সন্ধ্যায় খাবারের মেলা 'চলো খাই'তে কিছুক্ষণ৷ এক অনন্য অভিজ্ঞতা।

in আমার বাংলা ব্লগ18 hours ago

কিছুক্ষণের জন্য খাদ্য মেলায় হাজির হয়েছিলাম

💮💮💮💮💮💮💮💮💮


IMG_20241222_175327_087.jpg

সূর্য মোদকের মিষ্টি

হুগলি জেলার মাহেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এক বিশাল খাদ্যমেলা। যার নাম হল 'চলো খাই'। রবিবারের সন্ধ্যায় হঠাৎ কিছু সময়ের জন্য পৌঁছে গিয়েছিলাম সেই 'চলো খাই' খাদ্য মেলায়। সেখানে গিয়ে দেখলাম খাবার-দাবারের বিশাল আয়োজন। আর তার সঙ্গে বিশাল মেলা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে শুরু করে সব রকমের জাঁকজমক ব্যবস্থাপনাই যেখানে বিদ্যমান। কিছু সময়ের জন্য তাই বেশ ভালো কাটলো সময়টা। অনেক কিছু খেতে পারি না ঠিকই, কিন্তু ভালো লাগে উৎসবের মেজাজটা। আর সেই উৎসবের মেজাজেই মাহেশে খাদ্যমেলার পরিবেশ একেবারে জাঁকজমকপূর্ণ।

IMG_20241222_175038_690.jpgIMG_20241222_174927_563.jpg

মেলাতে ঢুকেই খেয়াল পরল টার্কিস আইসক্রিমের দোকান। যেখানে তারা বেশ কায়দা করে আইসক্রিম পরিবেশন করে। আপনি যতবারই আইসক্রিম ধরতে যাবেন ততবার তারা কায়দা করে ঠিক সরিয়ে নেবে আপনার হাত থেকে। এই আইসক্রিম সারা পৃথিবী জুড়ে বেশ বিখ্যাত। এই খাদ্য মেলাতেও তাদের বিশাল স্টল চোখে পড়লো। তাছাড়াও চোখে পড়লো সারা ভারতবর্ষের প্রায় বিভিন্ন ধরনের খাবারের আয়োজন। কী নেই সেখানে? চন্দননগরের বিখ্যাত সূর্য মোদকের জলভরা তালশাঁস সন্দেশ থেকে শুরু করে নবদ্বীপের বিখ্যাত দই, প্রায় সব ধরনের দোকান সেখানে মজুত ছিল। এতকিছু খাওয়া একজন মানুষের পক্ষে সম্ভব না হলেও এই সবকিছু আয়োজন দেখতে বেশ ভালো লাগে। প্রচুর মানুষ বিভিন্ন স্টলে ভিড় করে খাওয়া দাওয়া করছেন। আর সংস্কৃতিক মঞ্চে শিল্পী গান গাইছেন নিজের খেয়ালে। সব মিলিয়ে পরিবেশ বেশ ভালোলাগার মত।

IMG_20241222_175333_321.jpg

IMG_20241222_175322_454.jpg

সূর্য মোদকের বিখ্যাত তালশাঁস

খাদ্যমেলা মানে শুধুই খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন। সারা মেলাজুড়ে বিভিন্ন ধরনের খাবারের স্টল। মিষ্টি, আইসক্রিম ছাড়াও এখানে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভেজ এবং ননভেজ খাবারের আইটেমও। চিকেন কাবাব থেকে শুরু করে ক্রিসপি চিকেন, আবার হটডগ থেকে চিকেন তন্দুরি, সব ধরনের খাবারের ডিস এখানে সুলভে পাওয়া যাচ্ছে। অর্থাৎ এক জায়গায় গেলেই সারা ভারতবর্ষের সব খাবার হাতের সামনে। যারা খেতে ভালোবাসেন, এ যেন তাঁদের কাছে স্বর্গরাজ্য। আর এই স্বর্গরাজ্যে পৌঁছে গেলে কোনটা ছেড়ে কোনটা খাবেন বুঝে উঠতে পারবেন না। আমি একটি নতুন খাবার আজ খেলাম। খাবারটির নাম কর্নডগ। হটডগ খাবারের কথা এর আগে শুনেছি। কিন্তু কর্ণডগ আজ প্রথম খেলাম। একটি স্টিকে মাংসের লম্বা টুকরো আটকে তা ভেজে ভেতরে চিজ দিয়ে পরিবেশন করা হয়েছে৷ দেখতেও যেমন অভিনব, খেতেও তেমন। একটি নতুন ধরনের খাবার খেয়ে আমার বেশ ভালই লাগলো। মুখে টানলে প্রতিবারে মুখে যায় মাংস এবং চিজ। স্বাদে গন্ধে অতুলনীয়। 'চলো খাই' খাদ্য মেলার সব খাবারের টেস্টই একেবারে স্বতন্ত্র। আর এখানে গেলে সব ধরনের খাবার হাতের সামনে মিলেও যাবে। যে যার পছন্দমত খাবার টেস্ট করতেই পারবেন৷

IMG_20241222_174905_070.jpgIMG_20241222_174830_069.jpg

সব মিলিয়ে চলো খাই খাদ্য মেলায় গিয়ে আমার তো এক নতুন অভিজ্ঞতা হল। শুধু খাবারের উপর মেলায় এর আগে আমি কখনো যাইনি। বিভিন্ন মেলায় গিয়ে তার ফুড কোর্টে খাওয়া দাওয়া করেছি। কিন্তু এতো শুধু খাবারের জন্যই একটা আস্ত মেলা। আর সেখানে বিভিন্ন ধরনের খাবারের পসরা সাজিয়ে বসে আছে দোকানি।

IMG_20241222_175952_227.jpg

কর্নডগ

পোষ্টের সঙ্গে খাদ্যমেলায় আমার তোলা বিভিন্ন ছবি পেস্ট করে দিলাম। যদি আপনাদের এই মেলার গল্প শুনে খিদে বেড়ে যায় বা এখনি কিছু খেতে ইচ্ছে করে তবে নিশ্চই তা কমেন্ট করে জানাবেন।


Onulipi_08_07_01_37_53-removebg-preview.png

চিত্রগ্রহণ
ইনফিনিক্স হট ৩০
ক্যামেরা স্পেশিফিকেশন
৫০ মেগাপিক্সেল
স্ট্যাটাস
আনএডিটেড
চিত্রগ্রাহক
কৌশিক চক্রবর্ত্তী
লোকেশন
মাহেশ, পশ্চিমবঙ্গ
কভার ছবি এডিটিং সৌজন্য
অণুলিপি

🙏 ধন্যবাদ 🙏


(১০% বেনিফিশিয়ারি প্রিয় লাজুক খ্যাঁককে)



1720541518267-removebg-preview.png

Onulipi_07_27_10_21_22.jpg


Yellow Modern Cryptocurrency Instagram Post_20240905_213048_0000.png

new.gif

1720541518267-removebg-preview.png


--লেখক পরিচিতি--

IMG_20240303_181107_644.jpg

কৌশিক চক্রবর্ত্তী। নিবাস পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলায়। পেশায় কারিগরি বিভাগের প্রশিক্ষক। নেশায় অক্ষরকর্মী। কলকাতায় লিটল ম্যাগাজিন আন্দোলনের সাথে দীর্ঘদিন যুক্ত৷ কলকাতা থেকে প্রকাশিত কবিতার আলো পত্রিকার প্রধান সম্পাদক। দুই বাংলার বিভিন্ন প্রথম সারির পত্রিকা ও দৈনিকে নিয়মিত প্রকাশ হয় কবিতা ও প্রবন্ধ। প্রকাশিত বই সাতটি৷ তার মধ্যে গবেষণামূলক বই 'ফ্রেডরিক্স নগরের অলিতে গলিতে', 'সাহেবি কলকাতা ও তৎকালীন ছড়া' জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। সাহিত্যকর্মের জন্য আছে একাধিক পুরস্কার ও স্বীকৃতি। তার মধ্যে সুরজিত ও কবিতা ক্লাব সেরা কলমকার সম্মান,(২০১৮), কাব্যলোক ঋতুভিত্তিক কবিতায় প্রথম পুরস্কার (বাংলাদেশ), যুগসাগ্নিক সেরা কবি ১৪২৬, স্রোত তরুণ বঙ্গ প্রতিভা সম্মান (২০১৯), স্টোরিমিরর অথর অব দ্যা ইয়ার, ২০২১, কচিপাতা সাহিত্য সম্মান, ২০২১ তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য।



কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ

ধন্যবাদ জানাই আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবন্ধুদের৷ ভালো থাকুন, ভালো রাখুন।

Drawing_11.png

44902cc6212c4d5b.png

First_Memecoin_On_Steemit_Platform.png

hjh.png


Sort:  
 18 hours ago 

Daily Tasks-

Screenshot_20241222-223317.jpgScreenshot_20241222-214207.jpg
Screenshot_20241222-204211.jpgScreenshot_20241222-203844.jpg

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 17 hours ago 

একদম ঠিক বলেছেন দাদা। খাবারের মেলাতে শুধু খাবারের আয়োজন। এখানে কিন্তু বিভিন্ন রকমের খাবারের আইটেম লক্ষ্য করা যায়। যে সমস্ত খাবারগুলো অনেক দিন দেখা নেই খাওয়া নেই সেগুলো খুঁজে পাওয়া যায় এখানে। বেশ ভালো লাগলো আপনার সুন্দর একটি পোস্ট পড়ার মধ্য দিয়ে।

 17 hours ago 

হ্যাঁ ভাই৷ যারা খেতে ভালোবাসে তাদের কাছে এই মেলা অত্যন্ত প্রিয় এক জায়গা। আমার তো গিয়ে খুব ভালো লেগেছে। অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য।

 17 hours ago 

আমি এরকম একবার গিয়েছিলাম৷ তবে সেখানে ভারতের নানান রাজ্যের স্টল বসেছিল। সূর্য মোদকের তালশাঁসে দেখে তো আমার চোখ মাথায় উঠে গেল। কত বড় আর কী দারুণ৷

এছাড়াও কর্ণ হট ডগ খাবারের নামই প্রথম শুনলাম। না জানি কি চমৎকার খেতে ছিল। খুব আনন্দ করে নিশ্চই খেয়েছ।

 16 hours ago 

হ্যাঁ সূর্য মোদকের তালশাঁস তো দুনিয়া বিখ্যাত। আর কর্নডগ দেখলাম খেতে বেশ ভালই। সব মিলিয়ে সম্পূর্ণ মেলাটা বেশ আকর্ষণীয় হয়েছিল।

 4 hours ago 

এত ভালো ভালো খাবারের মেলা দেখে যে যেতে ইচ্ছে করছে। সব সময় তো দেখি জামা কাপড় কসমেটিক্স অন্যান্য মেলা। কিন্তু খাবারের মেলায় কখনো যাওয়া হয়নি। আমি আবার মজার মজার খাবার খেতে অনেক পছন্দ করি। আর এই খাবারের মেলাতে দেখা যায় অনেক মজাদার খাবার আর অচেনা খাবারও পাওয়া যায়। আর অনেক খাবারের আইটেম নতুন করে চিনে নেয়াও যায়।

 45 minutes ago 

"চলো খাই" নামটা খুব সুন্দর আর ইউনিক। বিভিন্ন রকম খাবারের ফটোগ্রাফি দেখে খুবই ভালো লাগলো। এরকম মেলাগুলোতে আগে কখনো যাওয়া হয়নি। আপনি নতুন একটা অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর এই মুহূর্তগুলো এবং এই অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য।