১৬বৈশাখ , ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৯এপ্রিল ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী
গ্রীষ্মকাল ।
আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি।
শুভ রাত্রি ❤️ আসলে এই প্রচন্ড তাপদাহ উপেক্ষা করে মনে হয় কেউই পরিপূর্ণ ভালোভাবে সময় অতিবাহিত করতে পারছিনা। তারপরেও সব মিলিয়ে একটু স্বস্তিতে আছি এবার বিদ্যুতের লোডশেডিং টা একদমই হচ্ছে না। আমাদের কুষ্টিয়ায় আজকের তাপমাত্রা ছিল 43 ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। এই তাপমাত্রা কে পিছে ফেলে কিন্তু সাধারণ মানুষের প্রতিনিয়ত সময়ের সাথে যুদ্ধ করে জীবিকা নির্বাহ করতে হচ্ছে। তবে আজকে এখানে অনেক গরমের কারণে একজন ব্যক্তি এটি স্টক করে ইন্তেকাল করেছে। আসলে কি আর করার জীবিকা নির্বাহের জন্য সবাইকে এই রৌদ্রের মধ্যেই কাজ চালিয়ে যেতে হচ্ছে। তারপরেও ভাই যতদূর সম্ভব আমাদেরকে সাবধানে থেকে শরীরকে সুস্থ রাখতে হবে। বেশি বেশি করে পানি খেতে হবে সাথে খাবার স্যালাইন হলে তো খুব ভালো। যাই হোক আজ আপনাদের মাঝে আরেকটি নতুন ভ্রমণ পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকের পোস্টে আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিব নরসিংদী ড্রিম হলিডে পার্ক ভ্রমণের ষষ্ঠ পর্ব। আর এই পর্বে থাকতে সুইমিং পুলে গোসল করার কিছু ফটোগ্রাফি এবং আনন্দঘন মুহূর্ত এবং কিছু কথা। ড্রিম হলিডে পার্কের উল্লেখযোগ্য জায়গার মধ্যে সুইমিং পুল অন্যতম। এটা কিন্তু আমি বেশ সকালবেলায় যখন দোলনায় চড়েছিলাম সেখান থেকেই দেখেছি। সুইমিং পুলে রয়েছে অনেক বড় একটি ডিজে হাউস এবং সুইমিংপুল এর মধ্যে বড় বড় ঢেউ সৃষ্টি করার ব্যবস্থা। এই বিষয়টাই সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে মনে হবে যেন সমুদ্র সৈকতে এসে এর মধ্যে গোসল করছি। যদিও অর্ধ বেলা পার্কের বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করে শরীরটা ক্লান্ত এবং গরম লেগে গিয়েছিল এর জন্য প্রথম অবস্থায় কোন ফটোগ্রাফি করা হয়েছিল না। পরবর্তীতে গোসল শেষে ফটোগ্রাফি গুলো করেছিলাম। তবে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। এখানে আবার কিছু খারাপ লাগার কারণও ছিল। পানিতে ময়লা ভাসমান অবস্থায় দেখা যাচ্ছিল। ছোটবেলা থেকে তো পদ্মা নদীতে গোসল করার অভ্যাস স্রোত এবং টলটলে পানি আয়নার মতো ঝকঝকে পরিষ্কার।। তবে নদীতে গোসল করে যতটা মজা করেছি এতটা মজাও এখানে পাইনি। তারপরও শহরের মধ্যে এমন একটা জায়গা অন্যান্য মানুষের জন্য হয়তো অনেক ভালো লাগার ছিল। বিকট শব্দে ডিজে গানের তালে তালে ঢেউ এর সাথে মানুষের নাচানাচি এবং পানিতে ডুব দেওয়ার বিষয়টিও কিন্তু অনেক আনন্দের। সেই সাথে সুইমিংপুলের মধ্যে ছিল জায়গায় জায়গায় ছিল ঝরনার ব্যবস্থা। যাহোক সবমিলিয়ে বলবো অনেক ভালো লেগেছে আমার কাছে। তাহলে চলুন পরবর্তী ফটোগ্রাফি এবং কিছু বর্ণনা দেখে আসি।
সুইমিংপুলে গোসল করে এবং ভ্রমণ করে আমি দারুণ একটি বিষয় উপভোগ করেছি। সেটা হলো এখানে সব শ্রেণীর মানুষ গোসল করতে পারবে সেরকম ব্যবস্থা করা রয়েছে। সুইমিং পুল একটা রয়েছে ঢেউ এর সাথে বেশি পানির ব্যবস্থা। এবং অন্য বড় একটি রয়েছে সেখানে দুই রকম সিস্টেম এর মধ্যে শিশুদের গোসল করার জন্য বিভিন্ন স্ট্যাচু মাধ্যমে ঝর্ণার প্রস্তুত। এবং একই সাথে যারা বেশি পানিকে ভয় পায় বা সাঁতার জানে না তাদের জন্য ব্যবস্থা রয়েছে। উপরের দুটি ফটো ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন এখানে বাচ্চাদের স্কাটিং এর জন্য বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম প্রস্তুত রয়েছে। এর মধ্যে হাঁস ছাতা রাউন্ডার তরী আরো অন্যান্য অনেক কিছু। আমাদের কিন্তু খুব ভালো লেগেছিল এই জায়গাটিতে আমরাও কিন্তু বাচ্চাদের খেলনার জায়গাতে উঠিও কিন্তু স্কেটিং করেছি। সেই সাথে ঝর্ণার পানিতে বারবার গোসল করা হয়েছে।
আমার কাছে সব থেকে ভয়ের একটি ব্যাপার ছিল তিন তলা সম পরিমাণ যে বড় দুটি স্কেটিং ছিল সেখানে উঠে লোকজন কিভাবে নিচের দিকে নাম ছিল। একটি পর্যায়ে বেশ কিছু লোককে উঠতে নামতে দেখে আমার কাছেও কৌতুহল জাগল। এবং মনে মনে বলছিলাম আসলে এখানে আর কোনদিন আসবো কিনা জানিনা আর এটা যদি জয় না করে যায় তাহলে একটা ফাঁকা থেকে যাবে মনের মাঝে। তাইতো সাহস যুগিয়ে আমরা তিন চারজন উঠে পড়লাম। প্রথমে খোলাটাতে স্কেটিং করলাম। প্রথম অবস্থায় ভয় ভয় লাগছিল কিন্তু দু-তিনবার উঠানামা করার পরে ভালোই একটু সাহস হয়ে গিয়েছিল। পরবর্তীতে সাপের মতো প্যাচানো যে বদ্ধ স্কেটিং টা ছিল সেটার মধ্য দিয়ে ও দু তিনবার ওঠানামা করেছে। মোটামুটি এতটুকুনি বুঝতে পেরেছি যাদের হার্ট একেবারেই দুর্বল এর মধ্যে গেলে তাদের স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। কেননা অন্ধকার জায়গা পানির সাথে নেমে আসা প্রায় ৪৫ থেকে ১ মিনিট সময় লাগে। এতটা সময় চোখের মধ্যে অন্ধকার এবং ছোট্ট একটি জায়গার মধ্যে দিয়ে শৃঙ্খলা আসলেই অনেক ভয়ের একটি ব্যাপার। তবে যাই বলুন সব জায়গাতে কিন্তু আমাদের মজাটা সবার থেকে অন্যরকম এবং আলাদা ছিল। কেননা আমরা প্রায় ২০ জন মানুষ একসাথে একই জায়গায় সব সময় চলাফেরা করেছি। কোথায় এবং অঙ্গভঙ্গিতে সবাই অনেক পারদর্শী ছিল এজন্যই হয়তো মজাটা অনেক বেশি ছিল। হাবড়ায় আমরা দু'ঘণ্টা মতো সুইমিংপুলে গোসল করেছিলাম। যাহোক গোসল শেষ করে আমরা আবার পরবর্তীতে আমাদের পরবর্তী স্টেপে চলে যায়। আজকের ভ্রমণ পর্ব এখানে শেষ করছি পরবর্তীতে নতুন আরেকটি পর্ব নিয়ে হাজির হব।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
নরসিংদী ডিম হলিডে পার্ক অনেক বড় একটি বিনোদনের জায়গা। এই পার্ক টি প্রথম থেকেই সবার আলোচনায় ছিল। বর্তমানে সারা বাংলাদেশের মানুষ এই পার্কটি চিনে।এই পার্কের অন্যতম একটি বিনোদনের স্পট হলো সুইমিং পুল। এখানের সুইমিং পুলটা বিশাল বড়। এখানে গোসল করে দর্শনার্থীরা অনেক মজা পাই। এই পার্কে যারা যায় তারা এখানে গোসল না করে ফিরে আসে না। সুইমিংপুলে আপনার গোসল ও ফটোগ্রাফি গুলো অনেক ভালো লেগেছে। আমাদের বাসার পাশে হওয়া সত্বেও এখনো এই পার্কে যাওয়া হয়নি। তবে যাওয়ার ইচ্ছা আছে। ধন্যবাদ।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া এই পার্কটি এখন সারা বাংলাদেশে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
এই পার্কের সুইমিংপুলের এরিয়া এতটাই বড় যে দেখলে সত্যিই অনেক ভালো লাগে।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
সুইমিংপুলে তো বড়দের চেয়ে বাচ্চাদেরকে বেশি দেখা যাচ্ছে। যেহেতু বড়রা পুকুরে সাঁতার কাটতে পারে কিংবা নদীতে গোসল করতে পারে। কিন্তু বাচ্চারা করতে পারে না তাই বাচ্চারা সুইমিং পুলে বেশি আনন্দ করতে পারেন। আপনি তো ড্রিম হলিডে পার্কে গিয়ে অনেক আনন্দ করলেন। আপনি ষষ্ঠ তম পর্ব শেয়ার করলেন তবে বাকি পর্বগুলো পড়ার সুযোগ হয়নি আমার। এই পর্ব পড়ে বেশ ভালো লেগেছে ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ ছিল।
সুইমিং পুলটা পারফেক্ট সাঁতার শেখার জায়গা।
সত্যি সবাই মিলে পার্কের মধ্যে খুব মজা করেছি আসলে একসাথে অনেকগুলো মানুষ থাকলে এমনিতেই অনেক বেশি মজা হয়।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
খুবই সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি৷ আসলে সুইমিং পুলে গোসল করার মজাই আলাদা৷ আর এই পার্কের সুইমিংপুল দেখছি অনেকটাই বড় এবং এখানে বড়দের থেকে বাচ্চাদেরকে বেশি দেখা যাচ্ছে। আসলে বাচ্চারা যারা শহরে বড় হয় তারা ঠিকভাবে পুকুর বা নদীতে এরকম মজা করতে পারে না৷ তারা এরকম সুইমিং পুলে এসে মজা করতে পারে৷ ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য৷
একদম ঠিক কথা বাচ্চারা যারা শহরে বড় হয় তারা পুকুর বা নদী চেনে না সুইমিং পুলি তাদের কাছে অনেক কিছু মনে হয় সাঁতার শেখার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে পোষ্টটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য।