এডমিশন উপলক্ষে ভার্সিটির রূপের পরিবর্তন

in আমার বাংলা ব্লগ25 days ago

আজ--১৫ বৈশাখ| ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রবিবার | গ্রীষ্মকাল |



আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।


আজ আমি আপনাদের মাঝে আমার ভার্সিটির নতুন এডমিশন উপলক্ষে ভার্সিটিটাকে কতটা সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে এই ব্যাপারটা নিয়েই নতুন একটা পোস্ট শেয়ার করব। আশা করছি আপনাদের সবার ভালো লাগবে।



  • প্রিয় কমিউনিটি,আমার বাংলা ব্লগ
  • এডমিশন উপলক্ষে ভার্সিটির রূপের পরিবর্তন।
  • আজ--১৫বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  • রবিবার


তো চলুন শুরু করা যাক...!


শুভ দুপুর সবাইকে......!!


Picsart_24-04-27_23-07-41-525.jpg

কভার ফটো তৈরিতে--@jibon47



ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রত্যেক সপ্তাহেই কোনো না কোনো একটা অনুষ্ঠান থেকেই যায়। যদিও এই ব্যাপারটা আগে খুব একটা বেশি যারা ছিল না তবে ভার্সিটিতে ভর্তি হবার পর থেকেই এই ব্যাপারটা গভীরভাবে পরিলক্ষিত করতে পারছি যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সপ্তাহে দু একদিন কোন না কোন ডিপার্টমেন্টের ছেলেমেয়েরা কোন না কোন অনুষ্ঠান নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মাতিয়ে রাখে। এই ব্যাপারটা আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে কারণ বিশ্ববিদ্যালয় লাইফটা যদি একটু ইনজয় করতে না পারি তাহলে আর কি হয় আপনারাই বলুন..!! ভার্সিটিতে ভর্তি হবার পর থেকেই দেখছি সপ্তাহে দু একদিন অনুষ্ঠান থাকার কারণে ভার্সিটি থেকে খুবই চমৎকারভাবে ফুল এবং বেলুন দিয়ে চমৎকারভাবে সাজানো হয়। এবারও ভার্সিটি টা খুবই চমৎকারভাবে সাজানো হয়েছে তবে এবার কোন অনুষ্ঠানের জন্য নয়। এবারের ভার্সিটিটা সাজানো হয়েছে নতুন এডমিশন উপলক্ষে। যেহেতু গ্রীষ্মকাল চলে এসেছে আর আমাদের ভার্সিটিতে তিনটা সিজনে ভর্তি কার্যক্রম চালু রাখা হয়। যেহেতু এখন গ্রীষ্মকাল যার কারণে ভার্সিটিতে নতুন এডমিশন দেয়ার প্রক্রিয়াটি চালু করা হয়েছে।

ঈদের পরে প্রথম ভার্সিটিতে গিয়ে রীতিমতো অবাক হয়ে গিয়েছিলাম, অবাক হয়ে গিয়েছিলাম এটা ভেবেই যে কদিন আগেই ঈদ শেষ হলো এখন আবার কিসের অনুষ্ঠন।যেহেতু আমার ভার্সিটির ক্লাস ছিল সকালে, সকালবেলা ভার্সিটিতে খুব একটা লোকজন ছিল না যার কারণে প্রথম অবস্থায় ভেবেছিলাম হয়তোবা কোন ডিপার্টমেন্ট আবার আজকে অনুষ্ঠান করবে। এটা ভেবেই রুমে চলে গিয়েছিলাম এরপরে ক্লাস শেষ করে যখন বিকেল বেলা বাহিরে বের হলাম তখন দেখতে পারলাম যে ভার্সিটির মধ্যে অনেক লোকজনের সমাগম। যেহেতু প্রচন্ড গরম পড়ছে যার কারণে প্রচন্ড গরম থাকার কারণে বাহিরে বের হয়নি প্রথমে সকালবেলা ক্লাসে ঢুকেছি আর ক্লাসের ভেতর যেহেতু এসির ব্যবস্থা আছে যার কারণে বাহিরে বের হবার খুব একটা প্রয়োজন বোধ মনে করিনি। বিকেল বেলা যখন সকল ক্লাস শেষ করে বাহিরে আসলাম তখন লোকজনের সমাধান দেখে তখন বুঝতে পারছিলাম যে হয়তোবা নতুন ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে যার কারণেই এত সমাগম। যদিও আমি কোন ভার্সিটির অনুষ্ঠানে থাকিনা কারণ ভার্সিটির এসব অনুষ্ঠান আমার একদম ভালো লাগেনা কেন জানি এসব অনুষ্ঠান আমাকে আকৃষ্ট করে না।

ভার্সিটিতে ভর্তি হবার পর থেকে যে কত অনুষ্ঠান হয়েছে আমার বন্ধু বান্ধবীরা যে কত রকমের অনুষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত ছিল সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এরপরেও তারা আমাকে অনেক রকম ভাবেই বলেছিল অনুষ্ঠানে থাকার জন্য কিন্তু আমি কোন একটা অনুষ্ঠানে থাকেনি কারণ আমার এসব অনুষ্ঠান খুব একটা ভালো লাগে না যার কারণে থাকা হয়ে ওঠেনা। যেকোনো একটা কাজের দোহাই দিয়ে সেখান থেকে আমি চলে আসি, এবারও ক্লাস শেষ করে চলেই আসছিলাম তবে পাশ থেকে একজন বলল যেহেতু নতুন এডমিশন চলছে তাই ভার্সিটিটাকে একটু ঘুরে ঘুরে এদিকে ওদিকে দেখার জন্য। আমি তাকে বললাম এটা করাই যায় একটু দেখাদেখি করা যাক তাহলে।

IMG20240126131428.jpg

IMG20240126131426.jpg

IMG20240126131422.jpg

IMG20240126131431.jpg

IMG20240126131210.jpg

IMG20240126131231.jpg

যেহেতু আমরা কয়েকজন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে ভার্সিটিটাকে আজকে একটু ঘুরাঘুরি করে দিকে ওদিকে দেখব তাই আমরা কয়েকজন কিছুটা সময়ে লাইব্রেরীতে গিয়ে বসে ছিলাম। লাইব্রেরীতে এর আগেও কয়েকবার প্রবেশ করা হয়েছে তবে এবারে প্রবেশ করে ভীষণ ভালো লাগছে না কারণ চারিদিকের পরিবেশটা অনেক বেশি সুন্দর ছিল। সেই সাথে লোকজনের সমাগম কিছুটা কম থাকায় লাইব্রেরীর মধ্যে বসে একটা টপিক নিয়ে আমরা আলোচনা করেছিলাম। সেদিন লাইব্রেরী থেকে বের হয়ে আবার ভার্সিটির প্রত্যেকটা ফ্লোরে ফ্লোরে হেটে হেঁটে দেখছিলাম প্রত্যেকটা ফ্লোর এত চমৎকারভাবে বেলুন আর ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে যে দেখে রীতিমতো মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। ভার্সিটি যে মাঝে মাঝে এত চমৎকারভাবে সাজানো হয় সেটা আমি কখনো দেখিনি এই প্রথমবার এরকম সুন্দর দৃশ্য দেখে তখন মনে হচ্ছিল যে এই যে আমি অনুষ্ঠানগুলোতে থাকি না আমি যে কত আনন্দ মিস করি সেটা তখন বুঝতে পারছি না। এরপর থেকে তখন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম এরপর থেকে যদি কোন অনুষ্ঠান হয় তাহলে অনুষ্ঠানে থাকবে কিন্তু পরবর্তীতে আবার সিদ্ধান্ত চেঞ্জ করা হয়েছে। কেন জানি এ সকল অনুষ্ঠানের প্রতি আমার খুব একটা ভালো লাগা কাজ করে না।

প্রথম ফ্লোর ঘুরে দেখা শেষ হলে এরপরে আমরা চলে যায় দ্বিতীয়ত ফ্লোরে দ্বিতীয় ফ্লোরটা খুব একটা বেশি জমজমাট পূর্ণভাবে সাজানো হয়নি কারণ দ্বিতীয় পনের খুব একটা ক্লাস নেওয়া হয় না। মাঝে মাঝে দেখা যায় দ্বিতীয় ফ্লোর শুধুমাত্র পরীক্ষার জন্য রেখে দেওয়া হয়। এরপরে চলে যাই আমরা তৃতীয় ফ্লোরে তৃতীয় ফ্লোরে গিয়েও একই রকম দৃশ্য দেখে আমরা নিজের নেমে আসি। এরপরে আমরা গ্রাউন্ড ফ্লোরে গিয়ে একটা সোফার মধ্যে বসে পড়ি ততক্ষণে গা টা প্রায় ঘেমে গিয়েছে কারণ এতটা বেশি গরম ছিল যে গরমের মধ্যে হাটাহাটি করাটা অনেকটাই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছিল আমাদের জন্য।। যদিও গ্রাউন্ড ফ্লোরে এসির ব্যবস্থা ছিল যার কারণে সবাই এখানে এসেই বসে একে অপরের সঙ্গে গল্প করছিল। আমরাও সেখানে বসে বসে অনেকটা সময় আড্ডা দিয়েছিলাম আড্ডা দেওয়ার এক পর্যায়ে আমি উঠে গিয়ে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করেছিলাম।

IMG20240126131435.jpg

IMG20240126131451.jpg

IMG20240126131506.jpg

IMG20240126131454.jpg

IMG20240126131513.jpg

IMG20240126131621.jpg

যখন আমরা গ্রাউন্ড ফ্লোরে বসে ছিলাম তখন দেখছিলাম অনেকেই তার ফ্যামিলির লোকজনদের সাথে করে নিয়ে এসে এডমিশন রুমে গিয়ে ভর্তি হচ্ছে। এই ব্যাপারটা দেখে প্রথম দিনের অ্যাডমিশন নেওয়ার কথা মনে পড়ে যাচ্ছিল প্রথম দিন আমিও এক বড় ভাইয়ের সঙ্গে এসেছিলাম এই ভার্সিটিতে এডমিশন নিতে। এডমিশন নেওয়ার মুহূর্তে নিজের মধ্যে এক অজানা ভয় কাজ করছিল তারপরও সময়ের সাথে সাথে সবকিছু পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। এখন মাঝে মাঝে মনে হয় যে ভার্সিটিতে পড়ার মতো আনন্দ হয়তোবা আর কোথাও নেই তবে মাঝে মাঝে শিক্ষক এবং শিক্ষিত যারা যতটা বেশি এসাইনমেন্ট এবং ল্যাব রিপোর্ট লেখা নিয়ে প্যারা দেয় এটার জন্যই মাঝেমাঝে ভার্সিটি অনেক বেশি প্যারাদায়ক মনে হয়। যাইহোক এভাবেই আস্তে আস্তে করে দিন কেটে যাবে সময় শেষ হয়ে যাবে ভার্সিটি লাইফটাও আস্তে আস্তে শেষ করে ফেলবে। যখন ভার্সিটির লাইফ এর লেখাপড়া শেষ করে ফেলব তখন এই ভার্সিটি লাইফ কে অনেক বেশি মিস করবো।

শেষমেষ এটাই বলতে চাই নতুন যারা ভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছে তাদের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। আশা করছি এই ভার্সিটিতে তারা তাদের লক্ষ্য নিয়েই এসেছে এবং এই লক্ষ্য নিয়ে যেন এখান থেকে বের হয়ে যেতে পারে এবং জীবনে অনেক বড় মাপের একজন মানুষ হতে পারে এই প্রত্যাশা থাকবে সবসময়ই। সেই সাথে নিজের ভার্সিটির জন্য থাকবে অনেক অনেক শুভকামনা। আশা করি এখান থেকে আরো অনেক বড় ডিগ্রি অর্জন করে জাতির কল্যাণে মানুষকে নিয়োজিত করতে পারে। এটাই ছিল আমার আজকের পোস্ট আশা করছি আমার এই পোস্ট আপনাদের ভাল লেগেছে। সকলেই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এবং আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবারের সঙ্গে থাকুন। ধন্যবাদ সকলকে...!!!



সমাপ্ত


আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্ট খুবই ভালো লেগেছে। আমার এই পোস্ট পরে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন বলে আশা রাখি। আপনার সুন্দর মন্তব্যই আমার কাজ করার অনুপ্রেরণা

বিবরণ
বিভাগজেনারেল রাইটিং
বিষয়এডমিশন উপলক্ষে ভার্সিটির রূপের পরিবর্তন
পোস্ট এর কারিগর@jibon47
অবস্থান[সংযুক্তি]source


এটাই আমি..!!

IMG-20231204-WA0004-02.jpeg

আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নেম @jibon47। আমি মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে অনেক বেশি ভালোবাসি। আব্বু আম্মু আর ছোট বোনকে নিয়েই আমার পরিবার। এই তিনজন মানুষকে কেন্দ্র করেই আমার পৃথিবী।একসাথে সবাইকে খুশি করা তো সম্ভব নয়, তারপরও আমি চেষ্টা করি পরিবারের সবাইকে খুশি রাখার। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে।আমি বর্তমানে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্ট থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং লেখাপড়া করছি। আমি গান গাইতে, কবিতা লিখতে, এবং ভাই ব্রাদারের সঙ্গে ঘোরাঘুরি করতে অনেক বেশি ভালোবাসি। সত্যি বলতে আমি প্রচন্ড রকমের অভিমানী, হতে পারে এটা আমার একটা বদ অভ্যাস। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব,"আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, পরিশ্রম সফলতার চাবিকাঠি।



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@jibon47



VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

Coin Marketplace

STEEM 0.27
TRX 0.12
JST 0.031
BTC 67623.71
ETH 3786.06
USDT 1.00
SBD 3.70