অনতিম || আমার বাংলা ব্লগ ||
মোবাইলের স্ক্রিনশট থেকে নেওয়া হয়েছে
আজ - বৃহস্পতিবার
আমি সাউথ ইন্ডিয়ান, হলিউড, টলিউড সব ধরনের মুভি অনেক পছন্দ করে থাকি বলতে পারেন ছোটখাটো একজন মুভি লাভার। আজকে আমি আপনাদের মাঝে সাউথ ইন্ডিয়ান একটা মুভি শেয়ার করতে যাচ্ছি । এই মুভি টির নাম হচ্ছে "অন্তিম" এই মুভিটা অনেক পুরনো একটা মুভি তবে মুভিটা দেখে আমার অনেক ভালো লাগলো, বিশেষ করে এর কাহিনীটা অনেক যৌক্তিক এবং আমাদের সমাজের সঙ্গে মিলে যায় এর জন্য ভাবলাম এই কাহিনীটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যেতে পারে । তাই আজকে এই মুভিটি বিস্তারিত রিভিউ করার জন্য বসে গেলাম। এই মুভিটি আমি আপনাদের মাঝে অতি সংক্ষিপ্তভাবে এর মূল কাহিনীটা তুলে ধরার চেষ্টা করব। মুভিটির কাহিনীটা ভালোভাবে বোঝার জন্য আমার মনে হয় কিছু উল্লেখযোগ্য ক্যারেক্টারের নাম আমাদের জানা উচিত তাহলে খুব সহজেই আমরা এটা বুঝতে পারব। তবে চলুন দেখে আসি এই মুভিটির কিছু উল্লেখযোগ্য ক্যারেক্টার গুলো......।
- রাহুল ( মুভির নায়ক)
- মানডা ( নায়িকা)
- গানিয়া ভাই ( মুভির খলনায়ক)
- গুপ্তা (নায়কের বাবা)
- সালমান খান ( ইন্সপেক্টর)
- সিদ্দু ( মাষ্টারের ছেলে)
➡️➡️ চলুন এবার এক নজরে দেখে আসা যাক মুভির কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
পরিচালিত | মহেশ মাঞ্জরেকর |
---|---|
লিখেছেন | মহেশ মাঞ্জরেকার,অভিজিৎ দেশপান্ডে, সিদ্ধার্থ সালভি |
অভিনয় | অভিনয়,সালমান খান,আয়ুষ শর্মা,মহিমা,মাকওয়ানা,যীশু সেনগুপ্ত,ওয়ালুচা দে সুসা |
মুক্তির তারিখ | 26 নভেম্বর 2021 |
সময় চলমান | 135 মিনিট |
বক্স অফিস | পূর্ব ₹59.11 কোটি |
তথ্যগুলো উইকিপিডিয়া থেকে কালেক্ট করা হয়েছে
মোবাইলের স্ক্রিনশট থেকে নেওয়া হয়েছে
এই মুভিতে আমরা দেখতে পাই রাহুল হচ্ছেন সমাজের একজন বখে যাওয়া ছেলে । তিনি ছেলেবেলা থেকেই নিজের মতো করে চলে। তিনি যখন তার জীবনে স্টুডেন্ট ছিলেন তখন তার মাস্টার তাকে টিসি দিয়ে স্কুল থেকে বের করে দিয়েছিলেন এবং তারপর থেকে রাহুল আর পড়াশোনা করে না। এই দৃশ্যটা আমাদের মুভির ভিতরে না দেখালেও কথার ভাজে এমন একটা ঘটনা হয়েছিল এটা বোঝা যায়। এখন রাহুলের বাবা "গুপ্তা" উনি সবজি বাজারে কুলির কাজ করেন এবং এই কাজগুলো করে তিনি তার জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। এবং রাহুল উনি সাধারণত কোন কাজ করে না কিন্তু ওনার বাবার সঙ্গেই সব সময় থাকে।
একদিন একজন কৃষক তার সবজি বিক্রয় করার জন্য সবজি বাজারে আসে কিন্তু সবজি বাজারের যেই কর্তা থাকে উনি তাকে বাজারের মূল্য থেকে অনেক কম দাম দেয়। এই বিষয়টা নিয়ে সেই কৃষক অনেক মন খারাপ করে এবং তারপর রাহুল যখন এই বিষয়টা জানতে পারে তখন ওই কর্তার সাথে এক প্রকার মারধর করে কর্তাকে ওই বাজার থেকে বিতাড়িত করে । এবং এখান থেকেই এই মুভি শুরু হয়। ওই বাজারে একটা মেয়ে চা বিক্রি করে যার নাম হচ্ছে "মানডা" প্রথম দেখাতেই মানভার সঙ্গে রাহুলের একটা প্রেমের সম্পর্ক শুরু হয় এবং ধীরে ,ধীরে তারা প্রেমিক-প্রেমিকা হয়ে যায়। যেহেতু রাহুল বাজারে মারধর করেছিলেন এই জন্য পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যান এবং লকাপে আটকে রাখেন।
মোবাইলের স্ক্রিনশট থেকে নেওয়া হয়েছে
এবার আটকে রাখার কিছুক্ষণ পরে উদয় ভাও নামে একজন পুলিশ ইন্সপেক্টর সালমান খান কে রিকুয়েস্ট করে যে উনাদেরকে ছেড়ে দিতে কারণ রাহুল হচ্ছেন উদয় ভাও এর গ্রামের লোক। সালমান খান ওনাদেরকে কয়েকদিন জেলে রেখে তারপরে ছেড়ে দেয়। কিন্তু যখন রাহুল এবং তার বন্ধুরা জেলে ছিল তখন ওনারা আবারো ওখানে মারপিট করেন এবং তখন ওখান থেকে "গানিয়া ভাই" (যিনি হচ্ছেন এই মুভির খলনায়ক) ওনার সঙ্গে পরিচয় হয় পরবর্তীতে গানিয়া ভাই এবং রাহুল দুজনে মিলে একসঙ্গে কাজ করতে থাকেন। রাহুলের প্রধান কাজ হচ্ছে জমি দখল করা এবং গানিয়া ভাই এই জমিগুলোর খোঁজ করে দিতেন।
এবার একটা জমির দখল করার জন্য গানিয়া ভাইয়ের কাছে কিছু লোক আসে । কিন্তু সমস্যা হচ্ছে একটা জমির প্রায় ১৫ থেকে ২০ টা মালিক রয়েছে তো এই জন্য এই কাজটা কেউ নিতে চায় না, গানিয়া ভাইও নিষেধ করে দেয় । কিন্তু রাহুল বলে যে আমি এই কাজটা করব। তখন রাহুল এবং তার বন্ধুরা মিলে ওই জমি যখন দখল করতে যায় তখন ওনার মাস্টারের সঙ্গে পরিচয় হয়ে যায় । যে মাস্টার উনাকে স্কুল থেকে বের করে দিয়েছিলেন। এবার রাহুল যখন মাস্টারকে বলে এই জমি সে দখল করতে এসেছে এবং পেপারে সাইন করতে তখন মাস্টার তাকে অনেক খারাপ ভাষায় গালাগালি করে এবং শেষ পর্যন্ত তার মুখে থুতু ফেলে। রাহুল এত বড় অপমান সহ্য করতে না পেরে ওখানেই মাস্টারকে গুলি করে দেয়।
মোবাইলের স্ক্রিনশট থেকে নেওয়া হয়েছে
যখন রাহুল মাস্টারকে গুলি করে তখন ওখানে মাস্টারের ছেলে এবং মাস্টারের বৌ উপস্থিত ছিলেন।কিন্তু তারা কিছুই করতে পারেননি কারণ তাদের হাত বাধা ছিল । তো এভাবে দেখতে ,দেখতে রাহুল এলাকার অনেক বড় একটা ডন হয়ে ওঠেন এবং মানডার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করেন। কিন্তু গানিয়া ভাই মানডাকে খারাপ নজরে দেখতো এই বিষয়টা যখন রাহুল বুঝতে পারেন তখন রাহুলের সঙ্গে গানিয়া ভাইয়ের একটু মন কষাকষি হয় এবং তখন থেকে গানিয়া ভাইয়ের সঙ্গে রাহুলে একটু দূরত্ব সৃষ্টি করে। এদিকে মানডা যখন রাহুলের এই মানুষ হত্যা করার বিষয়গুলো জানতে পারে তখন সে রাহুলের সাথে ব্রেকআপ করে দেয় এবং এতে রাহুল অনেক কষ্ট পায়।
তারপর রাহুল এর সঙ্গে মাষ্টারের ছেলের সাথে পরিচয় হয়। এবং ওই ছেলেটাকে রাহুলের মনে ধরে যায় তখন রাহুল প্রতিজ্ঞা করে যে ওই ছেলেকে সে নিজের মতো করে মানুষ করবে কিন্তু সিদ্দু যিনি হচ্ছেন মাস্টার্সে ছেলে তো ওনার মনে সব সময় উনার বাবার হত্যার প্রতিশোধের রাগ বয়ত, তো একসময় রাহুলের খারাপ সময় চলে আসে এবং সিদ্দু তাকে বাজারের ভিতরে গুলি করে হত্যা করে ফেলে। অন্যদিকে ইন্সপেক্টর অর্থাৎ সালমান খান কিছুই বলেন না কারণ রাহুল অনেকগুলো মার্ডারের আসামি ছিলেন তো এভাবেই রাহুলকে তার জীবন ত্যাগ করতে হয় এবং অন্যদিকে নায়িকা একটি ছেলেকে বিয়ে করে সুখে সংসার করে।
🫂ধন্যবাদ!!!🤵
ব্লগার | @emonv |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Infinix note 11 pro |
[[🔉প্রিয় স্টিমিট ইউজারগন,,]]👩💻"ইমন ব্লগ"👩💻 এর পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। আমার নাম মোঃ ইমন রেজা। বর্তমানে আমি একজন মাধ্যমিক🏫 । আমি প্রায়শই নিজেকে আবিস্কার করি। কেননা এটা আমার কথায় এবং লিখাই নতুন স্বাদ যুক্ত করে, যার ফলে আমি নিজের সবথেকে ভালো টুকু আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারি। আমি প্রতিদিন একবার নিজের সাথে কথা বলি, কারণ এটা আমার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আরো বাড়িয়ে দেয়। আমি ভ্রমণ করতে এবং ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। আমি প্রতিনিয়ত নতুন ,নতুন মানুষদের সাথে মিশে তাদের জীবনের অভিজ্ঞতার ভালোটুকু আমার জীবনে বাস্তবায়িত করতে পছন্দ করি।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
অনেক সুন্দর একটি মুভি রিভিউ করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার এই মুভি রিভিউটা দেখে বেশি ভালো লেগেছে আমার। যদিও মুভিটা আমার দেখা ছিল না। তবে আজকে আপনার রিভিউ পড়ার মধ্য দিয়ে কিছুটা অংশ দেখার সুযোগ মিললো। আশা করব এভাবে সুন্দর সুন্দর মুভি রিভিউ আমাদের মাঝে আনবেন।
যদিও আমার মুভি দেখা হয় না কিন্তু মাঝে মাঝে দেখতে অনেক বেশি ভালো লাগে। সবাই একসাথে মুভি দেখতে আমি একটু বেশি পছন্দ করি। এই ধরনের মুভি গুলো আমার কাছে খুব ভালোই লাগে। আজ আপনি অনেক সুন্দর একটা মুভির রিভিউ শেয়ার করেছেন, যেটা পড়ে খুব ভালো লাগলো। এই মুভিটা যদিও দেখা হয়নি, কিন্তু মুভিটার কাহিনী আপনার রিভিউর মাধ্যমে সহজেই জেনে নিলাম। যেটা অনেক ভালো লেগেছে জেনে। সম্পূর্ণটাই ছিল অসম্ভব সুন্দর।
বেশ দারুন একটি মুভি শেয়ার করেছেন। মুভি তেমন একটা দেখা হয় না তবে মাঝে মধ্যে একটু দেখি। আপনি বেশ দারুন একটি মুভি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন যেটা পড়ে অনেক ভালো লাগলো। তবে এই মুভিটি আমার দেখা হয়নি। চেষ্টা করব মুভিটি দেখার জন্য। ধন্যবাদ ভাই দারুন একটি মুভি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
সালমান খানের এই অন্তিম মুভিটা যে আমি কতবার দেখেছি সেটা বলে শেষ করা যাবে না। আমি প্রায় ৮ থেকে ১০ বার দেখেছি তারপরও কেন জানি দেখতে খুব খুব ভালো লাগে। প্রথমদিকে কিছুটা কষ্টের হলেও মাঝখানে অনেকটাই ফাইটিং আর সুন্দর একটা প্রেম কাহিনী। তবে তাদের প্রেম কাহিনীটা শেষ মেষ এতটা বেশি দুঃখজনক হবে সেটা কখনোই ভাবেনি। অবশেষে রাহুলের জন্য অনেক বেশি কষ্ট হয়। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটা রিভিউ আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
আমার কাছে মুভি দেখতে এত বেশি ভালো লাগে যে, আমি যখনই সময় পাই তখনই মুভি দেখে থাকি। আমি সব রকমের মুভি দেখতে ভালোবাসি। এই মুভিটার কাহিনী তো আমার কাছে দারুন লেগেছে। আমি তো ভাবতেছি যখন সময় পাবো তখন পুরো মুভিটা দেখবো। এই মুভিটাতে সবাই খুব ভালো অভিনয় করেছে। অন্তিম মুভিটা কিন্তু খুব সুন্দর। আপনি পুরো মুভিটার কাহিনী রিভিউর মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। পুরোটার কাহিনী ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।