এলোমেলো ফটোগ্রাফি📸

২১ ভাদ্র , ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি।

লোকেশন

শুভ রাত্রি ♥️ প্রতি সপ্তাহের শনিবারের মতো এই সপ্তাহেও চলে আসলাম কিছু চমৎকার ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করে নেয়ার জন্য। আসলে শুরুতেই আমার ফটোগ্রাফির প্রশংসা করে ফেললাম। এতটাও ভালো করি না যতটা বলে ফেলেছি তবে আপনাদের সুন্দর মন্তব্য পড়ে আমি নিজেকে অনেক ভালো ফিল করি সেই সাথে অনেক উৎসাহ পায়। ভালো লাগে ফটোগ্রাফি করতে ফ্রি সময় পেলেই ক্যামেরা হাতে বের হয়ে পড়ি কোথাও নতুনত্বের খোঁজে। আসলে কেমন যেন একটা হয়ে গিয়েছে ফটোগ্রাফির প্রতি ছোটবেলা থেকেই খুব দুর্বলতা। ফ্রী সময়ে অন্য কিছু করি আর না করি আবহাওয়া যদি অনুকূলে থাকে তাহলে ক্যামেরা হাতে বেরিয়ে পরি। সব থেকে বেশি ভালো লাগে প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলো ফ্রেমবন্দি করতে। আর সব থেকে প্রিয় জায়গা হলো নদীকেন্দ্রিক যেখানে গেলে হাজারো সৌন্দর্যের সমাহার চোখে মেলে। সেই সাথে সব সময় চেষ্টা করি সৌন্দর্যগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করে নেয়ার জন্য। উপরের ফটোগ্রাফি তে দেখতে পাচ্ছেন সারস পাখি। এটা কি আবার অন্যান্য অঞ্চলে এক জাতীয় বক পাখিও বলা হয়ে থাকে। যাদের বাড়ি নদী বা হাওড়া অঞ্চলে তারা এই পাখিগুলো চিনে থাকবেন। গ্রাম্য ভাষায় আবার এটাকে সামুক ভাঙ্গা ও বলা হয়। আমাদের নদীতে এখন প্রচুর পরিমানে মাছ এবং সামগ্র এসে যার কারণে দূর-দূরান্ত থেকে এই পাখিগুলো এসে ভিড় জমায়। বিশেষ করে খুব সকালে এবং বিকেলে মনে হয় যেন আমাদের ছোট নদীতে জায়গায় জায়গায় এই পাখিদের মেলা বসেছে। লম্বা লম্বা ঠ্যাং দেখতেও ঠিক তেমনি সুন্দর সাদার উপরে কালোর ছাপ রয়েছে। হাঁটু পানিতে দাঁড়িয়ে নিরবতার সাথে এরা স্বীকার করে থাকে।বেশ কিছুদিন আগে এই পাখির আরো একটি ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছিলাম আপনাদের মাঝে। আশা করছি আজকের ফটোগ্রাফিটিও আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে।

লোকেশন

সৌন্দর্যের অন্যতম প্রতীক হলো ফুল। আমার মনে হয় না এমন মানুষ পাওয়া যাবে খুঁজে যে ফুলকে ভালোবাসেন। যার মন যত কুৎসিতই হোক না কেন ফুল সবার কাছেই অনেক সুন্দর লাগে। উপরে দুটি ফুলের ফটোগ্রাফি দেখতে পাচ্ছেন একটি বহুরূপী গোলাপ এবং অন্যটি হাজারী গোলাপ। লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন একটি গাছে বেশ কয়েক রকমের পাপড়িযুক্ত গোলাপ ফুল ফুটে রয়েছে। মূলত এই ফুল ফোটা থেকে শুরু করে ঝরে যাওয়ার আগ পর্যন্ত পাঁচ ছয়টা কালারের রূপান্তরিত হয়। যার কারণে একে বহুরূপী গোলাম বলা হয়। আরেকটি ফটোগ্রাফিতে দেখতে পাচ্ছেন হাজারী গোলাপ দেখতে একটা ফুল মনে হলেও গোলাপ ফুলের ন্যায় ছোট ছোট অনেকগুলো ফুলের সমন্বয়ে একটি ফুল গঠিত হয়েছে। সুন্দর সুগন্ধি এবং মধু যুক্ত এই ফুল দুটির ফটোগ্রাফি আমার ফুলবাগান থেকে নিয়েছি।

লোকেশন

এটা হল আমার টিয়া পাখি নতুন করে আর এর ব্যাপারে কি বলবো হয়তো আপনারা এর আগে বেশ কিছু পোস্টে দেখেছেন তাকে। বর্তমানে আমার বেশ কয়েক প্রজাতির পোষা পাখি রয়েছে এর মধ্যে টিয়া পাখি অন্যতম। টিয়া পাখিটি কথা বলতে পারিস শিশ বাজাতে পারে। সেই সাথে সে মুক্ত থাকে ডানা মেলে উড়ে আবার তার গন্তব্য স্থানে ফিরে আসে। আমাদের পরিবারের সবাই তাকে অনেক বেশি ভালোবাসে। হয়তো এই মায়ার বাঁধন ভালবাসার বন্ধন এর কারণে সে কখনো আমাদের ছেড়ে যায় না। আশা করছি এই সৌন্দর্যটি আপনাদেরকে মুগ্ধ করবে।

লোকেশন

উপরের ফ্রেমে দুটি ফটোগ্রাফি দেখতে পাচ্ছেন একটি নদীর বুকে নৌকা নিয়ে ভেসে বেড়ানো জেলে ভাইয়ের মাছ শিকারের দৃশ্য এবং অন্যটি নদীর পাড়ের মাশরুমের সৌন্দর্য। এখন তো মাঝে মাঝেই বৃষ্টি হচ্ছে গতকালকে নদীতে ঘুরতে গিয়েছিলাম সেখানে বৃষ্টি হচ্ছিল থেমে থেমে। বৃষ্টির পরে দেখি সবুজ ঘাসের ভেতর মাশরুমটি উকি মেরে আছে এবং পানির বিন্দুগুলো তার চারিপাশে দারুণ সৌন্দর্য ছড়িয়েছে। আমার কাছে বেশ ভালো লাগে তাইতো সৌন্দর্যটি ফ্রেমবন্দি করে আজ আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম। এখনতো নদীতে অথৈ পানি যতদূর চোখ যায় শুধু পানি মাঝে মাঝে নৌকা আর জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য আর কানে ভেসে আসবে দারুণ ছন্দে মাঝিদের গাওয়া গান। বিকেল হলে যখন মাঝিরা মাছ শিকার করে বাড়িতে ফিরে তখন তারা খুবই উৎফুল্ল থাকে আমি দেখেছি যে কয়টা নৌকা অতিক্রম হয়েছে প্রায় প্রত্যেকটা নৌকা থেকে মাঝিদের কন্ঠে বিভিন্ন দেশাত্ববোধক এবং ভাটিয়ালি গানের সুর ভেসে আসছিল। যাইহোক চেষ্টা করেছি আজ আপনাদের মাঝে কিছু ভিন্ন ভিন্ন সৌন্দর্য তুলে ধরার জন্য আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।