রেসিপি: চিড়া দিয়ে তৈরি মজাদার ডেজার্ট।
হ্যালো সবাইকে
কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি । আজকে আমার পোস্টটি হলো রেসিপি পোস্ট । আমার খুবই প্রিয় একটি রেসিপি । আমি তৈরি করেছি আজকে আমি চিড়া দিয়ে তৈরি মজাদার ডেজার্ট রেসিপি তৈরি করেছি। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
আজকেও আপনাদের সাথে নতুন একটি রান্নার রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। প্রতি সপ্তাহে চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে একটা রেসিপি পোস্ট শেয়ার করতে আমার বাংলা ব্লগে অনেকেই অনেক সুন্দর সুন্দর ইউনিক রেসিপি শেয়ার করে যেগুলো দেখতে সত্যি অনেক লোভনীয় আরো অনেক ইউনিক। আজকে আমি নতুন আরেকটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আমার আজকের রেসিপি পোষ্ট টি হল চিড়া দিয়ে তৈরি মজাদার ডেজার্ট। সামনেই শীত আসছে ঠান্ডার মধ্যে এই ধরনের ডেজার্ট আইটেম খাওয়া যাবেনা। সেজন্য মাঝেমধ্যে চেষ্টা করি এ ধরনের ডেজার্ট আইটেম তৈরি করে খাওয়ার জন্য। শীতকালে আমার আর অনেক বেশি ঠান্ডা লেগে যায় জ্বর সর্দি সেগুলো লেগেই থাকে। ঠান্ডার সাথে আমার হয়তো কোন রকমে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। শীতের মধ্যে এ ধরনের আইটেম খাওয়া যায় না সেইজন্য রেসিপিটা তৈরি। ঘরের মধ্যে অনেকগুলো চিড়া ছিল। চিড়া দিয়ে ভাবলাম কি তৈরি করা যায় তাই চিড়া দিয়ে মজাদার এই ডেজার্ট তৈরি করেছি।আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই রেসিপিটি ভালো লাগবে।
উপকরণ
চিড়া
কলা
আপেল
আইসক্রিম
জেলি
ফুড কালার
পানি
চিনি
আগার আগার পাউডার
তৈরি করার পদ্ধতি:-
প্রথমে আমি চিড়া নিয়ে ভালো করে ধুয়ে সামান্য পানির মধ্যে ভিজিয়ে রেখেছি। ভিজিয়ে রাখার পর চিড়া পানি টেনে পুলে গিয়েছিল।
এরপর আমি ফলগুলো কেটে নিয়েছি। আমার কাছে বেশি ফল ছিল না কলা আর আপেল ছিল সেজন্য এগুলো দিয়েছি। আপনারা চাইলে আরো বিভিন্ন ধরনের ফল ব্যবহার করতে পারেন।
এরপর আমি লাল রঙের জেলি তৈরি করেছি।
লাল রঙের জেলির পাশাপাশি আমি সবুজ রঙের জেলি তৈরি করেছি। জেলি তৈরির পদ্ধতি খুবই সহজ আগার আগার পাউডার এবং ফুড কালার দিয়ে তৈরি করলাম।
জেলি তৈরি করার পর কিছুক্ষণ ফ্রিজে রেখে এরপর বের করে কেটে নিলাম।
এখন আমি যে বাটি গুলোর মধ্যে পরিবেশন করব সে বাটির মধ্যে আগে থেকে ধুয়ে রাখা চিড়া দিয়ে দিলাম। চিড়ার উপর দিয়ে দিলাম আইসক্রিম।
এখন আমি আগে থেকে তৈরি করে কেটে রাখা লাল সবুজ রংয়ের জেলি গুলো দিয়ে দিলাম।
এখন আমি দিয়ে দিলাম আগে থেকে কেটে রাখা ফল গুলো।কলা ও আপেল গুলো দিয়ে দিলাম।
ফল গুলো দেওয়ার পর আমি আরও কিছু জেলি দিয়ে দিলাম।
আর এভাবেই তৈরি করে নিয়েছি মজাদার চিড়ার ডেজার্ট। চিড়া দিয়ে তৈরি এর ডেজার্ট খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছিল। গরমের মধ্যেই ঠান্ডা ঠান্ডা চিড়ার ডেজার্ট খেলে খুবই আরাম পাওয়া যাবে। তাছাড়া খেতে এত সুস্বাদু লাগে অল্প উপকরণ এবং খুব সহজে এই ধরনের ডেজার্ট গুলো তৈরি করা যায়। আশা করি আমার আজকের রেসিপিটা আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। কেমন লেগেছে সেটা অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন।
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @fasoniya |
ডিভাইস | Vivo Y15s |
লোকেশন | ফেনী |
আমার পরিচয়
আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।
https://x.com/APatwary88409/status/1849788882453401635?t=9s5GDG2PphJ6VRVGRqRFtA&s=19
মজার মজার খাবার গুলো খেতে আমি একটু বেশি ভালোবাসি। আর যদি এরকম খাবার হয় তাহলে তো আরো বেশি ভালো লাগে। অনেক বেশি সুস্বাদু মনে হচ্ছে আপনার রেসিপিটা। এরকম লোভনীয় খাবারগুলো দেখলে আমার অনেক লোভ লাগে। মাঝেমধ্যে এই খাবারগুলো আমার খাওয়া হয়ে থাকে। এত মজাদার রেসিপি নিয়ে সবার মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে চিড়ার এই রেসিপি টা দেখে আপনার কাছে ভালো লেগেছে পছন্দ একটি মন্তব্য করার জন্য।
জাস্ট ওয়াও আপু অসাধারণ আপনি অনেক সময় নিয়ে যত্ন সহকারে চিড়া দিয়ে তৈরি মজাদার ডেজার্ট তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন যা দেখে আমি পুরোপুরি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। অনেক ডেজার্ট খেয়েছি তবে চিড়া দিয়ে কখনো ডেজার্ট খাইনি। আজকে আপনার এই ডেজার্ট তৈরির ধাপগুলো দেখে শিখে নিলাম ইনশাআল্লাহ তৈরি করার চেষ্টা করবো।তাছাড়া আপনার ডেজার্ট এর কালারগুলো অনেক সুন্দর ছিল। সবকিছু মিলিয়ে অত্যন্ত ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।
চিড়া দিয়ে তৈরি এই ডেজার্ট খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু। আপনি তৈরি করবেন জেনে খুবই ভালো লাগলো। অবশ্যই একবার বাসায় তৈরি করে দেখবেন খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু লাগবে।
এই ধরনের ডেজার্ট গুলো বেশ ভালো লাগে আমার কাছে। তবে চিড়া দিয়ে এরকম ডেজার্ট তৈরি করে কখনো খাওয়া হয়নি। সুন্দর ভাবে রেসিপিটা পরিবেশ করেছেন। দেখতেই খুব লোভনীয় লাগছে। অনেক ধন্যবাদ আপু সুস্বাদু একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এ ধরনের ডেজার্ট গুলো আপনার কাছে ভালো লাগে যিনি খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
চিড়া দিয়ে খুব সুন্দর একটি ডেজার্ট আইটেম বানিয়ে ফেললেন। খুব সাধারন জিনিস এই চিড়া। কিন্তু তাকে এমন অসাধারণ ভাবে কাজে লাগালেন দেখে খুব অবাক লাগছে। আর সব থেকে বড় কথা হল ছবিগুলি অসাধারণ তুলেছেন। এত কালারফুল এবং বৈচিত্র্যময় ছবি আপনার আইটেমটিকে আরো উজ্জ্বল করে তুলেছে।। শুধু খাওয়াটুকুই বাকি থেকে গেল। হা হা৷
মাঝে মাঝে কিছু কিছু সাধারণ জিনিস দিয়েও অনেক অসাধারণ কিছু তৈরি করা যায় সেরকম একটি রেসিপি।
চিড়া দিয়ে বেশ মজার ডেজার্ট তৈরি করা যায় আপু। আমিও এভাবে চিড়ার ডেজার্ট করেছিলাম। বিশেষ করে রমজানের দিনে করেছিলাম খেতে অসাধারণ ছিল। আর শীতের দিনে তো তেমন ঠান্ডা খাওয়া যায় না। আপনার করা পদ্ধতিটা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে যে কোন সময় খাওয়া যেতে পারে। ইউনিক একটি রেসিপি আপনি শেয়ার করলেন অনেক ধন্যবাদ।
আপনিও রমজানে এইরকম ডেজার্ট তৈরি করেছেন জেনে খুবই ভালো লাগলো। আসলে রোজার দিনে সারাদিন রোজা রেখে এরকম একটা ঠান্ডা ডেজার্ট খেতে পারলে খুবই ভালো লাগে।
বেশ কালারফুল লাগছে আপনাদের ডেসার্টটি দেখতে। সহজেই আগার আগার পাউডার দিয়ে জেল বানিয়ে আপনি যে ডেকোরেশনটা করেছেন তা দেখতেও যেমন সুন্দর আশা করি খেতেও তেমনি ভালো। আর অনেক রকমের ফল ব্যবহার করার কারণে হেলদি ও মনে হচ্ছে রেসিপিটি। আমার মনে হয় এই রেসিপিটিতে বেশ কিছু ড্রাই ফ্রুটও ব্যবহার করা যায়৷ চমৎকার রেসিপি বানিয়ে আমাদের দেখালেন আশাকরি আপনার বাড়ির সবাই বেশ খুশি হয়েছে খেয়ে।
হ্যাঁ আপু ড্রাই ফুড ব্যবহার করলেও মন্দ হবে না খেতে বেশ ভালোই লাগবে। তাছাড়া জেলের বদলে যদি ড্রাই ফ্রুট ব্যবহার করা যায় তাহলে অনেক স্বাস্থ্যকর খাবার হয়ে উঠবে। আসলে যার যেটা পছন্দ সেটা দিয়ে নিজের মত সাজিয়ে তৈরি করা যাবে এই রেসিপিটি। আমার হাতের কাছে যে জিনিসগুলো ছিল সেই জিনিসগুলো দিয়েই তৈরি করার চেষ্টা করেছি। তারপরও খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছে।
এই ধরনের ডেজার্ট গুলো ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে খেতে বেশি ভালো লাগে। ঠিক বলেছেন আপু শীতের মধ্যে এ ধরনের রেসিপিগুলো খেতে তেমন একটা ভালো লাগে না। আপনার আজকের চিড়ার ডেজার্ট খুব কালারফুল হয়েছে। দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতেও বেশ মজাদার হয়েছিল। খুব লোভনীয় লাগছে দেখতে।
হ্যাঁ আপু গরমকালই ঠান্ডা ঠান্ডা খাবারগুলো খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে। সামনে শীত আসছে এগুলো আর খাওয়া যাবে না তাই ভাবলাম শীত আসার আগে একটু খেয়ে নেওয়া যাক।
আপু আপনার ডেজাট বানানোর প্রতিটি উপকরনই বেশ স্বাস্থ্য সম্মত। যা কিনা দেহের জন্য বেশ উপকারী। আপনি কিন্তু আপনার রেসিপিটি বেশ দারুন করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এমন একটি অসাধারন রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
হ্যাঁ আপু এই ডেজার্ট এর রেসিপিটা আমি স্বাস্থ্যকর পদ্ধতিতে তৈরি করেছি। কেউ চাইলে সকালে নাস্তায় এ স্বাস্থ্যকর রেসিপিটা রাখতে পারে।
বেশ মজাদার একটা ডেজার্ট রেসিপি তৈরি করেছেন আজকে। চিড়া দিয়ে যে এত মজাদার ডেজার্ট রেসিপি তৈরি করা যায়, এটাতো আমার একেবারেই জানা ছিল না। না হলে তো আগেই তৈরি করে নিতাম। কারন আমাদের ঘরে এখনো চিড়া রয়েছে অনেক বেশি। এজন্য ভাবছি এখন যেহেতু জেনে নিয়েছি তাই তৈরি করবো। আশা করছি খেতে ভালোই লাগবে।
এই রেসিপিটা আপনি তৈরি করবেন জেনে খুবই ভালো লাগলো। অবশ্যই তৈরি করে দেখবেন চিড়া দিয়ে এই রেসিপিটা খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু হয়।