স্ব-রচিত- কবিতা- গরমে অতিষ্ঠ জীবন
আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
হ্যালো কেমন আছেন সবাই এই প্রচন্ড গরমের তাপদাহে? আশা করি যে যেখানে আছেন ভালো ও সুস্থ আছেন। আর গরমে সবার জীবনের সুস্থতা কামনা করে আজ আবারও আমি আপনাদের মাঝে চলে এলাম আপনাদের সবার মাঝে আমার আরও একটি ব্লগ নিয়ে। আসলে গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পরেছে জন-জীবন। আর একমাত্র আল্লাহর রহমতের বৃষ্টিতেই আমাদের এই গরম থেকে রক্ষা করতে পারে। তাই আমাদের সবাইকে পানি জাতীয় ফলগুলো বেশী বেশী খেতে হবে এবং কিছুক্ষন পরপর পানি পান করতে হবে। মনে রাখতে হবে এই গরমে ফাস্টফুড ও রিচফুড খাবার গুলো অতি লোভ লাগলেও এড়িয়ে যেতে হবে।
আজও আমি আপনাদের জন্য একটি কবিতা লেখার চেষ্টা করলাম। আসলে কবিতা লেখতে হলে সময় লাগে। কবিতা বললেই হয়ে গেল না।একটি কবিতার জন্য প্রয়োজন হয় ছন্দ আবেগ ও সময়। আমিতো আর প্রফেসন্যাল কবি নই।এই কমিউনিটিতে এসে আপনাদের সবাইকে দেখে আমারও কবিতা লেখার উৎসাহ।আর সেই উৎসাহ থেকেই আমিও নিজের মনের আবেগ আর অনুভূতি থেকে ছন্দে ছন্দে কবিতা লেখার চেষ্টা করি। আর আপনাদের মাঝে একটি করে কবিতা শেয়ার করার জন্য হাজির হই। আজও আবার আপনাদের সাথে আমার লেখা একটি কবিতা শেয়ার করতে যাচ্ছি। আজ এই গরমকে ঘিরে একটি কবিতা লেখার চেষ্টা করেছি। জানি না আমার আজকের এই কবিতা আপনাদের কাছে কতটুকু ভালো লাগবে। তাহলে চলুন আজ আমার লেখা কবিতাটি দেখে আসা যাক।
প্রচন্ড গরমে অতিষ্ঠ জীবন,
তাই নিয়ে আমি এখন ভাবী সারাক্ষন,
চারিদিকে নেই কোন কোলাহল আর সুর,
বৃষ্টির প্রতিক্ষায় প্রহর গুনে সবাই ।।
অতিষ্ঠ গরমে ক্লান্ত দেহ মন,
তাপাদাহে খোজেঁ সবাই শীতের পরশ,
প্রকৃতি চেয়ে আছে বৃষ্টির পানে,
চারিদিকে হাহাকার কি হবে শেষে।।
কেউ খাচ্ছে শরবত কেউ পানি খায়,
অতিষ্ঠ গরমে দিন গুন যায়,
শুনছি ভাই থাকবে তাপদাহের রেশ,
কি করে সইবো মোরা গরম পরিবেশ?
এখন আমি কিযে করি শরীর আমার শেষ,
ওমা কি বলেরে ভাই গরম রবে বেশ,
বাজারেও গরমে দ্রব্যমূল্য হাই,
বলোরে ভাই বলো এই গরমে আমরা কোথায় যাই ।।
গরমের জন্য না হয়ে হতাশ,
দু হাত বাড়িয়ে দিয়ে করি মোনাজাত,
মন দিয়ে চাইলে আল্লাহর দয়া,
আল্লাহর রহমতের বৃষ্টি আসবে ঝাপিয়া।।
পরিশেষে আপনাদের ভালোবাসা নিয়ে আজকের মতো এখানেই শেষ করলাম আমার আজকের ব্লগটি। আশা করি আপনাদের সবার কাছে আমার কবিতাটি ভালো লাগবে। সবাই ভালো থাকবেন।
আমার পরিচিতি
আমার পরিচিতি
আমি মাহফুজা আক্তার নীলা আমার ইউজার আইডি @mahfuzanila আমি একজন বাংলাদেশী ইউজার। আমি আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের একজন সদস্য। আমার পছন্দ ঘোরাঘুরি করা ,ছবি আঁকা, বিভিন্ন ধরনের মজার মাজার গল্পের বই পড়তে, ফটোগ্রাফি,ডাই প্রজেক্ট বানাতেও দারুণ পছন্দ করি। আর বেশী পছন্দ করি মজার রেসিপি করতে,মন খারাপ থাকলে গান শুনতে ও গান গাইতে আর সবচেয়ে বেশী ঘুমাতে আর কষ্ট পাই অন্যায় না করেও কেউ কষ্ট দিয়ে কথা বললে।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
বাহ দারুন কবিতা লিখলেন সমসাময়িক সমস্যা নিয়ে। এ ধরনের ক্রিয়েটিভ বিষয়গুলো খুব ভালো লাগে। সত্যি গরম আমাদের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। দিন দিন গরমের মাত্রা এত বৃদ্ধি পাচ্ছে যা সবার জন্য খুবই ক্ষতিকর। এই তীব্র গরম থেকে আমাদেরকে পরিত্রাণ পেতে হবে পরিবেশকে ফিরে আনতে হবে আগের জায়গায়। অনেক ভালো লাগলো আপনার কবিতা পড়ে ধন্যবাদ আপনাকে।
গরমের চাপে একদম অস্থির হয়ে যাচিছ। সুন্দর মন্তবের মাধ্যমে বিষয়টি বিশ্লেষণ করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
দিন যতই যাচ্ছে ততই যেন আপনি কবিতা লেখার প্রতি পারদর্শী হয়ে উঠছেন। সত্যি কিন্তু আজকের কবিতাটা অনেক অসাধারণ হয়েছে আপু। বর্তমানের পরিস্থিতি নিয়ে আপনি যে একটি কবিতা লিখেছেন সেটা ভেবেই তো মুগ্ধ হয়ে গেলাম। এগিয়ে যান এভাবেই। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপু আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এমন সুন্দর করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
গরম নিয়ে অনেক সুন্দর একটি কবিতা লিখেছেন আপু। কবিতার লাইনগুলো পড়তে বেশ মজা লাগছে। একটি লাইনের সঙ্গে আরেকটি লাইনের অনেক মিল রয়েছে ছন্দের মত। তবে এটা আপনি একদমই ঠিক বলেছেন বৃষ্টি হলে হয়তো বা গরম কিছুটা কমত। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি কবিতা আমাদের মাঝে লিখে উপস্থাপন করার জন্য।
সত্যি আপু রহমতেৱ বৃষ্টির হলে অনেকটা গরম কেটে যাবে। ধন্যবাদ আপু এরকম অনুপ্রেরণামূলক একটি মন্তব্য আমার এই পোস্টে শেয়ার করার জন্য৷
এই গরমে গ্ৰামের জনজীবন থেকে শহরের মানুষের জন জীবন অনেক কষ্টকর হয়ে পড়েছে।গ্ৰামের মধ্যে গাছপালা রয়েছে, তাই একটু পরিবেশ ঠান্ডা রয়েছে। কিন্তু শহরের মধ্যে কোন রকম গাছ পালা না থাকায় অনেক বেশি গরমের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আপনি আজকে গ্ৰীষ্মের গরম নিয়ে অসাধারণ একটি কবিতা লিখেছেন। আপনার লেখা কবিতা টি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগলো।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া। শহরে বড় বড় দালান কোঠার জন্য বাতাস শরহ থেকে গ্রামে চলে গেছে কারন বাতাসও ছায়া খোঁজে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।