অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী!
ছোট বেলা থেকেই জেনে আসছেন যে অল্পবিদ্যা ভয়ংকরী। এটার বাস্তব প্রমাণ আশেপাশের দিকে তাকালেই বুঝা যায়। আমাদের সমাজে তিন ধরনের মানুষ আছে। এক শিক্ষিত, দুই অল্প শিক্ষিত এবং তিন মূর্খ! এই তিন শ্রেণীর মানুষের মধ্যে দ্বিতীয় শ্রেণীর মানুষ সমাজের জন্য খুবই ক্ষতিকর। আপনি একটা বিষয় খেয়াল করলেই দেখতে পারবেন অশিক্ষিত যারা আছে তারা না জেনে কোনো মন্তব্য করতে চাই না এমনকি তর্কও করতে চাই না। আর অশিক্ষিতদের কাছে প্রধান অস্ত্র হলো তাদের মুখের ভাষা। আপনাকে এমন এমন কথা বলবে আপনি হতভম্ভ হয়ে যাবেন। কিন্তু অশিক্ষিত মানুষদের থেকেও মারাত্মক ক্ষতিকর হলো অল্প শিক্ষিত মানুষগুলো। তারা নিজেকে এমনভাবে জাহির করবে যে সে দুনিয়ার সবকিছু জানে আর আপনি কিছুই জানে না । সে নিজেকে সবসময় বড় মনে করতে চাই।
তার জীবনের অল্প বিদ্যাকে পুঁজি করে সবকিছু বিচার বিশ্লেষণ করতে চায়। কিন্তু সবকিছু যে তার কথা মতো সঠিক হবে ব্যাপারটা এমন নয়। তার সময়ে হয়তো সেটা সঠিক ছিল বর্তমানে এসে সেটা সঠিক নাও হতে পারে। অল্প বিদ্যার মানুষগুলো সবসময় নিজেকে জ্ঞানী ভাবার চেষ্টা করে। সে ভাবে তার অল্প জ্ঞান দিয়ে জীবনের সবকিছু সাধন করে ফেলবে। কিন্তু মোটেও কি সম্ভব এটা? সেটা কোনোভাবেই সম্ভব না। আপনি যদি গ্রামে বসবাস করে থাকেন তাহলে দেখবেন গ্রামের কিছু মুুরুব্বি সবসময় নিজেকে সবার সামনে বড় প্রমাণ করতে চাই। নিজের জীবনের অর্জিত জ্ঞান দিয়ে কোনো সমস্যা সমাধান করতে চাই। কিন্তু বর্তমানে এসে যে তার ফর্মুলা কাজে দিবে না সেটা মেনে নিতে নারাজ! তার কথা হলো সে যা বলবে তাই করতে হবে এবং সেটাই ঠিক হবে।
ধরেন, কেউ একজন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনা করেছে। তবে সেটা মোটামোটি। এতোটাও ভালো করে পড়াশোনা করেনি! এখন আপনি তাকে একটা প্র্যাকটিক্যাল কাজ দিলেন। তার অল্প জ্ঞান দিয়ে সেই প্র্যাকটিক্যাল কাজটা সমাধান করা খুবই কঠিন। উল্টো সার্কিট তৈরি করতে ঝামেলা লাগাতে পারে। কারণ কোনো একটা বিষয়ের উপরে পরিপূর্ণ জ্ঞান না থাকলে সে কাজটা সম্পন্ন করতে যে আত্মবিশ্বাসটা প্রয়োজন সেটা কিন্তু আসবে না কোনোভাবেই! আর আপনার মাঝে আত্মবিশ্বাসটা নেই মানে আপনি কাজটা সঠিকভাবে করতে পারবেন না।
আবার দেখেন, যারা ডাক্তারী পড়াশোনা করছে তারা সবাই কিন্তু ডাক্তার হওয়ার যোগ্যতা রাখে। তবে ডাক্তার হওয়ার আগে আপনাকে কিছু প্র্যাকটিক্যাল কাজ দিল। আপনি সেগুলো করতে পারলেন তবে সে বিষয়টার উপর কিন্তু আপনার পরিপূর্ণ জ্ঞান অর্জন হয়নি! এখন আপনাকে যদি মানুষের শরীরে নরমাল একটা ইনজেকশন দেয়ার কাজটা দেয়া হয় আপনি কিন্তু পারবেন না! আপনার ভয় কাহ করতে পারে অথবা আপনি রোগীকে ব্যথা দিয়ে ফেলতে পারেন। এখন নিজেকে সবার সামনে বড় প্রমাণ করার জন্য হলেও যদি ইনজেকশন টা রোগীকে ব্যথা দিয়েই দিলেন তাহলে কাজটা কি ঠিক হলো! প্রপার জ্ঞান না থাকলে সেটা কোনোভাবেই সম্পন করা সম্ভব না।
আমাদের সমাজে অল্পবিদ্যার মানুষ অনেক আছে। যারা ভাবে তাদের অল্প জ্ঞান দিয়েই সবকিছু সমধান করা সম্ভব। কিন্তু মোটেও এমনটা নয়। আপনার অর্জিত জ্ঞান দিয়ে যে কাজটা সম্পন্ন করা যাচ্ছে না তার মানে বর্তমানে তার চেয়ে ভালো প্রযুক্তি ডেভেলপ হয়েছে এটা মেনে নিতে হবে। তবে স্বল্প বিদ্যার মানুষগুলো নিজের পান্ডিত্য অন্যের গাড়ে চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। এজন্য আমি বলবো এমন ধরনের মানুষ থেকে দূরে থাকাই ভালো।
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। বর্তমানে ডুয়েটে অধ্যয়নরত আছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত তিন বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,কবিতা লেখা,গল্প লেখা ,রিভিউ,ডাই এবং আর্ট করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
twitter share
Puss tweet
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
💯⚜2️⃣0️⃣2️⃣4️⃣ This is a manual curation from the @tipu Curation Project
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 0/7) Get profit votes with @tipU :)
যে কোন কাজে পরিপূর্ণ জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। আর যেখানে বিন্দুমাত্র জ্ঞান নেই সেখানে পারদর্শিতার দেখানোটা বোকামি ছাড়া কিছুই নয়। আর অল্প বিদ্যা ভয়ংকর এই বিষয়টা সর্ব জনীন স্বীকৃত এবং সত্য কথা। প্রতিনিয়ত আমরা এমন বিষয়গুলোর সম্মুখীন হচ্ছি এবং দেখছি। তাই নিজের অল্প বিদ্যা কে পুঁজি করে বড় কিছু হওয়া যায় কিন্তু সব ক্ষেত্রে নয়।
এটা একদম ঠিক বলেছেন ভাই। অল্প বিদ্যাকে পুঁজি করে বড়কিছু হওয়া যায় কিন্তু সবক্ষেত্রে নয়।