শিক্ষামূলকঃ পর্ব ২৪ || ব্লকচেইন প্রযুক্তি ও ডিজিটাল কারেন্সি || Blockchain [10% for shy-fox]
ভূমিকাঃ
শিক্ষার কোন বয়স নেই। আবার শিক্ষা গ্রহণের জন্য একেবারে নির্দিষ্ট কোন মাধ্যমও নেই। আমরা আমাদের চারপাশের প্রকৃতি, মানুষজন, পরিবেশ থেকে প্রতিনিয়ত শিখছি। বিশ্বজুড়া এই পাঠশালায় শিখার আছে অনেক কিছুই । কখন যে কার কাছ থেকে কত গুরুত্বপূর্ন বিষয় শিখে ফেলি সেটা বলা মুশকিল।
আমরা একেক জন একেক বিষয়ে পারদর্শী। তাই যদি আমরা প্রত্যেকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আমাদের জানা কোন বিষয় সবার মাঝে শেয়ার করি তাহলে অনেকেই এই জ্ঞান থেকে উপকৃত হতে পারি। এই লক্ষ্য নিয়ে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি
-তে আমি শিক্ষামুলক
নামে একটি সিরিজ লিখছি যেখানে আমার জানা কোন বিষয় শেয়ার করছি। যারা এই বিষয়গুলো আগে জানতেন না, আশা করি তারা উপকৃত হবেন।
পর্ব ২৪: ব্লকচেইন ও ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে বিস্তারিত
ভূমিকাঃ
একসময় পৃথিবীতে দ্রব্য বিনিময় প্রথা ছিল। অর্থাৎ কারো কাছে চাল আছে সে সেটার বিনিময়ে অন্যের থেকে ডাল ইত্যাদি বিনিময় করত। পরবর্তীতে স্বর্ণ এবং রোপ্য মুদ্রার মাধ্যমে লেনদেন কার্যক্রম চালু ছিল। তবে ওই মুদ্রাগুলোতে মুদ্রা হিসেবে ব্যবহার না করে বাজারে যদি বিক্রি করা হতো তাহলে স্বর্ণের বা রৌপ্যের দামের পরিমাণ মূল্য পাওয়া যেত। অর্থাৎ সেই মুদ্রার একটা নিজস্ব ভ্যালু বা দাম ছিল।
পরবর্তীতে আসলো ব্যাংক নোট অর্থাৎ কাগজের মুদ্রা যেখানে একটা কাগজের গায়ে লেখা থাকে তার মুল্যমান কতো। কিন্তু যদি যিনি লিখে দিয়েছেন কোন কর্তৃত্ব না থাকে অথবা অস্তিত্ব না থাকে তাহলে এই নোট বা কাগজের কোন মূল্য নেই। যেমন জিম্বাবুয়েতে একসময় মুদ্রাস্ফীতি হতে হতে নোটগুলা এত বেশি পরিমাণ হয়ে গিয়েছিল যে নোটগুলোকে পরে বাজেয়াপ্ত করে ডলার কারেন্সিতে আসতে হয়েছিল। তাই যাদের কাছে শেষে অনেক জিম্বাবুয়ে ডলার ছিল এগুলো আর কোন কাজে আসেনী।
বর্তমান সময়ে আসছে ডিজিটাল মুদ্রা। সব মুদ্রার ক্ষেত্রে একটা সাধারণ বিষয় হচ্ছে অবশ্যই মানুষ এখান থেকে নিরাপত্তা চাইবে যাতে কেউ তার ইচ্ছামত এখানে মুদ্রা ছাপাতে না পারে। যদি ব্যাপারটা এরকম হয় যে, যে কেউ ইচ্ছা মত মুদ্রা ছাপাতে পারে তাহলে সেই মুদ্রাকে মানুষ বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করবে না। আর এসব কারণে ডিজিটাল মুদ্রাগুলোকে এমন একটা সিস্টেম ডেভলপ করতে হবে যে সিস্টেম নির্দিষ্ট ব্যক্তি দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা যায় না অথবা কোন সংস্থা চাইলে এটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। একটা নিরাপত্তা ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে যাতে ডিজিটাল কারেন্সিকে মানুষ গ্রহণ করে এবং লেনদেনের একটা মাধ্যম হিসেবে বেছে নেয়। আর সেই কারণে ওই ডিজিটাল মুদ্রার একটা ভ্যালু তৈরি হবে অন্যথায় ডিজিটাল মুদ্রা ব্যবস্থা কল্পনা করা যাবে না। আর সেই নিরাপত্তার জায়গাটা নিশ্চিত করতে পারে ব্লকচেইন প্রযুক্তি। আসুন ব্লকচেইন ব্যাপারটাকে সহজভাবে বুঝে নেয়া যাক।
Source: Image by Tumisu from Pixabay
ব্লকচেইন প্রযুক্তি কিঃ
অনেকের মধ্যে একটা ভুল ধারণা এরকম আছে যে, ব্লকচেইন মানেই হচ্ছে ডিজিটাল মুদ্রা অথবা ক্রিপ্টোকারেন্সি। আসলে ব্লকচেইন হচ্ছে একটা প্রযুক্তি এবং আমরা বলতে পারি এটা একটা উন্নত প্রযুক্তি যেখানে ডাটা সংরক্ষণ করা হয় বিন্যস্ত আকারে।
প্রথমে আমি সাধারন ভাবে কিছু উদাহরণ দিচ্ছি ব্যাপারটা বোঝার জন্য। যে কোন কোম্পানিতে যত ধরনের কাজ হয় সেগুলো একটা ডাটাবেজে অর্থাৎ একটা সিটে অথবা একটা খাতায় অথবা এক্সেল শীটে লিপিবদ্ধ করা হয়। এখন যদি এরকম হয় যে, বিশ্বের ২০ জন মানুষ ওই খাতাটাতে কি কি লেখা হচ্ছে সেটা দেখা দরকার এবং ২০ জন মানুষ ২০ জায়গা থেকে সেই খাতায় বা এক্সেল শীটে এডিট করা দরকার তাহলে বিশ্বের সব প্রান্ত থেকে মানুষের এক্সেস দরকার।
এর সাথে যদি এরকম একটা সিস্টেম চালু করা হয় যে, এই এক্সেল ফাইলে কোন ধরনের এডিট করতে চাইলে অথবা নতুন কোন তথ্য সংযুক্ত করতে চাইলে ওই ২০ জনের সবার থেকে পারমিশন নিয়ে অথবা সবার সম্মতিক্রমে করতে হবে তাহলে কোন ব্যক্তি এক জায়গায় বসে সেটাকে কখনোই এডিট বা কোনো তথ্য সংযোজন-বিয়োজন করতে পারবেন না।
এবার দেখুন ব্যাপারটা যদি এরকম হয় তাহলে কতই না সুন্দর হয় কারণ আমরা অনেক সময় দেখে থাকি কোন একটা প্রতিষ্ঠান কিংবা সরকার কিংবা কোন একটা সংগঠন তাদের অভ্যন্তরে যেসব ডাটা সংরক্ষণের ফাইল রয়েছে সেগুলোতে নিজেদের ইচ্ছামত সংযোজন-বিয়োজন, সংশোধন করতে পারছেন যা সংগঠনের বাইরের মানুষজন কিছুই জানতে পারেন না। আর এ কারণে কোন কোম্পানি, সরকার কিংবা সংগঠন তাদের কাছে রক্ষিত ফাইল নিয়ে বিভিন্ন ধরনের টেম্পারিং করতে পারে। যখন কোন একটা দশ টাকার জিনিস তারা কেনাকাটা করেছে সেখানে তারা হয়তো ৫০০ টাকা লিখে শেয়ারহোল্ডারদেরকে বা মানুষকে ঠকাবে কারণ কোন একটা প্রতিষ্ঠান কাছে যেসব ফাইল রক্ষিত আছে সেটা কেবল মাত্র তারাই অ্যাক্সেস করতে পারছে।
যেমন ধরুনঃ কোন একটা কোম্পানির কোন একজন কর্মচারী সম্বন্ধে আপনি একটা কমপ্লেন করলেন কিন্তু যদি প্রতিষ্ঠান মনে করে যে, ওই কর্মচারীকে বাঁচিয়ে দিবে তাহলে ওই প্রতিষ্ঠান তাদের ওই কর্মচারীর সংশ্লিষ্ট ফাইলকে নিজেদের সুবিধামত টেম্পারিং করে নিবে আর কেউ তা জানতেও পারবেনা। এরকম কর্তৃত্বের জায়গাটা মানুষকে ভাবিয়ে তুলেছে আর এই কারনেই মানুষ এরকম প্রযুক্তি অর্থাৎ ব্লকচেইন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে।
Source: Image by Gerd Altmann from Pixabay
এবার আসুন আগের এক্সেল ফাইল এর উদাহরণ ফিরে যাওয়া যাক। এখন ২০ জন ব্যাক্তি সবসময় এই ফাইল এডিটের অনুমতি দিতে পারবেনা কারন কারন সবাইকে সবসময় একসাথে পাওয়া সম্ভব নয় আবার মানুষ কাজ করলে তার কিছু ভুল হয় কিন্তু কম্পিউটারের ভুল হয়না। এই কাজটি যে ২০ জায়গার ২০টি কম্পিউটার থেকে করা হচ্ছে অর্থাৎ এডিটটাকে সত্যয়ন করছে এসব কম্পিউটারকে এক একটা node বলতে পারি। এখন এই নোডগুলোর কাজ হবে কোন একটা নতুন ট্রানজেকশন হওয়ার সময় সেটার যথার্থতা অথবা সঠিকতা নিশ্চিত করা। আর এই সঠিকতা যাচাই বা নিশ্চিত করার কাজটি একেক ব্লকচেইনে একেক ভাবে হয়ে থাকে এবং এই প্রসেসটাকে বলা হয় মাইনিং।
সাদামাটাভাবে মাইনিং মানে হচ্ছে সেই সকল node গুলো (চালু কম্পিউটার) যারা প্রত্যেকটি লেনদেন এর সঠিকটা যাচাইকারী হ্যাশ(#) অর্থাৎ এক ধরনের ফিঙ্গারপ্রিন্ট এর মত করে প্রত্যেকটি লেনদেন ভেরিফাই করছেন। তাই একেকটা লেনদেন বা ট্রানজেকশন এর জন্য একেকটা নতুন কোড বা হ্যাশ তৈরি হবে। মাইনিং মানে আমরা বুঝি, খনি থেকে কোন কিছু উত্তোলন করা কিন্তু এখানে ট্রানজেকশনগুলোর সঠিকতা নির্নয়ের মাধ্যমে নতুন নতুন কারেন্সি তৈরি করছেন বলেই এটাকেও মাইনিং বলা হচ্ছে। এভাবেই ব্লকচেইনে নতুন করে কিছু কারেন্সি তৈরি হয় যেটা একেক ব্লকচেইনে একেকভাবে বন্টনের ব্যবস্থা থাকে।
এভাবে করে কিছু সংখ্যক লেনদেন এর তথ্য নিয়ে একটা ব্লক তৈরি হবে। একটা ব্লক এর ভিতরে অনেকগুলো লেনদেনের তথ্য থাকবে ও প্রত্যেকটি লেনদেনের একেকটা পাবলিক হ্যাশ (কোড) থাকবে। সব node এর সম্মতিতে যে ব্লকটা রেডি হচ্ছে তা আগের ব্লকের সাথে যুক্ত হয়ে যাবে। এভাবেই ব্লকগুলো একটার পর একটা চেইনের মত করে থাকবে বলে একে ব্লকচেইন বলা হচ্ছে। ব্লক একবার চেইনে যুক্ত হলে সেগুলোকে আর কেউ পরিবর্তন করতে পারবে না যতক্ষণ না পর্যন্ত ওই সবগুলো কম্পিউটার বা মাইনার (অথবা ৫০% এর বেশি মাইনার বা কারেন্সি হোল্ডার অর্থাৎ একেক ব্লকচেইনে একেক রকম) মিলে একসাথে কোন সিদ্ধান্ত নেয়।
তবে যেহেতু মাইনার ও হোল্ডারগণ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে রয়েছে তাই সবাইকে এক জায়গায় করাটা অনেক কঠিন তাই কোন ধরনের পরিবর্তন করাটা অনেক বেশি কঠিন এবং প্রায় অসম্ভব ব্যাপার। তারপরও সব মাইনার বা হোল্ডার মিলে ব্লকচেইনের ব্লকে ও কোডে পরিবর্তন আনতে পারে।
কিন্তু বাস্তবিকভাবে আপনার তথ্য বিকৃত করার জন্য বা বিক্রি করার জন্য কোন প্রতিষ্ঠান বা সংগঠন বা সরকারকে কারো কাছে জবাবদিহিতা করতে হবে না বরং এটা একেবারে কেন্দ্রীয় মালিকানায় থাকে তাই তারা যেকোনো সময় যেকোনো তথ্য পরিবর্তন পরিবর্ধন এবং শেয়ার করে ফেলতে পারে। এবং প্রত্যেকটা ট্রানজেকশন এখানে পাবলিক থাকে অর্থাৎ যারা মাইনর নয় তারাও এই প্রত্যেকটা ট্রানজেকশনের হাঁস এর মাধ্যমে ওই ট্রানজেকশনের বিস্তারিত দেখতে পারবেন যে ট্রানসলেশন টি কখন হয়েছে কত হয়েছে কিভাবে হয়েছে তবে কার থেকে কার কাছে ট্রানজেকশন হয়েছে এই ব্যাপারটি এনক্রিপ্ট করা থাকে অর্থাৎ কোডিং করে লুকানো থাকে নামটা এটা কেউ দেখতে পারে না পাবলিক ভাবে। অন্যথায় যাবতীয় তথ্য সবার কাছে অর্থাৎ শুধুমাত্র যারা নোট প্রবেশ করছে তারা না বরং সবার কাছে এটা ওপেন থাকে।
ব্লকচেইন কেন অন্য প্রযুক্তি থেকে জনপ্রিয় হচ্ছেঃ
এতক্ষণের আলোচনায় খুব সহজেই বুঝতে পারছেন যে, কেন ব্লকচেইন দিনে দিনে অন্যান্য যাবতীয় সিস্টেম এবং মুদ্রা ব্যবস্থা থেকে একটু বেশি জনপ্রিয় হচ্ছে মানুষের কাছে । কোন একটা ডিজিটাল কারেন্সি যদি আপনি বাজারে নিয়ে আসেন অথবা আপনি আজকে যদি কিছু নোট বাজারে ছাড়েন তাহলে মানুষ এই নোটগুলো মূল্য হিসেবে গ্রহণ করবে না। কিন্তু এই নোটগুলো যে সিস্টেমে তৈরি হবে সেই সিস্টেমটা যদি আপনি মানুষের কাছে ক্লিয়ার রাখতে পারেন যে, যে কেউ ইচ্ছা করলে এখানে নতুন করে নোট ছাপাতে পারবে না এবং নোট ছাপানোর যে প্রক্রিয়া বা সিস্টেম তা নিয়ন্ত্রিত তখন মানুষ কিন্তু আপনার নোটগুলোকে মূল্য হিসেবে গ্রহণ করবে। আর সে কারণেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন স্টিমিট সহ আরো অনেক প্রতিষ্ঠান ব্লকচেইন প্রযুক্তির মাধ্যমে কিছু কারেন্সি সরবরাহ করছে যে কারেন্সিটা মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য কারণ এর পিছনে ব্লকচেইন রয়েছে। ফাউন্ডেশন বা ভিত্তি যেহেতু ব্লকচেইন তাই এটাকে নির্দ্বিধায় গ্রহণ করছে এবং কারেন্সিগুলোকে লেনদেনের কাজে ব্যবহার করছে কারণ তারা এর মধ্যে একটা মূল্য বা ভ্যালু খুঁজে পাচ্ছে।
অর্থাৎ কারেন্সি সিস্টেম যেটা ডিজিটাল কারেন্সি বা ক্রিপ্টোকারেন্সি আমরা বলছি সেটাকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য অবশ্যই ফাউন্ডেশন হিসেবে ব্লকচেইন প্রযুক্তি একটা জনপ্রিয় মাধ্যম হিসেবে এসে গেছে অর্থাৎ কোন একটা কারেন্সি তখন মানুষ গ্রহণ করছে যখন এটা ব্লকচেইন প্রযুক্তি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। আবার উল্টোভাবে আমরা যখন দেখি, ব্লকচেইন প্রযুক্তি যখন এসেছে তখন সেই প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে মানুষ বিভিন্ন কারেন্সি বাজারে ছাড়তে শুরু করল।
Source: Image by mmi9 from Pixabay
এছাড়াও ব্লকচেইন প্রযুক্তিতে বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে অর্থাৎ এখানকার কারেন্সিগুলো লেনদেন করতে গেলে আপনাকে কোন দেশের বা কোন সীমানার মধ্যে থাকতে হচ্ছে না। আপনি বিশ্বের যে কোন প্রান্ত থেকে যে কোন সময় খুবই অল্প ফি-তে ট্রানজেকশনগুলো করতে পারছেন আর এই কারনেই এই প্রযুক্তি এবং এই প্রযুক্তি ভিত্তিক কারেন্সিগুলো অনেক বেশি জনপ্রিয় হচ্ছে প্রতিদিন মানুষের কাছে। আর যখন জনপ্রিয় হচ্ছে তখন তার একটা ভ্যালু তৈরি হচ্ছে সাধারণ মানুষের কাছে।
বর্তমান প্রযুক্তির এই সময়ে সবাই নিরাপত্তাকে খুব বেশি পছন্দ করে এবং তারা চায় তাদের ওয়ালেট এবং যে সিস্টেমে কাজ করছে সেই সিস্টেমটা নিরাপদ থাকুক অর্থাৎ কোন ধরনের স্বেচ্ছাচারিতা কিংবা কোনো প্রতিষ্ঠানের দ্বারা টেম্পারিং করুক না হোক। নিরাপত্তার জায়গাটাতে ব্লকচেইন যেহেতু আপোষহীন তাই এটি সাধারণ মানুষের কাছে অনেক বেশি জনপ্রিয় একটি প্রযুক্তি।
ব্লকচেইন ও ডিজিটাল কারেন্সির মধ্যে সম্পর্কঃ
আগেই বলেছি অনেকে এই দুইটাকে এক করে ফেলেন। আসলে ব্লকচেইন হচ্ছে মূল বিষয়টা এবং কারেন্সিগুলো হচ্ছে সেই বিষয়টাকে ভিত্তি করে তৈরি করা অন্যান্য বিষয়গুলো। যেমন ধরুন আমাদের মোবাইল ফোনে কিংবা কম্পিউটারে একটি মূল অপারেটিং সিস্টেম থাকে যেমন মোবাইলে অ্যান্ড্রয়েড এবং কম্পিউটারে উইন্ডোজ। অপারেটিং সিস্টেমগুলোকে কাজে লাগিয়ে অন্য আরো দশটা অ্যাপ্লিকেশন বা সফটওয়্যার বানানো এবং ব্যবহার করা যায়। ঠিক তেমনিভাবে যদি ব্লকচেইন প্রযুক্তিকে একটা ফাউন্ডেশন বা অপারেটিং সিস্টেম ধরে নেন তাহলে সেই ফাউন্ডেশন বা প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে হাজার হাজার ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ডিজিটাল কারেন্সি তৈরি হয়েছে এবং আছে।
সব সময় ডিজিটাল কারেন্সি বা ক্রিপ্টোকারেন্সি আমরা যাকে বলছি সেটা যে ব্লকচেইন ভিত্তিক হতে হবে এরকম নয়। আবার ব্লকচেইন যেখানে আছে সেখানেই ক্রিপ্টোকারেন্সি থাকবে সেটাও কিন্তু নয়। ব্লকচেইন হচ্ছে একটা প্রযুক্তির নাম। এই প্রযুক্তিকে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা যায়। নিরাপত্তাজনিত যেকোনো কাজ অথবা বিকেন্দ্রীকরণের কোন কাজ এই প্রযুক্তির মাধ্যমে করে ফেলা সম্ভব এবং ট্রাস্ট অর্জন করা সম্ভব। অন্যদিকে কেউ চাইলে এই ব্লকচেইন প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ডিসেন্ত্রালাইজ না করে বরং সেন্ট্রালাইজড সিস্টেম করতে পারে নিজেদের ডাটা সিকিউরিটিকে বাড়ানোর জন্য। অর্থাৎ ব্লকচেইন প্রযুক্তি তৈরি করল ঠিকই কিন্তু সেই প্রযুক্তিতে এমন সিস্টেম রাখল যে সিস্টেমে নোডগুলোর মালিকানা এবং দায়িত্ব তাদের নিজের কাছেই থাকবে তাই তারা সবাই সম্মিলিতভাবে ব্লক পরিবর্তন করার ক্ষমতা রাখবে।
শেষকথাঃ
সর্বোপরি আজকে এখানেই শেষ করছি এবং আজকের আলোচ্য বিষয় ছিল শুধুমাত্র ব্লকচেইন ও ডিজিটাল কারেন্সি। স্টিমিট ব্লকচেইন প্রযুক্তি নিয়ে পরবর্তী পোস্টে একটু বিস্তারিত শেয়ার করার চেষ্টা করব যাতে করে আপনারা স্টিমিট ব্লকচেইন এর ব্যাপারটা খুব ভালোভাবে বুঝতে পারেন। ধন্যবাদ
শিক্ষামূলক সিরিজে আমার লিখা পূর্বের লিখাগুলোর লিঙ্ক নিচে দিয়ে দিলাম। ভাল লাগলে সেগুলোও চোখ বুলিয়ে আসতে পারেন। আশা করি উপকৃত হবেন। ধন্যবাদ।
শিক্ষামূলক সিরিজে আমার লিখা পূর্বের পোস্টের তালিকাঃ
আমি কেঃ
অন্যান্য মিডিয়াতে আমার সাথে যুক্ত হতে পারেনঃ
Youtube | ThreeSpeak | DTube |
আপনি বরাবরই আমাদেরকে তথ্যবহুল পোস্ট করে সহায়ক ভূমিকা পালন করেন।আপনার এবারের ব্লকচেইন নিয়ে পোষ্টটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। অনেক অজানা কিছু জানতে পারলাম এই পোস্টটি পড়ে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সেই সাথে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি এত চমৎকার চমৎকার পোস্ট করে আমাদের কে উপকৃত করার জন্য♥ ♥
আমার ব্যক্তিগতভাবে ব্লকচেইন সম্পর্কে সামান্য কিছু জ্ঞান ছিল । আপনার এই পোস্টটি পড়ে আমার জ্ঞান যেন আরও বৃদ্ধি হল। ভাই আপনি ঠিক কথা বলেছেন আমাদের দেশের কারেন্সি যেমন টাকা যদি কেউ ইচ্ছামত ছাপায় তাহলে সে টাকার তো কোনো মূল্য থাকে না। ব্লকচেইন এর একটি বিষয় আমার সবচেয়ে মজাদার লাগে সেটি হচ্ছে এর ট্রানজেকশনের পরে কারো হাত থাকে না শুধুমাত্র ট্রানজেকশন করা দুই ব্যক্তি ব্যতীত। ধন্যবাদ ভাই অনেক গুছিয়ে লিখেছেন এর পরবর্তী পর্ব চাই।
একবছর এর বেশি সময় ধরে স্টিম ব্লকচেইন এ আছি। কিন্তু সত্যি বলতে ব্লকচেইন সম্পর্কে কখনোই আমার স্পষ্ট ধারণা ছিল না। এইরকম একটি পোস্টের অপেক্ষায় ছিলাম অনেক দিন ধরে। ধন্যবাদ ভাই এতো সুন্দর একটি বিষয়ে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। এবং আমাদের অজানা পরবর্তী কোনো বিষয়ে আপনার পোস্টের অপেক্ষায় থাকলাম। অনেক ভালো ছিল পোস্ট টা।
চেষ্টা করছি খুটিনাটি বিষয় গুলোকে সহজভাবে সবার মাঝে উপস্থাপন করতে। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য এবং ভবিষ্যতে আরও এরকম অনেক টপিক শেয়ার করব
💖💖
ব্লকচেইন এবং ডিজিটাল কারেন্সি সম্পর্কে ক্ষুদ্র একটি ধারণা ছিল তবে আপনার পোস্ট পড়ে সম্পূর্ণ একটি ধারণা পেলাম। আচ্ছা ভাই আমার আরেকটি প্রশ্ন সেটা হচ্ছে আমরা কি ব্লক চেইনকে কোনভাবে টপোলজির সাথে তুলনা করে বর্ণনা করতে পারি।? ধন্যবাদ ভাই আপনার এই সুন্দর আলোচনার জন্য সত্যিই অনেক উপকৃত হলাম আজকে।
টপোলজি ব্যাপারটা কি এ সম্বন্ধে আমার কোন ধারণা নেই তাই আসলে আমি সঠিক বলতে পারছিনা।
ভয়েস টাইপিং করার পরে একবার পড়ে কোন কিছু পোস্ট বা কমেন্ট করলে ছোটখাটো বানান ভুল গুলো ঠিক হয়ে যাবে। ধন্যবাদ।
আমার মনে হয় কারো বুঝতে আর কষ্ট হবেনা। আপনি এতো সহজ ভাবে ব্লকচেইন প্রযুক্তি, মাইনিং, পাবলিক হ্যাশ, node, কোড ইত্যাদি সম্পর্কে বুঝিয়ে লিখেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এর জন্য।
ভাইয়া আপনার প্রতিটি পোস্ট অনেক শিক্ষনীয়। আপনার পোষ্টের প্রতিটি লাইন আমাদের জন্য খুবই উপকারী। এই পোষ্ট গুলো পড়লে আমরা খুব সহজেই আমাদের ভিতরে থাকা বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর গুলো খুব সহজেই পেয়ে যাই। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর শিক্ষনীয় পোস্ট গুলো প্রতিনিয়ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
join #club5050 tag and receive extra vote from steemcurator01, steemcurator02 ' @steemcurator07.
Your post up-vote from country representatives Bangladesh @sm-shagor..
Always follow @steemitblog.
অনেকেরই খুব একটা ধারণা ছিল না আর ধারনা থাকলেও খুব একটা স্বচ্ছ না। এমনকি আমার নিজেরও কিছু কিছু জায়গায় কয়েকটা সমস্যা ছিল অথবা কিছু অনেক কিছুই জানা ছিল না। আসলে ব্লকচেইন নিয়ে যতই শিক্ষা গ্রহণ করি না কেনো।সে শিক্ষাটা আমার কাছে মনে হয় খুব কম হয়ে যাবে। কারণ এই ব্যাপারটাই এতটা বিশাল। আপনার পোস্ট পড়ে আমার সব সময় খুব ভালো লাগে। কারণ অনেক বেশি ইনফরমেশন দিয়ে আপনি পোস্টগুলো লিখেন।
ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার পোষ্টটি পড়ে ব্লক চেইন সম্পর্কে একটা স্বচ্ছ ধারনা হলো।
গাম্বর গামবার ইয়াং সংগাত বাগুস দান পেনুহ দেঙ্গান মাকানন নিয়া 👍
কিছুই বুঝতে পারিনি। বাংলায় বলেন।