আফগানিস্তানের সাথে দ্বিতীয় ম্যাচে সমতায় ফিরলো বাংলাদেশ।।
বাংলা ভাষায় মনের আনন্দে ব্লগ লেখো-
বন্ধুরা আপনারা সবাই জানেন যে বর্তমানে বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থান করছে। সেখানে বাংলাদেশ টিম আফগানিস্তানের সাথে তিনটি ওডিআই ম্যাচ খেলার জন্য গিয়েছে। এজন্য বাংলাদেশ টিম কয়েকদিন আগেই সংযুক্ত আরব আমিরাতে পৌঁছে ছিল। প্রথম খেলাটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ৬ই নভেম্বর। প্রথম খেলাটিতে বাংলাদেশ খুবই বাজে ভাবে হেরেছে। প্রথম খেলায় আফগানিস্তান আগে ব্যাটিং করে ২৩৫ রান সংগ্রহ করেছিল। ২৩৬ রানের টার্গেট নিয়ে বাংলাদেশ মাত্র ১৪৩ রানে অলআউট হয়ে যায়। সেদিন আফগানিস্তান ৯২ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছিল। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে সমতায় ফেরার জন্য মরিয়া ছিল বাংলাদেশ টিম। অবশেষে তারা দ্বিতীয় ম্যাচে কাঙ্খিত বিজয় ছিনিয়ে এনেছে। বাংলাদেশ টিম গতকাল ৬৮ রানের বিশাল বিজয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে। সে কারণে প্রশংসায় ভাসছে শান্ত বাহিনী। আজকে আমি সেই খেলার সংক্ষিপ্ত রিভিউ আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি।
গতকাল ৯ই নভেম্বর রোজ শনিবার স্থানীয় সময় বিকাল চারটা বাজে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ আফগানিস্তানের মুখোমুখি হয়। বাংলাদেশ টিম টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। বাংলাদেশের পক্ষে ওপেনিং ব্যাট করেছিল তানজিদ হাসান ও সৌম্য সরকার। বাংলাদেশ টিমের প্রথম শুরুটা মোটামুটি ভালই হয়েছিল। তানজিদ হাসান এবং সৌম্য সরকার দেখে শুনেই ব্যাট চালিয়েছিল। তবে দুইজনার কেউ বেশিক্ষণ ব্যাট চালাতে পারেনি। তানজিত হাসান ১৭ বলে ২২ রান করে আউট হয়ে যাই। সে অবশ্য তিনটি চার ও একটি ছয় মেরেছিল। তারপর সৌম্য সরকার আর ক্যাপ্টেন শান্ত জুটি ধরে মোটামুটি ভালোই খেলতে ছিল। সৌম্য সরকার ৪৯ বলে ৩৫ রান করে রশিদ খানের এল বি ডব্লিউ এর ফাঁদে পড়ে । তার নামের পাশে দুটি চার ও দুটি ছয়ের বাউন্ডারি যুক্ত হয়েছিল। তবে ক্যাপ্টেন শান্ত খুবই ধৈর্য সহকারে খেলে ছিল। সে ১১৯ বল খেলে ৭৬ রান করে। তার নামের পাশে বাউন্ডারী হিসেবে পাওয়া যায় ছয়টি চার ও একটি ছয়।
তারপরে আসে মেহেদী হাসান মিরাজ। সেও ধৈর্য সহকারেই খেলেছে। মেরাজ ৩৩ বলে ২২ রান করে। তবে সবচেয়ে বাজে খেলেছে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। সে নয় বল খেলে মাত্র তিন রান করে আউট হয়ে যাই। গতকাল বাংলাদেশ টিম লাস্টের দিকে খুবই ভালো খেলেছে। লাস্টের দিকে ব্যাটিং করেছে উইকেট কিপার জাকের আলী ও স্পিনার নাসুম আহমেদ। জাকের আলি ২৭ বল খেলে ৩৭ রান করেছিল। জাকের আলী একটি চার ও তিনটি ছয় মেরে তার ইনিংস সাজিয়েছিল। সে একপাশে অপরাজিতই থেকে ছিল। তবে আমরা নাসুম আহমেদের কাছ থেকে খুবই ভালো সাড়া পেয়েছিলাম। সে ২৪ বল খেলে ২৫ রান করেছিল। সবমিলিয়ে বাংলাদেশ টিম সাত উইকেট হারিয়ে ৫০ ওভার খেলে ২৫২ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছিল।
২৫৩ রানের টার্গেট নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে আফগানিস্তান দল। আফগানিস্তানের পক্ষে ওপেনিং করে আলোচিত ব্যাটসম্যান রাহমাতুল্লাহ গুরবাজ তাকে সঙ্গ দেয় সিদ্দিকুল্লাহ অটল। আপনারা সবাই জানেন যে রহমাতুল্লাহ গুরবাজ খুবই ভালো খেলে। তার ছয় চারের বাউন্ডারি দেখে দর্শকরা খুবই আনন্দ উপভোগ করে। তবে গতকাল রহমাতুল্লাহ গুরবাজ শুরুটা তেমন ভালো করতে পারেনি। মাত্র ৮ বল খেলে ২ রান করে তাসকিন আহমদের বলে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়ে। তবে অপর পাশের সিদ্দিকুল্লাহ অটল মোটামুটি ভালোই খেলেছে। সে ৫১ বল খেলে ৩৯ রান করে। আফগানিস্তানের পক্ষে সব থেকে ভাল খেলেছে রহমত শাহ। সে ৭৬ বল খেলে ৫২ তথা ফিফটি প্লাস রান করেছিল।
আফগানিস্তানের ক্যাপ্টেন হাসমত উল্লাহ শাহিদী মোটামুটি ধরে খেলার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু বাংলাদেশের বোলারদের তূপের মুখে রান তুলতে পারছিল না। সে ৪০ বল খেলে মাত্র ১৭ রান জমা করে। অপর পাশে আজমত উল্লাহ ওমরজাই শূন্য রানে আউট হয়ে যায়। তারপর আশার আলো জাগিয়েছিল আফগানিস্তানের আলোচিত ব্যাটসম্যান গুলবাদিন নাবি। অপর পাশে ছিল মোহাম্মাদ নাবি। মোহাম্মদ নাবি অনেকটা মার মুখি ব্যাটসম্যান, তার বেট জ্বলে উঠলে আর রক্ষা নেই। তবে গতকাল বাংলাদেশের বোলারদের ব্যাপারে তেমন সুবিধা করতে পারে নাই। মাত্র ২১ বলে ১৭ রান করে মাঠ ছাড়ে। গতকাল দুই নাবি আফগানিস্তানের পক্ষে দুটি ছয় মেরেছিল। গুলবাদিন নাবি ২৫ বলে ২৬ রান করে শরিফুল ইসলামের বলে তৌহিদ হৃদয়ের হাতে ক্যাচ ধরা পড়ে আউট হয়। তারপর আর কেউ তেমন রান করতে পারে নাই। আলোচিত বোলার মোহাম্মদ রশিদ খান ১৬ বলে ১৪ রান করেছিল। সব মিলিয়ে আফগানিস্তান দল ৪৩.৩ ওভার খেলে সবগুলো উইকেট হারিয়ে ১৮৪ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়। ফলাফল বাংলাদেশ ৬৮ রানের জয় পায়।
আমরা যদি বোলারদের দিকে তাকায় , তাহলে আমরা দেখতে পাই আফগানিস্তানের বোলার নাঙ্গেলিয়া খাইরুতে খুবই ভালো বল করেছে। আট ওভার বল করে ২৮ রান দিয়ে তিনটি উইকেট তুলে নিয়েছিল। বাংলাদেশের পক্ষেও নাসুম আহমেদ ৮.৩ ওভার বল করে ২৮ রান দিয়ে তিনটি উইকেট শিকার করেছিল। সব মিলিয়ে দুই দলের বোলিং মোটামুটি ভালই হয়েছিল। বাংলাদেশ টিম জয় পাওয়ার কারণে বাংলাদেশ ক্যাপ্টেন নাজমুল হাসান শান্তকে প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত করা হয়। এখন দেখা যাক তৃতীয় ম্যাচে কোন দল ভালো খেলে। তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় খেলাটি ফাইনাল খেলায় রূপান্তরিত হবে। দুই দল একটি করে খেলা জিতে সমতায় ফিরেছে। তৃতীয় ম্যাচটি দেখার আমন্ত্রণ জানিয়ে আজকে এখান থেকেই বিদায় নিলাম।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
বাংলাদেশ দলের হয়ে যেমন নাজমুল হোসেন শান্ত সৌম সরকার তানজিদ হাসান মোটামুটি দারুণ পারফরমেন্স করেছেন যার বদৌলতে বাংলাদেশ টিম ২৫২ রানের টার্গেট ছুঁড়ে দেয় আফগানিস্তানের জন্য। তার বিপক্ষে আফগানিস্তান মাত্র ১৮৪ রান করে। বলার দিক থেকে বাংলাদেশের যেমন নাসুম হাসান এবং মুস্তাফিজুর রহমান ভালোই বল করেছে ঠিক তেমনি আফগানিস্তান দলের ওনাঙ্গেলিয়া খাইরুতে চমৎকার বল করেছে। যাইহোক সর্বশেষ জয় বাংলাদেশের হয়েছিল এটাই সবথেকে আনন্দের বিষয়। আফগানিস্তান বাংলাদেশের ম্যাচটি সুন্দরভাবে রিভিউ করে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
বাংলাদেশ টিম শেষের দিকে ভালো খেলার কারণে, খেলাটি জিততে পেরেছে। ধন্যবাদ।
দ্বিতীয় ওয়ানডে তে ক্যাপ্টেন শান্ত বেশ ভালো খেলেছে ধৈর্য্য ধরে খেলেছে। এটা বেশ ভালো লেগেছে আমার কাছে। ব্যাটিং এর পরে মোটামুটি বোলিংয়ে বেশ ভালো করেছিল বাংলাদেশ। এইজন্যই জয়টা পেয়েছে। না হলে আর দেখতে হতো না হা হা। দেখা যাক সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে কী করে।
যেকোনো একজন প্লেয়ার ভালো করলেই মোটামুটি খেলাটি সুন্দর হয়ে যায়। কিন্তু বাংলাদেশী প্লেয়ারদের ধৈর্য কম। দেখা যাক কার হাতে উঠে। ধন্যবাদ।