মা-বাবা সন্তানের উপর ভরসা। প্রথম পর্ব

হ্যালো বন্ধুরা,

সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করব। আশা করবো গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে। আমাদের চারপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার অনেক বিষয় রয়েছে। এজন্য এই সকল বিষয়গুলো আপনাদের শেয়ার করলে আপনারাও অনেক কিছু শিখতে পারবেন। এমনকি অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে অবগত হবেন। এইজন্য আমি চেষ্টা করি বিভিন্ন বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। এখন মানুষের আসলে ভরসা নেই। একেকজন একেক ধরনের, এবং একেক জন একেক ধরনের মানসিকতার।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব সন্তানের উপর মা বাবা ভরসা। তবে কিছু কিছু সন্তান আছে মা-বাবাকে অনেক কষ্ট দেয়। আর তারা ভুলে যায় মা-বাবা তাদেরকে অনেক কষ্ট করে ছোট থেকে বড় করেছে। কিছু কিছু সন্তান আছে মা-বাবার গায়ে পর্যন্ত হাত তুলে। তারা সবাই সামনে মা-বাবাকে অপমান করে। তারা মনে করে মা-বাবা তাদের কাছে বোঝা। আর মা-বাবা সন্তানের সুখের জন্য অনেক কিছু করে। এবং লাস্ট পর্যন্ত যখন বয়স হয়ে যায় তখন সন্তানের কাছে মা-বাবা আশ্রয় চাই। আর ওই সময় সন্তানগুলো মা-বাবাকে ঠিকমতো দেখাশোনা করে না। এবং সন্তানের অত্যাচারে মা বাবা অনেক সময় দুনিয়া থেকে চলে যায়।

আমার দুলাভাইদের বাড়ির একটি ঘটনা। আমার দুলাভাইয়ের মেজো ভাই তার দুটি ছেলে এবং দুটি মেয়ে আছে। তবে ছোটকাল থেকে সেই অনেক কষ্ট করে ছেলে দুইজনকে এবং মেয়ে দুজনকে মানুষ করেছে। মেয়ে দুইজনকে সে ভালো জায়গা দিয়ে দিলেন। লোকটি পরিশ্রমের মাধ্যমে কিন্তু অনেক দূর এগিয়ে গেলেন। ছেলেদের জন্য বাড়ি করেছে এবং দুটো ছেলেকে দুটি ব্যবসা ধরিয়ে দিলেন বড় বড়। বড় ছেলের নাম হচ্ছে কাউসার । তাকে বড় একটি মুদি দোকান ধরিয়ে দিল।। আর ছোট ছেলেকে সে মোরগের ব্যবসা ধরিয়ে দিলেন। যদিও এগুলো আগে সেই নিজে করেছেন। এবং বয়স হয়ে যাওয়ার পর ছেলে দুইজনকে দুটি ব্যবসা দিলেন।

এবং সে বাড়িঘর ছেলে দুইজনের আলাদা আলাদা করে দিলেন। এবং ছেলে দুটির ঘর হচ্ছে বিল্ডিং। তবে বড় ছেলে এবং ছোট ছেলে অত্যাচারে তারা কিন্তু এখন অতিষ্ঠ। তবে তারা দুইজন ১৫ দিন এক ছেলের কাছে খাওয়া-দাওয়া করে আর ১৫ দিন অন্য ছেলের কাছে খাওয়া-দাওয়া করে। আর বড় ছেলের ঘরে যে সময় খাওয়া-দাওয়া করতে আসে তখন বড় ছেলের ওয়াইফ আজেবাজে কথা বলে। আর ওই কথাগুলো শুনে বড় ছেলে কাউসার তার বাবার গায়ে হাত তুলে। এবং সারাক্ষণ মা-বাবার সাথে ব্যবহার খারাপ করে। তারপরে খাওয়া দাওয়া করতে আসলে মা-বাবা মনে হয় আজব কোন জায়গায় আসলো।

আর মা-বাবা বড় ছেলের ঘরে খাওয়া দাওয়া করতে চাই না। তবে ছোট ছেলে মা-বাবাকে অনেক যত্ন করে। সেই সব সময় মা-বাবাকে অনেক খেয়াল রাখে। কিছুদিন আগে বড় ছেলে বাবার সাথে অনেক ঝগড়া লেগে গেল। কারণ বাবা একদিকে বয়স্ক অন্যদিকে একটু অসুস্থ। এক পর্যায়ে সেই বাবার গায়ে হাত তুললেন এবং বাবাকে সবার সামনে অপমান করলেন। বাবা লজ্জায় সবার সামনে কান্নাকাটি করতে লাগলো। ওই সময় আমি নিজেও ওই জায়গাতে উপস্থিত ছিলাম। আসলে লোকটির মুখের দিকে তাকিয়ে আমি নিজেও হতবাক হয়ে গেলাম। কারণ বয়স্ক বাবার সাথে সেই রকম ব্যবহার করেছে।

আর ও বিগত পাঁচ ছয় মাস আগে কাউসার তার মায়ের গায়ে হাত তুললেন। এবং তাকে বউয়ের সামনে অপমান করলেন। আর মহিলাটি রাত্রেবেলা অসুস্থ হয়ে গেলেন। পরবর্তীতে তাকে ঢাকা হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করালেন। ছোট ছেলে এবং মেয়ে দুজনে ওই সময় চিকিৎসার পয়সা দিলেন। বর্তমান পর্যন্ত তার মা এখনো সুস্থ হয় নাই এবং মুখে কথা বলতে পারে না। বড় ছেলে অত্যাচারে মা আজকে এই অবস্থায় চলে আসলো। এবং বাড়ির কেউ যদি কাউসার এর লগে কথা বলে এবং বুঝানোর চেষ্টা করে। সাথে সাথে বড় ছেলে কাউসার ওই লোকের সাথে ব্যবহার খারাপ করে আজেবাজে কথা বলে।