পুজো পরিক্রমা ২০২৩ : ৬৬ পল্লী ক্লাব
নমস্কার বন্ধুরা,
বাদামতলা আষাঢ় সংঘের ঠিক পেয়ে গেলাম দক্ষিণ কলকাতার আরেক সুপরিচিত ৬৬ পল্লী ক্লাবের দুর্গা পুজো। ৭৩ বছরে পা দেওয়া ৬৬ পল্লী ক্লাবের দুর্গা পুজো কমিটির এবারের থিম "মাটির দুর্গা, দুর্গার মাটি"। মাটি আমাদের কাছে যেমন সাধারণ তেমনি কিছু পেশার মানুষের কাছে সেটাই অমূল্য ও পবিত্র। এই মাটি তেই ফসল ফলানো হয় তেমনি এই মাটি দিয়েই মা দুর্গার প্রতিমা করা হয়। অথচ মাটির সাথে জড়িয়ে থাকা পেশার মানুষ গুলোকে আমরা ভুলতে বসেছি। ৬৬ পল্লী দুর্গা পুজো উদ্যোক্তারা সেই মাটির সাথে জুড়ে থাকা নটি পেশাগত মানুষকে নিয়ে এবছরের থিম "দুর্গার মাটি, মাটির দুর্গা"।
পুজোর প্যান্ডেল থেকে শুরু করে পুজোর প্রত্যেকটা ভাগেই মাটি দিয়ে তৈরি শিল্প ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। সভ্যতার যাতাকলে মানুষ মাটি থেকে অনেকটা দূরে সরে এসেছে, উদ্যোক্তারা তাই চেষ্টা করেছেন আমাদের সেই মাটিতেই ফিরে যাওয়ার। কংক্রিটের শহরে বসবাস করা মানুষেরা মাটির সাথে জড়িত পেশাগত মানুষ গুলোকে ভুলতে বসেছি। সেটা কৃষক হোক কিংবা কুমোর।
বাদামতলা আষাঢ় সংঘের মণ্ডপ থেকে বেরোতেই ৬৬ র পল্লীর পুজো মন্ডপটা পেয়ে গেলাম। পুজো মণ্ডপটি বানানো হয়েছে উল্টো করা মাতৃ মুখের আদলে। দূর থেকে অনবদ্য দেখতে লাগছে। গুঁটি গুঁটি মণ্ডপের ভেতরে প্রবেশ করতেই পেয়ে গেলাম কুমোরদের ব্যবহার করা সরঞ্জাম।মন্ডপের অন্দরে দেখতে পেলাম কাঠের জ্বালানি এবং গোবরের ঘুঁটে, যা একসময় আমরা দৈনন্দিন ব্যবহার করতাম। মণ্ডপের চালার কাজও খড় এবং গোবরের ঘুঁটি দিয়ে করা। পাশাপাশি আলোকসজ্জা এমন ভাবে হয়েছে। প্রথম দেখায় মনে হতেই পারে সেখানে সারাক্ষণ হয়তো আগুন জ্বলছে।
অন্দরে বিরাজ করছেন স্বয়ং মা মহিষাসুরমর্দিনী। মায়ের প্রতিমার নীচের দিকটায় তার বাকি সন্তানেরা। ৬৬ র পল্লীর মায়ের প্রতিমার আরেক বিশেষত্ব হলো, সাধারণত মায়ের যে হাতে খড়গ থাকে সে হাতে রয়েছে একটি ফুল।
দাদা আপনার পোস্টে এবং বড় দাদার পোস্টটা অনেক সুন্দর সুন্দর পুজোর ফটোগ্রাফি দেখতে পেলাম। পুজোর মণ্ডপটি উল্টো দেখে আমি প্রথমে ভাবলাম ক্যামেরা উল্টো করে ধরা হয়েছিল নাকি ফটো উঠানোর সময়। পরে আপনার লেখা পড়ে বুঝতে পারলাম যে পুজোর মণ্ডপটি এভাবেই বানানো হয়েছে। ধন্যবাদ দাদা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বাহ্! ৬৬ পল্লী ক্লাবের দুর্গা পূজা কমিটির এবারের থিমটা এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে দাদা।
এটা একদম যথার্থ বলেছেন দাদা। সবমিলিয়ে এই ক্লাবটি চমৎকার আয়োজন করেছে। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সত্যিই ভীষণ ভালো লাগলো। যাইহোক এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
ওয়াও দাদা এই ক্লাবের দুর্গার থিমটি আসলেই অনেক সুন্দর।মাটি আসলেই পবিত্র ।দুর্গার মাটি,মাটির দুর্গা থিমটি পুরো ডেকোরেশন চমৎকার ছিল।আলোকসজ্জা দেখে তো আমিও প্রথমে ভেবেছিলাম যে আগুন জ্বলছে।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।