১০,০০০ স্টিম পাওয়ার ছুঁতে না পারার যন্ত্রণার অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন সবাই? আশা করবো সবাই ভালো আছেন সৃষ্টিকর্তার রহমতে । আমিও আছি আপনাদের দোয়ার বরকতে জীবন নিয়ে ভালোই। দিন যায় কথা থাকে। দিন কিন্তু সত্যি সত্যি চলেই যাচ্ছে। চলে যাচ্ছে সময়। সময় কখন আসে আর কখনই বা যায় সেটা টেরই পাই না। তাই ব্যস্ততার পরিমানও দিনের পর দিন বেড়েই যাচ্ছে। আজকাল যেন জীবনের সাথে যুদ্ধ করেই জীবন পার করতে হচ্ছে। তবুও সময় করে বসে পড়লাম আপনাদের জন্য একটু লেখালেখি করার জন্য। আমি আশা করি আজকের ব্লগ আপনাদের সবার অনেক বেশি ভালো লাগবে। সব সময় চেষ্টা করি ভালো ভালো ব্লগগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Canva দিয়ে তৈরি
পাওয়ার বা ক্ষমতা আমরা সবাই চাই। আমরা সবাই চাই যে আমাদের নিজেদের কে একটু ভালো পজিশনে রাখতে। আর আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে এসে আমরা তো আরও বেশী ভালো থাকার জন্য উঠে পড়ে লেগেছি। কারন আমাদের সবার প্রিয় @rme দাদা আমাদের মাঝে সুন্দর সুন্দর প্রতিযোগিতা ছুড়ে দিয়ে আমাদের কে ভালো কাজে দক্ষ করে তুলছে। তেমনি করে নিজেদের একাউন্ট কে সমৃদ্ধশালী করে তুলতে এবং নিজেদের একাউন্ট কে আর বেশী কার্যকর করতে প্রিয় দাদা এবং আমাদের @rex-sumon ভাই ইউজারদের সুন্দর ভবিষৎ তৈরি করতে প্রতি বছর পাওয়ার আপ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকেন। যেমনটি গত বছরেও করা হয়েছিল। গত বছর ছিল পাওয়ার আপ প্রতিযোগিতার সিজন-৪।
আর পাওয়ার আপ প্রতিযোগিতার সিজন-৪ এ আমার লক্ষ ছিল ১০০০০ স্টিম পাওয়ারের মাইল ফলক স্পর্শ করে দ্বিতীয় ডলফিন অর্জন করতে। কিন্তু ঐ যে আমি একজন ব্যর্থ মানুষ। তাছাড়া আমার কপালটাই যেন কেমন, কোন ভালো কিছু আমার কপালে জোটে না। তাই তো অনেক চেষ্টা করার পরও আমি সিজন-৪ এ না পারলাম নিজের লক্ষ্য কে ছুঁতে, আর না পারলাম দ্বিতীয় ডলফিন অর্জন করতে। কেমন লাগে বলেন তো। বছরের প্রথমে একটি লক্ষ্য নির্ধান করে তা পূরন করতে তা পারার যন্ত্রণা কিন্তু বেশ কঠিন।
সিজন-৪ এ প্রতি সপ্তাহে পাওয়ার আপ করে ১০০০০ স্টিম পাওয়ারের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগিয়ে চলছিলাম। দেখতে দেখতে আমি প্রায় কাছাকাছি চলে এসেছিলাম। আমার ওয়ালেট ঘুরে দেখলে আপনারা দেখবেন যে আমার একাউন্টে সর্বমোট ৯৯৪৫.৫৫৮ স্টিম পাওয়ার জমা হয়েছে। আর মাত্র ৫৫ স্টিম পাওয়ার হলেই আমি দ্বিতীয় ডলফিন এর মুখ দেখতে পেতাম। কিন্তু নারে ভাই দ্বিতীয় ডলফিন বলে কথা সেতো আমার কাছে ধরা দিল না। বরং নতুন বছরের জন্য আমাকে অপেক্ষা করিয়ে রাখলো। এ ও কি দেহে সয়? না আমার তো বেশ খারাপই লাগছে। জানিনা এত কাছাকাছি এসে দ্বিতীয় ডলফিন না ছুঁতে পারার কষ্ট আপনাদের কে কতটা কষ্ট দিয়েছে। একটু জানাবেন তো প্লিজ।
তবে আশা করছি নতুন বছরে নতুন করে লক্ষ্য নির্ধারন করে আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবো আমি। আর এ বছরের যত গ্লানি আর দুঃখ গুলো মুছে যাবে আমার হৃদয় থেকে। তবে দুঃ এটাই রয়ে যাবে যে মাত্র ৫৫ স্টিম পাওয়ারের জন্য আমি সিজন-৪ এ এসে আমার লক্ষ্য কে স্পর্শ করতে পারলাম না। সত্যি বলতে সব চাওয়া হয় না পূরণ একথাটি একদম সত্য । যাই হোক আমার কষ্টের সাথে আপনারা কতটা কষ্ট অনুভব করছেন সেই অনুভূতিগুলো জানার অপেক্ষায় রইলাম। আজ আর নয় বন্ধুরা।
আমার পরিচিতি
আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
এখনো সময় আছে আপু আপনি যদি ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যান। অবশ্যই আপনার এই বছরের মধ্যেই দশ হাজার স্টিম পূর্ণ হবে। দ্বিতীয় ডলফিন যেটা সবাই প্রত্যাশা করে আশা করি আপনার লক্ষ্যের খুব কাছাকাছি পৌঁছেছেন। লক্ষ্যে পৌঁছে যাওয়ার জন্য আর কিছু মাত্র এমাউন্ট বাকি।
এত কাছাকাছি এসে লক্ষমাত্রা অর্জন করতে ব্যর্থ হলে খারাপ লাগা টা তো ভীষণ স্বাভাবিক। তবে আরেকটু আগে থেকে হিসেব করে পাওয়ার আপ করলে আর নতুন বছরের অপেক্ষা করতে হতো না বোধ হয়। তবুও, একটা ভালো দিক হচ্ছে নতুন বছরের শুরুতেই সুন্দর সূচনা হবে আপনার জন্য। কাংখিত ২য় ডলফিন দিয়েই নতুন বছরের শুরুটাও কিন্তু মাইলফলক হয়েই থাকবে।
আপনি তো প্রায় পৌছেই গেছেন। আর মাত্র ৫৫ স্টিম বাকী। হয়েও তো যেতে পারে বাকী আট দিনে!! আশা রাখুন।
টেক নেক সিন্ড্রোম (Tech Neck Syndrome) একটা নতুন এবং আধুনিক রোগ। এটাকে টেক্সট নেক সিন্ড্রোমও (Text Neck Syndrome) বলা হয়। কেউ কেউ এটাকে নতুন মহামারী বলেও উল্লেখ করছেন। গুগলে Tech Neck Syndrome লিখে সার্চ দিলে অনেক আর্টিকেল পাওয়া যাবে।
যেকোন ধরনের ঘাড় ব্যথা, ঘাড় ধরা বা অস্বস্থি ভাব, উপরের পিঠে ব্যথা, সোল্ডার জয়েন্টে ব্যথা ইত্যাদি যদি লম্বা সময় মোবাইল দেখা বা কম্পিউটার ব্যবহারের কারণে হয় বলে প্রমাণিত হয় তাহলেই এটাকে টেক নেক সিন্ড্রোম হিসাবে আখ্যায়িত করা যেতে পারে। মাথা সোজা রাখার পরিবর্ত যদি ৪৫ ডিগ্রি কোণে সামনে ঝুকিয়ে রেখে লম্বা সময় মোবাইল টিপাটিপি করা বা কম্পিউটার ব্যবহার করা হয় তাহলে এটা হতে পারে।
বর্তমান জেনারেশনের অনেকেই এই সিন্ড্রোমে আক্রান্ত!
আপনি আপনার লক্ষ্যের এতটা কাছে এসেও লক্ষ্য টা পূরণ করতে পারেননি, এটা দেখে অনেক খারাপ লেগেছে আপু। আসলে সফলতার কাছে এসে না পৌঁছানোর মধ্যে যেরকম একটা কষ্ট থাকে, ঠিক তেমনি এটার ক্ষেত্রে ও। খারাপ তো লাগবেই, কারণ আপনি আপনার লক্ষ্যের অনেকটা কাছে এসে গিয়েছিলেন।