শীতের সন্ধ্যায় গরম গরম চায়ের সাথে পপকর্ন।।
বাংলা ভাষার কমিউনিটি
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই অনেক ভালো এবং সুস্থ আছেন।
এখন শীতের মৌসুম। শহর হোক বা গ্রাম।বাংলাদেশের সর্বত্রই শীত তার উপস্থিতি জানান দিচ্ছে। প্রতিদিনই যেন তাপমাত্রা একটু একটু করে কমছে। সূর্যের তেজও আগের মতো আর নেই। সকালে ঘুম থেকে উঠে জানালা খুললেই বোঝা যায়, বাতাসে কেমন একটা শীতল ভাব। বিকেল গড়ালেই সেই শীত আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
আজ সকালে পত্রিকায় চোখ পড়তেই দেখলাম, চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে এসেছে মাত্র ১১ ডিগ্রিতে। দিনাজপুরসহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় শীত ইতোমধ্যেই জেঁকে বসেছে। কয়েক দিন ধরেই সূর্যের দেখা খুব একটা মিলছে না। সকাল আর সন্ধ্যায় চারপাশ ঢেকে যাচ্ছে কুয়াশার চাদরে। রাস্তাঘাট, গাছপালা, ঘরবাড়ি সবকিছুতেই শীতের ছোঁয়া।
বাংলাদেশের মধ্যে ঢাকাকে আর নারায়ণগঞ্জকে অনেকেই তুলনামূলক উষ্ণ এলাকা মনে করেন। এখানে সাধারণত শীত একটু কমই থাকে। আমরাও নারায়ণগঞ্জে থাকি। সত্যি বলতে কী, অন্য জেলার তুলনায় এখানে শীতের তীব্রতা কম। তারপরও গত কয়েক দিন ধরে হালকা বাতাসের সাথে সাথে শীত যে বাড়ছে, সেটা বেশ ভালোভাবেই টের পাওয়া যাচ্ছে। সকালে অফিসে যাওয়ার সময় আর সন্ধ্যায় বাসায় ফেরার সময় শরীরে হালকা কাঁপুনি লাগে।
শীত মানেই আমার কাছে এক অন্যরকম অনুভূতি। শীতের দিনে সবচেয়ে বেশি যেটা ভালো লাগে, তা হলো গরম গরম চা। ঠান্ডা আবহাওয়ায় এক কাপ ধোঁয়া ওঠা চা যেন শরীর আর মন দুটোই গরম করে দেয়। বিশেষ করে সন্ধ্যার সময়, যখন সারা দিনের ক্লান্তি শরীরে জমে থাকে, তখন চায়ের কাপে চুমুক দিলে সব কষ্ট একটু হলেও হালকা হয়ে যায়।
গতকালও ঠিক তেমনই একটা শীতের সন্ধ্যা ছিল। সন্ধ্যার পরে বাসায় ফিরে একটু ফ্রেশ হলাম। তারপর নিজ হাতে কিছু আদা আর রসুন ব্লেন্ডার করে রাখলাম। শীতে আদা-লেবুর চা না হলে যেন মনই ভরে না। কিছুক্ষণ পরেই নুসাইবার আম্মু আদা আর লেবু দিয়ে গরম গরম চা বানিয়ে এনে দিলো। চায়ের কাপে তখনো ধোঁয়া উঠছে, আর সেই সুবাসে পুরো ঘর ভরে গেছে।
চায়ের সাথে ছিল গরম গরম পপকর্ন। এগুলো বাইরে থেকে কেনা নয়। ঘরেই নিজের হাতে বানানো। ঘরে বানানো পপকর্নের আলাদা একটা স্বাদ আছে। কোনো কেমিক্যাল নেই, অতিরিক্ত তেল নেই, শুধু ভুট্টা আর সামান্য লবণ। চায়ের সাথে সেই পপকর্ন খেতে গিয়ে মনে হচ্ছিল, এই তো জীবনের আসল সুখ।
নুসাইবা পাশে বসে সবকিছু খুব আগ্রহ নিয়ে দেখছিল। মাঝে মাঝে চা পপকর্ন খাচ্ছিলো। ছোট্ট এই মুহূর্তগুলোই আসলে আমাদের জীবনের সবচেয়ে দামী সময়। বাইরে হয়তো হাজারো চিন্তা, ব্যস্ততা আর দুশ্চিন্তা থাকে, কিন্তু এমন একটা শীতের সন্ধ্যায় পরিবারের সাথে বসে চা আর হালকা নাস্তা,এই অনুভূতির কোনো দাম হয় না।
আমাদের বাসায় মাঝে মাঝেই এমন ছোট ছোট আয়োজন হয়। খুব বড় কিছু না, খুব খরচও না। কিন্তু এই সামান্য আয়োজনই মনকে ভরিয়ে দেয়। শীতের দিনে এসব মুহূর্ত আরও বেশি প্রিয় হয়ে ওঠে।
শীত আসলে শুধু ঠান্ডা নয়, শীত মানে একসাথে বসা, গল্প করা, গরম চা খাওয়া আর আপনজনদের সাথে সময় কাটানো। হয়তো এই শীতও একদিন চলে যাবে, কিন্তু এই ছোট ছোট স্মৃতিগুলো মনে থেকে যাবে অনেকদিন।
Photographer- @joniprins
Device- Realme C53
Location-Narayanganj
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server




















