পাকা ধানের মুগ্ধকর দৃশ্যাবলী || Original Photography by @hafizullah
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমি ভালো আছি এবং সুস্থ আছি। শীতের শীতলতায় দারুণভাবে চঞ্চল থাকার চেষ্টা করছি। সত্যি বলতে শীতের প্রকৃতির সুন্দর দৃশ্য এবং গ্রামীন পরিবেশের মুগ্ধকর পরিবেশ দারুণভাবে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। শীতের সিজনে আর যাইহোক, গ্রামীন পরিবেশে যাওয়াটা আমি ছাড়তে পারি না, সময় এবং সুযোগ দুটোকেই দারুণভাবে ম্যানেজ করে ছুটে যাই প্রকৃতির ভালোবাসার মাঝে। এই অভ্যেসটা আমার মাঝে সেই ছোটবেলা হতেই কেমনে জানি জায়গা করে নিয়েছে হি হি হি।
এই তো সেদিনও গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলাম আর চারপাশের প্রকৃতির দৃশ্যগুলো দারুণভাবে উপভোগ করেছিলাম। সত্যি বলতে শীতের সিজনটা আমার প্রিয় এর মাঝে অনেকগুলো কারণ আছে, তার মাঝে অন্যতম একটা হলো শীতের প্রকৃতি, বিশেষ করে গ্রামীন পরিবেশের প্রকৃতি। জাস্ট মুগ্ধকর একটা পরিবেশ। হৃদয়ের সাথে সাথে চঞ্চলতা ছড়িয়ে পড়ে মানসিকতার মাঝেও। এই জন্যই হয়তো বিশেষজ্ঞরা বলেন প্রকতির চঞ্চলতা শুধু আমাদের শরীরের উপর প্রভাব বিস্তার করে না বরং আমাদের মানসিকতার উপরও দারুণভাবে প্রভাবে ফেলতে পারে।
যাইহোক, এই সময়ে গ্রামীন প্রকৃতির মাঝে যাওয়ার সুযোগ পেলে দেখতে পাবেন জমিতে পাকা ধান দারুণ আলো ছড়িয়ে আছে। এগুলো তুলে নেয়ার পরই শুরু হবে রবিশস্য চাষাবাদ। আসলে আমাদের এই উপমহাদেশে চাষাবাদ দারুণভাবে মৌসুমী বায়ুর উপর নির্ভরশীল, যার কারনে সিজনের সাথে সাথে শস্য উৎপাদনেও ব্যাপক পরিবর্তন দেখা যায়। এই বিষয়টি দারুণভাবে দেখার সুযোগ পাবেন শীতের সিজনে যদি গ্রামীন অঞ্চলে যেতে পারেন। কৃষক সমাজও দারুণভাবে ব্যস্ত হয়ে পড়ে চাষাবাদের বিষয়গুলো নিয়ে। কোনটা পর কোন সবজি চাষ হবে সেগুলোর আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখেন সবাই। কারন এই সময়টায় প্রকৃতি ও পরিবেশ দুটোই দারুণ থাকে।
পাকা ধানের দৃশ্যগুলো সত্যি দারুণ ছিলো দেখতে, চোখ যতদূর যাবে ততদূর শুধুই এমন হলুদে ভরা দৃশ্য দেখতে পাবেন। অবশ্য কয়দিন পর আরো বেশী হলুদ হয়ে যাবে দৃশ্যগুলো। এখন যেমন পাকা ধানের কারনে শস্যখেতগুলো হলুদ হয়ে গেছে। তখন অবশ্য আরো বেশী মুগ্ধকর হবে দৃশ্যগুলো কারণ তখন প্রতিটি খেতে থাকবে সরষে ফুলের হাসি, হৃদয়ে মুগ্ধতা ছড়ানোর দারুণ দৃশ্য। গ্রামের পর গ্রাম এবং কৃষি জমির পর জমি, সবখানে শুধুই সরষে ফুলের হাসি। আহ! সেই দৃশ্যগুলো দেখার জন্য হৃদয় যেন উতলা হয়ে উঠছে। শুধু দৃশ্য নয় বরং তার সাথে দারুণ একটা ঘ্রাণও থাকে সরষে ফুলের।
অনেকেই ধান কেটে নিয়েছেন এবং যারা একটু দেরীতে ধান রোপন করেছেন তারা এখনো তুলতে পারেন নাই। যারা আগে ধান তুলেছেন তারা খড় ছাড়িয়ে ধান শুকিয়ে নিচ্ছেন রোদ্রের উষ্ণতায়। গ্রামীন অঞ্চলে এটাও একটা কমন দৃশ্য, সড়কগুলোর উপরে খড় ছড়িয়ে দেয়ার দৃশ্য, ধান সংগ্রহ করে সেগুলোকেও সড়কের উপর বিছিয়ে দেয়া। যাদের বাড়িতে বড় উঠুন আছে তারা অবশ্য বাড়ির ভেতরই ধান ও খড় শুকানোর চেষ্টা করেন। আমাদের শৈশবে এই দৃশ্যগুলো দারুণভাবে উপভোগ করতাম, যদিও এখন আর সেই সুযোগ নেই এবং বর্তমান প্রজন্মও এগুলোর প্রতি তেমন আগ্রহী না।
তারিখঃ নভেম্বর ০১, ২০২৪ইং।
লোকেশনঃ মানিকগঞ্জ, ঢাকা।
ক্যামেরাঃ রেডমি-৯ স্মার্টফোন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
শীতের প্রকৃতি দেখতে অনেক ভালো লাগে। শীতের সময় প্রকৃতি নতুনভাবে সেজে ওঠে। আর এই সময় ফসলের মাঠ নতুন রূপ ধারণ করেছে। ভাইয়া আপনার লেখাগুলো পড়ে অনেক ভালো লাগলো। সেই সাথে ফটোগ্রাফি গুলো দেখেও ভালো লাগলো।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাইয়া গ্রামের এমন দৃশ্যগুলো দেখে তো আমি অনেক মুগ্ধ হই। কতদিন গ্রামের এমন দারুন দৃশ্য দেখা হয়ে উঠে না। ব্যস্ত জীবনে আজ যখন আপনার শেয়ার করা দৃশ্যগুলো দেখলাম তখন কোথায় যেন হারিয়ে গেলাম। ধন্যবাদ কিছু সুন্দর কথার সাথে সুন্দর কিছু দৃশ্য শেয়ার করার জন্য।
শুধু মুগ্ধ? হৃদয়ে সতেজতা অনুভব করেন না? আমার হৃদয় শীতল করার দারুণ উপায় হলো এই সুন্দর প্রকৃতি। ধন্যবাদ
প্রাণ ভরে এই দৃশ্য নিয়ে এলাম দাদা। আপনার ছবিগুলো দেখে মনে হচ্ছে আপনি আমার গ্যালারির অ্যাকসেস কিভাবে পেলেন! তারপর গিয়ে দেখি আমার ছবির আকাশগুলো আরও নীল। হা হা হা।
যাইহোক এই সময় গ্রামের মজাই আলাদা। আহা।
হা হা হা, আমি নীল আকাশ এডিট করে নিয়েছি কিন্তু। সত্যি গ্রামের প্রকৃতির মজাটাই আলাদা, আমার ভীষণ ভালো লাগে।
শীতকালে গ্রামীন প্রকৃতি এক অপরুপ রুপ ধারন করে। যা সবাইকে মুগ্ধ করে। মাঠের পর মাঠ পাকা ধানে ভরে উঠে। সে এক অন্যরকম সৌন্দর্য। আর মাঠে মাহিলাদের পায়ের ছোয়ায় ধান শুকানোর দৃশ্য দেখতে অন্য রকম ভালো লাগা কাজ করে।
যাক একটা বিষয় আপনার সাথে মিল আছে হ্যাঁ আমারও শীতের মৌসুমটা প্রিয় যার কারণগুলো অলরেডি আপনি উল্লেখ করে দিয়েছেন। গ্রামে গিয়ে বর্তমান সময়ের দারুণ কিছু সৌন্দর্য তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
হুম, এখন মুলোর বিষয়টি মিলে গেলেই একটা পার্টির আয়োজন করা যাবে, হা হা হা।
আসলে গ্ৰামীন পরিবেশের মাঝে সময় কাটানোর মতো আনন্দ আর কোথাও নেই। আপনি আপনার গ্ৰামে ঘুরতে গিয়ে গ্ৰামীন পরিবেশের মাঝে বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছেন, দেখে বেশ ভালো লাগলো।আর বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের প্রতিটি মাঠে ঘাটে সোনালী ধান ক্ষেতে ভরপুর হয়ে গিয়েছে।আর এই ধান ক্ষেত গুলো দেখতে অনেক বেশি ভালো লাগে।
শীতকালে গ্রামের বাড়িতে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে। যখনশুরু হয় যায় ধান কাটার উৎসব, তখন পাকা ধান দেখে কৃষকের মুখে হাসি ফুটে যায়।পাকা ধানের মুগ্ধকর দৃশ্যাবলী দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়। যেহেতু আমি গ্রামে থাকি, তাই মোটামুটি এসব কিছুর সঙ্গে আমি গভীর ভাবে জড়িত। গ্রামের বাড়িতে গিয়ে গ্রামীন পরিবেশের প্রাকৃতিক দৃশ্য আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাই ভালো থাকবেন।
পাকা ধানের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো ভাই। তাছাড়া ফটোগ্রাফি গুলো দারুণভাবে ক্যাপচার করেছেন। শীতকালে গ্রামীণ প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যেতে আমার খুব ভালো লাগে। তবে শীতকালটা গ্রামের মানুষজন সবচেয়ে বেশি উপভোগ করে থাকে। যাইহোক দারুণ লিখেছেন ভাই। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এটা আমার কাছে খুবই বিরক্ত লাগে গ্রামের মানুষ ধান ঝাড়াই মাড়াই খড় শুকানোর কাজে রাস্তা টা ব্যবহার করে থাকে। আহ এইরকম সোনালী প্রান্তর দেখলে মনের মধ্যে একটা প্রশান্তি কাজ করে। দারুণ করেছেন ফটোগ্রাফি গুলো ভাই। সময় টা চমৎকার অতিবাহিত করেছেন আপনি।