আতা খাওয়ার গল্প || আমার বাংলা ব্লগ
আজ - মঙ্গলবার
আজকে আপনাদের মাঝে ছোটবেলার কিছু মুহূর্ত শেয়ার করব। ছোটবেলায় আমরা অনেক কিছুই খেতাম যেমন: আমের সময় আম খেতাম , জামের সময় জাম খেতাম এছাড়াও যখন আতা হতো বিশেষ করে এই যেই গরমের সময় আতা পাকিয়ে খেতাম। ছোটবেলার সেই স্মৃতিগুলো যেন ভোলার নয় । আজকে আপনাদের মাঝে আতা খাওয়ার একটা গল্প শেয়ার করছি আশা করি আপনাদের সবার অনেক ভালো লাগবে তবে চলুন শুরু করি। আমার বয়স তখন ১৩ , প্রাইমারি স্কুলে পড়তাম তখন । ছোটবেলা থেকেই স্কুলে যেতে তেমন একটা ভালো লাগত না ছেলে পেলের সঙ্গে আড্ডা দিতে সব সময় ভালো লাগতো তবুও আম্মু জোর করে কত রকম কথা শুনিয়ে স্কুলে দিয়ে আসতো। আম্মুর কথা তো আর ফেলতে পারি না ওই জন্য যেতে হতো স্কুলে। আমি স্কুলে না গেলেও আমার একটা গুণ ছিল। আমি কিন্তু ব্যাক বেঞ্চার ছিলাম না আমার সবাই অনেক ভালোবাসতো কারণ আমি অল্পতেই পড়াগুলো বুঝে যেতাম তবে বাড়ি থেকে চর্চা না করলেও নিজের জ্ঞান থেকে এবং বইয়ের কিছু টাচ নিয়ে পড়া গুলো ঠিকই স্যারদের বুঝিয়ে দিতাম । ওই জন্য প্রত্যেকটা স্যার এবং ম্যাম আমাকে ভালো চোখে দেখতো।
এভাবেই সবার মন জয় করতে অনেক ভালো লাগতো। এবার যখন স্কুল ছুটি হতো তখন বন্ধুরা মিলে সবাই দল বেঁধে আসতাম। এবং আমরা যেই পথটা দিয়ে বাড়িতে ফিরতাম ওই পথে একটা ফাঁকা জায়গা ছিল । ওই জায়গাতে ছোট একটা বাগান ছিল যে বাগানে ছিল কাঁঠাল কলা এবং অনেকগুলো আতা গাছ। তো আমাদের মূল আকর্ষণ ছিল আতা খাওয়া এবং পাকা কাঁঠাল। বাগানটা ছিল হচ্ছে জাফর মিয়ার, উনি মাঝেমধ্যে ও বাগানটি পাহারা দিলেও আমরা কিন্তু সময় করে ঠিকই ওই গাছ থেকে আতা এবং পাকা কাঁঠাল পেড়ে আনতাম এবং সবাই মিলে একসঙ্গে খেতাম 😋। আসলে ছোটবেলা এমন খুনসুটি কাজ অনেক করেছি তবে এখন কি জানি এগুলো যখন মনে পড়ে তখন মনের ভিতর একটা লাজুক , লাজুক ভাব কাজ করে। তো যাই হোক সিদ্ধান্ত হলো যে রাসেল গাছে উঠবে এবং গাছ থেকে যত পাকা , পাকা আতা রয়েছে ওগুলো সব পেড়ে আনবে।
তো আমরা সেখানে ছেলেরা সংখ্যায় ছিলাম চার থেকে পাঁচজন । তো রাসেল গাছে উঠে যে ডাকর আতা গুলো রয়েছে ওগুলো গাছ থেকে পেরে আমাদের হাতে ছুড়ে দিত এবং আমরা আতা গুলো সব এক জায়গায় করতাম এবং যদি কয়েকটি গাছপাকা আতা পাওয়া যেত তাহলে ওগুলো আমরা ভাগাভাগি করে সবাই মিলে খেতাম। এখন যেই ডাকর আতা গুলো রয়েছে ওই আতাগুলো সবাই ভাগাভাগি করে নিতাম কিন্তু একটা বড় সমস্যা রয়েছে । সেটা হচ্ছে এই আতাগুলো যদি বাড়িতে নিয়ে যাই এবং ওগুলো যদি আম্মু দেখে তাহলে পিটুনি দিবে সিওর 🤭। তাই ওগুলো আমরা বিছিলি গাদার ভিতর লুকিয়ে রাখতাম এবং চার পাঁচ দিন পরে যখন ওগুলো বের করতাম তখন দেখতাম ওগুলো পেকে গেছে এবং ওগুলো খেতে যে কি সুস্বাদু লাগতো। আহা! না খেলে হয়তোবা এগুলো বুঝতে পারবেন না। তো আজকে আমি গিয়েছিলাম এমনই একটা আতা এবং কলার বাগানে এবং ওগুলো দেখে সেই ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। তাই ভাবলাম আজকে এই গল্পটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করি।
আজকে ওই জায়গাটিতে আমি এবং আমার একটা ছোট ভাই গিয়েছিলাম । জায়গাটি কেমন ঘুরে দেখতে তো তারপরে সবকিছু ঘোরাফেরা করে দেখলাম যে অনেকগুলো আতা রয়েছে এবং কলা গাছ রয়েছে ।সেই সাথে ছোট একটা বাগান রয়েছে যেখানে কিছু লাউ লাগানো আছে তো ওখানে কিছু ফটোগ্রাফি করেছি যাতে আপনাদের মাঝে মুহূর্তগুলো শেয়ার করিতে পারি এবং এই রিলেটেড গল্পটি শেয়ার করতে পারি। ওইখানে যে আতাগুলো দেখলাম একদম হাতে নাগালে ছিল কিন্তু ছোটবেলার মতো এখন আর পেড়ে খাওয়ার মানসিকতাটা ছিল না । কারণ মনে হচ্ছিল যে অন্যের জিনিস না বলে খাওয়াটা কেমন যেন একটা লাগছিল তাই আজ ওগুলো পারিনি শুধু ফটোগ্রাফি করেই চলে এসেছি। তো এই ছিল আজকের গল্প আপনাদের জীবনে যদি এমন কোন খুনসুটি গল্প থেকে থাকে তাহলে সেই গল্পটি আমাদের মাঝে শেয়ার করতে পারেন । তাহলে আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে উপভোগ করতে পারব। ধন্যবাদ সবাইকে এতক্ষন পাশে থেকে ব্লগটি উপভোগ করার জন্য আবারো খুব শীঘ্রই দেখা হবে নতুন কোন পোস্টে ।
🫂ধন্যবাদ!!!🤵
ব্লগার | @emonv |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Infinix note 11 pro |
[[🔉প্রিয় স্টিমিট ইউজারগন,,]]👩💻"ইমন ব্লগ"👩💻 এর পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। আমার নাম মোঃ ইমন রেজা। বর্তমানে আমি একজন মাধ্যমিক🏫 । আমি প্রায়শই নিজেকে আবিস্কার করি। কেননা এটা আমার কথায় এবং লিখাই নতুন স্বাদ যুক্ত করে, যার ফলে আমি নিজের সবথেকে ভালো টুকু আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারি। আমি প্রতিদিন একবার নিজের সাথে কথা বলি, কারণ এটা আমার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আরো বাড়িয়ে দেয়। আমি ভ্রমণ করতে এবং ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। আমি প্রতিনিয়ত নতুন ,নতুন মানুষদের সাথে মিশে তাদের জীবনের অভিজ্ঞতার ভালোটুকু আমার জীবনে বাস্তবায়িত করতে পছন্দ করি।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ভাই আপনার ছোটবেলার স্মৃতি বিজড়িত গল্পটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ৪-৫ জন বন্ধুরা মিলে স্কুল থেকে আসার সময়ে আতা আর কাঁঠাল পেরে খেতেন সে সময়টা সত্যি অনেক মধুর ছিল। আপনার শৈশবটা আসলেই অনেক সুন্দর কেটেছে ভাই। আজকে আপনি কাঁঠাল আর আতা বাগানে গিয়েছিলেন সেখান থেকে ছোটবেলার স্মৃতি বিজড়িত গল্পটি মনে পড়ে গেল তাই আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
আপনার আতা খাওয়ার গল্পটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো।ছোট বেলার স্মৃতিগুলো সত্যি ভীষণ মধুর হয়ে থাকে।যা চাইলেও ভোলা যায় না।বার বার মনে করতেও ভালো লাগে।আর ছোটবেলায় চুরি করে খাওয়ার মধ্যে অন্য রকম আনন্দ খুঁজে পেতাম, যা এখন কার বাচ্চারা পায় না।তখন ওটাকে চুরি মনে হতই না।মনে হতো মজা করা।বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে ছোটবেলায় এভাবে আমিও বেশ কয়েকবার আতা খেয়েছিলাম বন্ধু। আসলে আতা গুলো পাড়ার পরে তোমরা ডাকরো আতাগুলো বিচীলি পালার মধ্যে লুকিয়ে থুতে পেকে গেলে সেখান থেকে নিয়ে আবারো সবাই ভাগাভাগি করে খেতে জেনে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট লিখে শেয়ার করার জন্য। আসলে ছোটবেলার এমন মজার গল্প শেয়ার করতে বেশ ভালো লাগে যদি মনে পড়ে যায়।
প্রায় দশ বছর আগে আমি আতা ফলটি খেয়েছিলাম। আজকে আপনি ছোট বেলার আতা খাওয়ার গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। তবে আতা ফলটি আমাদের বাংলাদেশের মধ্য থেকে প্রায় বিলুপ্তির পথে। এখন আর আতা ফলটি তেমন দেখা যায় না। আপনার ছোট বেলার আতা খাওয়ার গল্প পড়ে বেশ ভালোই লাগলো।
ছোটবেলার অনেক সুন্দর গল্প আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। গাছে ওঠাও কিন্তু একটি দক্ষতা। রাসেল গাছে ওঠে আতা পেড়ে দিত আর আপনি ধরতেন। খুবই ভালো লাগলো সুন্দর একটি ছোটবেলার স্মৃতি জানতে পেরে।
ছোটবেলার স্মৃতিগুলো আসলেই অনেক সুন্দর। আপনার ছোটবেলার এই গল্পটা পড়ে বেশ ভালো লাগলো। বন্ধুদের সাথে ছোটবেলাটা খুব আনন্দে কাটিয়েছেন। পুরনো স্মৃতিতে ঘেরা এই জায়গাটাতে গিয়ে ফলগুলো দেখা সত্বেও নেননি। আসলে আমাদের জীবনের সব সময় সবকিছুর মানসিকতা থাকে না। ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে।