অতঃপর স্বস্তির বৃষ্টি!
05-05-2024
২২ বৈশাখ , ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
🌼 আসসালামুআলাইকুম সবাইকে 🌼
copyright free image from pixabay
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো সকলেই আশা করছি বৃষ্টির দেখা পেয়ে গেছেন ইতোমধ্যে। বর্তমানে বলতে গেলে বৃষ্টিকে নিয়ে হাইভ তৈরি হয়ে গিয়েছে। সোস্যাল মিডিয়া বলেন যেখানেই যায় না কেন সবখানেই শুধু বৃষ্টিকে নিয়ে আলোচনা! কবে আসবে বৃষ্টি? আমার মনেও তৈরি হয়েছিল এই প্রশ্ন কবে আসবে বৃষ্টি! সেই রমজান মাস চলে যাওয়ার পর আর বৃষ্টির দেখা পায়নি। তবে বৈশাখ মাসে নরমালি বৃষ্টির পর্বটা আরম্ভ হয়। সেটা শুরু হয় বৈশাখ মাসে কালবৈশাখী ঝড়ের মাধ্যমে! কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো বৈশাখ প্রায় শেষের দিকে কিন্তু বৃষ্টির দেখা যেন পায়তেছিলামই না! প্রচন্ড তাপদাহে বলতে গেলে জনজীবন একেবারে অতিষ্ঠ। পিচঢালা রাস্তাও প্রচন্ড তাপে গলে যাচ্ছিল! কতটা তাপমাত্রা হলে এমনটা হয়! আসলে যতই বড় হচ্ছি ততই পরিবেশের অনুকূল রূপ না দেখে প্রতিকূল রূপ দেখছি।
এইতো কিছুদি আগে বন্যার মতো অবস্থা হয়ে গিয়েছিল। যেটা কারো কল্পনার মধ্যেও ছিল না। অনেক ফসলি জমি তখন পানির নিচে তলিয়ে গিয়েছিল। আর বর্তমানের কথা যদি বলি প্রচন্ড তাপদাহে পরিবেশের রূপ পুরোটাই পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। একে তে গরম তার উপর গরমের মাঝে কারেন্ট থাকে না! আসলে আগে দেখতাম তাপমাত্রা থাকতো হায়েস্ট ৩৫/৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর মতো! আর বর্তমানে সেটা ৪০+ হয়ে যাচ্ছে! এ কয়েক বছরের ব্যবধানে ১ ডিগ্রি করে বাড়ছে। তার মানে এভাবে যদি প্রতি বছর এক ডিগ্রি করে বাড়ে তাহলে বুঝতেই পারছেন কি হবে পরিবেশের!! বর্তমানে তাপমাত্রা বাড়ার একটাই কারণ বনভূমি ও পরিবেশে কার্বনডাইঅক্সাইড গ্যাসের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া। যার ফলস্বরূপ বায়ুমণ্ডলে গ্রান হাউস ইফেক্ট এর কারণে গ্লোবাল ওয়ার্মিং হচ্ছে! এমতাবস্থায় আমাদের উচিত এখন পরিবেশ নিয়ে সতর্ক থাকা আসলে।
কয়েকদিন ধরেই আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছিল বৃষ্টি হতে পারে। কিন্তু বৃষ্টি হয়েও যেন হচ্ছিল না। বিকাল হলে প্রচন্ড বাতাস থাকলেও বৃষ্টির দেখা পাচ্ছিলাম না। বলতে গেলে হতাশই হচ্ছিলাম বারবার। তবে আশার বাণী হলো গত দুদিন আগে জানতে পারলাম বাংলাদেশের কয়েক জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু গাজীপুরে বৃষ্টি হয়নি। যেহেতু বাংলাদেশের অন্যান্য জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে তাই আমি আশায় ছিলাম গাজীপুরেও বৃষ্টি হবে। বৃষ্টির শীতলতায় হৃদয়টাকে শীতল করার জন্য অপেক্ষায় থাকতে হয়েছিল। বলতে গেলে এমন অপেক্ষা কখনোই করিনি বৃষ্টির জন্য! চাওয়ার আগেই বৃষ্টি এসে হৃদয় শীতল করে দিয়ে যেত সাথে পরিবেশকেও! গরমের অনুভূতিটা তখন অনেকটাই চলে যেত। বৃষ্টি আসলে আমাদের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ! আল্লাহ তায়ালার এক অশেষ নেয়ামত।
তো গতকাল রাতে ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম রাত এগারোটার দিকেই। তারপর হঠাৎ করেই বজ্রপাতের শব্দে ঘুমটা ভেঙে গেল! রাতে গরমের কারণে জানালা খোলা রেখেই ঘুমায়। ঘুম থেকে উঠে দেখি বাহিরে বৃষ্টি হচ্ছে! সে যেন অন্যরকম অনুভূতি। তবে আবার ভয়ও কারছিল কারণ বজ্রপাতের আওয়াজটাও অনেক জোড়ে জোড়ে করছিল। তাড়াতাড়ি করে জানালা অফ করতে হলো। কিন্তু শীতলতার অনুভূতি পেলাম মাঝরাতে! আর দেরি না করে আবার ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম। সকাল সকাল পরিবেশের রূপটাও অনেক পরিবর্তন লক্ষ্য করলাম। রাস্তার পাশে পানি জমে আছে। ধূলিমাখা পরিবেশের রূপ অনেকটাই সতেজতায় পরিপূর্ণ ছিল।
তবে বহুল প্রতিক্ষীত এ বৃষ্টি আমাদের জন্য যেন এক রহমত। তবে এখন থেকে আশা করছি প্রতিদিনই বৃষ্টির দেখা পাবো। বৃষ্টির শীতলতায় মনকে শীতল করতে পারবো। আমাদের অবশ্য এখন থেকেই সতর্ক হতে হবে। সামনে বর্ষাকাল আসছে। আর সে সময় আমাদের প্রচুর গাছ রোপণ করতে হবে। নয়তো আবারো পরের বছর বৃষ্টির জন্য আর্তনাদ করবে শুধু মন! আমরা আসলে মুখে বললেও কাজটা করতে চাই না। সমাজের সকল শ্রেণীপেশার মানুষকে নিয়ে বৃক্ষরোপণের মতো কর্মসূচী হাতে নেয়া উচিত! শহর পর্যায়ে বেশি পরিমাণে গাছ লাগানো উচিত। সেটা হতে পারে বেলকনি অথবা বাসার ছাদ। আশা করছি সবুজে ছেয়ে যাবে আমাদের এই শহর, গ্রাম! সকলেই ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন। আল্লাহ হাফেজ 🌸
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। সম্প্রতি আমি ইলেকট্রিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছি। এখন বিএসসি এর জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত দু বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। যাক,
নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
twitter share
ঠিক বলেছেন ভাইয়া, চারদিকে যেন বৃষ্টির জন্য হাহাকার শুরু হয়ে গিয়েছিল। আসলে প্রচন্ড গরমের কারণে সবাই একেবারে অসহ্য হয়ে গেছিল এই কয়েকদিন। তাছাড়া গরমের তাপও ছিল অনেক বেশি। যখন অনেকদিন পর একটুখানি বৃষ্টির দেখা পেলাম, যেন চারিদিক সতেজ হয়ে গেলো। এটাও ঠিক গাছপালা সবকিছু যেন প্রাণ ফিরে পেলো। আপনার অনুভূতি পড়ে খুবই ভালো লেগেছে।
জি আপু, প্রকৃতি যেন আবার প্রাণ ফিরে পেল।
আমি অবশ্য অনেক রাত পর্যন্ত জেগে ছিলাম। রাত ২ টার দিকে এত ঝড় উঠলো। বিশেষ করে বজ্রপাত গুলো দেখে আর শব্দ শুনে তো ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। এখনো তো জানালা দিয়ে বাতাস খাচ্ছি আর কমেন্ট করছি। বৃষ্টি আবারো শুরু হলো। অবশেষে একটু স্বস্তি এসেছে।
আসলেই একটু আগেও বৃষ্টি হলো। এখন মনে হচ্ছে রেগুলারই হবে।
স্বস্তির বৃষ্টি এখনো আমাদের এদিকে হলোনা। এজন্য বেশ খারাপ লাগছে। ঠান্ডা আবহাওয়া চলছে বাতাসের কারণে তবে গরম যায়নি। বৃষ্টি হলে হয়তো অনেক পরিবর্তন আসতো। আপনাদের ওখানে বৃষ্টি হয়েছে জেনে ভালো লাগলো আমার। আশা করবো আমাদের এদিকে হয়ে যাবে।
খুব শীঘ্রই আপনারাও পাবেন আপু। অপেক্ষা করেন
বাংলাদেশে এখন এইটা বেশি হচ্ছে অসময়ে বন্যা অতিরিক্ত তাপমাত্রা আবার শীতের সময় অতিরিক্ত শীত। মোটামুটি বাংলাদেশের সব অঞ্চলেই দেখছি বৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু আমার এলাকায় এখন পযর্ন্ত বৃষ্টির দেখা নেই। তবে আজ সকাল থেকে মেঘলা একটা আবওহাওয়া বিরাজ করছে। আমিও আশায় আছি কখন আকাশ ভেঙে বৃষ্টি টা আসবে।
বাহ,অবশেষে আপনাদের ওখানে বৃষ্টি হয়েছে জেনে ভালো লাগলো।রাতের ঘুম নিশ্চয়ই ভালো দিয়েছেন, তাছাড়া এই বছর সবাই বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করছে।সত্যিই বৈশাখ মাসে কালবৈশাখী ঝড়ের কোনো দেখা নেই, আমাদের এখানে যে কবে হবে বৃষ্টি!ধন্যবাদ ভাইয়া।
অতঃপর স্বস্তির বৃষ্টি হয়েছে জেনে ভালো লাগলো। এখন মোটামুটি সব জায়গায় ই বৃষ্টি হবে আশা করা যায়। তবে যে গরম আমরা এবার অনুভব করলাম তা ভীষন মনে রাখার মতো।তাই এবার বর্ষাকালে সকলের গাছ লাগানোর ব্যাপারে আগ্রহী হতে হবে।তবেই সামনের দিনগুলো আমাদের ভালো কাটবে।আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে।
বাংলাদেশে বেশ কিছুদিন আগে থেকে বৃষ্টি শুরু হলেও, আমাদের এখানে ২ দিন আগে থেকে বৃষ্টি হচ্ছে ভাই। যাইহোক, শেষ পর্যন্ত আপনাদের ওখানেও যে বৃষ্টি হয়েছে এবং পরিবেশটা শীতল করে দিয়ে আপনাদের মনকে সতেজ করেছে, এটা জেনে খুব খুশি হলাম। তবে এইবার বর্ষাকালে আমাদের আসলেই প্রচুর পরিমাণে গাছ লাগাতে হবে, যাতে সামনের বছর এই গরমের তীব্রতাটা কিছুটা কম পাওয়া যায়। ভালো লাগলো ভাই, আপনার এই পোস্ট টি পড়ে ।