শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলার হার!
23-03-2024
০৯ চৈত্র , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
১৩ রমাদান, ১৪৪৫ হিজরি
🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন । তো সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকে চলে এলাম আপনাদের সাথে খেলা নিয়ে আলোচনা করার জন্য। আপনারা জানেন যে আমি প্রায়ই আপনাদের সাথে খেলা নিয়ে আলোচনা করে থাকি। তো গত দুই পোস্টে আমি বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার মধ্যকার দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ নিয়ে আলোচনূ করেছি। তো আজকে শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ নিয়ে আলোচনা করবো। বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের ১-১ জিতে দুদলই সমতায় ছিল। তো ৩য় টি-টোয়েন্টি ম্যাচটা দুদলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ২য় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশ জিতে বলতে গেলে অনেকটাই আত্মবিশ্বাস ছিল। তো গত ৯ই মার্চ বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার মধ্যকার ৩য় টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়। তো খেলার শুরুতেই টসে জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। আমার হয় টস একটা বড় ফ্যাক্টর যেকোনো খেলায়। যেহেতু আগের ম্যাচ পরে ব্যাট করে জিতেছিল বাংলাদেশ সে হিসেবে শান্ত পরে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয়।
তো শুরুতেই ব্যাটিং করতে নামে ডি সিলভা ও কুশাল মেন্ডিস। শ্রীলংকার একাদশে কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। কারণ আগের দুই ম্যাচে ডি সিলভা খেলেনি। শ্রীলংকার শুরুটা স্লো শুরু হয়েছিল। তবে ইনিংসের প্রথম উইকেটের পতন ঘটায় তাসকিন আহমেদ। তাসকিন আহমেদের বলো আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে ডি সিলভা। তারপর মাঠে আসে কামিন্ডু মেন্ডিস। কামিন্ডু মেন্ডিস আগের ম্যাচেও ভালো খেলেছে। আর কুশাল মেন্ডিস বলতে গেলে ইনফর্ম প্লেয়ার। সবসময় ঠান্ডা মাথায় খেলে। ভয় ছিল কুশাল মেন্ডিস যদি দাঁড়িয়ে যায় তাহলে খেলা অন্যদিকে চলে যাবে। সেদিন তাই-ই হলো। দলীয় সংগ্রহ যখন ৫২ রানের তখন কামিন্ডু মেন্ডিস আউট হয়ে যায়। তারপর মাঠে আসে ক্যাপ্টেন হাসারাঙ্গা। হাসারাঙ্গাকে সাথে নিয়ে কুশাল মেন্ডিস একটা পার্টনারশিপ গড়ে তুলে। যে ভয়টা পেয়েছিলাম সেটাই হয়েছিল।
কুশাল মেন্ডিসের ৮৬ রানের ইনিংসের সুবাধে শেষ অবধি শ্রীলংকার সংগ্রহ দাড়াঁয় ২০ ওভার শেষে ১৭৪ রানের। আগের ম্যাচে ১৬৫ রানের মতো করেছিল। তো রানের তফাতটা মোটেও বেশি ছিল না । তবে দেখার বিষয় ছিল বাংলাদেশ টিম কিভাবে ব্যাটিং করে। তো ব্যাটিং এ নামে বাংলাদেশ। শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পরে বাংলাদেশ টিম। তুসারার বলে বাংলাদেশ ব্যাটাররা বলতে গেলে দিশেহারা হয়ে গিয়েছিল। দলীয় সংগ্রহ যখন ১৫ রান তখনই বাংলাদেশ ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে। তো জয়ের আশা তখনই বাদ দিয়ে দিছিলাম। কারণ ইনফর্ম সব ব্যাটাররাই আউট হয়ে সাজঘরে চলে গেছে।
তবে শেষের দিকে যেন রিশাদ হাসান জয়ের আশা বাঁচিয়ে রেখেছিল। যেটা আসলে এক্সপেকটেশন ছিল না। না জিততে পারলেও একটা সম্মানজনক স্কোর করতে পারলো রিশাদ হাসানের হাফ সেঞ্চুরির সুবাধে। মেহেদী হাসান ও রিশাদ খেলাটাকে চালিয়ে যায়। তবে মেহেদী হাসান থাকতে পারলে খেলার শেষটা অন্যরকম হতে পারতো। দলীয় সংগ্রহ যখন ১১৭ রান তখন রিশাদ হাসান আউট হয়ে যায়। তবে বাংলাদেশ টিমের জন্য ব্যাটিং একজন অলরাউন্ডার হওয়ার সম্ভাবনা রাখে রিশাদ হাসান। শেষে তাসকিন আহমেদ চেষ্টা করেছিল খেলাটাকে চালিয়ে যেতে। তাসকিনের ৩১ রানের সুবাধে শেষ অবধি বাংলাদেশ ১৪৬ রান সংহ্রহ করতে সক্ষম হয়। ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে শ্রীলংকা। ম্যান অফ দা ম্যাচ নির্বাচিত হয় কুশাল মেন্ডিস।
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। সম্প্রতি আমি ইলেকট্রিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছি। এখন বিএসসি এর জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত দু বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। যাক,
নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
twitter share
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
শ্রীলংকার সাথে বাংলাদেশ শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আরো একটু ব্যাটিংয়ে যত্নবান হলে নিঃসন্দেহে ম্যাচটি জিতে যেত। নতুন প্লেয়ার রিশাদ যেভাবে ব্যাট করেছে অন্যান্য ব্যাটসম্যানরা যদি এভাবে খেলতে পারতো তাহলে খুব সহজেই বাংলাদেশ জয়ের দেখা পেতো। যাহোক, আগামীতে বাংলাদেশ আরও ভালো খেলবে এমনটাই আমি প্রত্যাশা করি।