দীর্ঘদিন পর বাজারে গিয়ে স্বস্তি পেলাম
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। বলতে গেলে কয়েক বছর পর বাজারে গিয়ে একটু স্বস্তি পেলাম। আসলে এই উর্ধগতির বাজারে সবকিছু সামলিয়ে যেন হিমশিম খেতে হয় আমাদের মতো মধ্যবিও পরিবারের।সবজি থেকে শুরু করে প্রত্যেকটা দ্রব্যমূল্যের দাম অনেক বেশি ছিল। অনেক সময় অনেক পছন্দের জিনিস বাজার থেকে না কিনেই ফিরেছি। আজ গিয়েছিলাম শহরে বাজার করতে। ২৭ শে ডিসেম্বর শুক্রবার আমার বাসায় একটি মিলাদের আয়োজন করেছি। আমার ছোট ভাই যাকে আমি ১৪ বছর আগে হারিয়ে ফেলেছি তার মৃত্যুবার্ষিকী ছিল নভেম্বর ১ তারিখে ।
এই সময় বাড়ি ভাঙ্গা হয়েছিল তাই মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়নি। যদিও আমার বাবা প্রত্যেক বছরই আমার ভাইয়ের জন্য দোয়ার ব্যবস্থা করে থাকেন। এবার ভাবলাম যেহেতু আমি নতুন বাড়ি করেছি সাথে আমার ভাইয়ের মৃত্যুবার্ষিকী তাই সব মিলিয়ে একটুও বড় করে আয়োজন করব। আত্মীয়-স্বজনকে একবেলা খাওয়াবো। যেহেতু অনেকগুলো বাজার ছিল আপনাদের ভাইয়া আবার বাজারে যেতে খুব একটা স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন না তাই আমি আমার বাবা-মায়ের সাথে বাজারে গিয়েছিলাম। বাবুকে অবশ্য তার বাবা রেখেছিল কাছে আমার ছোট বোন ছিল বাসায় তাই কোনো সমস্যা হয়নি।
যাইহোক প্রথমে আমি সোজা চলে গিয়েছিলাম পাইকারি বাজারে। যেখান থেকে আমি সব প্রকার সবজি কিনেছি।দাম শুনে অনেকটাই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললাম। কিছুদিন আগেও যে বাজারগুলোর দাম অনেক বেশি ছিল সেগুলো প্রায়ই তিন ভাগের দুই ভাগই কমে গিয়েছে। যেমন কিছুদিন আগে আমি নতুন আলো কিনেছিলাম ১২০ টাকা কেজি আজ আমি আলু কিনেছি ৪০ টাকা কেজি।যাইহোক এমন প্রত্যেকটা সবজি দামেই কমে গিয়েছে। আস্তে আস্তে সব বাজারের দাম নিয়ন্ত্রণে আসুক এমনটাই চাওয়া।
যেহেতু শীতকাল বাসায় মেহমানদের জন্য পিঠা বানানো হবে তাই আমি বেশ কিছু আখের গুড় এবং খেজুরের গুড় কিনেছিলাম। খেজুরের গুড় দাম নিয়েছিল ৩২০ টাকা কেজি। আর আখের গুড় গুলোর দাম নিয়েছিল ৭০ টাকা পিস। এরপর গিয়েছিলাম তেল এবং মশলা কিনতে। সেখান থেকে যিনি রান্না করবেন উনি একটা তালিকা করে দিয়েছিলাম সেটা অনুযায়ী মশলা বাজার করেছিলাম। গ্রামের যে কোনো অনুষ্ঠান মানেই খাবার শেষে পান সুপারি। তাইতো বেশ কিছু পান সুপারি কিনেছি। এবার মাছ-মাংস কিনেছি।
অনেকদিন পর মনে হয় নিজের পছন্দমত অনেকগুলো সবজি কিনেছি। কারণ সবজি খেতে আমার বেশ ভালো লাগে। তবে এতদিন দাম বেশি হওয়ায় অল্প পরিমাণে কিনেছি।আমার মত আপনারাও বাজারে গিয়ে স্বস্তি পেয়েছেন কিনা জানাবেন আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি দেখা হবে পরবর্তীতে। আর হ্যাঁ এই অনুষ্ঠানে আপনাদের সবার দাওয়াত রইল আমার বাড়িতে। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
❤️আমার পরিচয়❤️
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/HiraHabiba67428/status/1871616893439922572?s=19
আপনার ছোট ভাই এর বিষয় টি আমার জানা ছিলো না আপু। আপনার ভাইয়ের আত্মার শান্তি কামনা করি। তবে এটি ঠিক যে বাজারে এখন আগের চেয়ে বেশ স্বস্তির হাওয়া বইছে! গ্রামের চেয়ে ঢাকায় যদিও দাম এখনো বেশি, সেটিই স্বাভাবিক। যেমন গতকাল নতুন আলু কিনা হলো ৭০ টাকা কেজি করে।
ছোট ভাইয়ের কথা কখনো সেভাবে শেয়ার করা হয়নি আপু। অবশ্যই একদিন সময় করে পুরো ঘটনা শেয়ার করব। তবে সত্যিই বাজারে স্বস্তির হওয়া বইছে।সবজির দাম অনেকটাই কমে গিয়েছে। আলু গ্রামে ৪০ টাকা কেজি।
প্রথমেই খারাপ লাগলো আপনার ভাইয়ের মৃত্যুর খবরটা শুনে। উপর ওয়ালা তাকে বেহেশত নসিব করুন। মিলাদের আয়োজন করছেন জেনে ভীষণ ভালো লাগলো। ভাই বাজারে না গেলেও আপনি বেশ দক্ষতার সাথে সবকিছু কিনে ফেলেছেন দেখলাম। যাইহোক বাজারে সবজির দাম কমেছে তাই সত্যিই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলা যাচ্ছে। আপনাদের আয়োজন সুন্দর হোক এই কামনা করি।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ঠিক বলেছেন একটু হলেও সস্তি মিলেছে কাঁচা বাজারে।আসলে শীতকালীন সবজি এখন অনেক ডাই এরকম।আমাদের এলাকায় অবশ্য ৫০ টাকা কেজি আলু তবে ফুলকপি দশ টাকা পিস মাত্র।এক পিস ফুলকপি এক কেজি আর কিছু দিন আগেও এককেজি কপি কিনতে ৮০ থেকে একশো টাকা গুনতে হয়েছিলো।আপনার ভাইয়ের আত্নার শান্তিকামনা করছি। প্রতিবছর মিলাদ দেন জেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ পোস্ট টি ভাগ করে নেয়ার জন্য।
আমাদের এখানে আলু চল্লিশ টাকা এবং ১০ টাকায় দু থেকে তিনটি করে ফুলকপি দিচ্ছে। যাইহোক ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
বাজারে গিয়ে যদি দেখা হয় দাম কিছুটা কমেছে তাহলে আসলেই স্বস্তি লাগে। বর্তমান সময়ে সব কিছুর দাম অনেক বেশি। অনেক কেনাকাটা করেছেন দেখছি মেহমানদের জন্য। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালো লাগলো। আপনাকে ধন্যবাদ আপু সুন্দর এই ফটোগ্রাফি গুলো এবং মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য।
বাজারে গিয়ে দেখলাম অনেক কিছুর দামই কমে গিয়েছে। বিশেষ করে সবজির দাম অনেকটা কমে গিয়েছে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
পাকা টমেটো ছাড়া প্রায় প্রতিটি সবজির দাম অনেক কমেছে। এখন সবজি কিনতে গেলে অনেকটাই স্বস্তি পাওয়া যায়। যাইহোক আপনার ছোট ভাইয়ের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে অনেক কিছুই কিনেছেন দেখছি। আশা করি সবাই বেশ তৃপ্তি সহকারে খাবার খেতে পেরেছে। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আগে তো চাইলেও পছন্দের জিনিস খুব অল্প করে কিনতে হতো বা অনেক সময় কিন্তু এই পারতাম না। দাম কমে যাওয়াতে বেশ অনেকটা করে কেনা হচ্ছে।শীতের সব সবজি আমার খুব পছন্দের। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আসলে আপু 14 বছর আগে আপনার ছোট ভাই মারা গেছে সেটা জানতাম না। তার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করি। এখন বাজারে সবকিছুর দাম অনেক কম। আর এখন বাজারে গেলে সবকিছু কিনা যায়। তবে এটি ঠিক বলেছেন আগে নতুন আলু এক কেজি ১২০ টাকা ছিল। এখন সে আলু ৪০ টাকা করে পাওয়া যাচ্ছে। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি দেখে।
কয়েকদিন আগে যখন প্রথম বার নতুন আলু কিনেছিলাম তখন আমি ১২০ টাকা কেজি কিনেছি আপু। এখন সেই আলু ৪০ টাকা কেজি ভাবা যায়। যাইহোক এখন অন্তত সর্বস্তরের মানুষের স্বস্তি মিলেছে এটাই অনেক। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
অনেকদিন হলো ঐভাবে বাজারে যাওয়া হয় না। এইজন্যই সবজির দাম সম্পর্কে কোন ধারণা নেই। তবে এতটুকু জানতাম সবকিছুর দাম নাকী উর্ধগতি। তবে আপনার পোস্ট টা দেখে ভালো লাগল। যাক অবশেষে নিত্যপণ্যের দাম কমতে শুরু করেছে। এখন এটা শুধু একটা নির্দিষ্ট পর্যায়ে থাকলেই হয়। ধন্যবাদ আপু আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
হ্যাঁ ভাইয়া সকল প্রকার সবজির দাম অনেকটাই কমে গিয়েছে। এখন এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলেই হয়। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।