ঈদের অধিক আনন্দই যেনো জীবনের কাল হয়ে দারালো ৷ ৷
আজ ০১, বৈশাখ | ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, |গ্রীষ্মকাল |
নমস্কার - আদাব। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন।
প্রিয় ,আমার বাংলা ব্লগের সকল ব্লগার ভাই বোন বন্ধুরা আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন । যেহেতু ঈদ পহেলা বৈশাখ সব মিলে দিনগুলো বেশ আনন্দের সহিত সবাই উদযাপন করছি বা করতেছি ।যাক এরকমই যেন উৎসবমুখর ভাবে প্রতিটি উৎসব উদযাপন করতে পারি এমনটাই আশা প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি। বলে না যে, ধর্ম যার যার উৎসব সবার এই প্রেক্ষিতে সবাই অনেক আনন্দের সহিত এই ঈদ উৎসব পয়লা বৈশাখ সব মিলিয়ে আনন্দগুলো খুব সুন্দর আর প্রাণবন্তর কাটুক।
যাহোক প্রতিদিনের মতো আজও আপনাদের মাঝে হাজির হলাম একটা নতুন ব্লগ নিয়ে। হয়তো আজকে ব্লগের টপিক টি পরে বুঝতে পেরেছেন । আসলে সেই
বিষয়ের উপর ভিত্তি করে আজকের ব্লগটি উপস্থাপন করতে চলেছি । মূলত ঘটনা টি গতকালকের ছিল।
গতকাল বিকেল বেলা বাজার যাওয়ার মুহূর্তেই রাস্তায় এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা । আসলে এরকম অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু দুর্ঘটনা যখন ঘটে তখন সত্যিই অনেক খারাপ লাগে। আমাদের জীবনের চলার পথে সুষ্ঠু জীবন যাপন টা খুবই খুবই গুরুত্বপূর্ণ । তবে আমাদের জীবনের চলার পথে কিছু দুর্ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত হয়। মা আমাদের জীবনকে অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত করে তার বড় উদাহরণ এই রোড এক্সিডেন্ট। যেটা জীবনের অনাকাঙ্ক্ষী অনেকটা বড় ধরনের ক্ষতি করে ফেলে ।
আসলে ঈদের কয়েকটা দিন রাস্তার মধ্যে ছিল প্রচন্ড পরিমাণে জ্যাম আর যানবাহনের কলাহল। তবে এই উৎসবমুখর দিনগুলোতে আমাদের জনসাধারণের সবচেয়ে একটা বড় ভুল সেটা হলো আমরা আমাদের ছোট ভাই বড় ভাই যাই বলি না কেন ?? মামা অনেক আত্মীয়-স্বজনের যানবাহন নিয়ে ঈদের ঘোরাঘুরি কিংবা একটা সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করার জন্য।
কিন্তু অধিক আনন্দ যে জীবনে সবচেয়ে বেশি অন্ধকার বয়ে নিয়ে আসে তার বাস্তবিক কিছু উদাহরণ আসলে আমাদের প্রতি মুহূর্তে চোখে পড়ে । বিশেষ করে কয়েকদিন ধরে যদি বলি তাহলে রাস্তার মধ্যে মোটরসাইকেল যেটা সবচেয়ে বেশি পরিমাণে। প্রতিটি গাড়িতে তিনজন করে সেই সাথে গাড়ির স্পিড গতি প্রচন্ড গতি মাত্রা যেটাকে বলা হয় বেপরোয়া গাড়ি চালানো।
গতকাল এমনই একটি মর্মান্তিক রোড এক্সিডেন্ট ঘটেছিল আমার এলাকায় দুটি মোটর সাইকেল সামনা সামনি সংঘর্ষ । দুঃখের বিষয় বলতে হয় একই পরিবারের দুজন চাচা ও ভাতিজা জায়গায় নিহত । এবং কি আরো চারজন যারা অনেক গুরুতর আহত। তাদের মধ্যে হয়তোবা আর একজন নিহত হলেও হতে পারে । কারণ এক্সিডেন্টটা সত্যি খুবই ভয়ানক ঘটেছে।
এ মৃত্যুটা বলা যায় অনেকটাই অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে। কারণ অধিক আনন্দে জীবনের শেষ নিশ্বাসটুকু অকালে দিয়ে দিলেন সেই দুইজন চাচা এবং ভাতিজা । তারা তো মারা গেলেন কিন্তু তাদের পরিবার-পরিজনের বুকে একটা বিশাল পাথর চাপা আর্তনাদ কষ্ট দিয়ে গেলেন । এরকম ঈদ পূজো যেকোনো উৎসব উদযাপনে জানি না কেন জানি এই সাধারণ জনতা প্রফুল্ল মনে অধিক আনন্দিত হয়ে বেপরোয়া হবে গাড়ি চালিয়ে মৃত্যুবরণ করছে । কিংবা হাত পা চোখ চিরদিনের জন্য হারিয়ে ফেলছে। যেটা আসলে সারা জীবনের জন্য কান্না।
আজকে ব্লগে আমার একটাই কথা যে, আমাদের ছোট ভাই কিংবা বড় ভাই ঈদ বা পূজোতে আনন্দের জন্য। পুরো পরিবারকে নিয়ে অনেক সুন্দর একটি উৎসব পালন করার জন্যই এমন সুন্দর একটি দিন পেয়েছি । তাই তো এই উৎসব বা আনন্দিত দিনগুলোকে নিরানন্দতে পরিণত না করার জন্য আমাদের সবাইকে সচেতনতা অবলম্বন করা ভীষণ প্রয়োজন। কারণ একটি জীবন হারিয়ে গেলে সেটা কি আর কখনোই ফেরত পাওয়া যায় না ।
প্রবাতে একটা কথা আছে না । যে, সাবধানে চালাবো গাড়ি, নিরাপদে ফিরব বাড়ি।
তাই রাস্তায় চলাকালীন নিজেকে প্রতি সময়ে সচেতন সতর্ক এবং কি সময় নিয়েই যাতায়াত করা উচিত।
তাই তো আসুন আমরা সতর্ক হই অন্যকে সতর্ক করি । সেই সাথে প্রতিটি উৎসব বা আনন্দিত দিনগুলো সবার মনে আনন্দিত বা আনন্দ বয়ে আনুক এমনটাই আশা প্রত্যাশা ব্যক্ত রেখে ।আজকের ব্লগটি এখানে শেষ করছি ।
প্রিয় বন্ধুরা আজকে আপনাদের কাছে এখানে বিদায় নিচ্ছি ৷ আবার নতুন কোন ইউনিক ব্লগ নিয়ে হাজির হবো৷ এমন প্রত্যাশা আশা আকাঙ্ক্ষা রেখে এখানেই শেষ করছি৷
ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন৷
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
---|---|
ডিভাইস | realme 12 |
সবাইকে ধন্যবাদ
|
---|
https://twitter.com/gopiray36436827/status/1779515641613214193?t=fL6RRUhC-89ZzOgbtEjDhQ&s=19
বেপরোয়া গাড়ি চালানো কারনে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। গতকালের এই নিউজটা আমি দেখেছিলাম। চাচা ভাতিজা বাইক এক্সিডেন্ট এ মারা গিয়েছেন। এধরনের ঘটনা গুলো শুনলে এবং দেখলে অনেক বেশি খারাপ লাগে। আমাদের উচিৎ সাবধানে যানবাহন চলাচল করা। সব সময়ই সতর্কতা থাকা উচিত। সুন্দর করে পোস্টটি তুলে ধরেছেন ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
ঈদের মুহূর্তে মানুষ পথে ঘাটে যখন বেপরোয়া ভাবে চলাচল করে ঠিক তখনই এক্সিডেন্ট ঘটে। আর এই জন্যই আমার বাইরে আসতে মন চায় না। আপনি আমি যতই সাবধানতার সাথে থাকি না কেন অন্যরা কতটা সাবধানতার সাথে থাকে না এই জন্য এগুলা হয়ে থাকে। আরে মর্মান্তিক ঘটনাগুলো সারা জীবনের জন্য কান্না।
একটা দূর্ঘটনা সারা জীবনের জন্য কান্না ৷ সামান্য ভুলে অনেক বড় দূর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে ৷ এজন্য প্রত্যেকের উচিত সব সময় সতর্কতা অবলম্বন করা ৷ তবে অনেকেই ভুল যাই আমরা সে কথা , সামান্য আনন্দ পেতে বেখেয়ালি হয়ে পড়ি ৷ আর এতেই ঘটে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ৷ যাই হোক , সেদিনের এই খবর শুনে অনেক খারাপ লেগেছে ৷ আমরা সবাই সতর্ক হোই ৷
প্রত্যেক বছর ঈদ উপলক্ষে এরকম মৃত্যুর অনাকাঙ্ক্ষিত খবর আমরা শুনতে পারি। কিন্তু তারপরেও মানুষ সচেতন হয় না, সাবধান হয় না। আমাদের সকলের উচিত যে কোন উৎসবই হোক না কেন আমরা অবশ্যই আনন্দ করবো, কিন্তু সেটা যেন নিয়মের মধ্যে থাকে। একই সাথে যানবাহন পরিচালনার ক্ষেত্রে আরো বেশি যত্নবান হওয়া আমাদের জন্য অত্যধিক জরুরী। যাহোক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলে যদি ঈদ উপলক্ষে অতিরিক্ত আনন্দ হয়ে যায় তার ফলে অনেক ধরনের বিপদে চলে আসে। আমাদের উচিত সবসময় একটা লিমিটের মধ্যে উদযাপন করা৷ তার থেকে যদি বেশি করতে চাই সে ক্ষেত্রে আমাদেরকে বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনা শিকার হতে হয়৷ আসলে এরকম ঘটনা গুলো প্রতিবছর ঘটে যাচ্ছে৷ ঈদের দিন অনেক মানুষের মৃত্যু ঘটছে৷ এর বেশিরভাগই কারণ হচ্ছে যে বেখেয়ালি এবং অসতর্কতা৷
এই উৎসবমুখর দিনগুলোতে আসলে আমরা আনন্দ করতে পছন্দ করি, এটা ঠিক কথা। তবে সেই আনন্দটা যেন এমন পর্যায়ে না চলে যায় যা মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়, এটা অবশ্যই আমাদের খেয়াল রাখা উচিত সব সময়। তাছাড়া আমিও গতকাল একটা পোস্টে দেখেছিলাম যে, রোড এক্সিডেন্টে বেশ কিছু লোক মারা গেছে ঈদের দিন। আপনার আজকের পোস্টে আবারো সেরকম কিছু তথ্য পেলাম, যেটা সত্যিই কষ্টদায়ক।
ঈদের আগে তেমন এক্সিডেন্টের কথা শুনি নাই। তবে ঈদের পরে বেশ কয়েক জাগায় এক্সিডেন্ট হয়ে বেশ কিছু মানুষ মারা গেছে। বিশেষ করে ফরিদপুর আর বরিশালে বড় দুটি সড়ক দূর্ঘটনাটা বেশি জটিল ছিল। ধন্যবাদ।