ভ্রমণ 😜 গার্লফ্রেন্ড যার যার ভ্রমণ সবার 🤭
০৯বৈশাখ , ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২২এপ্রিল ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১২শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী
সোমবার।
গ্রীষ্মকাল ।
আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি
লোকেশন:
বন্ধু মানে অটুট বন্ধন, হাসিমুখে একসাথে থাকা। বন্ধু মানে শত কষ্টেও ভালো আছি, হবে কিন্তু কিছুদিন পরে বাড়ি এসে দেখা। বন্ধু মানে সকল কিছুর ঊর্ধ্বে ভালোবাসা পাওয়া। বন্ধু মানে ইয়ার্কি আড্ডা আর উন্মাদনায় একসাথে পথ চলা। বন্ধু মানে কত শত স্মৃতি আর হতাশা একসাথে পাড়ি দেওয়া। বন্ধু মানে কেমন আছিস বলে মুখ ভর্তি হাসি দিয়ে কথা বলা যা শত কোটি টাকার চেয়েও দামি। বন্ধু মানে সাহস যোগানো কিছু পরিচিত মুখ। আমরা আছি তো তোর সাথে। বন্ধু মানে হেঁটে চলা জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময়ের কিছু বন্ধন, কিছু স্মৃতি, কিছু মায়া, কিছু ভালবাসা আর কিছু অজানা অনুভূতি। আসলে বন্ধু এবং বন্ধুত্ব এমন একটা জিনিস যা কোন কিছুর সাথে তুলনা হয় না। একটা ভালো বন্ধু একটা ভালো পৃথিবী। শত কষ্ট শত বিপদের মধ্যেও আপনাকে সাহস দেবে।সাধ্যমত সহায়তা করবে। সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথ দেখিয়ে দেবে। দেখাটা যতদিন পরেই হোক তবুও মনে হবে যেন কত আপন। একটু কথা, একটু আড্ডা দেওয়া, একটা সেলফি তোলা এটা যে কতটা সুখের কখনোই বলে বোঝানো যায় না। আর যদি এমন হয় অনেকগুলো বন্ধু মিলে একটা দিন সেই শৈশবের মত একসাথে পথ চলা। ছোটবেলার স্মৃতি বিজড়িত স্থানগুলো ভ্রমণ করা। দিন শেষে প্রিয় জায়গাটিতে এসে আড্ডা গানে মেতে ওঠা। সেই সাথে থাকছে বিভিন্ন ধরনের মুখরোচর খাবার। তাহলে বলুন তো সময়টা কেমন অতিবাহিত হবে। যেমনটি আপনি ভাবছেন! নিজের মতো করে কল্পনায়। হয়তো বলতে পারছেন না। কিন্তু এটাই হয়তো পৃথিবীর সবথেকে সুখকর সময়। আজ আমি আপনাদের মাঝে বন্ধুত্বের কিছু স্মৃতি এবং আমাদের স্মৃতি বিজড়িত স্থান ভ্রমণ উপস্থাপন করবো। এই ভ্রমণের মূল আকর্ষণ ছিল কিন্তু আমাদের শৈশবে যার যার গার্লফ্রেন্ড ছিল তাদের বাড়ি ভ্রমণ। অথবা বাড়ির আশপাশ ভ্রমণ। এবং আমাদের শৈশবের যে বান্ধবী গুলো ছিলো তাদেরকে খুঁজে খুঁজে দেখা করা। সবারই তো এখন বিয়ে হয়ে গিয়েছে। তবুও তাদের শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে দেখা করা। তবে সম্ভব হয়েছিল আমাদের সবার গার্লফ্রেন্ড এর বাড়ির আশপাশ ভ্রমণ করা এবং সফল সার্থক। কোন রকম দৌড়ানি বকাঝকা অথবা ভয়-ভীতি ছাড়াই। এখন তো বড় হয়ে গিয়েছি তাই মেয়ের বাপ মা কিছু বলে না😜।
এখন তো আমরা সবাই যার যার কর্মে ব্যস্ত। বছর অথবা ছ মাস পরে একবার দেখা হয়। মাঝে মাঝে অনলাইনে কথা। ফেসবুক পোস্ট আর ডের মাধ্যমে সবার খোঁজ খবর পাওয়া। বন্ধুর পোস্টে হাহা রিঅ্যাক্ট দেওয়া ভুলভাল কমেন্ট করা আর কত কি। এগুলো তে যে এত মজা যে আসলে বলে বোঝানো যায় না। এইগুলা কিন্তু আবার সবাই মনে রাখে, আমার পোস্টে হাহা রিঅ্যাক্ট দিয়েছে। ভুলভাল কমেন্ট করেছে। আমাকে পচানোর চেষ্টা করেছে। ঠিক যখন সবাই মিলে একসাথে হয়েছি এইগুলো নিয়ে খুব আলোচনা হয়েছে। এটা কেন করলাম, ওটা কেন করলাম, এটা কেন হলো না। কেউ পক্ষে কেউ বিপক্ষে কত বিতর্ক। বিতর্কের মাঝে আবার সেই শৈশবের মতো জড়াজড়ি করে মারামারি হাসাহাসি। এমন সময় যখন আসে মনেই হয় না যে আমরা বড় হয়েছি। আমরা সবাই যার যার মত আলাদা থাকি। মনে হয় যেন আমাদের বন্ধন টা অটুট।
আমরা আগে থেকেই প্লান করে রেখেছিলাম যে ঈদের পরের দিন আমরা সবাই একত্র হব। আমাদের সবার প্রিয় জায়গা যেখানে আমরা আমাদের বাল্যকালে ভালো সময় অতিবাহিত করেছি সেই জায়গাগুলো ঘুরবো । স্মৃতিগুলো আবার মনে করবো। সেই সাথে সবাই সবার খোঁজ খবর নিব। তো যে কথা সেই কাজ পরের দিন বিকেলে আমরা সবাই একত্র হলাম। অল্প পরিসরে স্মৃতি বিজড়িত জায়গাগুলো ভ্রমণ করে আসলাম। আর শৈশবের মত দিন শেষে আমরা চলে গেলাম নদীর পাড়ে। আমি মাঝে মাঝে কিন্তু আমার পোস্টে বলে থাকি যে বন্ধুদের সাথে কতটা ভালো সময় অতিবাহিত করেছি এই নদীর ধারে বলে বোঝাতে পারবো না। ঠিকই এবার আমরা সবাই একত্রিত হয়ে দিনশেষে সেই নদীর ধারে একত্রিত হয়েছিলাম। নদীর ধারে রিমঝিম হাওয়া নদীর কলতান আর শান্ত পরিবেশ আমাদেরকে আবার নিয়ে গিয়েছিলো সেই শৈশবে। তবে আগের মতো গার্লফ্রেন্ড আর লেখাপড়া নিয়ে কোন আলোচনা হয় না। এখন আলোচনা হয় কে কোথায় কি চাকরি করছে। কার পরিবার কেমন আছে। কার ছেলে মেয়ে কটা। আসলে সময়ের পরিবর্তনে এসেছে এমনটাই তো হওয়ার কথা। প্রায় রাত একটা পর্যন্ত আমরা নদীর ধারে বসে কত গল্প করলাম। মাঝে মাঝে তো হারিয়ে যাচ্ছিলাম কোথায় যেন। আবার হঠাৎ করে এক বন্ধু বলে ফেলল এ চল চল বাড়ি যাই। কালকে আবার সকাল সকাল স্কুল যেতে হবে প্রাইভেট আছে। কিন্তু সকালে ঘুম থেকে উঠতে পারবো না। এই কথাগুলো যদিও আগে অনেক পরিচিত ছিল। এখন তো সম্পূর্ণটাই কাল্পনিক মনে হয়। এই কথা শুনে এক মুহূর্তের জন্য আমরা সবাই যেন নিরব হয়ে গেলাম। আসলে এই মুহূর্তটা সময়টা কতই না ভালো ছিল। এখন বুঝতে পারি কিন্তু তখন এতটা ভেবে দেখা হয়নি।
অনেক রাত হয়ে যাচ্ছিল তবুও আমাদের ভ্রমণ আর কাহিনী গুলো শেষ হচ্ছিল না। সবাই তাদের নিজের গল্প বলাতে ব্যস্ত। অনেকটা লাইনে দাঁড়িয়ে পানি নেয়ার মত। সবার জীবনের গল্পগুলো শুনছিলাম বর্তমানে সবাই কেমন আছে। এতগুলো বন্ধু একত্র হয়েছি সবার গল্প শুনতে হবে। তবে রাত যে অর্ধেক হয়ে গেছে কখন সেটা বুঝতেই পারেনি। তবুও মনে হচ্ছিল সবার সাথে থাকি আর একটু সময়। আবার কবে দেখা হবে বা কাউকে হারিয়ে ফেলবো। আসলে বন্ধুত্বের সম্পর্ক এমন কেন হয় যা কখনো ভোলা যায় না, মোছা যায় না একসাথে থাকলে ইচ্ছে করে আরো একটু সময় অতিবাহিত করি। এই যে আমরা সবাই মিলে অল্প পরিসরে একটি ভ্রমণ করেছি সময়টা অল্প হলেও কতটা যে ভালো ছিল সেটা কখনোই বলে বোঝাতে পারবো না। স্কুল লাইফে কোথায় কার গার্লফ্রেন্ড ছিল আমরা কিন্তু সেই বাড়িগুলোর সামনে দিয়েও ভ্রমণ করেছি। আবার কেউ কাউকে হুমকি দিয়েছে এরকম করছো ভাবিকে কিন্তু ফোন দিয়ে বলে দিবো। আবার কেউবা গল্প উঠিয়ে দিলো তার পুরাতন গার্লফ্রেন্ড সম্পর্কে। সে এখন ভালো আছে তার এখন দুই তিনটা বাচ্চা তার হাজবেন্ড ভালো চাকরি করে আরো কত কি। আবার মাঝে মাঝে মনে হচ্ছিল পুরাতন গার্লফ্রেন্ডের কথা বলেও যেন বন্ধুরা অনেক মজা পাচ্ছে। হে এতটা ভালো সময় অতিবাহিত করব সবাই মিলে একত্রিত হওয়ার আগে বুঝতে পারিনি। তবে এবারের ভ্রমণের মূল টার্গেট শুনলে আপনারা হয়তো হাসি দিবেন। স্কুল লাইফ এবং কলেজ লাইফে থাকতে যার যেখানে গার্লফ্রেন্ড এর বাড়ি ছিল ঠিক সেই জায়গাগুলোতেই কিন্তু বেশি ঘুরেছি আবার। আবার বেশ কয়েকজনের সাথে দেখা হয়েছে। কথা হয়েছে। সেই সময়টাও কিন্তু দারুণ উপভোগ করেছি। আসলে বলতেই পারেন আমাদের এই ভ্রমণ টা কিন্তু সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী ছিল।
আগে যখন বেশ কয়েকজন বন্ধু মিলে কোন বন্ধুর গার্লফ্রেন্ডের বাড়ির সামনে দিয়ে যেতাম তখন ভয় ভয় ছিল মনের মধ্যে। তার বাবা ভাই বা কেউ কি যেন বলবে বা দৌড়ানি দিবে। তবে এখন আর তেমনটা হয় না। সবারই তো এখন ফ্যামিলি হয়ে গিয়েছে। আবার মাঝে মাঝে যেখান থেকে দৌড়ানি খেয়েছি বকা খেয়েছি তাদের সাথেও দেখা হয়েছে। তবে কথা হয়নি মুখ চেনা চিনি মুচকি হাসি এতো টুকু তেই শেষ। এখন আর ভয় করে না বড় হয়ে গেছি। হাতের লেখা চিঠি এখন আর পথের মাঝে ফেলা হয় না। বিকেলে হাঁটতে হাঁটতে কোন বান্ধবীর বাড়িতে বা বাড়ির আশেপাশে ঘোরা ও হয় না। অনেকদিন অনেক জনের সাথে দেখা হয় না কথা হয়না। তবে এদিন খুব করে সবার বাড়ির আশেপাশে ঘুরেছি। বিশেষ করে বেশ কয়েকটি বান্ধবীর বিয়ে হয়ে গিয়েছে তাদের বাড়িতেও গিয়েছি। তাদের হাজবেন্ড এবং ছেলেমেয়েদের সাথে দেখা করে এসেছি। এই যে ভিন্নধর্মী ভ্রমণ টা কিন্তু আমাদের অনেক অনেক প্রশান্তি দিয়েছে। কতদিন পরে কত জনের সাথে দেখা হল। তবে সময়টা খুব দ্রুতই ফুরিয়ে গেল মাঝরাতে আবার সবাই সবার বাড়ি চলে গেলাম।
যাইহোক আজ কিন্তু আপনাদের মাঝে ভিন্নধর্মী ভ্রমণ পোস্ট শেয়ার করলাম। গার্লফ্রেন্ড যার যার ভ্রমণ সবার। সময়টা খুব ভালো কেটেছে সবার সাথে। যদিও পোস্টটা বেশ কয়েকদিন পরে করছি। সবাই তো আবার সবার মত ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। সবাই যার যার কর্মস্থলে চলে গিয়েছে। তবে স্মৃতিগুলো কিন্তু এখনো কড়া নাড়ছে দরজায়। বারবার ভাবছি আবার যদি সবাই একত্র হতে পারতাম নদীর পাড়ে। গল্প গান আর আড্ডায় মেতে উঠতাম সবাই মিলে। খুব ভালো হতো ভালো সময় কাটতো। যাইহোক এমন দিন ফিরে আসুক আমাদের মাঝে বারবার। আশা করছি আমার এই ভিন্ন ধরনের ভ্রমণ পোস্টটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
ডিভাইসঃ Redmi Note 5
VOTE @bangla.witness as witness OR
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
ধন্যবাদ
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
হ্যাঁ এখন বয়স একটু বেশি হয়েছে তাই গার্লফ্রেন্ডের বাড়ির আশপাশে ঘুরলেও কেউ কিছু বলতে পারেনা। তবে এক্ষেত্রে একটা বাড়তি সুবিধা আছে, ধরে বিয়ে দিয়ে দিলে সব সমস্যার সমাধান হা হা হা।
এখন আর কার সাথে বিয়ে হবে।
গার্লফ্রেন্ড গুলার তো আগে আগে বিয়ে হয়ে গেছে।
জাস্ট স্মৃতিগুলো স্মরণ করার জন্য তাদের বাড়ির আশেপাশে একটু ঘোরাফেরা।
টাইটেলটা কিন্তু বেশ দারুন ছিল। সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি। তবে আপনার পোস্ট পড়ে বেশ ভালো লেগেছে আমার। সবকিছুই সময়ের ব্যাপার-স্যাপার। অনেকদিন পর বন্ধুরা একত্রিত হলে গল্পের শেষ থাকেনা। ঠিক তেমনি আপনার আজকের এই পোস্ট।
ঠিকই বলেছেন অনেকগুলো প্রিয় মুখ আর প্রিয় মানুষ যখন একত্র হয় তখন সেখানে আনন্দের আর শেষ থাকে না।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
পৃথিবীর সব থেকে নিষ্ঠুর হলো সময়। যে সময় একবার চলে যায় সেই সময় আর ফিরে আসে না। আর জীবনে কথাগুলো বলে হলো সময়। প্রতিটা মানুষের জীবনে কখন কি করতে হবে সেটা সময় বলে দেয়। বয়সের সাথে সময়ের একটা সুন্দর বন্ধুত্ব রয়েছে। কারণ উভয়ে, উভয় সময়ে অনেক কিছু করে বসে বা অনেক কিছু করতে ইচ্ছা লাগে। আপনার লেখা গুলো পড়ে ভীষণ ভালো লেগেছে খুবই চমৎকার লিখেছেন ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
আসলে সময় আমাদেরকে অনেক কিছু শিখিয়ে যায়।
আবার আমাদের কাছ থেকে অনেক কিছু কেড়ে নিয়ে যায়।
এর মধ্যে মূল্যবান সম্পদ হলো আমাদের কৈশোর এবং যৌবন বয়স।
বন্ধুত্বের সম্পর্ক সব সময় অটুট।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।