ভ্রমণ :- নদীর ধারে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত।

in আমার বাংলা ব্লগ15 days ago

হ্যালো বন্ধুরা,

সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি ভ্রমণ কাহিনী শেয়ার করবো। আসলে ঘুরতে যেতে কমবেশি আমরা সবাই পছন্দ করি। আর আমি মনে করি মাঝেমধ্যে ঘুরতে গেলে মন ফ্রেশ থাকে। সেই জন্য আমি চেষ্টা করি কাজের ফাঁকে মাঝেমধ্যে ঘুরতে যাওয়ার। তেমনি আজকেও আপনাদের সাথে ঘুরতে যাওয়ার কিছুটা মুহূর্ত শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।

IMG_20251209_165945.jpg

আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব কিছুদিন আগে নদীর ধারে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত। মূলত ঐদিন আমি বিকেল বেলা চাচাতো ভাইকে নিয়ে নদীর ধারে ঘুরতে যাব ঠিক করলাম। আমার চাচাতো ভাই বিদেশ থেকে আসলেন অনেকদিন সেই ঘুরতে যাওয়ার মত কোন লোক নেই তার সাথে। এই কারণে দুপুরবেলা বলতে লাগলো বিকেল বেলা একটু ঘুরতে বাইর হবে। আর আমার এই চাচাতো ভাই ছোটকাল থেকে পরিবারের সাথে আমেরিকায় থাকে। আর এই কারণে মাঝেমধ্যে দেশে আসলে ঘুরাঘুরি করার জন্য চেষ্টা করে। আর বিকেল বেলা যখন আমরা ঘুরতে যাব তখন চাচাতো ভাই একজন সাথে যাবে ঠিক করেছেন।

IMG_20251209_165816.jpg

যদিও সে বয়সে আমাদের অনেক বড়। আর যখন আমরা যাওয়ার জন্য রওনা দিলাম তখন আমার মেয়ে দেখে সেও বাহানা ধরেছে আমাদের সাথে ঘুরতে যাবে। আর যখন তাকে নেব না তখন সে অনেক কান্নাকাটি করতে লাগলো। কারণ আমার মেয়ে এখন সব কথা বুঝে এবং কথাগুলো উত্তর দেয়। আর ওই সময় আমার চাচাতো ভাই বলতে লাগলো তাকেও সাথে নেওয়ার জন্য। যদিও আমাদের প্রথম টার্গেট ছিল অনেক দূর পর্যন্ত ঘুরতে যাব। পরবর্তীতে মেয়েকে নেওয়ার কারণে তেমন দূরে আমরা ঘুরতে যাই নাই। আমাদের বাড়ি থেকে একটু দূরে চেয়ারম্যান ঘাট একটি নদী এলাকা আছে। আর ওই জায়গাটি খুব সুন্দর।

IMG_20251209_165814.jpg

কারণ ওই জায়গার দুই পাশে কিন্তু বড় চর আছে। আর রাস্তার দুই পাশে ঝাউ গাছ। এবং নদী প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতেও কিন্তু অন্যরকম লাগে। যদিও আমরা কথা বলতে বলতে হেঁটে হেঁটে চেয়ারম্যান ঘাট গেলাম। আর চেয়ারম্যান ঘাট এর সাইনবোর্ড এর সামনে যখন গেলাম তখন আমি ফটোগ্রাফি করেছিলাম। আর সাইনবোর্ড থেকে একটু সামনে গেলে নদী। আর নদীর পাশে আগে কিন্তু বিভিন্ন ধরনের গাছ ছিল সরকারি। এখন বন্যার পানি ও লবন পানির কারণে গাছগুলো নষ্ট হয়ে গেল। তবে দূরদূরান্ত থেকে অনেক মানুষ আসে এইখানে ঘুরাঘুরি করার জন্য। কারণ এইখানে নদীর সৌন্দর্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মানুষকে এমনিতে মুগ্ধ করে।

IMG_20251209_165810.jpg

তবে আমার মেয়ে কিন্তু ঘুরতে গিয়ে অনেক খুশি হয়েছে। যদিও সেই দুষ্টামি অনেক করে তারপরও সে অনেক খুশি হল ঘুরতে গিয়ে। আর চাচাতো ভাই বলতে লাগলো অনেক দিন পর এইখানে আসার কারণে তার কাছে ভালো লাগলো। কারণ ঘুরাঘুরি করার মজাই আলাদা। আর ঐদিন কিন্তু আমরা অনেকক্ষণ পর্যন্ত নদীর ধারে ছিলাম। যদিও আমাদের গ্রাম অঞ্চলে অনেক ঠান্ডা নদীর পাশে গেলে তা আরো বেশি ঠান্ডা লাগে। কারণ নদীর পাশে গেলে তখন আবহাওয়া খুব ঠান্ডা লাগে। আগে কিন্তু এই নদীতে অনেক মাছ পাওয়া যেত। আর এখন লবণ পানি এবং জোয়ারের কারণে সাগরের মাছগুলো পাওয়া যায় কম।

IMG_20251209_165629.jpg

আর কিন্তু আগে নদীতে ছোট ছোট নৌকা গুলো চলতো মানুষ ঘোরাঘুরি করার কারণে। আর এখন জোয়ারের পানির কারণে তেমন নৌকা গুলো চলে না মানুষও তেমন নদীতে ভ্রমণ করে না। তারপরও কিন্তু বিকেল বেলা কমবেশি অনেক মানুষ দেখা যায় এইখানে ঘুরতে আছে। সত্যি বলতো ঐদিন মেয়েকে নিয়ে ঘুরতে গিয়ে আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো। আর চাচাতো ভাই বিদেশ থেকে আসলেন বিদায় সবাই একসাথে অনেকক্ষণ ঘুরাঘুরি করলাম নদীর ধারে চেয়ারম্যান ঘাট এর সামনে। আর গ্রামাঞ্চলে এমনিতে ঘুরাঘুরি মজাই আলাদা। কারণ গ্রাম অঞ্চলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। আশা করি আমার এই পোস্ট দেখে আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।

IMG_20251209_165624.jpg

IMG_20251209_170158.jpg

IMG_20251209_170009.jpg

IMG_20251209_170003.jpg

IMG_20251209_165937.jpg

IMG_20251209_165930.jpg

IMG_20251209_165913.jpg

IMG_20251209_170202.jpg

IMG_20251209_165947.jpg

device : Huawei

লোকেশন

আমার পরিচয়

IMG_20221006_094439.jpg

আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
35FHZ8gBpndbrF88KC8i6DmfoqNdVfSnhzJshZCJksDJs27YpCCUjp1oaP6ko3mLJbQtLE76ZKc5r3aFXKh8EK2Xg2XbxHP97436Dksrat...K3RRDcGvdyC6bx3TE39Zctd2ho1pJ1hm9nj6RC6gfhhSEVDEf6zHmiqsgBwDTEDG8onxfxrWKe5ZMmiwAvtnX6XvsCqykCT5aFqMFBq2wcdKNs74j1RgTuza3g.png

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjde9gvbjDSDFUe2t87sHycAo9yh4cXNBQ2uKuZLC2jPzA8Qx5HRSqkJDxCm2F1P...XMCuWWrUK8WEzc1spvbtGymKcxp9cSaiY7YD7nmGv2yy3TJjQK1R5Bx6mMsJqHLdPZ4gBXB1M3ZGWR3ESWZxh8hd9tvb68pfdL8xHrioiqDnHuRUqd8FYt5aog.png

ধন্যবাদ সবাইকে

Screenshot_20241121_144146.jpg

Sort:  
Loading...

Congratulations!

Your post has been manually upvoted by the SteemPro team! 🚀

upvoted.png

This is an automated message.

💪 Let's strengthen the Steem ecosystem together!

🟩 Vote for witness faisalamin

https://steemitwallet.com/~witnesses
https://www.steempro.com/witnesses#faisalamin

 15 days ago 

IMG_20251212_003726.jpg