জেনারেল রাইটিং // আপুর বিয়ের অনুষ্ঠানের ১৬ তম পর্ব

in আমার বাংলা ব্লগ21 days ago

হ্যালো.........
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (০৪-০৫-২০২৪)

IMG-20240321-WA0040.jpg

আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি আপুর বিয়ের অনুষ্ঠানের ১৬ তম পর্ব। আজকে সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে গোসল শেষ করে প্রথমে কোচিং এর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। কোচিং শেষ করে বাজারে মধ্যে বেশ কিছু সময় অপেক্ষা করেছিলাম বন্ধু একটি মোবাইল ফোন কিনবে বলে। পরে বন্ধুর সাথে মোবাইল ফোন কেনার জন্য একটি দোকানে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে বন্ধু পছন্দ করে বেশ দারুন একটি মোবাইল ফোন কিনেছিল। তারপরে আমরা বাইরে বের হয়ে এসে বন্ধুরা মিলে কিছু বিস্কিট খেয়েছিলাম। তারপরে আমি সেখান থেকে বাইক নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। বাড়িতে এসে বেশ কিছু সময় ল্যাপটপ চালিয়ে ছিলাম। তারপরে ভাবলাম আজকে এখনো পোস্ট করা হয়নি। তাই পোস্ট করার জন্য আবারও বসে গেলাম। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক........

IMG-20240321-WA0012.jpg

IMG-20240321-WA0029.jpg

আপনারা এবার উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আপুকে অনেক সুন্দর ভাবে ক্ষীর খাওয়ানো স্টেজে বসানো হয়েছে। তারপর সেখান থেকে আমি অনেক সুন্দর ভাবে বেশ কয়েকটি ছবি সংগ্রহ করেছিলাম সেগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। তারপর সবাই বাড়ির আত্মীয়-স্বজন একে একে আপুকে ক্ষীর খাওয়ানো শুরু করেছিল। আসলে আপুকে ক্ষীর খাওয়ানোর সময় আমি প্রত্যেকটি ছবি আমার মোবাইলের ক্যামেরা বন্দি করে রেখেছিলাম। আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আপুকে ক্ষীর খাওয়াচ্ছে আপুর বাড়ির পাশের চাচি এবং আপুর ছোট দাদি। সকলে আপুকে ক্ষীর খাওয়ানো পর টাকা দিয়েছিল আপুর অনেক টাকা হয়েছিল বিয়েতে ক্ষীর খাওয়ার সময়। পরে আপুর কাছ থেকে টাকার ভাগ চেয়েছিলাম আপু দিতে রাজি হয়েছিল না। পরবর্তীতে আপু সেই টাকার মধ্য থেকে রাতে কিছু টাকা দিয়েছিল আমাদের মিষ্টি খাওয়ার জন্য। সব মিলিয়ে বেশ দারুন সময় পার করেছিলাম আপুর বিয়েতে।

IMG-20240321-WA0033.jpg

IMG-20240321-WA0090.jpg

এবার আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আবারও অনেক সুন্দর ভাবে দুইটি ছবি শেয়ার করেছি। আপুকে অনেক সুন্দর ভাবে ক্ষীর খাওয়ানো হয়েছিল, ক্ষীর খাওয়ানোর শেষে আবারো আপু স্টেজের সামনে এসেছিল সবার সাথে ছবি উঠার জন্য। সবাই আপুর সাথে ছবি তোলার জন্য বেশ ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল। আপনারা লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আপুর সাথে প্রথম ছবি উঠেছিল আপুর বড় ফুফুর মেয়ে। আসলে প্রত্যেকের ছবি আমি বেশ দারুন ভাবে তোলার চেষ্টা করেছিলাম।

IMG-20240321-WA0068.jpg

IMG-20240321-WA0070.jpg

এবার আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। আপুর বিয়ের দিন বর যাত্রীদের খাবার খাওয়া শেষে। আমি এবং ছোট ভাই দুজন মিলে দুলাভাইয়ের হাত ধোয়ানোর জন্য গিয়েছিলাম। দুলাভাইয়ের হাত ধোয়ানোর সময় দুলাভাইয়ের সাথে আমাদের পরিচয় হয়েছিল। দুলা ভাইয়ের খাওয়া-দাওয়া শেষে আমরা দুলাভাইকে নিয়ে বেশ কিছু ছবি তোলার জন্য বাইরে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে আমরা ছবি উঠে আবারো বাড়িতে এসেছিলাম। অল্প কিছু সময়ের মধ্যে দুলাভাইয়ের মন-মানসিকতা আমাকে বেশ মুগ্ধ করেছিল। আসলে দুলাভাই আমাদের মত সকলের সাথে মন খুলে কথা বলতে বেশ পছন্দ করে। সবমিলিয়ে সেই দিন বিকেল বেলায় বেশ দারুন সময় পার করেছিলাম।

IMG-20240321-WA0045.jpg

IMG-20240321-WA0063.jpg

এবার আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন বিকেল বেলার দিকে দুলা ভাইরা যখন আমাদের বাড়ি থেকে রওনা দিবে। তখন দুলাভাই এবং আপুকে এক জায়গায় বসানো হয়েছে মিষ্টি খাওয়ানোর জন্য। মিষ্টি খাওয়ানো শেষে আপুকে যখন আমরা গাড়িতে তুলে দিতে গিয়েছিলাম। আপু এবং বড় আম্মু কান্নায় ভেঙে পড়েছিল। সত্যি অনেকদিন পর মায়েরা বাপের বাড়ি থেকে যদি শ্বশুর বাড়িতে যাওয়া যায় সত্যি বেশ খারাপ লাগে প্রত্যেকটি মানুষের কাছে। আশা করি আজকের লেখা পোস্টটি সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য শুভকামনা রইল।
✨💞আমার নিজের পরিচয়💞✨


IMG_20240213_153009.jpg

আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।

(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )

banner-abb3.png

Logo.png

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png

Steem_Pro.png


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 21 days ago 

আপনার আপুর বিয়ের অনুষ্ঠানের শুরু থেকে অনেকগুলা পর্ব আমি একটু দেখেছি। তার মাঝেমধ্যে কয়েকটা পর্ব দেখা হয়নি। আজকে ১৬ তম পর্ব আমাদের দেখানোর চেষ্টা করেছেন। এই পর্ব দেখার পাশাপাশি অনেক কিছু জানতেও পারলাম।

 18 days ago 

চেষ্টা করেছি প্রত্যেকটি পর্ব বর্ণনা দিয়ে আপনাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।

 20 days ago 

আপনার বোনের বিয়ের খুব সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করেছেন ভাইয়া আমাদের সঙ্গে। আসলে এই হলুদের অনুষ্ঠানে সবাই ক্ষির খায়ানোর পর টাকা দেয় বিষয়টি বেশ মজা লাগে।আপনার আপু শেষে টাকা দিতে রাজি হয়েছিল দেখছি। আর সবশেষে যখন মেয়েকে শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় ওই মুহূর্তটি আসলেই খুব কষ্টকর থাকে। যাই হোক নবদম্পতির জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।

 18 days ago 

ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর ভাবে আপনার গঠনমূলক মূল্যবান মতামত শেয়ার করে আমাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।

 17 days ago 

আপনি একের পর এক আপনার আপুর বিয়ের অনুষ্ঠানের পর্বগুলো শেয়ার করে আসছেন৷ আজকেও একটি পর্ব শেয়ার করেছেন এবং এখানে দেখছি আপনারা অনেক মজা করছেন এবং আপনার বোনের হাজবেন্ডের সাথে ছবি তোলার মুহুর্ত দেখেও খুব ভালো লাগলো৷ অনেক ধন্যবাদ এরকম একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য৷ আশা করি পরবর্তীতে আরো কিছু পর্ব দেখতে পাবো৷

Coin Marketplace

STEEM 0.28
TRX 0.12
JST 0.031
BTC 68636.49
ETH 3719.81
USDT 1.00
SBD 3.75