শীতের দিনের শৈশবের কিছু কথা
আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন আমার প্রিয় ও সহযাত্রী সকল ভাই ও বোনেরা। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন।আজ আবারও হাজির হয়ে গেলাম আপনাদের সবার অতি নিকটে। ফেলে আশা অনেক স্মৃতির মাঝ থেকে কিছু স্মৃতি নিয়ে। আমাদের চলার পথে জীবনে সুখ দুঃখ কতো স্মৃতি জড়িয়ে আছে।সেই শৈশব থেকে শুরু করে মৃতুর আগ পর্যন্ত স্মৃতিগুলো যেন চোখে ও মনের মনি কোঠায় ভেসে বেড়ায়। আর তার মধ্যে জীবনে এমন অনেক ঘটনা থাকে যা কখনও ভোলা যায় না। যাইহোক আজ কয়েকদিন ধরে একটু শীত শীত ভাব মনে হচ্ছে। আর এমন অবস্থা দেখে ছেলেবেলার শীত কে ঘিরে অনেক স্মৃতি মনে পরে গেল। আসলে শীত কে ঘিরে আমাদের সবার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। আর সেই থেকে আমারও কিছু স্মৃতি আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলে এলাম। তাহলে চলুন পড়ে আসি আজ আমার শৈশবের শীতকালের কিছু কথা শেয়ার করি।
ছেলেবেলা এমন একটি সময় যার স্মৃতি কেউ কখনও ভুলতে পারেনি বা পারবেও না। আমাদের প্রত্যেকের জীবন ঘিরে আছে একটি অতীত। আর সেই অতীত কে আমরা কেউ ভুলতে পারি না। আজ আমার বার বার সেই ছেলেবেলার শীতকালের কথা মনে পড়ছে। শীত আসার আগেই আমাদের জন্য নতুন নতুন শীতের পোশাক নিয়ে আসতো বাবা । সেই সাথে থাকতো জুতা আর মোজা। কারন ছেলেবেলার শীতকাল মানেই আনন্দ আর উদ্দীপনা। সেই সময়ে স্কুলের পরীক্ষা শেষ হয়ে যেত। আর আমরা তখন নতুন শীতের পোশাক পড়ে বেশ খেলাধুলায় ব্যস্ত থাকতাম। শীতের সকালে পাতলা খিচুড়ী আর সাথে কয়েক রকমের মজার মজার সবজির চাটনী ছিল আমাদের পরিবারের প্রিয় খাবার । শীত আসলেই বাবা নানা রকমের গুড় কিনে নিয়ে আসতো পিঠা বানানোর জন্য। সাথে থাকতো পায়েস আর খির। সব কিছুই আমরা বেশ উপভোগ করতাম। কারন আমাদের বাবা ছিল বেশ ভোজন রসিক। শীত আসলে বাবা সব সময় তার সাধ্য মত আমাদের কে আনন্দ উপহার দেওয়ার চেষ্ট করতো। শীতকালে থাকতো না তেমন পড়ার চাপ। শুধু খেলাধুলা আর বেড়ানোর মাঝেই আমাদের সময় পার হয়ে যেত। তাই তো বছরের সব চেয়ে প্রিয় সময় আমরা কাটাতাম শীতকালে। যেহেতু আমরা সরকারীবাসভবনে বসবাস করতাম তাই শীতকালে আমাদের কোলনীতে পিকনিকের আয়োজন করা হতো। সবাই টাকা তুলে বড় করে পিকনিক করা হতো। সেখানে মজার মজার রান্না করা হতো। গান হতো, নাটক হতো আর যে কত রকমের আনন্দ হতো সেটা বলে বুঝানো যাবে না। শীতকালের সব চেয়ে ভালো সময় মনে হতো সন্ধ্যার পর। তখন লেপের তলে শুয়ে শুয়ে কত রকমের গল্প যে শুনতাম। খুব ভয়ঙ্কর গল্পও বাবা আমাদের কে শুনাতো। আর মা কিছু সময় পর পর আমাদের জন্য এটা সেটা তৈরি করে দিতো। এখন ভাবী যে কোথায় গেল সেই সময়? সেই শৈশবের আনন্দময় সময়গুলো কি আমরা আর ফিরে পাবো? সেগুলো এখন আমাদের কাছে শুধু স্মৃতি।
আশা করি আমার আজকের পোস্টটিও আপনাদের বেশ ভালো লেগেছে। আজ আর নয়। আল্লাহ্ হাফেজ। ভালো থাকবেন সবাই।
পরিচিতি
আমি মাহফুজা আক্তার নীলা । আমার ইউজার নাম @mahfuzanila। আমি একজন বাংলাদেশী ইউজার। আমি স্টিমিট প্লাটফর্মে যোগদান করি ২০২২ সালের মার্চ মাসে। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে যোগদান করে আমি অরেনেক বিষয় শিখেছি। আগামীতে আরও ভালো কিছু শেখার ইচ্ছে আছে। আমি পছন্দ করি ভ্রমন করতে, ছবি আঁকতে, বিভিন্ন ধরনের মজার মাজার গল্পের বই পড়তে, ফটোগ্রাফি করতে, ডাই প্রজেক্ট বানাতে ও আর্ট করতে। এছাড়াও আমি বেশী পছন্দ করি মজার রেসিপি করতে। মন খারাপ থাকলে গান শুনি। তবে সব কিছুর পাশাপাশি আমি ঘুমাতে কিন্তু একটু বেশীই পছন্দ করি।
শীতের সকাল মানেই বিভিন্ন ধরনের খাবারের আয়োজন।আর শৈশবের শীতকাল ছিল একদম ভিন্নরকম। শৈশবের শীতকালের মধ্যে আমরা কম বেশি প্রত্যেকেই বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলার মধ্যে মগ্ন ছিলাম। আপনার শৈশবের শীতকালের স্মৃতি পড়ে বেশ ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
শীতকালীন সময়ে ছোটবেলার কিছু কথা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন পড়ে ভালো লাগলো। শীতকালীন সময় মানেই পিঠার উৎসব। এটা সত্যি বলেছেন আপু শীতকালীন সময়ে লেপের নিচে শুয়ে গল্প শুনতে ভীষণ ভালো লাগে। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে বিস্তারিত ভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
খির- ক্ষীর
কোলনী- কলোনি
এই দুটো টাইপো রয়েছে আপু।
আপনার শীতের সুখস্মৃতি পড়ে খুবই ভালো লাগল৷ শুধু তাই নয় আমি নিজের স্মৃতির সাথেও মেলাতে চেষ্টা করলাম। শীত মানেই তো সুখ যাপন আর ছেলেবেলাও জীবনের সব থেকে দামী ও চমৎকার অধ্যায়৷ তাই হয়তো ছেলেবেলার সব স্মৃতিই সুখের হয়।
বড় ভালো লাগল আপনার স্মৃতিচারণ।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর করে ভুল ধরিয়ে দেওয়ার জন্য।
ছোটবেলার শীতের সময়ের অনুভূতিগুলো ছিল একেবারেই আলাদা। আমার কাছে তো অনেক ভালো লাগে শীতকাল। তবে এই সময়গুলোতে ছোটবেলার শীতের মুহূর্ত গুলো অনেক বেশি মিস করি। কতইনা আনন্দ করতাম ছোটবেলায় শীতের সময়। আপনার লেখা এই পোস্ট পড়ে আমার নিজেরই ছোটবেলার স্মৃতিগুলো মনে পড়ে গেল আপু।
ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
সত্যি বলতে সরকারি কলোনিতে বসবাস করার মজাই আলাদা। বেশ মজা হতো আমাদের ছেলেবেলার সেই দিনগুলোতে। আজ আপনার পো্স্ট পড়ে সে কথা গুলো আমাদের মনে পড়ে গেল। ধন্যবাদ এমন সুন্দর করে অতীত কে তুলে ধরার জন্য।
ধন্যবাদ সুন্দর করে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
শীতের রাত আমার বেশ পছন্দের ছিল। কারণ ব্যাডমিন্টন খেলা। শীতের রাতে লেপ মুড়ি দিয়ে ঘুমিয়ে থাকার মজায় ছিল আলাদা। দারুণ লাগল আপনার শৈশবের কথা শুনে। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
শীতকাল মানে মুখরোচর খাবারের আয়োজন। নানা রকম শাকসবজিতে জমে যায় খাবারের আড্ডা। তাছাড়া আপনার মতো আমিও লেপের তলে শুয়ে শুয়ে গল্প করতাম। গরম আমি একদম পছন্দ করি না। তবে শৈশবের শীতকালের ঘটনা গুলো স্মৃতি হয়ে থাকবে। আপনার শৈশবের শীতকালের অনুভুতি পড়ে খুবই ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য।
প্রত্যেক মানুষের জীবনে ছোটকালের স্মৃতি অনেক থাকে যেগুলো ভুলতে পারেনা। তবে এটি ঠিক শীতের সময় সন্ধ্যার পরে ল্যাব বা কম্বলের নিচে শুয়ে শুয়ে সবাই কমবেশি গল্প করতো এবং শুনতো। আর শীতের সকালে অনেকের অনেক ধরনের প্রিয় খাবার আছে। যেমনটি আপনার পাতলা খিচুড়ী খাওয়া আপনাদের পরিবারের প্রিয়। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
এরকম আমার কিছু মজার স্মৃতি আছে যখন শীতের ছুটিতে নানু বাড়ি যেতাম তখন সন্ধ্যার পরবর্তী সময়ে সবাই লেপের মধ্যে ঢুকে নানান গল্পে মেতে উঠতাম এখন অবশ্য সেটা অতীত মাত্র। আপনার পোস্ট করতে গিয়ে সেই স্মৃতিগুলো আবার মনে পড়ে গেল যাইহোক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।