বর্তমান পরিবেশ আমাদের বিপরীতে
আজ--১৬ বৈশাখ | ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সোমবার | গ্রীষ্মকাল|
আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
- প্রিয় কমিউনিটি,আমার বাংলা ব্লগ
- বর্তমান পরিবেশ আমাদের বিপরীতে।
- আজ--১৬ইবৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
- সোমবার
তো চলুন শুরু করা যাক...!
শুভ রাত্রি সবাইকে......!!
বর্তমান পরিবেশটা সম্পূর্ণ আমাদের বিপরীত দিকে অবস্থান করছে। আমি মনে করি বর্তমান পরিবেশের এরকম বিরূপ আবহাওয়ার জন্য আমরা মানুষেরাই দায়ী। আমরা মানুষেরা যদি আগে থেকেই একটু সতর্ক হতাম তাহলে হয়তো বা এরকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হতো না। আর এই ভয়াবহ পরিস্থিতি সম্মুখীন বেশিরভাগ ঢাকার মানুষেরাই উপলব্ধি করতে পারছে। আমি মনে করি বর্তমান ঢাকার অবস্থা খুবই খারাপ। পার্শ্ববর্তী জেলা সিলেটের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে সেদিকের তাপমাত্রা অনেকটাই কম কিন্তু ঢাকার তাপমাত্রা সিলেটের তুলনায় অনেকটাই বেশি। গত কয়েকদিন আগে একটা নিউজে দেখলাম যে সিলেট এবং ঢাকার পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনা করে দুটো ছবি শেয়ার করেছে, সেখানে লক্ষ্য করলাম সিলেটে যেখানে গাছপালার সংখ্যা অনেকটাই বেশি সেদিকে ঢাকার অবস্থান অনেকটাই নিম্নগামী। যেখানে কোন গাছ-পালা নেই শুধুমাত্র রয়েছে বড় বড় অট্টালিকা আর দালান কোঠা। এই বড় বড় অট্টালিকা এবং দালানকোঠা থাকার কারণেই ঢাকার অবস্থান অনেকটাই করুন হয়ে উঠেছে দিন দিন। আমি মনে করি এ ব্যাপারে সকলেরই সতর্ক হওয়া উচিত সতর্ক হওয়ার পাশাপাশি আমাদের উচিত পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রেখে পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে চলা।
শুধুমাত্র ঢাকার অবস্থা এত ভয়াবহতা কিন্তু নয় ঢাকা সহ অন্যান্য এলাকার অবস্থাটা অনেকটাই খারাপের দিকে চলে যাচ্ছে দিনে দিনে। সব খানের তাপমাত্রা এতটা বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে যে মানুষ সহ অন্যান্য পশু পাখির চলাচল করাটা সেই সাথে জীবন যাপন করাটা অনেকটাই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে। যদি প্রত্যেকটা পরিবার ৫ থেকে ১০ টা গাছ রোপন করে তাহলে হয়তো বা কয়েক বছর পরেই এই আবহাওয়াটা নিমিষেই দূর করা সম্ভব। হাতেগোনা কয়েকজন মানুষ এই ব্যাপারে সতর্ক হলেও বেশিরভাগ মানুষই এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত অজ্ঞ। বিশেষ করে যারা ঊর্ধ্বগামী লোকজন অর্থাৎ যাদের বাসায় এসির ব্যবস্থা আছে বা যেকোনো ধরনের গরমের পরিস্থিতিতে তারা তাদের স্মরণজামাদির ব্যবস্থা করেছে তাদের কাছে গরম খুব একটা বেশি সমস্যা নয় কারণ তাদের এরকম গরম মোকাবেলা করার জন্য বাসায় অনেক রকমের এয়ার কুলার রয়েছে কিন্তু যাদের গরমের পরিস্থিতি মোকাবেলা করার মত সামর্থ্য নেই তাদের অবস্থানটা খুবই করুন। মানুষ আর কবে সতর্ক হবে বলে আপনি মনে করেন..?? আমার মনে হয় মানুষ আর কখনোই সতর্ক হবে না।
আমি মনে করি মানুষ যদি তাদের নিজ নিজ জায়গা থেকে সতর্ক না হয় তাহলে ভবিষ্যতে আরও বেশি কড়ুন অবস্থার সম্মুখীন হতে হবে। আর এই ভয়াবহ করুন অবস্থার জন্য একমাত্র দায়ী থাকবে মানুষ। গত বছরের তুলনায় এবারের গরম টা একটু বেশি মনে হচ্ছে। এবারের গরমের পরিস্থিতিটা প্রথম থেকেই ভয়াবহ যেহেতু এখন গ্রীষ্মকাল চলছে আর গ্রীষ্মকালের এই সময়টাতে অন্যান্য বছরে যেরকম গরম দেখা যায় এবছর তার থেকে কয়েক গুণ বেশি গরম মনে হচ্ছে। শুধুমাত্র যে শহর অঞ্চলের মানুষই এই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে তা কিন্তু নয়। এই সমস্যার সম্মুখীন শহরাঞ্চলের মানুষ সহ গ্রাম অঞ্চলের মানুষ গভীরভাবে উপলব্ধি করতে পারছে। এরপরেও আমরা মানুষেরা সতর্ক হচ্ছি না কোনভাবেই।
যদি এই পরিস্থিতিটা গ্রাম অঞ্চলের দিকে লক্ষ্য করা যায় তাহলে দেখা যায় যে গ্রামের অনেক বাসাতেই টিউবয়েলের লেয়ার অনেকটাই নিচে নেমে গিয়েছে যার কারণে তাদের বিশুদ্ধ খাবার পানির অনেক বেশি সংকট দেখা দিচ্ছে। যদি এই বিশুদ্ধ পানি তারা টিউবওয়েল থেকে আহরণ করতে না পারে তাহলে ভবিষ্যতের ভাবনাটা একবার ভাবা উচিত। ভবিষ্যতে তাদের কত বড় একটা ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে এটা এখন পর্যন্ত গ্রাম অঞ্চলের মানুষ বুঝতে পারছে না। যদিও শহরাঞ্চলের থেকে গ্রাম অঞ্চলের মানুষ এদিক থেকে কিছুটা এগিয়ে রয়েছে কারণ শহরের থেকে গ্রাম অঞ্চলে অনেক গাছ-গাছালি রয়েছে যার কারণে মানুষ এই গরমের মধ্যে কোন একটা বাগানের মধ্যে বসে বসে তাদের দিন অতিবাহিত করতে পারছে কিছুটা হলেও তারা শীতল হাওয়া গায়ে লাগাতে পারছে। এদিক থেকে আমি মনে করি শহর অঞ্চলের মানুষ অনেকটাই দুর্ভাগা এবং কষ্টের মধ্যে দিন অতিবাহিত করছে। শহর অঞ্চলে নেই তেমন কোন বড় বাগান নেই তেমন গাছ গাছালি চারিদিকে শুধু বড় বড় অট্টালিকা যার কারণেই শহরের গরমটা গ্রাম অঞ্চলের থেকে অনেকটাই বেশি।
এদিকে গ্রামাঞ্চলের কৃষকের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে তারা এখন তাদের জমিতে অনেক রকম রবি শস্য চাষ করেছে কিন্তু বৃষ্টি না থাকার কারণে সেগুলো এখন প্রায় মৃত। প্রতিদিন যেরকম ভাবে গরম পড়ছে আর যে রকম রোদ্রের তাপ তাতে করে কৃষকের ফসল হয়তোবা এবার খুব একটা ভালো ফলন দেবে না। মাঝে মাঝেই শোনা যায় যে অনেক কি সব তাদের জমিতে কয়েকবার পানি দেওয়ার পরেও ফসলগুলো আর আগের মত সাথে করতে পারছে না। হয়তোবা যেদিন পানি দিচ্ছে তার থেকে দু দিন পরে ফসল কিছুটা সতেজ দেখা গেলেও এই প্রচন্ড রৌদ্রের তাপে দু থেকে তিন দিন পরে আবার ফসল গুলো প্রায় মৃত হয়ে পড়ছে। এদিকে কৃষকেরা তাদের জমিতে পানি দিতে দিতে প্রায় হয়রান হয়ে পড়েছে। এরপরেও তারা তাদের ফসল বাঁচাতে পারছে না। এই ব্যাপারটা যখন ভাবি তখন নিজের কাছে অনেকটাই খারাপ লাগে কারণ ভবিষ্যতে কৃষকেরা তাদের এই ফসল বিক্রি করেই জীবন যাপন করে আর সেই ফসল যদি ভালোমতো জন্মাতে না পারে তাহলে তাদের পরিস্থিতিটা হবে খুবই ভয়াবহ।
তাই আমি মনে করি আমাদের সকলের নিজ নিজ জায়গা থেকে সতর্ক হওয়া উচিত। সতর্ক এখন যদি অবলম্বন করা হয় তাহলে হয়তোবা ভবিষ্যতে গরমের এরকম পরিস্থিতির মধ্যেও তারা তাদের জীবন যাপন টা স্বাভাবিকভাবেই করতে পারবে। যদিও বর্তমান সময়ে কেউই স্বাভাবিকভাবে জীবন যাপন করতে পারছে না। না শহর অঞ্চলের মানুষ না গ্রাম অঞ্চলের মানুষ কোন জায়গার মানুষই নিজ নিজ অবস্থান থেকে খুব একটা ভালো নেই। সকলের মাঝেই কেমন যেন এক চাপা কান্না এবং আত্মচিৎকার এই চাপা কান্না এবং আত্মচিৎকার তাদের যেন শেষই হচ্ছে না। আসলে পরিবেশ যদি খারাপ হয় তাহলে মানুষের কিছু করার থাকে না তবে আগে থেকেই যদি নিজেদের অবস্থান থেকে কিছুটা সতর্ক থাকত তাহলে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেত। এই গরমের মধ্যে কেউই নিজের ইচ্ছে মত কাজকর্ম খুব একটা ভালোভাবে পড়তে পারছে না, কোন একটা কাজ করতে গেলেই খুব দ্রুত মানুষ হাপিয়ে উঠছে।
মাঝে মাঝে আমার মনে হয় যে মানুষ খুব একটা ভালো নেই সকলেই অনেকটা খারাপ অবস্থানের মধ্যেই দিন অতিবাহিত করছে। আমাদের শুধুমাত্র আল্লাহর কাছে দোয়া করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। আল্লাহতালা যদি কিছুটা রহম করে আমাদের উপর রহমতের বৃষ্টি বর্ষিত করে তাহলে হয়তো বা এই ধরণী কিছুটা হলেও স্বস্তি পেত সেই সাথে স্বস্তিতে তো এই ধরণীর মানুষগুলো। এটাই ছিল আমার আজকের সংক্ষিপ্ত পোস্ট আশা করছি আমার এই পোস্ট আপনাদের সকলের ভালো লেগেছে। আজ আর নয় এখানেই শেষ করছি, সকলেই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এবং আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবারের সঙ্গেই থাকুন। ধন্যবাদ সকলকে...!!
আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্ট খুবই ভালো লেগেছে। আমার এই পোস্ট পরে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন বলে আশা রাখি। আপনার সুন্দর মন্তব্যই আমার কাজ করার অনুপ্রেরণা
বিভাগ | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
বিষয় | বর্তমান পরিবেশ আমাদের বিপরীতে |
পোস্ট এর কারিগর | @jibon47 |
অবস্থান | [সংযুক্তি]source |
আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নেম @jibon47। আমি মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে অনেক বেশি ভালোবাসি। আব্বু আম্মু আর ছোট বোনকে নিয়েই আমার পরিবার। এই তিনজন মানুষকে কেন্দ্র করেই আমার পৃথিবী।একসাথে সবাইকে খুশি করা তো সম্ভব নয়, তারপরও আমি চেষ্টা করি পরিবারের সবাইকে খুশি রাখার। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে।আমি বর্তমানে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্ট থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং লেখাপড়া করছি। আমি গান গাইতে, কবিতা লিখতে, এবং ভাই ব্রাদারের সঙ্গে ঘোরাঘুরি করতে অনেক বেশি ভালোবাসি। সত্যি বলতে আমি প্রচন্ড রকমের অভিমানী, হতে পারে এটা আমার একটা বদ অভ্যাস। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব,"আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, পরিশ্রম সফলতার চাবিকাঠি।
@jibon47
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
অনেক দামি একটা কথা বলেছেন ভাই। তবে বর্তমানে আমাদের পরিবেশ বললে ভুল হবে আমাদের পৃথিবীটাই আমাদের বিপরীত দিকে চলে যাচ্ছে। দিন দিন পৃথিবীর যে আচার আচরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে এতে করে আমাদের সামনের দিকে অনেক বিপদের সম্মুখীন হতে হবে এটাই বুঝা যাচ্ছে। সময় থাকতে আমাদের উচিত সতর্ক হওয়া। কিন্তু এই সময় দাঁড়িয়ে সেটা কতটুকু ফলপ্রসূ হবে সেটাই দেখার।
বর্তমান পরিবেশ এবং পরিস্থিতি দুটোই আমাদের বিপরীত দিকে অবস্থান করছে আর আমরা অন্যদিকে অবস্থান করি। তবে প্রকৃতির এরকম বিরূপ আবহাওয়ার জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী আমাদের কারণেই প্রকৃতি আজ আমাদের উপর এতটা বেশি চড়াও হয়েছে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
সু স্বাগতম ভাই।
একদম সঠিক কথা বলছেন আপনি আমরা পরিবেশকে যে রকম করেছি তার বিপরীত আমাদেরকে ফেরত দিচ্ছে। কারণ যেখানে ঢাকা শহর গুলোর দিকে লক্ষ্য করলে দেখবেন একটাও সবুজ গাছ দেখা যায় না। সেখানে কিভাবে এমন গরম অবস্থা না হয়ে কি হবে। তাছাড়া এখন যদি আমরা জঙ্গলে গেলেই দেখতে পাবো গাছ পালা একেবারে শূন্য। সবকিছু মিলিয়ে আবহাওয়ার এই খারাপ পরিস্থিতির জন্য আমরা মানুষেরা নিজেরাই দায়ী।
বর্তমান সময়ের ঢাকা শহরের অবস্থাটা অনেকটাই করুন এখানে নেই কোন গাছপালা চারিদিকে শুধু বড় বড় অট্টালিকা। যার কারনে ঢাকা শহরের গরমটা অনেকটাই তীব্র যা সহ্য করার মতো অবস্থায় নেই। আমাদেরকে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
একেবারে সঠিক কিছু কথা বলেছেন আপনি। আসলে পরিবেশের যে পরিস্থিতি তা আমাদের বিপরীতেই বটে৷ কারণ আমাদের দেশে আগে যেরকম খুব সুন্দর সুন্দর বাগান ছিল এবং গাছ গাছালি ছিল তা এখন নেই বললেই চলে৷ শহরের দিকে তো এরকম পরিবেশ দেখাই যায় না যেখানে কিছু গাছ রয়েছে৷ চারিদিকে শুধু বিল্ডিং আর বিল্ডিং দেখা যায়৷ এর ফলে আমাদের প্রকৃতি আমাদের বিপরীতে চলে যাচ্ছে।
আসলেই আগে অনেক জায়গাতেই অনেক সুন্দর সুন্দর গাছ-গাছালি দিয়ে ঘেরা থাকত সেই সাথে সুন্দর সুন্দর বাগান ছিল বর্তমান সময়ে এরকম কিছুই নেই সব কিছু যেন হারিয়ে যাচ্ছে। চারিদিকে শুধু বড় বড় বিল্ডিং যার কারণেই গরমের তীব্রতা এতটা বৃদ্ধি পেয়েছে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।