শহরের কোলাহল ছেড়ে সবুজের মাঝে একদিন।।
বাংলা ভাষার কমিউনিটি
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই অনেক ভালো এবং সুস্থ আছেন।
বন্ধুরা, গতকাল আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করেছিলাম যে ১৬ই ডিসেম্বর অফিস বন্ধ থাকায় মামার দাওয়াতে গাজীপুরের পূবাইল এলাকায় যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল। ঢাকার ব্যস্ত জীবন থেকে একটু দূরে, আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়া মানেই যেন আলাদা এক প্রশান্তি। বিকেলের দিকে রওনা দিয়ে মামার বাড়িতে পৌঁছানোর পর থেকেই বুঝতে পারছিলাম, এই দুই দিন মানসিকভাবে বেশ ভালো কাটতে যাচ্ছে।
মামা-মামি আমাদের খুব আন্তরিকতার সাথে গ্রহণ করেছেন। তাদের আদর-আপ্যায়নে কোথাও কোনো কমতি ছিল না। সবচেয়ে ভালো লেগেছে তাদের বাড়ির পরিবেশটা। খুব সুন্দর করে সাজানো, পরিপাটি আর গুছানো। বাড়ির ভেতর-বাইরে সবকিছুতেই একটা শান্ত, পরিচ্ছন্ন ছোঁয়া ছিল, যা শহরের বাসাবাড়িতে খুব কমই দেখা যায়।
আজ সকালে নাস্তা করার পর আমার ইচ্ছে ছিল ঢাকায় ফিরে আসার। কিন্তু মামা-মামি বললেন, দুপুরে খাওয়া-দাওয়া করে যাও। তাদের এই আন্তরিক অনুরোধ ফেলতে পারিনি। তাই থেকে গেলাম। একটু পর, সকাল প্রায় এগারোটার দিকে মামা-মামি প্রস্তাব দিলেন, আশেপাশে একটু হেঁটে আসা যাক। সবাই মিলে বের হয়ে পড়লাম।
বাইরে বের হয়েই মনটা ভালো হয়ে গেল। চারপাশে প্রচুর গাছপালা, খোলা পরিবেশ, নির্মল বাতাস। আমরা যারা ঢাকায় থাকি, তারা জানি গাছপালার অভাবটা কতটা তীব্র। অথচ পূবাইলের এই এলাকায় প্রকৃতি যেন নিজ হাতে সাজিয়ে রেখেছে সবকিছু। এলাকাটা এত সুন্দরভাবে পরিকল্পিত যে চোখ জুড়িয়ে যায়। পথে পথে পিকনিক স্পট, শুটিং স্পট সব মিলিয়ে জায়গাটা যেন প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য আদর্শ।
ঘুরতে ঘুরতে আমরা পৌঁছে গেলাম মামানির ছোটবেলার স্কুল-কলেজ এলাকার মাঠে। এই জায়গাটা মামানির জীবনের স্মৃতিতে ভরপুর। ছোটবেলা থেকে কলেজ জীবন সবকিছুর ছাপ যেন এখনো রয়ে গেছে এখানে। বিশাল বড় একটি মাঠ, চারদিকে বাউন্ডারি দেয়া। শুনে জানলাম, প্রতি বছর ১৬ই ডিসেম্বর এখানে বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয়। যদিও এ বছর কোনো অনুষ্ঠান হয়নি, তারপরও জায়গাটার গাম্ভীর্য আর ঐতিহ্য আলাদা করে চোখে পড়ে।
সবচেয়ে ভালো লেগেছে রাস্তাঘাটের অবস্থা। রাস্তা সুন্দর, পরিষ্কার, গাড়ির চাপ কম, হর্নের শব্দ নেই। চারপাশে এক ধরনের নিরবতা আর শান্ত পরিবেশ। মনে হচ্ছিল, শহরের কোলাহল থেকে বহু দূরে কোথাও চলে এসেছি। মানসিকভাবে এমন একটা জায়গায় কিছু সময় কাটানো সত্যিই অনেক শান্তির।
সব মিলিয়ে বলতে গেলে, গাজীপুরের পূবাইল এলাকা আমার কাছে একদম পারফেক্ট লেগেছে। প্রকৃতি, পরিবেশ, মানুষজন সবকিছুতেই একটা স্বস্তির ছোঁয়া রয়েছে। এমন জায়গায় মাঝে মাঝে আসতে পারলে হয়তো জীবনের ক্লান্তি অনেকটাই কমে যায়।
এই ছোট্ট ভ্রমণ আমাকে আবারও মনে করিয়ে দিল শহরের বাইরে এখনো এমন অনেক সুন্দর জায়গা আছে, যেগুলো আমাদের মনকে নতুন করে বাঁচতে শেখায়।
Photographer- @joniprins
Device- Realme C53
Location-Gazipur
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server



















