বছরের তৃতীয় নিমন্ত্রণ
নমস্কার বন্ধুরা,
বছরের তৃতীয় নেমন্তন্ন। কলকাতা থাকাকালীন বেশ কয়েকবার ভেবেছিলাম বিয়েতে আসবো কিনা। সত্যি কথা বলতে দূরত্বটা অবশ্যই একটা কাঠিনত্য। শুধু তো বাড়ি আসা নয় সেখান থেকে দুই বিয়ে বাড়ি দু-দুটো ভিন্ন জায়গায়, সেখানে বিয়ের নিমন্ত্রণ পালন করে আবার বাড়ি ফেরত আসা এক বিস্তর দৌড়াদৌড়ি। কলকাতা থেকে এসে সেদিনই ছিল আমার প্রথম নেমন্তন্ন। গ্রামের বিয়ে যেমন হয় ঠিক তেমনি ছিল তাদের আয়োজন। তবে বন্ধুর সাথে এতদিন পরে দেখা এবং অনেকটা সময় আড্ডা দেওয়া সত্যিই ভিন্ন রকমের আনন্দ পেয়েছি। খাওয়া-দাওয়া টা ছিল উপরি পাওনা। পরদিন সকাল হতেই নতুন বিয়েতে যাওয়ার তোড়জোড়। সেটা আবার বেশ খানিকটা দূরে। দিন থাকতেই চলে গিয়েছিলাম কাছাকাছি এক দিদির বাড়িতে। অনেকদিন ধরেও সে আসতে বলে। একসাথে দুটোই হয়ে যাবে সে পরিকল্পনা নিয়ে যাওয়া।
আগের বিয়েটা গ্রামে হলেও এটা ছিল একটা মফস্বল শহরে। সন্ধ্যাবেলায় আমার ভাগ্নেকে নিয়ে চলে গেলাম ভাইয়ের বৌভাতে। ছেলে ও মেয়ে সেই কলেজ থেকেই প্রেম হয়েছে যা অবশেষে পরিণয় পেলো। কলকাতার তুলনায় জেলায় ঠান্ডা অনেকটাই বেশি পড়ে গিয়েছে। তাই বিয়েটা খুব একটা বেশি দূরে না হওয়া সত্ত্বেও সন্ধ্যা থাকতে থাকতে বেরিয়েছিলাম। দিদির বাড়ি থেকে বিয়ের জায়গাটায় কিলোমিটার আটেক দূরে হবে। রাতের দিকে একটু সমস্যা তবে রাস্তায় দাঁড়াতেই একটা পথচলা চার চাকা পেয়ে গেলাম, গাড়িতে বসতে না বসতেই নিমেষে পৌঁছে গেলাম আমার গন্তব্যে। রাস্তার একদম পাশেই ছিল উৎসব ভবনটি। চিনতেও সমস্যা হলো না আর বিয়ে বাড়ির সামনেই রয়েছে নব দম্পতির ছবি।
ভাইটির বেশ কিছু ডাক্তার বন্ধুর সাথে আমার আগেই পরিচয় ছিল এই বিয়েতেও তাদের সাথে দেখা হয়ে গেল। সেই চার বছর আগে শেষ দেখা হয়েছে তাদের সাথেই নতুন করে পরিচয় সেরে নেওয়া এবং কিছুটা পুরনো স্মৃতি ঘেটে নিতে বেশ মজাই লাগলো। সময় করে পাত্রের সাথেও দেখা করলাম এবং নতুন বধূর সাথেও পরিচয়টা সেরে নিলাম। মানুষটি সেই হুগলি জেলার, প্রেমের টানে চলে এলো। দুই জেলার ফারাকের অভিজ্ঞতা কিছুটা জানতে চাইলাম। সময় অল্প মানুষজন প্রচুর স্বভাবতই গল্প করার বেশি সুযোগ পেলাম না। দু চারকথা বলে খাবারের দিকে চলে গেলাম। ফিরেও যেতে হবে তাই যত তাড়াতাড়ি খাবারের পর্ব সেরে নেওয়া যায়। তবে স্টার্টারের দিকে যায়নি। সোজাসুজি চলে গিয়েছিলাম মূল খাবারের দিকে। জেলার একটা বিষয় সবচাইতে ভালো লাগে সব জায়গাতেই বসে খাওয়ার ব্যবস্থা। খাবারের জায়গায় দেখি সব নতুন ব্যাচ বসেছে দেওয়া শুরু হবে এবং মাত্র দুটি সিট ফাটা আছে। দুই মামা ভাগ্নে বসে পড়লাম। মুহূর্তেই খাবার পরিবেশন শুরু হলো। শুরুতে বেবি নান এবং পনির লবাবদার। নিমিষে সেগুলো পেটে চালান করে দিলাম। তারপর এলো সাদা ভাত ডাল আলু ভাজা এবং কাতলা কালিয়া।
কাতলা কালিয়া দিয়ে ভাত উড়িয়ে দিয়েছি মুহূর্তে চলে এসেছে দেশি খাসির মাংসের কষা। হাতেগুনে মোট ১৪ পিস খাসির মাংস খাওয়ার পরে সবে ঢেঁকুর দিয়েছি। তখন দই এবং নলেন গুড়ের রসগোল্লা এসে হাজির হলো। মাঝে চাটনিকে কিছুটা ভুলে গিয়ে দই এবং রসগোল্লাতেই ক্ষান্ত দিলাম।
"আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির প্রথম MEME Token : $PUSS by RME দাদা
"আমার বাংলা ব্লগের" প্রথম FUN MEME টোকেন $PUSS এখন SUNSWAP -এ লিস্টেড by RME দাদা
X-প্রোমশনের ক্ষেত্রে যে ট্যাগ গুলো ব্যবহার করবেন,
@sunpumpmeme @trondao $PUSS







