আজ--২২ বৈশাখ| ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রবিবার | গ্রীষ্মকাল |

আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।

তো চলুন শুরু করা যাক...!

শুভ রাত্রি সবাইকে......!!

বেশ অনেকদিন ধরেই আপনারা সকলেই জানেন যে কোথাও কোন বৃষ্টি নেই। বৃষ্টি না থাকার কারণে পরিবেশটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে আর এই উষ্ণ পরিবেশে সকলেরই টিকে থাকতে অনেক বেশি কষ্ট হচ্ছে। এরপরেও আমরা অনেক কষ্ট সহ্য করেও অনেক রকম ভাবেই বেঁচে থাকার চেষ্টা করছি। যদিও পরিবেশের এরকম উষ্ণ আবহাওয়ার কারণে আমরা মানুষেরা অনেক বেশি দায়ী। দুটি কারণে পরিবেশ উষ্ণ হয়ে উঠেছে একটি কারণ হতে পারে গাছপালা কম থাকার কারণে আরেকটি কারণ জনসংখ্যা বৃদ্ধি। আমরা যদি সকলেই সকলের জায়গা থেকে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করতাম তাহলে হয়তো বা এরকম সমস্যার সম্মুখীন কখনোই হতে হতো না। কিন্তু আমরা মানুষেরা বড্ড বেশি বেপরোয়া বড্ড বেশি বেপরোয়া হওয়ার কারণেই পরিবেশের সঙ্গে আমরা অনেক সময় খুবই খারাপ আচরণ করে ফেলি আর এই খারাপ আচরণ করার ফলেই পরিবেশ এতটা বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিচ্ছে। বিশেষ করে শহরাঞ্চলের মানুষজন অনেক বেশি গরমের মধ্যে দিন অতিবাহিত করছে। অনেকদিন বৃষ্টি না থাকার কারণে শহরে গরমের তীব্রতা অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছিল।

বেশ কয়েকদিন ধরেই দেখতে পাচ্ছি অনেক জায়গাতেই মাঝে মাঝে বৃষ্টি হচ্ছে আবার অনেক জায়গাতে বৃষ্টির পাশাপাশি প্রচন্ড রকমের শিলাবৃষ্টি দেখা দিচ্ছে যা মানুষের ঘরবাড়িসহ অন্যান্য বসতভিটা ভেঙে চূড়ে তছনছ করে দিয়েছে নিমিষেই। যাইহোক অনেক জায়গাতেই বৃষ্টির দেখা মিললেও ঢাকা শহরে বৃষ্টির দেখা মিলেছে কয়েকদিন আগে। আজ থেকে প্রায় দু থেকে তিন দিন আগে দিনের বেলা প্রচন্ড রকমের গরম পড়েছিল প্রচন্ড রকমের গরম পড়ার কারণে পরিবেশটা অনেক বেশি উষ্ণ ছিল। কিন্তু সন্ধ্যা হবার সঙ্গে সঙ্গে কিছুটা ঠান্ডা অনুভব করছিলাম মনে মনে ভাবছিলাম হয়তোবা কিছুক্ষনের মধ্যেই বৃষ্টি হবে কিন্তু বৃষ্টিতে দেখা নেই। বৃষ্টির দেখা না পেয়ে প্রচন্ড গরমের মধ্যে রুমের মধ্যে অতিষ্ঠ হয়ে বাসার ছাদে উঠে গিয়েছিলাম। যেহেতু বাসার ছাদে রাতের বেলা কেউ তেমন একটা ওঠে না তাই আমি আর কয়েকজন বড় ভাই মিলে বাসার ছাদে উঠে অনেকটা সময় বসে ছিলাম গল্প করছিলাম ভীষণ ভালো লাগছিল। রাতের বেলা ঢাকা শহরের পরিবেশটা বরাবরই অন্যরকম দেখা যায় চারিদিকে শুধু লাইটিং আর বড় বড় বিল্ডিং এর দৃশ্য দেখতে ভীষণ ভালো লাগে।

অনেকটা সময় ছাদে অতিবাহিত করেছিলাম প্রায় দু থেকে তিন ঘন্টা ছাদে অতিবাহিত করার পরও যখন আর বৃষ্টির দেখা পাচ্ছিলাম না তখন অনেকটা হতাশ হয়েই নেমে এসেছিলাম। রুমে এসে আবার সেই আগের মতই গরম অনুভব করছিলাম রাতের খাবার খেয়ে ঘুমানোর প্রিপারেশন নিব ঠিক তখনই বাসার কেয়ারটেকার এসে বলে যে মামা হয়তো বা বৃষ্টি হবে কিছুক্ষণের মধ্যেই আপনারা কেউ ছাদে যাবেন নাকি। যদিও তার কথা প্রথম অবস্থায় আমরা কেউ আমলে নেইনি কারণ আমরা অনেক সময় ছাদে থাকার পরেও বৃষ্টির তেমন কোন আভাস পায়নি যার কারণে ভেবেছিলাম সে হয়তো বা আমাদের সঙ্গে ফাজলামি করছে। হঠাৎ করে এই মেঘের গর্জন শুনে জানালা দিয়ে বাহিরে তাকিয়ে দেখি বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে।

বিদ্যুৎ চমকানোর দৃশ্য দেখে নিজেকে আর রুমের মধ্যে ধরে রাখতে পারিনি আমি আর বড় ভাই দুজন মিলে চলে যাই বাসার ছাদে। বাসার ছাদে গিয়ে ভীষণ ভালো লাগছিল চারিদিকের পরিবেশটা অনেক বেশি ঠান্ডা ছিল সেই সাথে ছিল ঠান্ডা বাতাস বুঝতে পারছিলাম দূরে হয়তোবা কোথাও বৃষ্টি হচ্ছে। ছাদে দাঁড়িয়ে আমরা অনেক সময় অপেক্ষা করছিলাম কখন বৃষ্টি আসবে কিন্তু তারপরও বৃষ্টির কোন দেখা নেই শুধুমাত্র মেঘ ডাকাডাকি করছে আর সেই সাথে প্রচন্ড রকম ভাবে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে। মনে হচ্ছিল এই বুঝি ভেঙ্গেচুরে একাকার হয়ে যাবে এখনই কিন্তু বৃষ্টির দেখা নেই। আমরা প্রায় সাড়ে বারোটা পর্যন্ত ছাদে অতিবাহিত করেছিলাম। হঠাৎ করেই গায়ে এক ফোঁটা বৃষ্টির ছোঁয়া মিলতেই নিজের মধ্যে এক অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করছিল সেই সাথে পাশের বাসায় দেখছি অনেক মানুষ ছাদে উঠে বৃষ্টির আশায় অনেক রকম চিল্লাচিল্লি করছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঝুমঝুমিয়ে বৃষ্টি শুরু হল তখনই পাশের বাসার ছাদ থেকে অনেকেই চিল্লাচিল্লি করছিল এবং অনেকেই দেখছিলাম নাচানাচি করছিল এই দৃশ্যটা দেখে ভীষণ ভালো লাগছিল। অনেকদিন পরে বৃষ্টি দেখে সকলের মন ভীষণ ভালো হয়ে গিয়েছিল সেটা বুঝতেই পারছিলাম।

প্রথমে ভেবেছিলাম যে এই বৃষ্টিতে ভিজবো কিন্তু পরক্ষণেই বুঝতে পারলাম যেহেতু অনেকদিন বৃষ্টি হয় না, আর অনেকদিন পরে যখন বৃষ্টি হয় তখন এসিড বৃষ্টি হবার সম্ভাবনা থাকে আর এই এসিড বৃষ্টি যদি গায়ে লাগে তাহলে অনেক বেশি ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে যার কারণে ঝুমঝুমিয়ে বৃষ্টি পড়ার আগেই আমরা আড়ালে চলে গিয়েছিলাম যাতে করে বৃষ্টির ফোঁটা আমাদের গায়ে না লাগে। যদিও বাসার কেয়ারটেকার এবং বড় ভাই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তারা বৃষ্টিতে ভিজবে কিন্তু এসিড বৃষ্টির কথা শোনার পরে বড় ভাই আর বৃষ্টিতে ভেজার সাহস করেনি কিন্তু বাসার কেয়ারটেকার সে আর নিজেকে ধরে রাখতে পারেনি সে বৃষ্টিতে ভিজে ছিল ছাদের উপরেই। আর বারবার আমাদেরকে বৃষ্টিতে ভেজার জন্য ডাকাডাকি করছিল কিন্তু আমরা বৃষ্টিতে ভিজিনি। অনেকটা সময়ে ছাদের ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে বৃষ্টি উপভোগ করেছিলাম ভীষণ ভালো লাগছিল তারপরে আমরা রুমে চলে গিয়েছিলাম। রুমে গিয়ে আমরা রুমের ব্যালকনিতে বসে বসে বৃষ্টি উপভোগ করছিলাম অনেকদিন পরে পরিবেশটা আসলেই অনেক বেশি ঠান্ডা হয়ে গিয়েছিল সেদিন।

এতটা বেশি ভালো লাগা কাজ করছিল যে আমি আপনাদেরকে বলে বোঝাতে পারবো না। আসলে অনেকদিন পরে বৃষ্টির দেখা মিললে যে কারোর ভালো লাগা কাজ করবে এটাই স্বাভাবিক ঠিক তেমনি ভাবে আমাদের মধ্যেও এক অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করছিল। আমি আর বড় ভাই দুজন ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে প্রায় আধা ঘন্টা মতো বৃষ্টি উপভোগ করেছিলাম সেই সাথে উঁকি ঝুঁকি দিয়ে দেখছিলাম যে প্রচন্ডরকম ভাবে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে যখন বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে তখন চারিদিকে মনে হচ্ছে কে যেন লাইট দিয়ে আলোকিত করে রেখেছে। আর মাঝে মাঝে প্রচন্ড জোরে মেঘ গর্জন করছিল মনে হচ্ছিল সবকিছু ভেঙে চুরে একাকার করে দেবে এখনই। অনেকটা সময় বেলকনিতে দাঁড়িয়ে আমরা রাত দেড়টার সময় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম এখন আর জেগে থাকবো না ঘুমিয়ে পড়তে হবে। যেহেতু বৃষ্টি হচ্ছে তাই রুমের জানালা খুলে দিয়েছিলাম কিছুক্ষণের মধ্যেই রুমটা অনেক বেশি ঠান্ডা হয়ে গিয়েছিল।

অনেকদিন পরে এরকম ঠান্ডা একটা রুমে অনেক ভালো ঘুম হবে সেটা বুঝতেই পারছিলাম। সত্যি সত্যি সেদিন রাত্রে একটুও গরম লাগেনি বরঞ্চ শেষ রাতের দিকে গিয়ে কিছুটা শীত অনুভব করেছিলাম। সেই সাথে এতটা ভালো ঘুম হয়েছিল যে আপনাদেরকে বলে বোঝাতে পারবো না। এখন পরিবেশটা অনেকটাই আগের থেকে শীতল তবে মাঝে মাঝে প্রচুর গরম পড়ছে তবে আশা করি এরকম ভাবে যদি কয়েক দিন বৃষ্টি পরে তাহলে পরিবেশটা আবার আগের মতোই শীতল হয়ে যাবে। এটাই ছিল আমার আজকের পোস্ট, আশা করছি আপনাদের সকলের কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। সকলেই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এবং আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবারের সঙ্গেই থাকুন। ধন্যবাদ সকলকে...!!

আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্ট খুবই ভালো লেগেছে। আমার এই পোস্ট পরে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন বলে আশা রাখি। আপনার সুন্দর মন্তব্যই আমার কাজ করার অনুপ্রেরণা

আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নেম @jibon47। আমি মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে অনেক বেশি ভালোবাসি। আব্বু আম্মু আর ছোট বোনকে নিয়েই আমার পরিবার। এই তিনজন মানুষকে কেন্দ্র করেই আমার পৃথিবী।একসাথে সবাইকে খুশি করা তো সম্ভব নয়, তারপরও আমি চেষ্টা করি পরিবারের সবাইকে খুশি রাখার। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে।আমি বর্তমানে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্ট থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং লেখাপড়া করছি। আমি গান গাইতে, কবিতা লিখতে, এবং ভাই ব্রাদারের সঙ্গে ঘোরাঘুরি করতে অনেক বেশি ভালোবাসি। সত্যি বলতে আমি প্রচন্ড রকমের অভিমানী, হতে পারে এটা আমার একটা বদ অভ্যাস। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব,"আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, পরিশ্রম সফলতার চাবিকাঠি।

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy