ভালোবাসা রং বদলায় || শেষ পর্ব
"হ্যালো",
এরই মধ্যে তাদের ঘর আলো করে দুটো ছেলে সন্তানের জন্ম হয়েছে। বড় ছেলেটা ক্লাস নাইনে পড়ে। ছোট ছেলেটা ফাইভে পড়ে। এর মধ্যে রবিনের চাকরিটাও হয়ে যায়। রবিনের চাকরি হয়ে যাওয়ার পরেই রুপার জীবনে অন্ধকার নেমে আসে। ( চলবে)
দুইদিন আগে আমি একটি বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে গল্প শেয়ার করেছিলাম। আজকে সেই গল্পের শেষ পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করছি ভালো লাগবে।
রবিন চাকরি পাওয়ার পর থেকে তার আচরণের কিছু পরিবর্তন রূপা দেখতে পায়। সে বারবার রবিনকে বলে যে কেনো সে রুপার সাথে এমন করছে। তখন রবিন রুপাকে বোঝায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনেক চাপ যায় তাই হয়তো পরিবারকে সেভাবে সময় দিতে পারেন না। রুপাও সেটা ভেবেই চুপ করে থাকে। হঠাৎ একটি ঘটনা রুপার জীবনটা এলোমেলো করে দেয়। রবিনের এক কাছের বন্ধু রুপাকে বলে রবিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এক মহিলার সঙ্গে নতুন করে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছে।প্রথমে সে বিশ্বাসই করেনি।তাদের ভালোবাসার বিয়ে ছিল রবিন এটা কখনোই করতে পারে না। কিন্তু দিন দিন রবিনের আচরণের আরো পরিবর্তন হতে থাকে। রুপা একদিন রবিনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খবর নিয়ে দেখে ঘটনা সত্য।
এরপর যেনো রুপা আকাশ থেকে পড়ে। এরপর সে রবিনকে সবকিছু বললে রবিন অস্বীকার করে সবকিছু। তখন সে সব ঘটনা তার শশুর শাশুড়িকে খুলে বলে। এবার রুপার শশুর রবিনকে কঠোরভাবে বলে সে যদি ওই মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক রাখে তাহলে সব সম্পত্তি থেকে তাকে বঞ্চিত করবে। এরপর রুপা রবিনকে অনেক ভালোভাবে বুঝায় যে তাদের দুটো সন্তান আছে এমনটা যেন সে না করে যাতে করে তাদের সন্তান দুটো ভেসে বেড়ায়। রবিনও তার ভুল বুঝতে পারে এবং সেই বিপথগামী পথ থেকে ফিরে আসে।
এর পর থেকে বেশ সুখে শান্তিতে তাদের সংসার চলতে থাকে। আসলে মানুষের মনে কখন কি চলে বোঝা যায় না। হয়তো রবিন ভুলবশত এই সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল। তবে এটাও ঠিক সে সময় মত তার ভুল বুঝতে পেরেছে। তা না হলে অনেক অশান্তির ঝড় তাদের জীবনে নেমে আসত এবং হয়তো সেটা প্রতিনিয়ত চলতে থাকতো।
পরিশেষে এটা থেকে আমাদের একটা বিষয়ে শিক্ষা নিতে হবে সেটা হচ্ছে যে কোন প্রতিকূলতায় নিজেকে স্থির রাখতে হবে। অনেক কিছুর সুযোগ হয়তো আমাদের জীবনে আসতে পারে তবে সেটা থেকে কোনটা আমাদের গ্রহণ করা যাবে এবং কোনটা গ্রহণ করা যাবে না অবশ্যই সে দিকটা বিবেচনা করতে হবে।
যাইহোক বন্ধুরা আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন বিষয় নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
❤️আমার পরিচয়❤️
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভালোবাসার রং বদলায় গল্পটার আগের পর্ব আমার পড়া হয়েছে। আজকে শেষের পর্বটা পড়ে সত্যি খুবই ভালো লেগেছে। রুপার জীবনে অন্ধকার নেমে আসলেও ওইটা আবার আলোতে পরিণত হয়েছে দেখে অনেক ভালো লাগলো। এটা বুঝতে পারলাম রবিন ওই মহিলার সাথে ভুলবশত এরকম একটা সম্পর্কে জড়িয়েছে। কিন্তু রুপা এবং তার শশুর শাশুড়ি তাকে ভালোভাবে বোঝানোর পর সে বুঝতে পেরেছে দেখে অনেক ভালো লাগলো। এসব কিছুর থেকে দূরে এসে সুখে সংসার করতেছে। এরকম প্রতিকূল অবস্থা জীবনে আসলে অবশ্যই নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। আর এরকম কিছুতে না জড়ালেই ভালো।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া গঠনমূলক একটা মন্তব্য করার জন্য।