খেসাড়ি ডাল দিয়েপাটশাকের স্বাদে ভরা মজাদার রেসিপি
আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় পরিবারের প্রিয় ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালোই আছেন। আমিও আপনাদের সবার দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি। আসলে যে যেই ভাবেই থাকি না কেন সৃষ্টিকর্তা যে আমাদের বাচিঁয়ে রেখেছে তার জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে জানাই হাজারও শুকরিয়া। প্রতিদিন আপনাদের মাঝে কোন পোস্ট না দিলে ভালো লাগে না। প্রতিদিন যখন পিসিতে বসি তখন ভাবি যে কি পোস্ট দিব আজ। এই নিয়ে ভাবতে ভাবতেই আমার অনেকটা সময় চলে যায়।কারন সত কিছুর মাঝেও চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে ভালো একটি পোস্ট শেয়ার করতে। আজ তাই আমার পছন্দের একটি রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলে এলাম।
আজ আবারও আমার আরও একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের সবার মাঝে হাজির হলাম। আসলে আজ কয়েকদিন যাবৎ ইচ্ছে করছিল যে খেসারির ডাল দিয়ে পাট শাক রান্না করে খেতে। তাই যেই কথা সেই কাজ। তাড়াতাড়ি খেসাড়ির ডাল আর পাটশাক আনালাম বাজার থেকে। পাট শাক আমার এমনিতেই অনেক ভালো লাগে। আপনাদের কার কার কাছে এই শাকটি খেতে ভালো লাগে। আর পাট শাক মুসরির ডাল দিয়ে সব সময় খাওয়া হয়। খেসাড়ির ডাল দিয়ে অনেকদিন খাওয়া হয়নি । তাই গত কাল এই মজার রান্নাটি করলাম।পাট শাক দিয়ে খেসাড়ি ডালের রান্নাটি যেভাবে খেতে চেয়েছিলাম ঠিক সেইভাবেই হয়েছে। সবাই খেয়ে অনেক মজা পেয়েছে। এককথায় অসাধারন হয়েছে রান্নাটি। আশা করি আমার আজকের এই রেসিপিটিও আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে। তাহলে চলুন দেখে আসি আজ আমার প্রিয় একটি খাবর পাটশাক ও খেসাড়ি ডালের মজাদার রেসিপি।
প্রয়োজনীয় উপকরণ সমূহ
প্রস্তুত প্রণালী ধাপ-১ প্রথমে ডালগুলো ২/৩ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখেছি যেন একটু নরম হয়ে আসে ও সহজে সিদ্ধ হয়ে যায়G এরপর ডালগুলো ধুয়ে রেডি করে নিয়েছি। ধাপ-২ এবার পাট শাকগুলো বেছে ধুয়ে সাইজ মত কেটে রেডি করে নিলাম। ধাপ-৩ এবার চুলায় প্যান বসিয়ে তার মধ্যে পরিমান মত তেল ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে একটু লাল করে নিলাম। ধাপ-৪ এবার তার মধ্যে একে একে হলুদগুড়া, মরিচগুড়া,আদারসুনবাটা ও লবন আর সামান্য পানি দিয়ে মসলা গুলো লাল করে কসিয়ে নিলাম। ধাপ-৫ এবার কষে নেওয়া মসলার মধ্যে ডালগুলো দিয়ে মসলার সাথে মিক্স করে নেড়ে নিলাম। ধাপ-৬ এবার ডালগুলো মসলার সাথে ভালোভাবে কষানো হয়ে গেলে তার মধ্যে পরিমান মত পানি দিয়ে দিলাম। ধাপ-৭ এবার কিছুক্ষন এভাবে ডালগুলো সিদ্ধ হওয়া পর্যন্ত চুলার আচ কমিয়ে অপেক্ষা করতে থাকলাম। ধাপ-৮ এবার ডালের মধ্যে পাটশাকগুলো দিয়ে নেড়ে দিলাম। আর কোন পানি ব্যবহার করলাম না কারন শাক থেকে এমনিতেই পানি উঠবে। ধাপ-৯ এবার কিছু কাচাঁ রসুনকুচি ডাল ও শাক এর মধ্যে দিয়ে আবারও নেড়ে দিলাম। ধাপ-১০ এবার কিছুক্ষন পর লাল পাকাঁ কাচাঁ মরিচ দিয়ে দিলাম শাকের মধ্যে। লাল কাচাঁ মরিচ এই রান্নাটির সাথে ভাত দিয়ে মেখে খেতে যে কি স্বাদ সেই স্বাদ আপনারা এভাবে খেয়ে দেখবেন। শেষ-ধাপ এবার কাচাঁ মরিচ দিয়ে ২ মিনিট রেখে যখন দেখলাম যে, সম্পূর্ন হয়ে গেছে এবং নামানোর উপযোগী হয়েছে তখন পরিবেশনের জন্য নামিয়ে নিলাম। পরিবেশন এবার সবাই বলেন কেমন লাগলো আমার আজকের প্রিয় খেসারি ডালের সাথে পাট শাকের মজাদার স্বাদে ভরা লোভনীয় রিসিপিটি? আমি আশা করবো আমার আজকের এই রেসিপিটিও আগের মতো আপনাদের সবার কাছে ভালো লাগবে। আর এভাবে অবশ্যই রান্না করে খেয়ে দেখবেন। আজ তাহলে এখানেই আমার রেসিপির ব্লগটি শেষ করছি। আগামীতে আবারও নতুন কোন সুন্দর ব্লগ নিয়ে আমি আপনাদের সামনে উপস্থিত হবো ইনশাআল্লাহ্। এই প্রচন্ড গরমে সকলের সুস্থতা কামনা করে আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি।সবাই ভালো থাকবেন। পরিচিতি আমি মাহফুজা আক্তার নীলা আমার ইউজার নাম @mahfuzanila আমার পছন্দ ঘুরাঘুরি ভ্রমন করা ,ছবি আঁকা,বিভিন্ন ধরনের মজার মাজার গল্পের বই পড়তে,ফটোগ্রাফি,ডাই প্রজেক্ট বানাতে ও পেইন্টিং করতেও দারুণ পছন্দ করি। আর বেশী পছন্দ করি মজার রেসিপি করতে,মন খারাপ থাকলে গান শুনতে ও গান গাইতে আর সবচেয়ে বেশী ঘুমাতে। |
---|
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
পাটশাক ও ডালের সমন্বয়ে সুন্দর এক রেসিপি তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আমার সুন্দর রেসিপি তৈরি করতে দেখে আমার বেশ ভালো লেগেছে। আশা করি অনেক সুস্বাদু ও মজাদার হয়েছে আপনার এ রেসিপি।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
খেসারির ডাল আমার অনেক বেশি পছন্দ কেননা খেসারির ডাল এ অন্যান্য ডালের থেকে পুষ্টি গুনাগুন বেশি। আর পাট শাক সেটাও বর্তমান সময়ে বাসায় মাঝে মাঝে রান্না করে থাকে। খেসারির ডাল এবং পাট শাকের সমন্বয়ে সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আপনি। আপনার জন্য শুভকামনা রইল আপু।
ভাইয়া উৎসাহ মূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
অনেকদিন যাবত আপনার এই খাবারটি খেতে ইচ্ছে করছিল আর এরপর এই খাবারটি তৈরি করেছেন দেখে ভালো লাগলো। খেসাড়ি ডাল দিয়ে পাটশাকের রেসিপি দেখে আমিও শিখে নিলাম। বাসায় তৈরি করার চেষ্টা করব আপু।
আমার মনে হয় তৈরি করে খেলে অনেক মজা পাবেন। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য।
ডাল আর শাক একসাথে সুন্দর ভাবে রান্না করেছেন। আপনার এই রেসিপি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। কারণ এই জাতীয় রেসিপি গুলো আমি খুবই পছন্দ করি এবং নিজেও মাঝে মধ্যে রান্না করার চেষ্টা করি। আশা করি পরিবারের সকল মানুষ পছন্দ করেছে আপনার এই রেসিপি।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
অনেকদিন পর আপনার পছন্দের রেসিপি তৈরি করেছেন জেনে ভালো লাগলো আপু। খেসাড়ি ডাল দিয়ে কখনো এভাবে পাট শাট খাওয়া হয়নি। নতুন নতুন রেসিপি দেখে ভালো লেগেছে। এভাবে একদিন রান্না করে খেয়ে দেখতে হবে। মনে হচ্ছে খেতে ভালোই লাগবে।
আমাকেও দাওয়াত করেন। ধন্যবাদ আপু আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।
আপু পাট শাক আমার ভীষণ পছন্দ। তবে ভাজি করে খেয়েছি।কখনও আসলে ডাল দিয়ে আমার পাট শাক খাওয়া হয়নি। মনে আছে একবার আমার দাদু মসুরের ডাল ঘন করে রান্না করে পাট শাক দিয়ে রান্না করেছিল।তখন খাওয়া হয়েছিল।তারপর আর কখনও খাওয়া হয়নি।আপনি খেসারি ডাল দিয়ে ভুনা ভুনা করলেন।রেসিপিটি সবাই খুব মজা করে খেয়েছিল।তবে তো বলতে হয় স্বাদই হয়েছে।ধন্যবাদ আপু দারুন স্বাদের এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।
আমার মা কে মুসুরির ডাল দিয়ে পাট শাক রান্না করতে দেখেছি আর আমি চিংড়ি মাছ দিয়েও খেয়েছি কিন্তু খেসারির ডাল দিয়ে খাওয়া হয়নি। পাট শাক আমার খুব পছন্দের। বিশেষ করে মিষ্টি পাক বেশি ভালো লাগে। আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। আপনার উপস্থাপনা খুব সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
জি আপু খেতে বেশ সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ আপু আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।
পাট শাক আমার ভীষণ প্রিয়।পাট শাক শুধু ভাজাই খেয়েছি কিন্তুু এত্তো সুস্বাদু ও সুন্দর লোভনীয় রেসিপি হয় ডাল দিয়ে তা জানা ছিলো না।আপনার রেসিপি দেখে জানতে পারলাম এবং আপনার এই রেসিপিটি অনুসরণ করে একদিন অবশ্যই বানিয়ে খাবো মজাদার রেসিপিটি। রন্ধন প্রনালী দূরদান্ত হয়েছে। ধাপে ধাপে চমৎকার সুন্দর করে রেসিপিটি আমাদেরই সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর ও সুস্বাদু রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।