এই অস্থির গরমে একটু বৃষ্টির আশা || আমার বাংলায় ব্লগ
আজ - শুক্রবার
গ্রীষ্মকাল... আসার পর থেকেই বৃষ্টির তেমন কোন চিহ্ন চোখে পড়ছে না। গত বছরে তাও অনেক ভালোই বৃষ্টি হয়েছিল এবং সেই বছরে আম ,জাম, কাঁঠাল, কলা গ্রীষ্মকালীন সব ফলই অনেক মজা করে খেয়েছিলাম কিন্তু এই বছরটাই যে কি হল জানিনা এত যে অস্বাভাবিক মাত্রায় তাপ পড়ছে যে টিকে থাকাটাই মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। গ্রীষ্ম, শী,ত বর্ষা এই তিনটে মৌসুম নিয়েই আমাদের এই সুন্দর পরিবেশ। গ্রীষ্মকালে যেমন আমরা প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারি তেমনি শীতকালে নানান ধরনের শাকসবজির স্বাদ নিতে পারি, এই গ্রীষ্মকাল অনেকের জন্য দিন, দিন কষ্টদায়ক হয়ে যাচ্ছে । কারণ যে পরিমাণ রোদ পড়ছে সেই তুলনায় আমাদের এদিকে তো একবারও বৃষ্টি হয়নি। শুনলাম গতকাল নাকি ঢাকাতে এবং চট্টগ্রামের ওই সাইটে বৃষ্টিপাত হয়েছিল কিন্তু আলমডাঙ্গা , চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া এই এলাকাগুলোতে একেবারে বৃষ্টিপাত হয়নি।
জানিনা কেন এমনটা হচ্ছে, হয়তোবা এগুলোর পিছনে আমরা মানুষেরাই দায়ী কারণ আমরা যেভাবে গাছপালা নিধন করি এবং ইটের ভাটা অথবা কলকারখানা থেকে যেভাবে কালো ধোয়া আকাশে ছাড়া হয় তার প্রভাবে হয়তোবা পৃথিবীর ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। যার জন্যই আমরা আজকে এই পর্যায়ে এসে পৌঁছেছি। অন্য এলাকার কথা আমি হয়তোবা তেমন একটা বলতে পারব না তবে, আপনারা যদি একটু খোঁজ করে দেখেন আলমডাঙ্গা, চুয়াডাঙ্গা , কুষ্টিয়া এই সাইডে কোনো প্রকার নদী নালা নেই। যার জন্য অতিরিক্ত তাপ এবং গরমের প্রভাবে পানির স্তর অনেক নিচে নেমে গেছে। এমন হয়েছে অনেক বাড়িতে একেবারেই টিউবয়েলে পানি উঠতেছে না । তারা মোটর ব্যবহার করে খাবার পানি আহরণ করছে । আমার বোন ইমার কথায় যদি আমি বলি, আমি যখন ওদের বাড়িতে গিয়েছিলাম তো ওখানে গিয়ে যখন আমি পানি খাইতে চাইলাম তখন দেখলাম যে ও অন্য একটা আপুদের বাড়ি থেকে পানি আমাকে নিয়ে এসে দিল।
তারপরে এই বিষয় নিয়ে আমাদের মধ্যে অনেকক্ষণ কথা হলো এবং তারপরে জানতে পারলাম যে হ্যাঁ, সত্যি অনেক টিবয়েলে থেকে পানি উঠা বন্ধ হয়ে গেছে। এখন জানিনা ভবিষ্যতে আর কি , কি দেখতে হবে হয়তোবা খুব শীঘ্রই যদি বৃষ্টি না হয় তাহলে সমস্যা আরো গুরুতর হবে। আমি যখন বাড়িতে ছিলাম তখন বৃষ্টির দেখা না মিললেও একদিন আকাশের কোণে একটু মেঘ দেখছিলাম কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যে মনে হল মেঘগুলো কেটে গেল, যাইহোক সবশেষে এটাই প্রত্যাশা যে মুষলধারে একবার বৃষ্টি হোক পুরো দেশে এবং এই বিরক্তিকর গরম ঠান্ডা হয়ে যাক রহমতের বাতাসে। এখন আমরা বুঝতে পারি যে প্রত্যেকটা জিনিস আমাদের জীবনের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের জীবনে যেমন গরম গুরুত্বপূর্ণ তেমনি ভাবে বৃষ্টিটাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে বৈশাখ মাস চলছে আর এই মাসে ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি মুষলধারে বৃষ্টিপাত হয় কিন্তু এই বছরটা একটু ব্যতিক্রম, প্রত্যেকটা মানুষ প্রত্যেকটা পশু প্রাণী হয়তো বা এই বৃষ্টির জন্য হাহাকার করছে।
তো দিনশেষে মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে এটাই প্রার্থনা করি যেন তিনি খুব দ্রুতই আমাদের বৃষ্টি দান করে এবং চারিদিকে যেন রহমত ছড়িয়ে যায়। এবার বৃষ্টি হলে ইচ্ছা রয়েছে অনেকক্ষণ ভিজবো। এই তো সেদিন আমি আর আলিফ ঝালমুড়ি খেতে গাংনীতে গিয়েছিলাম । তো সেদিন রাতে একটু ঝড়ো হওয়া আর একটু ঠান্ডা হাওয়া বয়ছিল । আমার বন্ধুত্ব তখন বৃষ্টিতে ভেজার জন্য এক পায়ে খারা, গায়ের টি শার্টটা খুলে ফেলেছে অলরেডি এবং বলছে যে বন্ধু আজকে রাতে যদি বৃষ্টি হয় তাহলে দুজনে মিলে সারারাত ঘুরবো এবং বৃষ্টিতে ভিজবো। আমিও সাথে ,সাথে একমত হয়ে গেলাম কিন্তু শুধুমাত্র একটু হাওয়া বয়েই সবকিছু থেমে গেল:( আমার প্রত্যাশা হয়তোবা খুব শীঘ্রই আমরা বৃষ্টির দেখা পাব এবং আমাদের প্রত্যেকের মনের আশা পূরণ হবে ইনশাল্লাহ। আপনাদের যদি বৃষ্টিপাত নিয়ে কোন মতামত থেকে থাকে সেই ক্ষেত্রে কমেন্টে জানাতে পারেন, তো আজকে ছিল এটুকুই। আবারও খুব শীঘ্রই দেখা হচ্ছে নতুন কোন পোস্টে ততক্ষণ সবাই এই গরমে নিজের যত্ন নিন সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন এটাই কামনা করি।
🫂ধন্যবাদ!!!🤵
ব্লগার | @emonv |
---|
[[🔉প্রিয় স্টিমিট ইউজারগন,,]]👩💻"ইমন ব্লগ"👩💻 এর পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। আমার নাম মোঃ ইমন রেজা। বর্তমানে আমি একজন মাধ্যমিক🏫 । আমি প্রায়শই নিজেকে আবিস্কার করি। কেননা এটা আমার কথায় এবং লিখাই নতুন স্বাদ যুক্ত করে, যার ফলে আমি নিজের সবথেকে ভালো টুকু আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারি। আমি প্রতিদিন একবার নিজের সাথে কথা বলি, কারণ এটা আমার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আরো বাড়িয়ে দেয়। আমি ভ্রমণ করতে এবং ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। আমি প্রতিনিয়ত নতুন ,নতুন মানুষদের সাথে মিশে তাদের জীবনের অভিজ্ঞতার ভালোটুকু আমার জীবনে বাস্তবায়িত করতে পছন্দ করি।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ভাইয়া এই পৃথিবীতে যা কিছু সংঘটিত হবে তা আমাদের মানুষদেরই দু হাতের কৃত কর্মের ফল। সত্যি বলতে এখন বৈশাখ মাসের ঐ কালবৈশাখী ঝড় কে অনেক বেশি মিস করতেছি আমরা। কালবৈশাখী ঝড় কে ঘিরে কতই না স্মৃতি জড়িয়ে আছে। ঢাকা এবং চট্টগ্রামে বৃষ্টিপাত হলেও আমাদের রংপুরের দিকেও হয়নি ভাইয়া। বৃষ্টির জন্য হাহাকার সবদিকেই। আমারও এটাই দিন শেষে প্রার্থনার স্রষ্টার অসীম কৃপা আমরা যেন খুব তাড়াতাড়ি বৃষ্টির সান্নিধ্য পায়। সমাপোযোগী সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন আপনি। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
তা ঠিক বলেছেন ভাই, কারণ অনেক কিছুই মানুষ নিজের তৈরি করেছে আর দূষণ রোধ করাই যাচ্ছে না এটা পুরোটাই মানুষের জন্য। যাই হোক অবশেষে মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে এটাই প্রার্থনা করি আমাদের উপর দয়াবান হয় ❤️❤️🤲🤲
এই প্রচন্ড গরমের মধ্যে বৃষ্টি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বৃষ্টি হলেই অনেক বেশি ঠান্ডা হয়ে যেত। তখন লোডশোডিং এর চাপ থাকলেও কোন সমস্যা ছিল না। কিন্তু এই গরমের সময় লোডশোডিং এর জন্য আমরা অনেকেই হতাশ। তবে, আশা করছি খুবই তাড়াতাড়ি মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের কে বৃষ্টি দিয়ে দিবেন।
ইনশাল্লাহ আপু আমিও এটাই দোয়া করি যেন সৃষ্টিকর্তা আমাদের বৃষ্টি দান করেন।
ঠিক বলেছেন ভাই অতিরিক্ত তাপ ও গরমের কারণে পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। অনেক জায়গায় পানির সমস্যা হচ্ছে এই টিউবয়েলে।
প্রকৃতির এসব সমস্যার কারণ আমরা নিজেই। এই প্রচন্ড গরমে বৃষ্টি আমাদের জন্য খুব প্রয়োজন।যেমন প্রচন্ড তাপ তেমন লোডশেডিং। একটু রহমতের বৃষ্টি হলে আমরা স্বস্তি পেতাম। সৃষ্টিকর্তার কাছে এটাই প্রার্থনা আমাদের যেন রহমতের বৃষ্টি দিয়ে দেন তাড়াতাড়ি। অনেক ধন্যবাদ ভাই দারুন একটি পোষ্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
আমিও এটাই দোয়া করি আপু, দেখি হয়তোবা এদিকে বৃষ্টি হবে কারণ অনেকদিন ধরে ঠান্ডা আবহাওয়া বইছে ।