আবোল তাবোল জীবনের গল্প [ ব্যক্তিত্ব ]
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও ভালো আছি এবং সুস্থ আছি। চঞ্চলতার সাথে হৃদয়ের আবেগ ধরে রাখার চেষ্টা করছি। কারন নানাভাবে কিংবা নানা কারণে আমরা নিজের অবস্থান ধরে রাখতে পারছি না, চঞ্চলতার সাথে এ্যাকটিভ থাকতে পারছি না, কিছু বিষয় যেমন আমাদের এ্যাকটিভ হতে সহযোগিতা করে ঠিক তেমনি কিছু বিষয় আবার আমাদের নিস্তেজ করে দেয়। তবে এসবের মাঝেও একটাও বিষয় দারুণভাবে কাজ করে আর সেটা হলো নিজের ব্যক্তিত্ব। এই বিষয়ে হয়তো আমরা তেমন কেউই খুব একটা চিন্তা করি না।
দেখুন, আপনি নিজেও একটা সম্পদ যদিও আপনি সেটা অনুধাবন করতে পারেন, আপনার ব্যক্তিত্ব আপনার সম্পদের মুল হাতিয়ার, যদিও আপনি সেটাকে আগলে রাখতে পারেন। কিন্তু আমাদের সমস্যা হলো আমরা যেমন কোন কিছু সহজভাবে অনুধাবন করতে পারি না ঠিক তেমনি কোন কিছু আগলেও রাখতে পারি না। যার কারনে নিজের অবস্থান এবং নিজের ব্যক্তিত্ব কোনটাই ধরে রাখতে পারি না। আফসোসের বিষয় হলো আমরা ছোটখাটো কোন বিষয় নিয়ে খুব দ্রুত হতাশ হয়ে যাই এবং খুব দ্রুত নিজের অবস্থান নষ্ট করে ফেলি, সময়ের সাথে সাথে নিজেকে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাই।
যা খারাপ তা ত্যাগ করুন সেটা যতই কষ্ট হোক না কেন? সেটা শুধু কাজ নয় চিন্তাও হতে পারে, যে কোন বিষয়ই হোক না সেটাকে ত্যাগ করা শিখতে হবে। আমরা একটা সময় বলতাম সঙ্গ দোষে মানুষ খারাপ হয় কিন্তু এখন শুধুমাত্র এই বাণীর মাঝেই সব কিছু নেই বরং তার সাথে আরো অনেক কিছুই যোগ হয়েছে, যতই কষ্ট হোক না কেন আমাদের সে সকল বিষয় হতে দূরে সরে আসতে হবে। সহজভাবে বলতে গেলে বলতে হয়, যে বিষয় বা কাজগুলো খারাপের দিকে নিয়ে যায় সেগুলোই পরিত্যাগ করা উচিত দ্রুততার সাথে। আর যে বিষয় বা কাজগুলো ভালোর প্রভাব সৃষ্টি করে সেগুলোকে আকড়ে ধরে থাকতে হবে।
আমরা সমস্যা হলো আমরা ভালো কিংবা খারাপ এর বিষয়গুলোকে সঠিকভাবে নির্ণয় করতে পারি না, আর পারলেও সেটা অনেক দেরীতে। যার কারনে সেখান হতে কিংবা সেটার খারাপ প্রভাব হতে আর ফিরে আসার সুযোগ থাকে না। ঐ যে একটা কথা বলে না, কোথায় সমস্যা হলে সেটার চিকিৎসা করা যায় কিন্তু যদি সেখানে ক্যান্সার হয়ে যায় তাহলে আর চিকিৎসায়ও কাজ হয় না বরং শেষ পরিণতির দিকে এগিয়ে যেতে হয়। বাস্তবতার বিষয়গুলোও অনেকটা এমন, সহজেই হয়তো অনেক কিছু করা যায় আবার কিছুই করা যায় না, সবটাই অনুধাবনের উপর নির্ভরশীল।
আমার আজকের লেখার মুলভাবটাই হলো অনুধাবন এর বিষয়টি যদি আমরা বুঝতে না পারি তাহলে হয়তো নিজের ব্যক্তিত্ব কিংবা নিজেকে নিজের অবস্থানে ধরে রাখার কোন সুযোগই থাকবে না। আর ব্যক্তিত্ব নষ্ট হওয়ার মানেই নিজেকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়া। সময় থাকতেই আমাদের উচিত নিজেকে নিয়ে একটু ভাবা, নিজের অবস্থান নিয়ে একটু চিন্তা করা এবং যতই কষ্ট হোক না কেন নিজের ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন রাখার চেষ্টা করা। ব্যক্তিত্ব যেমন আমাকে উপস্থাপন করে ঠিক তেমনি আমার বংশ পরিচয়ও উপস্থাপন করে। সঠিক মানসিকতা নিয়ে সঠিক বিষয়টি অনুধাবন করার সক্ষমতা তৈরী হোক আমাদের মাঝে, এই প্রত্যাশায় আজকে শেষ করছি।
Image Taken from Pixabay
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
প্রতিটি মানুষের উচিত নিজের ব্যক্তিত্ব ধরে রাখা। কারণ ব্যক্তিত্বহীন মানুষ শুধুমাত্র অন্যের কাছেই না,বরং নিজের কাছেও ছোট হয়ে থাকে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এখনকার বেশিরভাগ মানুষ, নিজের স্বার্থের জন্য একেবারে নিচে নেমে যেতে পারে। এতে করে তারা ব্যক্তিত্বহীন মানুষের পরিচয় দেয়। সুতরাং আমাদেরকে এমনভাবে জীবনযাপন করতে হবে, যাতে করে ব্যক্তিত্ব ধরে রাখা যায়। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আবোল তাবোল জীবনের গল্পে ব্যক্তিত্ব নিয়ে চমৎকার একটি আর্টিকেল লিখেছেন ভাইয়া। খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি কথা বলেছেন আপনি তা হলো- "আপনি নিজেও একটা সম্পদ"। আসলে প্রতিটি মানুষেই এক একজন সম্পদ। আমরা অনেকেই সেটা বুঝতে পারিনা। যে বুঝতে পারে, সে সফল। নিজের উপর বিশ্বাস ও আস্থাই মূল কথা। মোটিভেশনাল মূলক আর্টিকেলটি বেশ ভালো লেগেছে আমার। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
খুব সুন্দরভাবে প্রতিবেদনটা লিখলেন হাফিজ ভাই। আমরা সত্যই কখনো কখনো নির্ধারণ করতে পারিনা যে কোনটা ভালো আর কোনটা খারাপ। আর এই ভালো খারাপের দ্বন্দ্বে আমরা যেন সবকিছু গোল বাঁধিয়ে ফেলি। তবে যা খারাপ তা যত শীঘ্র পরিত্যাগ করা যায় ততই ভালো।