লাইফ স্টাইল // নিজেদের পুকুরের মাছ বিক্রি করার অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (১৬-১১-২০২৪)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি লাইফ স্টাইল // নিজেদের পুকুরের মাছ বিক্রি করার অনুভূতি। আজকে সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠেই বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। প্রথমেই ঘুম থেকে ওঠার পরে হাত মুখ ধুয়ে হালকা একটু নাস্তা খেয়েছি তারপরে বাইক বের করে গিয়েছিলাম একটু বাজারে কিছু জিনিস কেনাকাটা করার জন্য। বাজার থেকে বাড়িতে এসে মাছের পুকুরে খাবার দেওয়ার জন্য গিয়েছিলাম। মাছের পুকুরে খাবার দেওয়া শেষ করে এসে বেশ কিছু সময় বাড়িতে বসে ছিলাম। তখনই ভাবলাম এখন অনেক দায়িত্ব বেড়ে গিয়েছে তাই আপনাদের মাঝে খুব দ্রুত একটা পোস্ট শেয়ার করি। আমি আমার জায়গা থেকে চেষ্টা করি প্রতিনিয়ত চমৎকার কিছু পোস্ট আপনাদের উপহার দেওয়ার জন্য। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক.........
আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি আমাদের পুকুরের মাছ বিক্রয় করার অনুভূতি। আসলে আমার পোস্ট যে সকল ইউজার প্রতিনিয়ত দেখে থাকে তারা সকলে জানে আমি বাড়িতে পুকুরে মাছ চাষ করি প্রায় প্রতিনিয়ত মাছগুলোকে খাবার দিতে যাই সকাল সন্ধ্যা। আমাদের দুইটা পুকুর রয়েছে আসলে দুইটা পুকুরে খাবার দেওয়া সত্যি বেশ কষ্টকর কিন্তু মাছগুলো যখন এক জায়গায় এসে খাবার খায় তখন দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগতো। আসলে নিজের ভালো লাগার জায়গা থেকে মাছ চাষ শুরু করেছিলাম। মাছ চাষ করতে আমার কাছে সত্যিই বেশ ভালো লাগে বিকেল বেলায় খাবার দেওয়ার মুহূর্তটা বেশ দারুন। আমরা একটি পুকুরের মাছ বিক্রয় করে ফেলেছি গত কয়েকদিন আগে। আপনারা দেখতে পারছেন আমাদের পুকুরের মধ্যে দুপুরবেলায় মাছ ধরার জন্য জাল নামানো হয়েছিল। আমি তখন পুকুর পাড়ে বসে ছিলাম বেশ কয়েকটি ছবি আমার মোবাইলের ক্যামেরা বন্দি করে রেখেছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বলে।
আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন বেশ কয়েকজন জেলে মাছ ধরার জন্য আমাদের পুকুরে জাল নামিয়ে ছিল। আসলে মাছ ধরার জন্য পুকুরে যদি জাল নামানো যায় সেই ঝাল হাত দিয়ে টেনে আবারো পাড়ে নিয়ে আসতে সত্যি অনেক কষ্ট হয় জেলেদের। আসলে তাদের সাথে আমরা বেশ কয়েকজন মিলে সাহায্য করেছিলাম। আপনারা লক্ষ্য করে দেখতে পারবেন জাল গুলো প্রায় পুকুরের মাঝ বরাবর চলে এসেছে তখনই আমি আমার সেলফি সহ অনেক সুন্দরভাবে একটি ছবি তুলে রেখেছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বলে। আসলে অনেকদিন ধরে মাছের খাবার দিচ্ছিলাম সেই মাছগুলো নিজের চোখের সামনে ধরে বিক্রয় করে দেওয়া হচ্ছিল সত্যি দেখে আমার একটু বেশ খারাপ লেগেছিল। কিন্তু কিচ্ছু করার নাই আমরা মাছগুলো বিক্রয় করার উদ্দেশ্যে প্রতিনিয়ত খাবার দিয়ে চাষ করে থাকি। যেহেতু বিক্রয় করার উপযুক্ত হয়ে গেছে তাই মাছগুলোকে পুকুর থেকে বিক্রয় করে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই জাল নামানো হয়েছে।
আপনারা এবার উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আবারো একটি চমৎকার ছবি আমার মোবাইলের ক্যামেরা বন্দী করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। মাছের জেলেরা মাছ ধরার জন্য জাল টেনে প্রায় পুকুরের পাড়ে ভিড়ে ফেলেছে আপনারা দেখতে পারবেন। আসলে জালের মধ্যে অনেক মাছ আটকা পড়েছে সত্যি মাছগুলো বের হওয়ার জন্য খুবই চেষ্টা করছিল কিন্তু মাছ বের হতে পারছিল না। জালের মধ্য থেকে মাছ একজন জেলের মাথায় গিয়ে লেগেছিল সেখানে বেশ কিছু সময় আহত হয়ে বসে থাকে। এভাবেই তারা বেশ কিছু সময় চেষ্টার পর জাল গুলো এক জায়গায় গুছিয়ে নিতে সক্ষম হয়। মাছ ধরা সেই দৃশ্য সত্যি আমার কাছে বেশ চমৎকার লেগেছিল।
আপনারা এবার লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আবারও আপনাদের মাঝে খুবই সুন্দর ভাবে দুটি ছবি আমার মোবাইলের ক্যামেরা বন্দি করে শেয়ার করেছি। জাল যখন এক জায়গায় গোছানো হয়ে গেছে তখন প্রত্যেকটা জেলে জালের মধ্য থেকে মাছ ধরে হাঁড়ির মধ্যে রাখছিল। আসলে আমাদের পুকুরের পাঙ্গাস মাছের ওজন ছিল তিন থেকে সাড়ে তিন কেজি। আমরা মাছগুলো আমাদের পুকুর থেকে বিক্রয় করে দিয়েছিলাম আমরা প্রতি কেজি মাছ বিক্রয় করেছিলাম ১৫৫ টাকায়। প্রত্যেকবারের তুলনায় এবার মাছ বিক্রি করে প্রায় প্রত্যেকটা মাছ চাষী বেশ ভালো লাভবান হয়েছে। মাছগুলো ধরা শেষে যখন মাছগুলো ওজন দিয়ে বিক্রয় করা হচ্ছিল তখন আমি সেখানে লেখালেখির কাজে ব্যস্ত ছিলাম তাই আর ছবি তুলতে পারেনি। আশা করি আজকের লেখা পোস্ট আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি ক্যামেরাবন্দি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা এবং ফটোগ্রাফি ধারণ করা। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু করেছি ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের ০১ তারিখে । স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো অনেক দূরে এগিয়ে যেতে চাই এটাই আমার লক্ষ্য। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
X-promotion
ভাই আপনি নিজের কর্ম নিজে করেন এটা জেনে সত্যিই অনেক বেশি ভালো লাগলো। মাছ চাষ করা আমারও খুব পছন্দের কিন্তু সে রকম পুকুর না থাকার কারণে করতে পারিনা। ভালো দামের মাছ বিক্রি করেছেন জেনে ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।
আমিও ভাই মাছ চাষ করতে খুবই পছন্দ করি তাই নিজের শখের বসে মাছ চাষ করা।
আসলে নিজের জিনিস বিক্রি করার মজাই আলাদা। আপনার পুকুরে দেখছি অনেক জেলে মাছ ধরছে। পাঙ্গাস মাছ তো ভালোই বড় হয়েছে। নিশ্চয় মাছ বিক্রি করে অনেক লাভবান হবেন।ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপু অল্প কিছু লাভবান হতে পেরেছি।
নিজের পুকুরের মাছ ধরতে কার না ভালো লাগে। আপনার পুকুরে অনেক জেলেরা মাছ ধরছে। মাছগুলো বেশ বড় বড় হয়েছে দেখছি।ভালো দামে মাছগুলো বিক্রি করেছেন জেনে ভালো লাগলো। মাছ বিক্রি করার দারুন অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন প্রত্যেকটা মানুষের নিজের পুকুরে মাছ ধরতে ভালো লাগে । কিন্তু বিক্রয় করার সময় একটু খারাপ লাগে।
এভাবে অনেকজন মিলে পুকুর থেকে মাছ তোলার মুহূর্ত গুলো সত্যিই খুব সুন্দর হয়। এগুলো আমি সামনাসামনি কখনো দেখিনি। ফটোগ্রাফিতে ভালোই লাগে দেখতে। মাছ বিক্রির সময় দারুন কিছু মুহূর্ত কাটালেন। মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন আপু আসলে মাছ বিক্রির সময় দারুন কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছিলাম সেখানে।
এ তো আপনার পরিশ্রমের ফল। এমন দৃশ্য ছোটবেলায় বাড়িতে অনেক দেখেছি। এখন আমাদের ওদিকে বাড়ি বাড়ি মাছ চাষ হয় না সেভাবে। কিন্তু আপনার ছবি দেখে ও বর্ণনা পড়ে বেশ ভালো লাগলো। কষ্ট করে মাছ চাষ করেছেন এবং ভালো দামে তা বিক্রি করেছেন এর থেকে সঠিক প্রাপ্তি আর কি বা হতে পারত। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর ভাবে আপনার মূল্যবান গঠনমূলক মতামত শেয়ার করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
পুকুর থেকে জেলেদের মাছ ধরার মুহূর্ত দেখতে আসলেই খুব ভালো লাগে। যদিও একেবারে ছোটবেলায় দেখেছিলাম এভাবে মাছ ধরতে। যাইহোক পাঙ্গাস মাছের সাইজ তো বেশ ভালোই হয়েছিল। ১৫৫ টাকা কেজি বিক্রি করেছেন,জেনে খুব ভালো লাগলো। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন ভাই আসলে পাঙ্গাশ মাছের সাইজটা মোটামুটি বেশ ভালোই হয়েছিল।