জেনারেল রাইটিং:-অসৎ আনন্দের চেয়ে পবিত্র বেদনা ভালো।
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন আমার প্রিয় সহযাত্রী ভাই বোনেরা? আশা করি সবাই আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও আপনাদের সবার দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি। আশা করি সবার দিনটা ভাল কেটেছে। আজকে আপনাদের সবার মাঝে আমার আরও একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আজ আমি একটি জেনারেল রাইটিং নিয়ে আপনাদের সবার মাঝে হাজির হয়েছি।আশা করি আপনাদের সবার কাছে অনেক ভালো লাগবে। তাহলে চলুন আজ আমার জেনারেল রাইটিংটি দেখে আসি যে, কি বিষয় নিয়ে লেখলাম।
হ্যাঁ বন্ধুরা আজ আমি যে বিষয়টি নিয়ে আপনাদের সবার মাঝে জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে আসছি তার বিষয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আর আমার আজকের জেনারেল রাইটিং বিষয়টি আপনাদের সবার কাছে অনেক ভালো লাগবে আশা করি। অসৎ আনন্দের চেয়ে পবিত্র বেদনা ভালো। আশা করছি আপনাদের সবার কাছে আমার আজকের পোস্ট জেনারেল রাইটিং এর বিষয়টি ও পোস্টটি অনেক ভালো লাগবে। তাহলে চলুন দেখে আসি আজকের পোস্টের মাধ্যমে এ বিষয়টি নিয়ে আমি কি উপস্থাপন করেছি।
আমরা মানুষ মাত্রই জীব। আর আমাদের বেঁচে থাকার জন্য এ পৃথিবীতে কত কিছুই না করতে হয়। কেউ পৃথিবীতে অসৎ কাজ করে অনেক টাকা পয়সা গাড়ি বাড়ির মালিক হয়ে অনেক সুখ শান্তিতে জীবন যাপন পার করে। আবার দেখা যায় এ সমাজে এমনও অনেক মানুষ আছে যারা সৎ পথে থেকে দুবেলা দুমুঠো ডাল ভাত খেয়ে বেঁচে আনন্দের সাথে জীবন পার করে চলেছে। আসলে অসৎ পথে যত টাকা পয়সা কামাই করে সুখে থাকুক না কেন সে সুখের কোন শান্তি নেই। কিন্তু দেখা যায় একজন সৎ ব্যক্তি সৎ পথের ইনকামে টাকা পয়সা না রোজগার করে পরিবার পরিজন এক বেলা খেয়ে থাকলেও তার মনে একটি জোর থাকে। আর সেই জন্য সেসব ব্যক্তির মনে একটি শক্তকাজ করে।
আসলে অসৎ পথে টাকা ইনকাম করে আনন্দে থাকার চেয়ে সৎভাবে থেকে কষ্টও অনেক ভালো লাগে, সে কষ্টে শান্তি আছে। আর পবিত্র বেদনাকে আমরা তখনই আমাদের হৃদয় দিয়ে অনুভব করি যখন সেটা আমাদের মনের আত্মাকে উন্নত করার জন্য এটি মাধ্যম হয়ে কাজ করে। আমাদের সমাজে এমন অনেকে আছেন যারা অসৎ পথে লিপ্ত হয়ে নিজেদেরকে শুধু কিছু সুখ দেয়। আর সেই সুখের ভিতরেই দেখা দেয় এক গভীর অসন্তোষ। আমি মনে করি আসল আনন্দ-ও সুখ সেখানে থাকে যেখানে প্রতিটা হৃদয়ের গভীরের মাঝে পবিত্রতা থাকে। আর তার প্রেক্ষিতে আমাদের আত্মাও অনেকটা সত্য ও শক্তি অর্জন করে।
একজন সৃষ্টিশীল মানুষ যখন নিজের সমস্যার কারণে কষ্ট পেয়ে থাকে তখন সেই কষ্ট সেই ব্যক্তিকে অনেক চিন্তার দিকে নিয়ে যায়। তাই আমি মনে করি প্রতিটা ধ্বংসের মাঝে সৃষ্টি আছে আর সেই কষ্ট আর বেদনায় থাকে নতুন করে এক সম্ভাবনা সূচনা। আবার অন্যদিকে অসৎ আনন্দ হতে পারে প্রতিটা মানুষের কিছুক্ষণের জন্য আনন্দদায়ক। কিন্তু সেই বিষয়টা হয় আমার দৃষ্টিতে প্রত্যেকে জীবনের জন্য ছদ্মবেশী। আবার দেখা যায় এ অসৎ পথে আনন্দ কখনো কখনো আমাদের জীবনটাকে বিভ্রান্ত করে তোলে। আর তাই আমাদের সত্যিকার উদ্দেশ্য গুলো ও চিন্তা চেতনাকে অনেক দূরে সরিয়ে নিয়ে যায়।
আবার দেখা যায় হয়তো সাময়িক সুখের জন্য আমরা যখন আমাদের সত্যকে বিসর্জন দেই তখন আমরা আমাদের অন্তরে এক বড় ধরনের শূন্যতা তৈরি করি। যা কিনা পরবর্তী সময় আমাদেরকে কষ্ট অনেক দিয়ে থাকে। তাই আমি মনে করি আমাদের প্রত্যেকের জন্য প্রয়োজন হচ্ছে সৎ পথে কষ্টের বেদনার সেই অনুভূতিকে স্বাগত জানানো। যা আমাদের জীবনকে আর প্রতিটা চলার পথকে অনেক উন্নত ও সহজ করে তুলবে। কারণে সৎপথের বেদনাগুলো আমাদের জীবনটাকে অর্থপূর্ণ করে তোলে ও আমাদের প্রত্যেকের মনকে আরো উন্নতি করে গড়ে তোল।
পরিশেষে আমি এতটুকুই বলবো আমাদের প্রত্যেকের জীবন যাপন শুধু অসৎ পথের আনন্দের জন্য নয় বরং সৎপথের সেই কষ্টের মাঝে আনন্দ নিয়ে এই বেদনা গুলোকে স্বীকার করা উচিত । কারণ সৎপথের পবিত্র বেদনাগুলো আমাদেরকে মানুসিক ভাবে ও আমাদের প্রত্যেকের আত্মাকে সুখ ও শান্তি দেয় । তাই আমার আজকের বিষয়ে থেকে অনেক বড় শিক্ষা গ্রহণ করতে পারি যে অসৎ পথের ক্ষণিকের সুখ ও আনন্দের চেয়ে সৎপথের কষ্ট বেদনা উত্তম।
আশাকরি আপনাদের সবার কাছে আমার আজকের জেনারেল রাইটিং পোস্টটি মনে জায়গা করে নিয়েছে। পরবর্তীতে আবারো যে কোন বিষয়ের উপর একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট নিয়ে আপনাদের সবার মাঝে হাজির হবো। আশা করছি সে পর্যন্ত সবাই ভালো ও সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমার পরিচিতি
আমি মাহফুজা আক্তার নীলা । আমার ইউজার নাম @mahfuzanila। আমি একজন বাংলাদেশী ইউজার। আমি স্টিমিট প্লাটফর্মে যোগদান করি ২০২২ সালের মার্চ মাসে। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে যোগদান করে আমি অরেনেক বিষয় শিখেছি। আগামীতে আরও ভালো কিছু শেখার ইচ্ছে আছে। আমি পছন্দ করি ভ্রমন করতে, ছবি আঁকতে, বিভিন্ন ধরনের মজার মাজার গল্পের বই পড়তে, ফটোগ্রাফি করতে, ডাই প্রজেক্ট বানাতে ও আর্ট করতে। এছাড়াও আমি বেশী পছন্দ করি মজার রেসিপি করতে। মন খারাপ থাকলে গান শুনি। তবে সব কিছুর পাশাপাশি আমি ঘুমাতে কিন্তু একটু বেশীই পছন্দ করি।
https://x.com/mahfuzanila94/status/1872957308202041857
প্রথমত যে কথাটা বলতে হয় সেটা হল অসৎ ভাবে কেউ সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারেনা। বাহিক দিক থেকে হয়তোবা আমরা মনে করি যাদের অনেক অর্থ সম্পদ রয়েছে তারাই অনেক সুখি। কিন্তু এমন অনেক মানুষ আছে যারা দুমুঠো ডাল ভাত খেয়ে অনেক সুখে দিন পার করছে। সৎ ইনকাম করে কষ্ট থাকলেও তার ভেতরে রয়েছে অন্যরকম একটা প্রশান্তি। আর অসৎ ভাবে লাখ লাখ টাকা কামায় করেও সুখ পাওয়া যায় না।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য ভাইয়া।
আপনার এই কথার সাথে আমি নিজেও পুরোপুরি ভাবে একমত। আসলে অসৎ আনন্দের মধ্যে কোনো কোনো কিছুই নেই। আর এই আনন্দটা শুধুমাত্র ক্ষণিকের জন্য। বেদনার মধ্যে যদি পবিত্রতা থাকে তাহলে সেই বেদনাটা অনেক বেশি ভালো হয়। অনেক বেশি ভালো লেগেছে পুরো পোস্টটা পড়তে।
ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপু একদম সত্যি কথা অসৎ ভাবে আনন্দ না পেয়ে সৎ থেকে পবিত্রতা নিয়ে বেদনায় থাকা অনেক ভালো। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন অসৎ কাজ করে আনন্দ খুঁজে পায়।তবে সেই আনন্দ দীর্ঘস্থায়ী হয় না।বেদনার মাঝে থাকলেও ভালো যদি সৎ থাকা যায়।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
অসৎ আনন্দের চেয়ে পবিত্র বেদনা ভালো আপনি মনের কথা বলেছেন আপু। আসলে অসৎ ভাবে আনন্দ উপভোগ করার চেয়ে সৎভাবে কষ্ট পাওয়া উত্তম। আপনার পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
নিখুত চিন্তা ধারার লেখা ছিল এটা। অনেক ভালো লাগলো এত সুন্দর ভাবে আপনি চিন্তা করেছেন এবং আজকের পোস্ট উপস্থাপন করেছেন। হ্যাঁ প্রত্যেকটা ধ্বংসের মধ্যে থেকে আবার সৃষ্টির সূত্রপাত হয়ে থাকে। তবে সেখানে যদি পবিত্র চিন্তা ধারা থেকে কোন কিছু সৃষ্টি হয় হোক সেটা ভালো বা মন্দ তার মধ্যে রয়েছে সার্থকতা। কারণ দুনিয়ার বুকে সব কিছুর মাঝেই সুখ দুঃখ হাসি আনন্দ বেদনা এগুলো থাকবে এটা স্বাভাবিক। অনেক ভালো লাগলো দারুন একটা রাইটিং পড়ে
মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
আমিও কিন্তু এটাই মনে করি যে অসৎ আনন্দের চেয়ে পবিত্র বেদনা অনেক ভালো। কারন অসৎ আনন্দ হলো ক্ষণস্থায়ী। আর ক্ষণস্থায়ী আনন্দ দিয়ে কখনও সুখে থাকা যায় না। বেশ দারুন লিখেছেন আপু।ধন্যবাদ আপু।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আজকে আপনি গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট করেছেন। ঠিক বলেছেন আপু অসৎ আনন্দ চেয়ে পবিত্র বেদনা অনেক ভালো। আসলে অসৎ পথের টাকা ইনকাম করা চেয়ে সঠিক পথে কষ্ট করে খাওয়া ও অনেক উত্তম। আর এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার জন্য মানুষ অনেক দেখা যায় অসৎ পথ বেছে নেই। শুধু টাকা পয়সা সম্পত্তির জন্য। ভালো লাগলো আপনার পোষ্টটি পড়ে।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর করে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
সুন্দর এবং বাস্তবিক একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি। আসলে অসৎ আনন্দের মধ্যে যে আনন্দ থাকে সেটি একেবারেই ক্ষণস্থায়ী৷ আর যে সকল পবিত্র বেদনা রয়েছে সেগুলো অসৎ আনন্দের চেয়ে অনেক ভালো৷ কারণ অসৎ আনন্দের মধ্য দিয়ে যে একটি ভালোলাগা আসে সেটি কখনোই অনেক বেশি সময় ধরে বিদ্যমান থাকে না৷ অল্প কিছুদিন পরে সেই আনন্দ চলে যায়৷ তখন আবারও সেই দুঃখের দিন শুরু হয়ে যায়৷ তার থেকে অনেক ভালো পবিত্র বেদনা সহ্য করা৷ ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য৷
গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।