আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের ছোট্ট এক মিলন মেলা
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (১৩-১২-২০২৪)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের ছোট্ট এক মিলন মেলা। বেশ কয়েকদিন ধরে বেশ ব্যস্ত সময় পার করতে হচ্ছে। আজকে সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে ভেবেছিলাম প্রথমে আপনাদের মাঝে কাজ শেষ করব তারপরে বাইরে বের হব কিন্তু সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠতে বেশ দেরি হয়ে যায়। তাই সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে আমি এবং রকি ভাই দুজন মিলে আমাদের এলাকায় বাইক নিয়ে বের হয়েছিলাম খেজুরের রস খাওয়ার উদ্দেশ্যে। আমি এবং রকি ভাই যখন বের হয়েছিলাম ভোর ছয়টা বাজে আমাদের এলাকায় শীতের কুয়াশার আমেজ ছিল অন্যরকম। এতটাই শীত যে বাইক চালানোর মত কোন অবস্থায় ছিল না তাও আমরা দুজন বাইক নিয়ে চলে গিয়েছিলাম অনেক দূরে খেজুরের রস খাওয়ার উদ্দেশ্যে। রস খাওয়া শেষ করে বাড়িতে এসে বসে গেলাম পোস্ট লেখার জন্য তবে চলুন আপনাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করা যাক.........
আমার বাংলা ব্লগে কাজ করার সূত্রই রকি ভাইয়ের সাথে আমার পরিচয়। আসলে কয়েক দিনের পরিচয় আমাদের দুজনের মধ্যে বড় ভাই এবং ছোট ভাইয়ের মতো সম্পর্ক তৈরি করেছে সত্যি এটা আমার কাছে অকল্পনীয় ছিল। রকি ভাই আমাদের এলাকাতে আসবে এটা আমরা কখনোই ভাবতে পারেনি কিন্তু রকি ভাইকে বেশ কয়েকবার রিকোয়েস্ট করার পরে রকি ভাই আমাদের এলাকায় বেড়াতে চলে এসেছে সোনিয়া আপু এবং মেয়েকে নিয়ে। আসলে রকি ভাই আমাদের বাড়িতে বেড়াতে আসার কারণে আমি যতটা খুশি হয়েছি তার থেকেও বেশি খুশি হয়েছে আমার পরিবার। আসলে ফেনী আমাদের বাড়ি থেকে কিন্তু প্রায় ৭০০ কিলোমিটার দূরে সেখান থেকে রকি ভাই আমাদের সাথে দেখা করতে চলে এসেছে এটা আপনারা বলতে পারেন আমাদের সকলের জন্য বেশ সৌভাগ্যের একটা ব্যাপার। আমাদের এলাকার আমার বাংলা ব্লগের ইউজার প্রায় ১০ থেকে ১২ জন রয়েছে সকলের সাথে বেশ আনন্দের সাথে সময় অতিবাহিত করছে রকি ভাই এবং সোনিয়া আপু। সব মিলিয়ে মাত্র তিন দিন হলো এসেছে বেশ সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছি আমরা সকলে মিলে।
গতকাল দুপুরবেলায় রকি ভাইয়ের সাথে আমাদের এলাকার সমস্ত স্টিমিট ইউজার দেখা করতে চেয়েছিল তাই আমি একটা পার্কের ঠিক করেছিলাম সেখানে আমরা দেখা করব। আমরা যেখানে দেখা করেছিলাম সেখানে সবাই সুন্দরভাবে বসে বেশ কিছু আলোচনা করেছিলাম এবং সুন্দর এবং মনোরম পরিবেশ ছিল। পার্কের মধ্যে সবার আগে আমি রকি ভাই এবং সোনিয়া আপু আমরা তিনজন গিয়েছিলাম কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মোবাইলের ক্যামেরায় ধারণ করার জন্য। আমরা প্রায় অনেক ফটোগ্রাফি সংগ্রহ করার পরে সকলে দেখি আস্তে আস্তে সেই পার্কের মধ্যে আসতে শুরু করে। সেখানে দুপুর বেলায় আমাদের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। দুপুরবেলায় আমরা হোটেল থেকে খাওয়া-দাওয়া নিয়ে এসে পার্কের মধ্যে সকলে মিলে একসাথে খাওয়া দাওয়া করেছিলাম। এভাবেই সকলে মিলে গল্পে আনন্দে মেতে উঠেছিলাম।
সবাই যখন পার্কের মধ্যে ঘাসের উপরে সুন্দরভাবে বসে ছিল তখন আমি ফটোগ্রাফি ধারণ করার জন্য উঠে এসে ফটোগ্রাফি শুরু করেছিলাম। তখন আমরা সকলে একসাথে দুপুরের খাওয়া-দাওয়া করেছিলাম সেখানে। দুপুরের খাবারটা ছিল সত্যিই অত্যন্ত সুস্বাদু কিন্তু একটু ঝাল বেশি হয়েছিল আসলে আমি ঝাল একটু কম খাই। তবে সবার শেষে যখন দই খেয়েছিলাম ঝাল আর তেমন মনে হয়নি। তাই সব মিলিয়ে পার্কের মধ্যে আমার বাংলা ব্লগের কিছু সদস্য মিলে আমরা বেশ সুন্দর আনন্দঘন মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলাম। সত্যি রকি ভাই আশাতে কি যে খুশি তা বলে বোঝানো যাবে না। রকি ভাইয়ের মেয়ে আমাকে ছাড়া কিছুই বোঝে না রাতেও আমার কাছে থাকে এটা সত্যি আমার কাছেও বেশ ভালো লাগার একটা বিষয়। আশা করি আজকের লেখা পোস্ট আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি ক্যামেরাবন্দি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা এবং ফটোগ্রাফি ধারণ করা। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু করেছি ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের ০১ তারিখে । স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো অনেক দূরে এগিয়ে যেতে চাই এটাই আমার লক্ষ্য। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ভাইয়া প্রিয় মানুষ গুলোকে একসাথে দেখে বেশ ভালো লাগলো। আসলে এটি শুনে অনেক ভালো লাগলো রকি ভাই এবং তার পরিবার ৭০০ কিলোমিটার দূরে আপনাদের ওইখানে গেলেন। আসলে এই প্লাটফর্ম আমাদেরকে আত্মীয়র বন্ধনে বন্দিত্ব করলো। আপনারা ১০-১২ জন ইউজার একসাথে আনন্দ করতেছে এটি শুনে আরো ভালো লাগলো। অনেক সময় দেখা যায় সম্পর্ক রক্তের সম্পর্ক চেয়ে গভীর হয়ে যায় অনেকের সাথে। আর ভালো থাকবেন আপনারা সবাই।
x-promotion
গতকাল আমি হ্যাংআউটের মধ্যে এই বিষয়টি দেখেছিলাম। আপনার অনেক রিকোয়েস্টের পর আমাদের সকলের প্রিয় রকি ভাই এবং তার ছোট পরিবার কে আপনার বাসায় এসেছিলেন, দেখে বেশ ভালো লাগলো।আর দীর্ঘ একটি পথ পাড়ি দিয়ে আপনার বাসায় এসেছিলেন, এটা দেখে আরো বেশি সুন্দর লাগছে। আপনারা সকলেই মিলে বেশ ভালো একটি সময় উপভোগ করেছেন।
সবাইকে একসঙ্গে দেখে খুবই ভালো লাগছে ।আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি একটি পরিবারের মতো তৈরি হয়ে গিয়েছে। এটাই অনেক বড় পাওয়া এবং প্রাপ্তির বিষয়। এরকম সুন্দর মুহূর্ত দেখলে অনেক ভালো লাগা কাজ করে। অনেক দূরত্বের পথ কিন্তু বন্ধন খুব নিকটে। ফিরে আসুক এমন সুন্দর মুহূর্ত সেটাই কামনা করি।
ওয়াও অসাধারণ একটি মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন।আমার বাংলা ব্লগ হচ্ছে একটি পরিবার মতো।আর পরিবারের সমস্যা যখন একত্রিত হয় সেটা দেখতে ও উপভোগ করতে ভীষণ ভালো লাগে। যাইহোক আপনারা দারুণ একটি মূহুর্ত উপভোগ করছেন।ধন্যবাদ ভাই এতো সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপনার পোস্টটি দেখে এটাই মনে হচ্ছে বারবার সত্যি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি সবাই আমরা একটি পরিবার।এত সুন্দর একটি মুহূর্ত দেখতে পেয়ে অনেক ভালো লাগলো। সবাই একসঙ্গে সাক্ষাৎ হওয়ার জন্য অনেক দূর থেকে চলে এসেছে সত্যি এটা একটি মনেরও ব্যাপার থাকে। একজন আরেকজনের প্রতি ভালবাসা না থাকলে এটা কখনোই সম্ভব না। বেশ ভালো লাগলো পোস্টটি পড়ে। চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
বাহ! খুব ভালো লাগলো সবাইকে একসঙ্গে দেখে! কিছুদিন আগে ফেনীতে আমারও রকি ভাইয়ের সাথে দেখা হয়েছিল। আসলে আমার বাংলা ব্লগের কারণেই প্রত্যেক ইউজারের সাথে আমাদের একটা ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়ে গিয়েছে। আপনাদের এলাকায় তাহলে সোনিয়া আপু ও রকি ভাই বেড়াতে গিয়েছে জেনে বেশ ভালো লাগলো।
আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের এমন একটি সুন্দর মুহূর্ত দেখতে পেরে ভীষণ ভালো লাগছে। আসলে রকি ভাই আর সোনিয়া আপু অনেক পথ অতিক্রম করে শুধুমাত্র সাক্ষাৎ করার জন্য চলে এসেছে এটা চমৎকার ব্যাপার। সবাই মিলে দেখছি বেশ ভালই সময় অতিবাহিত করেছেন। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
রকি ভাই এতদূর থেকে আপনাদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন এটাই অনেক বড় ব্যাপার। বর্তমানে ব্যস্ত জীবনে মানুষ এমন সুযোগ করে উঠতে পারে না। সেখানে আপনারা এত সুন্দর সকলে দেখা করে আড্ডা মেরেছেন দেখে খুব ভালো লাগছে। দারুন সুন্দর সময় কেটেছে আপনাদের সকলের। রকি ভাই এবং সোনিয়া ভাবীকে পেয়ে আপনাদের সময়টা খুব ভালো কেটেছে।
আমরা সবাই মিলে পার্কের সত্যি খুবই দারুণ একটি সময় অতিবাহিত করেছি। সবাই একসাথে দুপুরের খাওয়া-দাওয়া টাও বেশ সুন্দর ছিল। খাবার খাওয়ার পর দই খাওয়াটা সত্যি আমার ভীষণ ভালো লেগেছিল কেননা খাবারটা একটু ঝাল ছিল। খুবই ভালো লাগলো আবার সেই সুন্দর মুহূর্তটা এখন দেখতে পেয়ে। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।