ইলমার স্কুলে ক্লাস পার্টির মূহুর্ত। || Enjoy with knowledge ❤️ (part 2)
শুভ রাত্রি আমার বাংলা ব্লগ পরিবার, সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে শুরু করছি আমার আজকের আয়োজন। আজকে ভীষণ আনন্দঘন একটা ব্যাপার নিয়ে পোস্ট সাজিয়েছি।
গত কিছুদিন আগে আমার মেয়ে ইলমার স্কুলে ক্লাস পার্টি ছিল। আসলে শুধু ক্লাস পার্টি বললে ভুল হবে কারণ এখানে ছিল কেক কাটা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং খাওয়া দাওয়ার পর্ব। সবমিলিয়ে খুব আনন্দঘন একটা অনুষ্ঠান ছিল। ইতিমধ্যে একটি পর্ব শেয়ার করেছি, আজ দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে হাজির হলাম। আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে তো চলুন শুরু করি।
প্রথম পর্বে দেখিয়েছিলাম কেক কাটা পর্ব। যাইহোক কেক খাওয়ার পর সবাইকে বিদ্যালয়ের মাঠে যেখানে স্টেজ করা হয়েছে সেখানে জমায়েত হতে বলা হয়। আমরা অভিভাবকরাও মাঠে একত্র হলাম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখার জন্য। মূলত স্কুলের শিক্ষার্থীদের দ্বারা পরিচালিত হয় এই মনোঙ্গ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ছবিতে ইলমা ইয়ান এবং ইলমার বান্ধবী রাহা মনি রয়েছে।
প্রথমেই কবিতা আবৃত্তি করে স্কুলের ক্লাস ফোরের একটি ছেলে, এরপর ক্লাস থ্রির একটি মেয়ে গান গেয়ে শোনায়। জাষ্ট অসাধারণ লেগেছে ওদের প্রচেষ্টা।
এরপর যৌতুক এবং বাল্যবিবাহ নিয়ে অসাধারণ একটি নাটক পরিবেশন করা হয়। ওদের অভিনয় দেখে আমি জাষ্ট অবাক হয়ে গেলাম। এখনকার বাচ্চারা কত স্মার্ট।
এরপর শুরু হয় চমৎকার কিছু গানের সাথে নাচ। জাষ্ট অবাক হয়ে ওদের পরিবেশনা দেখলাম। বয়সে ছোট হলেও নাচ বড়দের থেকে কম না। বেশ কয়েকটি নাচ এবং গান পরিবেশন করা হয়।
এরপর শুরু হয় উন্মুক্ত পরিবেশনা। এরমধ্যে ইয়ান ওরফে আপনাদের স্টিমিট বয়কে স্টেজে উঠিয়ে দিলাম। তার ভয় ডরের কোন বালাই দেখলাম না, আমার ছেলে সাহস করে মাইক হাতে নিয়ে দিব্যি দুটো ছোট ছোট গজল গেয়ে শুনিয়ে দিল। চারিদিকে সবাই অবাক হয়ে দেখতে লাগলো, এরপর হাততালি শুরু হয়ে গেল।
এরপর স্টেজের উপর পার্টি স্প্রে মেরে তারা আনন্দে মেতে উঠলো। তাদের আনন্দ দেখে সত্যিই আমার ভীষণ ভালো লাগছিলো। এরপর সবাইকে ক্লাসরুমে নিয়ে খাবার বিতরণ করা হয়। যেখানে ছিল বিরিয়ানি এবং পানীয়।। যাইহোক চমৎকার একটি আনন্দময় দিন অতিবাহিত করেছে আমার বাচ্চারা। যাইহোক আমার সন্তানদের জন্য দোয়া প্রার্থনা করছি সবার কাছে।
সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের মত বিদায় নিলাম।
শুভ রাত্রি।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
https://x.com/emranhasan1989/status/1865456131310764347?t=Ik5zB-0imXbl4azM1gUUXg&s=19
পুশ প্রমোশন
আপনার সন্তানদের জন্য অবশ্যই মন থেকে অনেক অনেক দোয়া রইলো ভাই। ভালো মানুষ হউক তারা। আর পিচ্চির তো আসলেই ভয় ডর এর বালাই নাই দেখছি! স্টেজে উঠে দুটো গজল গেঁয়ে ফেললো! আর আমরা আমাদের নিজেদের ক্লাস টিচারের সামনে পারা জিনিস বলতে পারতাম না!! 😂😂
হা হা হা 😄
আমিও অবাক হয়ে গেলাম আপু।
আমরা তো সামান্য ক্লাসের পড়াই ভয়ে ভুলে যেতাম।
যাইহোক উপর ওয়ালা ওদের সুস্থ রাখুক এই দোয়া করবেন।
ইলমা মামুনি এবং স্টিমিট বয় ইয়ান বাবুর জন্য দোয়া এবং ভালোবাসা রইলো। ইলমার স্কুলে ক্লাস পার্টির মূহুর্ত সবাই মিলে আনন্দ উপভোগ করেছেন ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে। আপনি একদমই ঠিক বলেছেন এখন কার বাচ্চারা অনেক বেশি স্মার্ট। বাল্যবিবাহের শিকার এখন অনেক মেয়েরা হচ্ছে। বাল্যবিবাহের নাটক আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। আমিও স্কুলে একবার বাল্যবিবাহের নাটকে বন্ধুদের অংশগ্রহণ করেছিলাম। চমৎকার একটি পোস্ট উপহার দিয়েছেন ভালো লাগলো। পরিবারের সবাইকে নিয়ে হাসিখুশি থাকুন এই কামনাই করি।
লিমন ধন্যবাদ তোমাকে চমৎকার মন্তব্যের জন্য।
আমি সত্যিই অবাক হয়েছিলাম ইয়ান মাশাআল্লাহ সাহস করে দুটো ছোট গজল গেয়ে শুনিয়েছে। সত্যিই বেশ আনন্দ হয়েছিল সেদিন, দোয়া করবে ওদের জন্য।
এখনকার বাচ্চারা আসলে অনেক স্মার্ট। বিশেষ করে আমাদের স্টিমিট বয় ইয়ান স্টেজে দুইটি গজল গেয়ে সবাইকে অবাক করে দিয়েছে জেনে ভীষণ ভালো লাগলো ভাই। ইরানের ভবিষ্যৎ পথ সুগম হোক এই কামনাই করি, সঙ্গে মন ভরে দোয়া রইল। এই ধরনের অনুষ্ঠানগুলো ছোট বাচ্চাদের মানসিক বিকাশের পাশাপাশি উপস্থিত বক্তৃতার মনোভাব তৈরি হয়।