পুজো পরিক্রমা ২০২৩ : সীমান্ত শিখা
নমস্কার বন্ধুরা,
অষ্টমীর মাঝ রাত পর্যন্ত ষোলো কিলোমিটারের বেশি পুজো পরিক্রমা শেষ করার পরে নবমীর সারাটা দিন শুধু পা দুটোকে বিশ্রাম দিয়েছি। যেটা নবমীর রাতের প্রস্তুতি বলাও চলে। দিন গড়িয়ে সন্ধ্যে হতেই বেরিয়ে পড়লাম এবছরের দুর্গাপুজোর শেষ পুজো পরিক্রমার জন্য। আর একটা দিন পরেই মা দুর্গা বাপের বাড়ি ছেড়ে ফের তার স্বামীর বাড়িতে ফিরে যাবেন তাই নবমীর রাত দুর্গাপুজোর পরিক্রমা করার শেষ সুযোগ। আজকের গন্তব্য জেলার একদম প্রান্তিক শহর হিলি। সেখানে মূলত দুটি বড় ক্লাবের পুজো হয়। যেগুলো জেলার দুই সবচেয়ে বড়ো বাজেটের পুজো। তার মধ্যে প্রথম যে পুজো মন্ডপে গিয়েছিলাম তা ছিল সীমান্ত শিখা ক্লাবে।
যখন পৌঁছেছি ততক্ষণে সন্ধ্যে নেমে গেছে আর পুজোর মানুষের ভীড় সেই পরিমানে বাড়তে শুরু করেছে। প্রশাসন সে কারণে গাড়ি চলাচল এক প্রকার বন্ধ করে দিয়েছে। তাই মূল মণ্ডপের কিছুটা আগেই নেমে হাঁটতে শুরু করতে হলো। হাঁটতে হাঁটতে পৌঁছে গেলাম আমার প্রথম মণ্ডপ সীমান্ত শিখা ক্লাবে। প্রতিবছরই অন্যরকমের করার চেষ্টা করা সীমান্ত শিখা ক্লাব এবারেও তাদের মণ্ডপে রেখেছে ভিন্নতা ছোঁয়া। পুজো কমিটির এবারের ভাবনা দক্ষিণ ভারতের মন্দিরকে কেন্দ্র করে।
ভীড়ের মধ্যে দিয়ে মন্ডপের দিকে এগিয়ে গেলাম। মণ্ডপের বাইরের কাজ শোলা এবং ফোমের উপরে সূক্ষ্ম নকশার উপরে হয়েছে। সাদা শোলা এবং ফোমের নকশাগুলো রাতের আলোতে আরো বেশি করে ফুটে উঠেছিল। গুঁটি গুটি পায়ে আমি মন্ডপের ভিতরে প্রবেশ করে গেলাম। মন্ডপের ভিতরে বিশাল মাপের ঝাড়বাতি রয়েছে। যেটি পুরো মন্ডপের অন্দরের সজ্জাকে আরো কয়েকগুণ সুন্দর করে তুলেছে। মন্ডপের বাইরের মতোই মন্ডপের ভেতরের কাজ ফোমের এবং শোলার উপরে।
মন্ডপের মধ্যিখানে জগৎ জননী মা দুর্গা প্রতিষ্ঠিত হয়ে আছেন। সীমান্ত শিখায় মা দুর্গার সজ্জা সবুজ রঙের। যেটা অন্যান্য সমস্ত ক্লাবের থেকে আলাদা। কারণ মা দুর্গার এখানে তার চিরাচরিত সবুজ রঙে শোভিত হয়ে আছেন।
দাদা সীমান্ত শিখা ক্লাবের আয়োজন দেখেই তো বুঝা যাচ্ছে তাদের বাজেট অনেক বেশি ছিলো। সত্যি বলতে পূজা মন্ডপ দেখে চোখ ফেরানো যাচ্ছে না। দক্ষিণ ভারতের মন্দিরকে কেন্দ্র করে তারা এককথায় দুর্দান্ত আয়োজন করেছে। শোলা এবং ফোমের উপরে শিল্পীরা কতো সূক্ষ্ম ভাবে নকশা করেছে। প্রতিটি ফটোগ্রাফি দারুণভাবে ক্যাপচার করেছেন দাদা। সবমিলিয়ে পোস্টটি বেশ উপভোগ করেছি। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
দক্ষিণ ভারতের মন্দির গুলো এমনিতেই অনেক সুন্দর হয়। যাইহোক, সীমান্ত শিখা ক্লাবের এবারের দুর্গাপুজোর থিমটা কিন্তু আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো দাদা। বিশেষ করে ফোমের এবং শোলার কাজ করার জন্য আরও বেশি সুন্দর লাগছে। মন্দিরের ভিতরে লাইটিংটা সিম্পিল হলেও বেশ সুন্দর। আর মায়ের মুখটা দেখে তো মন ভরে গেল।