গল্প :- একজন দুখিনী মা। (শেষ পর্ব)
ক্যানভা দিয়ে তৈরি,
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করব। আশা করবো গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে। আমাদের চারপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার অনেক বিষয় রয়েছে। এজন্য এই সকল বিষয়গুলো আপনাদের শেয়ার করলে আপনারাও অনেক কিছু শিখতে পারবেন। এমনকি অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে অবগত হবেন। এইজন্য আমি চেষ্টা করি বিভিন্ন বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। এখন মানুষের আসলে ভরসা নেই। একেকজন একেক ধরনের, এবং একেক জন একেক ধরনের মানসিকতার। আজকে আমি বাস্তব গল্পের শেষ পর্বটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। কিছুদিন আগে আমি প্রথম পর্ব শেয়ার করেছিলাম। তবে বাস্তব গল্পটি পড়ে আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
যদিও মোশারফ এর ওয়াইফের পরিবারের একদম দুর্বল ছিল। শুধু মেয়ের কারণে তারা মোশারফকে ওই জায়গাতে বিয়ে করালেন। এবং মোশারফ এর শ্বশুর বাড়িতে তারা দুই বোনই ছিলেন কোন ভাই ছিল না। কিছু মাস যাওয়ার পর মোশারফ এর শালীর সাথে সুমনের প্রেম হয়ে গেল। এবং হঠাৎ করে একদিন সুমন মোশারফ এর শালিকে চুরি করে বিয়ে করে ফেলেছেন। এরপর দুই বোন একই পরিবারের আসলেন। এবং দুই বোন একই পরিবারে এসে মোশারফ এর মায়ের পিছনে লাগলেন। এবং সারাক্ষণ তাদের স্বামীর কাছে তার মায়ের বদনামি করেন।
তবে মোশারফ এবং সুমন সত্য মিথ্যা যাচাই করতেন না। ছেলে দুটি মায়ের কথা শুনে না। তাদের ওয়াইফের কথা শুনে। এবং অনেক সময় মোশারফ এবং সুমন মায়ের সাথে খারাপ ব্যবহার করতেন। একপর্যায়ে মোশারফ এর ওয়াইফ এবং সুমনের ওয়াইফ বলতেছে তার মায়ের সাথে তারা থাকবে না। তাদের ওয়াইফ বলতেছে তার মা বাড়িতে থাকলে তারা বাসায় চলে যাবে। এদিকে ছেলে দুটি ডাকাতে বাসা নিয়ে তাদের ওয়াইফকে নিয়ে চলে গেলেন। যাওয়ার সময় তার মায়ের কথা অনেক বদনামি করলেন বাড়ির লোকদের কাছে।
তবে মোশারফ এবং সুমনকে এত কষ্ট করে তার মা লেখাপড়া করিয়ে মানুষ করলেন এই কথাগুলো হয়তোবা তারা ভুলে গেলেন। এবং ঢাকাতে তাদের ওয়াইফ কে নিয়ে চলে গেলেন। এবং ওখানে তারা সরকারি চাকরি করেন। বাড়িতে একজন মা আছে তাদের তারা কখনো তার খোঁজখবর নেয় না। এবং তাদের জন্য দুঃখিনী মা পথ চেয়ে বসে থাকে। কখন তার ছেলে গুলো বাড়িতে আসবে। অথচ মোশারফ এবং সুমন সরকারি ছুটি থাকলে শ্বশুর বাড়িতে এসে থাকে। আর বাড়িতে কখনো আসে না মায়ের খরচের টাকাও দেয় না। কিছুদিন আগে মশারফ এবং সুমনের শাশুড়ি বাড়িতে একলা এই কারণে ঢাকায় বাসায় নিয়ে গেলেন। কারণ তাদের শাশুড়িকে দেখার কেউ নেই।
আমার মোশারফ এর শ্বশুর অনেক আগে মারা গেল। অথচ তাদের বয়স্ক মা তার দেখাশোনা করার কেউ নেই। এবং এই বয়সে মোশারফ এবং সুমনের মা অন্যের সাহায্য নিয়ে চলে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে দুটি ছেলে সরকারি চাকরি করে তারপরও মায়ের খোঁজ নেয় না। এবং কেউ যদি জিজ্ঞেস করে তোমার মায়ের কি খবর। তখন বলে মহিলাটির খবর আমরা জানি না। অথচ এত কষ্ট করে তাদেরকে মানুষ করলো। তারা মা পর্যন্ত বলে না। কিছুদিন আগে মোশারফ এবং সুমনের মা বলতেছে তার ওষুধ এবং খাওয়া-দাওয়ার কোন টাকা পয়সা নেই।
যদি ছেলেরা কিছু টাকা দিত তাহলে সে ডাক্তার দেখাতে এবং কিছু বাজার করতেন। কিন্তু ছেলের দুইজন বলেছে বয়স্ক মহিলাটির জন্য একটি টাকা দেবে না। এবং মা পর্যন্ত বলতেছে না। আসলে তাদের মা বিয়ের পর থেকে কোন না কোন কারণে সুখ পায় নাই। ছেলে দুটি প্রতিষ্ঠিত হলে মা সুখী হবে। আর ছেলে দুটি বিয়ের পর মায়ের কপালে তো সুখ নেই ভাত পর্যন্ত জুটতেছে না। এখন বাড়ির অনেক লোক মহিলাটিকে বলে যে ছেলেদের জন্য এত কিছু করলে আজ একলা ঘরে তোমাকে রেখে তারা ঢাকায় থাকে। এই কথাগুলো শুনলে মশারফ এবং সুমনের মা সত্যি অনেক কান্নাকাটি করে। এই হচ্ছে একজন দুঃখিনী মায়ের গল্প।
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
https://x.com/Jamal7183151345/status/1859523325703356756?t=fnuZjcNMnoP9AHekMK_UCA&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
অনেক পরিবারে দেখা যায় পরিবারের মা-বাবা অনেক কষ্ট করে ছেলেদের মানুষ করে। আর বিয়ে করার পর ছেলেগুলো একদম পরিবর্তন হয়ে যায়। তবে আপনার গল্পের মানুষ গুলো একই অবস্থা। মোশারফ এবং সুমন দুইজন বিয়ে করার পর মা-বাবা থেকে দূরে চলে গেল। সত্যি গল্পের শেষ পর্বটি পড়ে আমার কাছে খুব খারাপ লাগলো।।
আমার পোস্টটি পড়ে গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।