লাইফস্টাইল: ডাঃ হামজা ভাইয়ের বিয়ের পূর্ব প্রস্তুতি
কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম আমাদের প্রিয় খালাতো ডাক্তার ভাইয়ের বিবাহ উপলক্ষে আমার অনুভূতিমূলক পোস্ট। আমি বেশ কিছু পর্বে নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছিলাম। এখনো বিবাহর বিস্তারিত অনুভূতি শেয়ার করার জন্য প্রস্তুত রয়েছি। আজকের শেয়ার করব আমরা ভাইয়ার বাসা বাড়ি দেখার অনুভূতি।
হামজা ভাইয়ার বিয়ের কেনাকাটা শেষ করলাম। বিয়ের কেনাকাটা শেষ করার পর কথা ছিল এই সমস্ত জিনিসগুলো আমাদের বাসায় রাখবেন। তখন আমি বললাম এ সমস্ত জিনিসগুলো আমার বাসায় রেখে তো লাভ নেই বরঞ্চ গেস্ট যেহেতু আপনার বাসাতে যাবে তখন আপনি সেখান থেকে গেস্টের হাতে দিয়ে দিতে পারবেন, এটাই বেটার হবে। তখন সবাই সম্মতি দিল হ্যাঁ হামজা ভাইয়ার নতুন বাসাতে এগুলো রাখলেই ভালো হয়। তাই আমরা টাকা পরিশোধ করে সিদ্ধান্ত নিলাম বামুন্দি বাজার থেকে সোজা চলে যাব গাংনী অতিক্রম করে সাহারবাটি নামক ভাইয়ের সে হসপিটালে। যেমন চিন্তা ঠিক তেমনি কাজ। আমরা একবারের সবাই মোটরসাইকেল নিয়ে রওনা দিলাম দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়ার জন্য। বামুন্দি বাজার থেকে এই জায়গাটা প্রায় 20 কিলোর বেশি দূরে। তা আমরা মোটরসাইকেল বলেই চলে আসতে পারলাম এবং আমার খুব ইচ্ছে ছিল ভাইয়ার এই বাসা দেখার।
ভাইয়া বলেছিল সে নিজে নিজেই বাসা সুন্দরভাবে পরিপাটি করছে গুছাচ্ছে। এমনকি সে মোবাইলে ফটো ধারণ করে আমাকে দেখিয়েছিল কেমন সুন্দরভাবে গোছালোর কাজ করা হয়েছে। তাই আমার দেখার খুব ইচ্ছা ছিল ভাইয়ার বাসাটা,তার বিয়ের আগে দেখার সুযোগ হয়ে গেল। উপস্থিত হয়ে গেটের মধ্যে প্রবেশ করে লক্ষ্য করেছিলাম একটি টগর ফুল গাছে বেশ কয়েকটা টগর ফুল ফুটে রয়েছে। এরপর ধীরে ধীরে দুতলায় উঠে চলে গেলাম সবাই। উঠে দেখলাম ভাইয়া কত সুন্দর করে ডাইনিং, বেডরুম, ওয়াশরুম, বারান্দা সহ টেবিল গুছিয়েছে। ডাইনিং টেবিল এর উপরে বেশ চমৎকার আর্টিফিশিয়াল গোলাপ ফুল। টেবিলটা গ্লাস দিয়ে তৈরি। উনি বললেন বাসার জিনিস বেশ কিছু রয়েছে, আবার নিজে থেকে তিনি কিনে সাজিয়েছেন।
তখন আমার কাছে বারবার মনে হচ্ছিল যে মেয়েটার সাথে ভাইয়ার বিয়ে হচ্ছে তার বেশ ভাগ্য হবে। কারণ ভাইয়া এমনিতেই অনেক ভালো মানুষ। এরপরে সে তার বাসাটা এত সুন্দর ভাবে গুছিয়েছে দেখেই যেন মন জুড়িয়ে যেতে লাগল সবার। একদিকে সোফা যেমন সুন্দর করে সাজিয়েছেন তিনি। আরেক দিকে ঘরের প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো। প্রত্যেকটা জানালা দরজায় তিনি পদা দিয়েছেন। এছাড়াও বেডগুলো চমৎকারভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে তুলেছেন। ঘরের মধ্যে কোন প্রকার বাড়তি জিনিস লক্ষ্য করলাম না। একটা মেয়ের যে সমস্ত জিনিসগুলো প্রয়োজন। একটা সংসারে যেমন জিনিস প্রয়োজন। যেমন গোছানো প্রয়োজন সবকিছুই তিনি গোছগাছ করে নিয়েছেন।
তার পাশের বাসায় থাকা মানুষেরা সহযোগিতা করেছেন। এবং কয়েকজন মানুষের সহযোগিতা নিয়ে এভাবে তিনি পরিপাটি করেছেন। প্রথমে কথা ছিল আমরা সবাই মিলে সুন্দরভাবে গোছগাছ করে দিব। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা গেছে আমাদের দূর থেকে এসে ভাইয়ার বাসা পরিপাটি করে দেওয়াটা একটু ঝামেলার বিষয় আছে। তাই ভাইয়া বুদ্ধি করে তার নিজের লোকজন দিয়ে এভাবে পরিপাটি করে নিয়েছে। আসলে বিয়ে বলে কথা। ছেলেদের কতই টেনশন। ভাইয়ার এত সুন্দর গোজগাছ দেখে সবাই মুগ্ধ হলাম। বাসাটা দোতলার উপরে হওয়ায় বাইরের পরিবেশ খুব ভালোভাবেই উপলব্ধি করা যাচ্ছিল। বাইরের পরিবেশ উপর থেকে সুন্দর ভাবে দেখা যায় এমনকি গেটে কারা কখন আসে সেগুলো দেখা যাবে। মেন বিষয় হচ্ছে সারা দিনে অনেক মানুষ হসপিটালে আসা-যাওয়া করে। হসপিটালটা গ্রামের একটু সাইডে হলেও এখানে মনোরম পরিবেশ। আর এভাবেই কেনাকাটা শেষে ভাইয়ার জিনিস বাসায় রাখতে এসে, ভাইয়ার বাসাটা ফটো ধারণ করলাম। কিছুটা সময় অবস্থান করলাম আমরা সবাই। এরপর ভাইয়া আমদের সাথে আমাদের বাসায় আসলে। আর এভাবেই অনেক আনন্দের একটা দিন পার করেছিলাম আমরা।
সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
বিষয় | হামজা ভাইয়ের বিয়ে |
---|---|
What3words Location | Gangni-Meherpur |
মোবাইল | Infinix Hot 11s |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
ব্লগার | আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি |
আমার পরিচয়
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর নার্সিং কোর্স করে বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
x-promotion
আজকের কাজ কমপ্লিট
সত্যিই মেয়েটি অনেক ভাগ্যবতী৷ তায়ার আগমন হেতু আপনার ভাইয়া নিজের ঘর সাজিয়েছেন, আর তা বেশ সুন্দর করেই৷ ডাইনিং টেবিলের ডিজাইন খুব সুন্দ্র হয়েছে৷ জায়গায় জায়গায় আর্টিফিশিয়াল ফুল রাখার কারণে আরওই ভালো লাগে৷
যে ছেলেটা এত পরিপাটি করে সংসার সাজায় তার বউ সত্যিই ভাগ্যবতী। বেশ সুন্দর করে সাজিয়েছি সংসারটি। আর এই ফুলগুলো রাখার পর ঘরের সৌন্দর্য অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। ভালো লাগলো আপু আপনার ব্লগটি পড়ে।