পাঞ্জাব কিংস বনাম রাজস্থান রয়্যালসের দারুন হাড্ডা হাড্ডি লড়াইয়ের একটি ম্যাচ রিভিউ।।
মাতৃভাষা বাংলার এক মাত্র কমিউনিটি-
হ্যালো বন্ধুরা,আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ,ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি খেলাধুলা বিষয় নিয়ে একটি ব্লগ শেয়ার করবো। আশা করি ব্লগটি সবার কাছে অনেক ভালো লাগবে। তো চলুন শুরু করা যাক।
Screen Short Form- www.cricbuzz.com
গতকাল পাঞ্জাব কিংস বনাম রাজস্থান রয়্যালসের দারুন হাড্ডা হাড্ডি লড়াইয়ের একটি ম্যাচ উপভোগ করলাম। ম্যচটিতে রান হয়েছে তুলনামূলক অল্প তবে খেলাটি দেখে মজা পেয়েছি। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ম্যাচটিতে টানটান উত্তেজনা ছিল। গতকাল ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ আইপিএলের ২৭ তম ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেই খেলায় মুখমুখি হয় পাঞ্জাব কিংস বনাম রাজস্থান রয়্যালস। গতকাল স্থানীয় সময় রাত আটায় মহারাজা যাদবিন্দ্র সিং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম মুল্লানপুর, চণ্ডীগড়ে খেলাটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। খেলাটি পরিচালনা করেছেন অনিল কুমার চৌধুরী ও তপন শর্মা। গত কালের পিচটি বোলিং পিচ ছিল না কি ব্যাটিং পিচ ছিল সেটা বুঝা মুশকিল। তবে আমি দুই দলের বোলারদেরকে এগিয়ে রাখবো। দুই দলই ভালো পার্ফমেন্স করেছে।
Screen Short Form- www.cricbuzz.com
রাজস্থান রয়্যালস ক্যাপটেন সানজু স্যামসুন্স প্রথমে টস জিতে পাঞ্জাবকে ব্যাটিং করার আমন্ত্রন জানায়। ফলে তারা এগারোজন যোদ্ধা মাঠের চার পাশে ছড়িয়ে পরে। আর পাঞ্জাবের পক্ষে বোলিং মোকাবেলা করতে মাঠে আসে অথর্ব তাইদে ও বেয়ারস্টো। দুইজনই খুবই মারকুটে ব্যাট্সম্যান। তবে তারা রাজস্থান রয়্যালসের বোলিং গুলো তেমন সুবিধা করতে পারলেন না। ধীরে ধীরে দুই জন সমান তালে এগিয়ে যেতে লাগলেন। তবে তারা বেশি দুর এগিয়ে যেতে পারেন নি। দুইজন মিলে তিনটি চার মেরে স্কোর বোর্ডে ত্রিশ রান যোগ করে আউট হয়ে যায়। ফলে পাঞ্চাবের কপালে কিছুটা টেনশনের ভাঁজ পড়লো। তারপর প্রভসিমরণ-১০, ক্যাপটেন স্যাম কুরান-০৬, শশাঙ্ক সিং ০৯ রান করে আউট হয়ে যায়ে। কেউ আর পিচে দাড়াতে পারছে না। অবশেষে দলের হাট টেনে ধরে উইকেট কিপার জিতেশ শর্মা ও আশুতোষ শর্মা। দুইজন মিলে তেমন বড় কোন স্কোর করতে না পারলেও প্রতি পক্ষের সাথে লড়াই করার মত একটি স্কোর দাড় করায়। এখানে জিতেশ শর্মা একটি চার আর দুইটি ছয় মেরে ২৯ রান করে আর আশুতোষ শর্মা তিনটি ছয় আর একটি চার মেরে ৩১ রান যোগ করে। যার ফলে সর্বমোট ২০ অভার খেলে আট উইকেট হারিয়ে ১৪৭ রান করে তাদের ইনিংসের সমাপ্তি হয়।
Screen Short Form- www.cricbuzz.com
দ্বিতীয় পর্বে এসে খেলাটি জমে উঠে। রাজস্থানের পক্ষে ব্যাটিং করতে আসে যশস্বী জয়সওয়াল ও তানুশ কোটিয়ান। দুই জন এসেই দক্ষতার পরিচয় দেয়। দেখে শুনে পাঞ্জাবের বোলারদের মোকাবেলা করতে থাকে। তবে তারা তেমন বড় কোন শর্ট খেলতে পারে নাই। দুই জন মিলে ৫৯ বল মোকাবেলা করে ৬৩ রান যোগ করে আউট হয়ে যায়। তাদের দরকার ১৪৮ রান, তার মধ্যে অপেনার দুই জন মিলে ৬৩ রান করার ফলে তাদের তেমন চাপে থাকার কথা ছিল না। তবে তারা আউট হয়ে যাওয়া পরে রাজস্থান চাপে পড়ে। ক্যাপটেন সানজু স্যামসন-১৮, রিয়ান পরাগ-২৩, ধ্রুব জুরেল-৬,রোভম্যান পাওয়েল-১১, কেশব মহারাজ-১ রান করে আউট হয়ে যায়। সবাই ধারনা করতেছিলো রাজস্থান তীরে এসে তরী ডুবিয়ে দেয় না কি। তবে শক্ত হাতে দলের হাল ধরেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের হিটার ব্যাটসম্যান শিমরন হেটমায়ার। সে মাত্র ১০ বল খেলে তিনটি ছয় আর একটি চার মেরে ২৭ রান করে দলকে জয়ের বন্দরে পৌছে দেয়। পুরো গ্যালারীতে হিটমার হিটমার ধ্বনি উঠে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিছু ব্যাটসমেন মাঝে মাঝে ক্যালমা দেখায়। প্রায় সময় দেখি তারা দলকে খাদের কিনারা থেকে টেন তুলতে পারে। এই বিষয়ে তাদের প্রশংসা করতে হয়।
বোলারদের মধ্যে সবাই মোটামুটি ভালো বল করেছে আবেশ খান,মহারাজ,রাভাদা,স্যাম কুরান সবাই দুইটি করে উইকেট লাভ করেছে। অবশেষে সব কিছু বিবেচনা করে শিমরন হেটমায়ারকে ম্যান অফদা ম্যাচ ঘোষনা করা হয়। কারন তার শেষে ১০ বলের ২৭ রান দলের জন্য খুবই জরুরী ছিল।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা,ডিজাইন করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
অসাধারণ একটি ক্রিকেট ম্যাচের রিভিউ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে গত রাত্রে পাঞ্জাব একেবারে জয়ের দ্বার প্রান্তে পৌঁছেও জয়ের দেখা পেল না। একপর্যায়ে ধরে নিয়েছিলাম হয়তো পাঞ্জাব ম্যাচটি জিতে যাবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রাজস্থান জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে। যাহোক ম্যাচটি অত্যন্ত উপভোগ্য এবং উত্তেজনাকর একটি ম্যাচ ছিল।
জী ভাইয়া পাঞ্জাবের ভাগ্য খারাপ। তাই অল্পের জন্য খেলাটা হেরে গেলো। ধন্যবাদ।