক কিছু শিখে গিয়েছিলাম পরবর্তীতে আমার পড়াশোনার ক্ষতি হওয়ার কারণে বাসা থেকে এগুলো শিখতে দেয়নি। উনারা বলতেন পড়াশুনার বয়সে এগুলো না শেখায় এই বয়সে ভালো। কি আর বলব, বাসা থেকে যেহেতু নিষেধ করে দিল তাই তো বাবা মার অবাধ্য তো হতে পারি না। তাই নিজে, নিজে যেটুকু পারতাম শিখতাম এবং পড়াশোনা করতাম। ওই বয়সে যেই জিনিসগুলো শিখেছিলাম আজ পর্যন্ত আমার জীবনে কাজে লাগে । কোন কিছু নষ্ট হলে এখন আর মেকার বাড়িতে যাওয়া লাগে না ছোটখাটো বিষয়গুলো আমি নিজেই মেরামত করতে পারি। আসলে ইলেকট্রনিক আমাদের জীবনের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা জিনিস আর এমন,এমন জিনিস আমাদের মাঝে এখন ইলেকট্রনিক্স উপহার দিচ্ছে যে সত্যিই এগুলো ভেবে আমি আশ্চর্য হয়ে যাই।
🫂ধন্যবাদ!!!🤵
ব্লগার | @emonv |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Infinix note 11 pro |
[[🔉প্রিয় স্টিমিট ইউজারগন,,]]👩💻"ইমন ব্লগ"👩💻 এর পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। আমার নাম মোঃ ইমন রেজা। বর্তমানে আমি সিরাজগঞ্জ মৎস ইনস্টিটিউট এর ছাত্র হিসেবে পড়াশোনা করছি🏫 । আমি প্রায়শই নিজেকে আবিস্কার করি। কেননা এটা আমার কথায় এবং লিখাই নতুন স্বাদ যুক্ত করে, যার ফলে আমি নিজের সবথেকে ভালো টুকু আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারি। আমি প্রতিদিন একবার নিজের সাথে কথা বলি, কারণ এটা আমার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আরো বাড়িয়ে দেয়। আমি ভ্রমণ করতে এবং ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। আমি প্রতিনিয়ত নতুন ,নতুন মানুষদের সাথে মিশে তাদের জীবনের অভিজ্ঞতার ভালোটুকু আমার জীবনে বাস্তবায়িত করতে পছন্দ করি।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
সহায়তার মাঝখানে আমি কিন্তু ছিলাম। কিন্তু আমার নাম গন্ধ পেলাম না এর মধ্যে। তবে এটা আমি যানি। এই আসক্ত তা আমাদের দুইজনারই ছিল। কারণ এখনো ইলেকট্রনিক্স জিনিস বেশি পছন্দ করি। মেরামত করতে পারি বা না পারি তার প্রতি গুরুত্ব অনেক। তবে বেশ ভালো লাগলো সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে পোস্ট লিখতে দেখে।
ছোটবেলায় মনে হয় আমরা সবাই বিজ্ঞানী ছিলাম। খেলনা থেকে শুরু করে সবকিছু খুলে খুলে দেখতাম ভিতরে কি আছে। আপনারও দেখছি একই অবস্থা। ভাইয়া আপনার অনুভূতি জেনে অনেক ভালো লাগলো।
অনেক সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে আমাদের মাঝে পোস্ট করতে দেখে খুবই ভালো লাগলো ইমন। আমি মনে করি এই সমস্ত বিষয়ে কমবেশি যদি দক্ষতা থাকে তাহলে অনেক উপকার। বেশ ধারণা পেলাম তোমার এত সুন্দর অনুভূতি পড়ে।
আসলে বন্ধু তোমার মত আমারও ছোটবেলায় এরকম ইলেকট্রনিক্স জিনিস এর উপর আলাদা একটা আগ্রহ জন্ম নিয়েছিল। সেই সময় বিভিন্ন কারণে সেগুলো কন্টিনিউ করতে পারেনি যার কারণে অতটাও শিখতে পারিনি। তো যাই হোক এটা জেনে অবাক হলাম যে তুমি এ যাবৎ অব্দি ৩০০ থেকে ৪০০ বার শর্ট খেয়েছো। যাই হোক সেই সময় এগুলোর প্রতি একটু আগ্রহ থাকার কারণে এখন অনেকটাই উপকার পেয়ে থাকো জেনে ভালো লাগলো।