জেনারেল রাইটিং // বাসর ঘর সাজানোর জন্য ফুল কেন অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (২০-১১-২০২৪)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি জেনারেল রাইটিং // বাসর ঘর সাজানোর জন্য ফুল কেন অনুভূতি। আজকে সকাল বেলায় ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে বেশি ব্যস্ত সময় পার করছি। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই হাত মুখ ধুয়ে বেশ কিছু সময় বাড়িতেই বসে ছিলাম। তারপরে প্রত্যেকদিনের ন্যায় আজকেও মাছের খাবার দেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়েছিলাম। মাছের খাবার দিয়ে বাড়ি ফেরার সময় অনেক দিনের পুরনো এক বন্ধুর সাথে দেখা হয়েছিল। আমাদের গ্রামে বন্ধুকে নিয়ে এসে সকালবেলায় চা বিস্কিট খেয়েছিলাম এবং দুজন যেখানে বেশ কিছু সময় বসে আড্ডা দিয়েছিলাম। তারপরে বাড়িতে এসে হাতমুখ ধুয়ে বেশ কিছু সময় বসে ছিলাম দেখি আম্মুর এখনো নাস্তা তৈরি হয়নি। তারপরে ভাবলাম আপনাদের মাঝে সকাল সকাল পোস্ট শেয়ার করি। যেহেতু এখন কাজের চাপ বেড়েছে এবং দায়িত্ব বেড়েছে। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক।
আপনার সকলে আমার গত সপ্তাহের পোস্টটির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আমার খালাতো ভাইয়ের বিয়েতে ক্ষীর খাওয়ানোর অনুষ্ঠানের পর্বে শেয়ার করেছিলাম। আজকে খালাতো ভাইয়ের বাসর ঘর সাজানোর জন্য ফুল কেনার কিছু অনুভূতি শেয়ার করতে যাচ্ছি। আসলে আমি আমার খালাতো ভাইয়ের বিয়েতে আমাদের বাড়ি থেকে একদিন আগে গিয়েছিলাম মূলত আমার খালাতো ভাই আমাকে নিতে আসছিল আমাদের বাসাতে। আসলে খালাতো ভাইয়ের সেই রকম কোন ভাই ব্রাদার ছিল না আমি ছাড়া তাই আমি তার সকল কাজে সাহায্য করেছিলাম এবং আমার ভাইয়ের দুইজন বন্ধু এসেছিল। আসলে আমরা তিনজন মিলে বিয়ের একদিন আগে থেকেই আনন্দ উদযাপনে মেতে উঠেছিলাম। আসলে সবকিছু দায়িত্ব আমার উপরেই ছিল আমরা তিনজন মিলে বাজার করা থেকে শুরু করে সবকিছুই হ্যান্ডেল করেছিলাম। প্রথমে আপনারা দেখতে পারছেন আমি আমাদের গাংনী বাজারের সবথেকে সেরা ফুলের দোকানে গিয়েছিলাম ফুল কিনে বাসর ঘর সাজানোর জন্য। সেখানে গিয়েই পৌঁছানোর পরে একটি ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি।
আমি মূলত ফুল কেনার জন্য গিয়েছিলাম গাংনী বাজারে টুইস্টার ফুল মেলায়। আপনারা অনলাইনে যেখানে সেখানে সার্চ করলেই পাবেন আমাদের এই গাংনী টুইস্টার ফুল মেলার নাম। আমাদের মূলত বাজেট ছিল বাসর ঘর সাজানোর জন্য ১০ হাজার টাকার মধ্যে। প্রথমে আমরা তিনজন বিয়ের আগের দিন সন্ধ্যাবেলায় বাজারে ফুলের দোকানে গিয়েছিলাম ফুল কেনার উদ্দেশ্যে। তারপরে সেখানে গিয়ে আমরা আমাদের মোবাইলে বেশ কিছু বাসর ঘরের ছবি ছিল সেখান থেকে বেশ কয়েকটি ছবি দোকানদারকে আমারও দেখেছিলাম এবং বাসর ঘর সাজানোর জন্য কেমন টাকা-পয়সার প্রয়োজন জিজ্ঞেস করেছিলাম। তবে অবশেষে আমরা মন পছন্দ মত একটি বাসর ঘরের জন্য ফুল অর্ডার করেছিলাম। দোকানদার আমাদেরকে বলেছিল আপনারা যদি ৮ হাজার টাকা বাজেট করেন তাহলে ভালো মানের একটি বাসর ঘর সাজানো সম্ভব। তারপরে আমরা সেখান থেকে অল্প কিছু টাকা জমা করে এসেছিলাম ফুলের দোকানে। তারপরে বাড়িতে চলে এসেছিলাম।
বিয়ের দিন সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠেই আমি এবং আমার ভাইয়ের দুই বন্ধু চলে গিয়েছিলাম আবারো আমাদের গাংনী বাজারে। বিয়েতে অনেকগুলা মাইক্রো গাড়ি যাওয়ার কথা ছিল তার মধ্যে আমরা একটি গাড়ি সাজানোর কথা ছিল। একটি গাড়ি সাজানোর জন্য আমরা সেখানে গিয়ে গাড়ি সাজিয়ে নিয়ে আবারো বাড়িতে এসেছিলাম। কিন্তু বাসর ঘরের ফুল আমাদের দেওয়ার কথা ছিল বিয়ে খেয়ে আসার পথে আমরা বাসর ঘরের ফুল বাড়িতে নিয়ে আসব তারপরে বাসর ঘর সাজানোর জন্য প্রস্তুতি নিব। আসলে বাসর ঘর সাজানোর জন্য সেখানে সবকিছু রেডিমেড আমাদেরকে তৈরি করে দিবে আমারও শুধুমাত্র বাসর ঘরে নিয়ে এসে রেখে দিলেই হয়ে যাবে পরবর্তীতে আমি বাসর ঘরের ছবি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। আশা করি আজকের লেখা পোস্ট আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি ক্যামেরাবন্দি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা এবং ফটোগ্রাফি ধারণ করা। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু করেছি ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের ০১ তারিখে । স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো অনেক দূরে এগিয়ে যেতে চাই এটাই আমার লক্ষ্য। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
x-promotion
খালাতো ভাইয়ের বিয়ে নিয়ে ভালোই মজা করছ দেখছি। বিয়ে বাড়িতে অনেক মজা হয় অনেকদিন হলো এভাবে বিয়ের অনুষ্ঠান উপভোগ করা হয় না। বাসর ঘর সাজানোর দায়িত্ব পড়েছে ভালো দায়িত্ব যথার্থভাবে পালন করাই উত্তম। সেই অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
দাদা মাইক্রো গাড়ি কি? বাসর ঘরের জন্য আপনার ফুলের কেনাকাটা করার অনুভূতি পড়ে বেশ ভালো লাগলো। বিয়ে বাড়ি উপলক্ষে নানান আয়োজন আমাদের এক ধরনের অনুভূতি জাগে তোলে। ফুল দোকানটা বেশ সুন্দর আর ভালোমতোই ফুল হয়েছে দেখলাম । এখনই আর্টিফিশিয়াল ফুলগুলো এসে যেন বাজার মাত করে রেখেছে।
মামা এ তো দেখি গাংনীর সাজঘর। বিয়ের বাসর ঘর সাজানোর জন্য এখান থেকে সবাই বিভিন্ন রকমের ফুল সংরক্ষণ করে থাকে। যাইহোক তোমার খালাতো ভাইয়ের বিয়ের ক্ষীর খাওয়ার পোস্ট আমি দেখেছিলাম। আজকে দেখতে পারলাম ঘর সাজানোর জিনিস কেনাকাটার বিষয়গুলো। দোয়া করি তোমার খালাতো ভাইয়ের জন্য।
আপনার খালাতো ভাইয়ের ক্ষীর খাওয়ার অনুষ্ঠানের পর্ব আমি দেখেছিলাম। আজকে সে বিষয়ে অন্য আরেকটা পোস্ট শেয়ার করেছেন। বাসর ঘর সাজানোর জন্য ফুল কিনেছেন। বর্তমানে কাঁচা ফুলের চেয়েও প্লাস্টিকের ফুল দিয়ে সবকিছু সাজানো হয় বেশি। আপনারা ভালো বাজেট নিয়ে বের হয়েছেন। পরবর্তীতে বাসর ঘর সাজানোর ছবি গুলো দেখার অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।