ছোট বেলায় মায়ের কাছে শোনা গল্প ০১
আসসালামু আলাইকুম আমার বাংলা ব্লগের সদস্যবৃন্দ, আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজ ২২ নভেম্বর, ২০২৪; বাংলা ০৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। হেমন্তের শেষ মাস অগ্রহায়ণ আর অগ্রহায়ণ মাস মানেই নতুন ধানের গন্ধে ভরপুর চারদিক। এসময় কৃষকের ঘরে আসে নতুন ধান আর সেই সাথে নতুন চালের পিঠার উৎসব শুরু হয় গ্রাম বাংলা থেকে শহরতলীতেও। এরই ধারাবাহিকতায় আমার বাংলা ব্লগে @swagata21 দিদি নিয়ে এসেছেন সময়োপযোগী কনটেস্ট আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা -৬৫ || শেয়ার করো তোমার শীতকালীন ঐতিহ্যবাহী পিঠে পুলির রেসিপি। আমরা অধীর আগ্রহে আছি নতুন নতুন রেসিপি দেখার জন্য।
ছোটবেলায় ঘুমানোর আগে আম্মার কাছে বায়না করতাম গল্প শোনার জন্য, অনেক গল্পের মধ্যে আমার একটি গল্প আজও মনে পড়ে, সেটিই আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। এই গল্পটি নাকি শোনে আমি কান্না করে করে ঘুমিয়ে পড়তাম ভাইয়ারা বলতো।
একদেশে ছিলো একরাজা এটি ছিলো প্রতিটি গল্পের প্রথম কথা, তবে কখনো শোনতে খারাপ লাগেনি। একদেশে ছিলো এক রাজা, রাজার ছিলো না কোনো পুত্র বা কন্যা সন্তান। তাই রাজা মনের দুঃখে পর পর সাতটি বিয়ে করেন কিন্তু এর পরেও কোনো সন্তানের মুখ তিনি দেখেননি। রাজার একটি প্রিয় টিয়া পাখি ছিলো, আর একটি প্রিয় কুকুর ছিলো। তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন দেশান্তরি হবেন। সেজন্য টিয়া পাখিকে রাজ্য দেখাশোনা করার দায়িত্ব দিলেন। টিয়া পাখি প্রজাদের থেকে খাজনা আদায় করে, সেগুলো দিয়ে ধান কিনে গোলায় ভরে, আর পাশের দেশের ও তার নিজের দেশের সব টিয়াকে দাওয়াত দেয় এসে ধান খাওয়ার জন্য। অনেক টিয়া এসে সব ধান খেয়ে শেষ করে ফেলে আর গোলা ভরে যায় টিয়া পাখির মল দিয়ে। বছর খানেক পরে রাজা ফিরে আসেন দেশে, সাথে টিয়া পাখি ও কুকুরের জন্য খাবার নিয়ে আসেন। রাজা টিয়া পাখিকে একটি আম কেটে দিলেন, কিন্তু টিয়া পাখি বুঝতে পারে আমটি সাপে খাওয়া সে আমটি ফেলে দেয়, রাজা এতে খুবই নারাজ হন টিয়া পাখির উপরে। ছোট টিয়া পাখির এতো সাহস রাজার দেওয়া আম ফেলে দেয়! তিনি পাখিটিকে মেরে ফেলেন। কিন্তু রাজা বুঝতে পারেননি আমটি বিষাক্ত। তিনি আমটি কুকুরটিকে দেন। কুকুর আম খেয়ে মারা যায়, এতে রাজা বুঝতে পারেন টিয়া পাখি কেনো আম ফেলে দিয়েছিলো। রাজা আফসোস করতে থাকেন, যে টিয়া পাখি তার এতোদিন রাজ্য দেখভাল করেছে তাকেই তিনি মেরে ফেললেন! রাজা পাখির শোকে শুধু হায় টিয়া! হায় টিয়া করে ঘুরে বেড়ান। যখন ধানের গোলায় গেলেন গিয়ে দেখেন কোনো ধান নেই সব পাখির শুকনা মল, তিনি হায় টিয়া হায় টিয়া করতে করতে মলে হাত দেওয়ার সাথে সাথে সেগুলো সব সোনায় পরিণত হয়ে গেলো। এতে রাজার দুঃখ আরও বহুগুণ বেড়ে গেলো।
আমার গল্পটি পড়ার জন্য আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ সবাইকে। আজ এখানেই শেষ করছি, আবারও নতুন গল্প নিয়ে হাজির হবো সেই পর্যন্ত সকলেই সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।
আমার পুরোনাম জোনায়েদ আহমদ । স্টিমিট আইডি @junaidahmed।
বাসা নেত্রকোনা সদর নেত্রকোনা । আমি অর্থনীতি বিভাগে অনার্স কমপ্লিট করেছি, বর্তমানে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত আছি। আমার প্রকৃতির ছবি তুলতে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে।বিভিন্ন বিষয়ে গল্প লিখতেও ভালো লাগে। হলের বারান্দায় আমার কিছু গাছ আছে এগুলোর সাথে মাঝে মাঝে সময় কাটাই। আমি স্টিমিটে জয়েন করি ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। আমার এই স্বল্প সময়ে আমার বাংলা ব্লগে ক্যারিয়ার শুরু করতে পেরে খুবই আনন্দিত অনুভব করছি। আপনাদের সাথে কাজ করার সুযোগ পেয়ে খুব ভালো লাগছে।

Twitter promotion https://x.com/Junaid_2208/status/1859798891136417982
Vennligst fjern den stygge Lebel @hdnhr08
Kebodohan. Junaidahmed kelihatan
Ikke logg inn på andres kontoer på den måten
Takk venn @junaidahmed for merkelappen.
Today's task

এটা শর্ট পোষ্ট হয়ে গেছে, আমার বাংলা ব্লগ এমন শর্ট পোষ্ট সাপোর্ট করে না। ধন্যবাদ