দীর্ঘদিন পর নানু বাড়িতে || শেষ পর্ব

in আমার বাংলা ব্লগ16 hours ago

"হ্যালো",

আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়াই এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।

সবাইকে আমার নতুন একটি পোস্টে স্বাগতম। ইতিমধ্যে নানু বাড়িতে ঘুরতে যাওয়ার দুইটা পর্ব শেয়ার করেছি। আজকে শেষ পর্ব শেয়ার করছি।মেলায় গিয়ে কেনাকাটা শেষ করে আমরা গিয়েছিলাম খাওয়া-দাওয়া করতে। আর মেলা মানে হরেক রকমের খাবার। যদিও আমরা জানি এই খাবারগুলো স্বাস্থ্যের জন্য অনেকটাই ক্ষতিকারক। তারপরও এসব খাবার দেখলে লোভ সামলানো যায় না। যেহেতু বাবুকে আগে আম্মুর সঙ্গে বাসায় পাঠিয়ে দিয়েছিলাম তাই আর কোনো চিন্তাও ছিল না তাই মন খুলে ঘোরাঘুরি করেছি সবার সঙ্গে।

1000015972.jpg

যেহেতু আমি বড় ছিলাম সবার মধ্যে তাই সবাই অনেক আবদার করেছিল এটা খাবে ওটা খাবে। তো আমরা প্রথমে গিয়েছিলাম পাপড় খেতে। এই বড় বড় পাপড় গুলো খেতা আমার বেশ ভালো লাগে। পাপড় খাওয়া শেষ হয়ে গেলে এবার গিয়েছিলাম ঝালমুড়ি খেতে। সবাই মিলে অনেক মজা করে ঝাল মুড়ি খেয়ে আমরা গেলাম আচার খেতে। আমি অবশ্য আচার খাইনি কারন এই আচারগুলো আমার কাছে খুব একটা ভালো লাগে না আমার ছোট ভাইবোনেরা খেয়েছিলো।

1000015959.jpg

1000015960.jpg

1000015970.jpg

1000015971.jpg

1000015973.jpg

1000015974.jpg

এরপর আমার এক মামাতো ভাই বলল এখানে একজন অনেক ভালো পেয়ারা মাথা বিক্রি করছেন যিনি ওর পূর্ব পরিচিত ছিলেন।তাই আমরা আর কোথাও ঘৃণা করে সেই পেয়ারা মাখা খেতে গেলাম। আমরা প্রায় ১০০ টাকার মতো পিয়ারা মাখা নিয়েছিলাম যেহেতু অনেকজন ছিলাম তাই। এরপর উনি বড় বড় সাইজের কয়েকটি পেয়ারা আমাদেরকে মাখিয়ে দিয়েছিলেন। সত্যি কথা বলতে ওনার পেয়ারা মাখা এত মজা ছিল আমরা আরো খেতে চাইছিলাম। এরপর বেশ কিছু পেয়ারা মাখা নিয়েছিলাম বাড়ির সবার জন্য।

1000015976.jpg

1000015978.jpg

1000015979.jpg

নানু বাড়ির জন্য আরও বেশ কিছু খাবার কিনেছিলাম আমার নানু বাদাম ভাজা খেতে খুব পছন্দ করে।তাই উনার জন্য বেশ কিছু বাদাম নিয়েছিলাম। আর আমার মা গুড়ের জিলাপি এবং এই বড়ই গুলো খেতে ভীষণ পছন্দ করে। তাই সেগুলো নিয়েছিলাম।এরপর সবাই বাড়িতে চলে আসি।এরপর পরদিন মানুষের থাকবে ভোরবেলা আমার নানু ঘুম থেকে ডাকছিলেন ভাপা পিঠা খাওয়ার জন্য। নানু বাড়িতে এটা এত মজা লাগে আমার কাছে ঘুম থেকে উঠে এটা খাওয়া।যাই হোক আমরা পিঠে খেয়ে আবার ঘুমিয়ে পেয়েছিলাম।

এরপর দুপুরে ঘুম থেকে উঠে দুপুরের খাওয়া-দাওয়া সেরে আমরা আমাদের বাসায় চলে আসি। সত্যিই অনেক দিন পর সবার সঙ্গে খুব ভালো মুহূর্ত কাটিয়েছি। এখন তো আর খুব ঘন ঘন যাওয়া হয়না তাই অনেকদিন পর সবার সঙ্গে দেখা হলে বেশ ভালো লাগে এবং সুন্দর মুহূর্ত কাটে। বেঁচে থাকলে আবারো কোনো এক সময় এমন সুন্দর মুহূর্ত কাটাবো। সবাইকে অনেক মিস করছি। যাইহোক আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোনো বিষয় নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।

❤️আমার পরিচয়❤️

আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।

1000000117.png

1000000119.gif

1000010107.jpg

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.


💯⚜2️⃣0️⃣2️⃣4️⃣ This is a manual curation from the @tipu Curation Project

@tipu curate

 15 hours ago 

নানুর বাড়ি থেকে মেলায় গিয়ে দারুন সময় উপভোগ করেছেন। আপনার উপভোগ করা সুন্দর সময় গুলো পোষ্টের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। মেলায় ঘুরতে কার না ভালো লাগে। মেলায় গিয়ে বোনদের সাথে বেশ মজা করেছেন দেখছি। বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়েছেন। পেয়ারা মাখা দেখে তো আমার লোভ লেগে গেল আপু। যাইহোক আপু সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।

 8 hours ago 

গ্রামের মেলা মানেই গরম গরম জিলাপি, পাকোড়া, ঝালমুড়ি মাখা, আচার ইত্যাদি খাওয়া দাওয়া হবেই! পেয়ারা মাখার ছবি দেখে এবং লেখা পড়ে তো লোভ লেগে গেলো। জিলাপি গুলো দেখেও একই অবস্থা।